ক্ষুধার্ত দুপুর

in hive-129948 •  14 days ago 

এমনিতেই মাসের শুরুর দিকে বেশ সাংসারিক ব্যস্ততা থাকে। কেননা বাজার করা থেকে শুরু করে, ইন্টারনেট-বিদ্যুৎ বিল দেওয়া, বাবু ও গিন্নির ব্যবহার্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা করা, তাছাড়া নিজের জন্যও টুকটাক কিছু কেনাকাটা করতে হয়, সবমিলিয়ে বলতে গেলে মাসের শুরু মানেই বিশাল একটা খরচের ধাক্কা। পকেটের উপর বেশ ভালই চাপ যায়।

20241020_160143-01.jpeg

20241020_160147.jpg

20241020_160156-01.jpeg

20241020_160213-01.jpeg

20241002_164701.jpg

গতকাল আমাকে সেরকম একটা ধাক্কা সামলিয়ে উঠতে হয়েছে, সেই সকালবেলা বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলাম, তারপর পুরো বাজার ঘুরে নিজেদের কেনাকাটা করে, সব বিল মিটিয়ে অবশেষে আবারো বাড়ির পথে ফিরেছিলাম।

যেহেতু সকাল থেকে বেশ ভালই পরিশ্রম গিয়েছিল নিজেদের উপর দিয়ে, তাই দুপুরবেলার দিকে অনেকটাই ক্ষুধার্ত হয়ে গিয়েছিলাম। তাছাড়া বাবু কে বাড়িতে রেখে গিয়েছিলাম। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, বাড়িতে গিয়ে রান্না করে আবার খাওয়া দাওয়া করার চেয়ে মাঝপথেই কোন সস্তার হোটেল দেখে দুপুরের খাওয়াটা খেয়ে নেব।

ঠিক যেমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, তেমনটা বাস্তবে করেছি। শহর থেকে বেরিয়ে খানিকটা দূরে গিয়ে হাইওয়ে রাস্তার পাশে অবস্থিত ছোট খাবারের হোটেলে ঢুকে গিয়েছিলাম। যদিও এই হোটেলের আহামরি কোন ডেকোরেশন নেই, তবে খাবারের স্বাদ কিন্তু অনেকটা মুখে লেগে থাকার মত।

মূলত হাইওয়েতে যে সকল ট্রাক ড্রাইভার ভাইয়েরা দীর্ঘ পথ যাত্রা করে ক্লান্ত হয়ে যায়, তাদের জন্যই মূলত এইসব ভাসমান খাবারের হোটেল। কোন প্রকার সংকোচ না করে, সোজা ঢুকে গেলাম খাবারের হোটেলে। ভেতর থেকে দুজন ভদ্রলোক আমাদেরকে যথেষ্ট আপ্যায়ন করলো।

আমরা তাদের কাছে শোনার চেষ্টা করলাম, এখন কি কি খাবার পাওয়া যাবে। তারাও বলার চেষ্টা করলো তাদের খাবারের সম্পর্কে। অতঃপর আমরা মুরগির মাংস আর সাদা ভাত অর্ডার করলাম। এমনিতেই প্রচুর ক্ষুধার্ত ছিলাম তার ভিতরে যখন, টেবিলে খাবার চলে এসেছিল তখন তেমন কিছু না ভেবেই, সোজা খাওয়া শুরু করে দিয়েছিলাম।

হোটেল ছোট হলে হবে কি, খাবারের মান যথেষ্ট ভালো এবং রান্নাটাও করেছে দারুণ। তাছাড়া খাবারের দাম অন্যান্য জায়গার থেকে তুলনামূলক অনেক কম। অতঃপর খাওয়া-দাওয়ার পর্ব শেষ করে দ্রুত বাড়িতে ফিরে যাওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম, কেননা বাবুকে রেখে এসেছিলাম বাড়িতে।

puss_mini_banner.png

Banner-22.png

ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

একদম ঠিক কথা বললেন ভাইয়া আসলে মাসের শুরুটা বেশ ভালো ব্যস্ততায় চলে যাই। বাসা ভাড়া থেকে শুরু করে বাচ্চাদের স্কুলের বেতন কোচিং এর ফি। তাছাড়া ও ঘরের বাজার সাজার সবকিছু মিলিয়ে অনেক টাকার ব্যাপার-স্যাপার। আপনারা তো দুইজনেই বেশ কেনাকাটা করলেন তাহলে। আর দুপুরবেলায় বেশ ভালো খাওয়া দাওয়া করলেন। খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তাই মনে হল।

একদম অনেকগুলো টাকা খরচ করে, এখন আমার অবস্থা অনেকটাই নাজুক।

মাসের শুরুতে প্রত্যেক পরিবারের সবাইকে
ব্যস্ততায় সময় কাটাতে হয় বাজার থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ বিল, স্কুল, কোচিং, বাসা ভাড়া,বিরাট আকারের একটি খরচ হয়ে যায়।বাবুকে বাসায় রেখে ভালই করেছেন তা নাহলে বাবুর ও একটা ধকল যেত। সত্যিই ক্লান্ত শরীরে বাসায় গিয়ে রান্না করে খাওয়ার চেয়ে বাইরে খেয়ে নিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

মাসের শুরু মানেই, টাকা খরচ হওয়ার একটা বিশাল তালিকা তৈরি হয়ে যায় আপু।

মাসের শুরুটা মনে হয় এভাবেই সবাইকে ব্যস্ততার মধ্যে কাটাতে হয়। তবে এটা কিন্তু ভালো দিক বলা যায়, কারণ এতে করে সারা মাস টেনশন মুক্ত থাকা যায়। যা চাপ একদিনে সামলানোই ভালো। বাহিরে অনেকক্ষণ যাবৎ কেনাকাটা করলে এমনেতেই প্রচুর খিদা লাগে তখন খাবার সামনে আসলে আর কিছু মনে থাকে না। তাছাড়া কথায় আছে না, চকচক করলেই সোনা হয় না। যেসব রেস্টুরেন্ট বাহির থেকে চাকচিক্যে ভরপুর তাদের খাবার যে সবসময় ভালো হবে তা কিন্তু নয়। মাঝে মাঝে রাস্তার পাশে গড়ে ওঠা ছোট ছোট হোটেলের খাবারও খুব সুস্বাদু হয়,যা বড় ধরনের রেস্টুরেন্ট কে হার মানায়। আপনাদের খাবার দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু ছিল। দুপুরবেলা খুদা পেটে এর চেয়ে ভালো খাবার আর হয়না। যাই হোক আপনার পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।

দুপুরবেলা খুদা পেটে এর চেয়ে ভালো খাবার আর হয়না।

আমার অনুভূতি বুঝতে পারার জন্য ধন্যবাদ আপু।

এই ধরনের হোটেল গুলোতে সাধারণত কর্মজীবী মানুষেরা খাই। তাদের হোটেলের খুব একটা চাকচিক‍্য থাকে তো না। কিন্তু তারা নিজেদের খাবারের মান ঠিক রাখে।

আপনার কথার সঙ্গে একদম সহমত পোষণ করছি ভাই। ডেকোরেশন দিয়ে কি হবে, খাওয়াটাই তো মুখ্য বিষয়।

মাসের শুরুতে সবার বাসায় কেনাকাটা থাকে।আর ওই সময় অনেক গুলো টাকার দরকার পড়ে ।পুরো মাসের বাজার এর ব্যাপার।হিরা ভাবীকে নিয়ে দুপুরে খাওয়া দাওয়া করলেন বাইরেই।ভালো লাগলো পোস্টটি,ধন্যবাদ।

পুরো মাসের কেনাকাটা করে পকেট এখন অসুস্থ আপু।

মাসের শুরুর দিকে আসলেই পকেটের উপর বেশ চাপ পড়ে। যাইহোক খাবারের মান যেহেতু ভালো ছিলো, তাহলে তো বেশ তৃপ্তি সহকারে খাবার খেয়েছেন। বেশ ভালো লাগলো পোস্টটি দেখে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

ভীষণ চাপ পড়ে ভাই, যা বলার বাইরে।