দু-পেয়ো কীট || @shy-fox 10% beneficiary

in hive-129948 •  3 years ago 

20211012_171647-01.jpeg
বেলা শেষ হয়ে গিয়েছে অনেক আগেই
আমি মাঝে মাঝে ডুবে যেতে চাই
রক্তিম সূর্যের আভার মত করে ।।
হুট করে কালো অন্ধকার
আমাকে ডুবিয়ে দেবে
নিঃশেষ হয়ে যাব
আবারো প্রহার গুনবো
কখন আবার উদিত হবো ।।

মাঝে মাঝে মন বড় ব্যাকুল হয়ে যায়
উদিত হতে পারব তো, ঠিক এটা ভেবে ।
কত নিয়মের বেড়াজাল
কতশত যুক্তি-বুদ্ধি
আশেপাশে তাকালে একদম শিহরিত হয়ে উঠি,
এই বেড়াজাল এই সমালোচনা
আমি নিতে পারব তো ।।
আমি বড্ড ক্লান্ত, বড্ড অসহায়
বেমানান আমি এসবের কাছে ।।

20211012_171640-01.jpeg

মাঝে মাঝে মনে হয়
উদিত হয়ে কি লাভ,
নিয়তি আমাকে ডুবিয়ে দিক ।।
সমালোচনার মুখপাত্র না থেকে
অন্ধকারেই থাকতে চাই ,
যেখানে কেউ আমাকে দেখবে না
কেউ আমাকে খুঁজবে না
আমি আমাতেই থাকব
নিজের মতো করে ।।

কি দরকার উদিত থেকে
বরং অন্ধকারে অস্তিত্ব খুঁজলে মন্দ হয় না ।।
হয়তো মানিয়ে নিতে বেগ পেতে হয়,
আবার অভ্যস্ত হয়ে গেলে
হাঁফ ছেড়ে বাঁচা যায় ।।

20211012_171637-01.jpeg

বিঃদ্রঃ
এটলিস্ট আর যাইহোক , আশেপাশের দু-পেয়ো কীটপতঙ্গ গুলোর তীর্যক সমালোচনা থেকে দূরে থাকা যায় ।।

Banner.png

ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

মাঝে মনে হয়
উদিত হয়ে কি লাভ,
নিয়তি আমাকে ডুবিয়ে দিক ।।
সমালোচনার মুখপাত্র না থেকে
অন্ধকারেই থাকতে চাই ,
যেখানে কেউ আমাকে দেখবে না
কেউ আমাকে খুঁজবে না
আমি আমাতেই থাকব
নিজের মতো করে ।।

ভাইয়া আপনার লেখা কবিতাটির প্রতিটি লাইন আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনি সবসময় আমাদের বাস্তব জীবনের উপলব্ধি গুলো নিয়ে লেখেন এটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। এই পৃথিবীতে সবাই সবার সমালোচনা করতে ব্যস্ত। কেউ যদি ভালো কিছু করতে চায় তাহলে কিভাবে তার সমালোচনা করা যায় সেটা নিয়ে সবাই ব্যস্ত থাকে সবসময়। আমাদের চারপাশের মানুষ গুলোর দিকে তাকালে খুবই আফসোস হয় কারণ আমরাও তাদের মতই মানুষ। তবে আমরা কেন নিজেদেরকে বদলাতে পারি না এটা ভেবে অনেক কষ্ট হয়। কারো সমালোচনার মুখপাত্র হতে চাই না কখনো। নিজেকে অন্ধকারে লুকিয়ে রাখতে চাই। কারণ সমালোচনার মুখপাত্র হওয়ার চেয়ে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া অনেক বেশি শ্রেষ্ঠ। আমরা যদি অন্ধকারে হারিয়ে যাই তখন কেউ আমাদেরকে দেখবেনা, কেউ আমাদেরকে খুঁজবে না। কিন্তু আমরা যদি আলোর পথে ফিরে আসি ও।একটুখানি উন্নতি করি তাহলেই সবার সমালোচনা শুরু হয়ে যায়। এই পৃথিবীর মানুষগুলো বোধহয় এমনই। আপনার লেখা কবিতাটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া।আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।

মাঝে মাঝে মনে হয়
উদিত হয়ে কি লাভ,
নিয়তি আমাকে ডুবিয়ে দিক ।।

ভাই আপনার কবিতাটি আমার অসাধারণ লেগেছে কবিতার প্রতিটি লাইন মনমুগ্ধকর। সত্যি কথা বলতে আমাদের মাঝে মাঝে ডুব দিতে ইচ্ছা করে এই স্বার্থপর পৃথিবীতে নিজেকে খুব একা মনে হয় সবকিছু পানশে মনে হয়।

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।

আমি বড্ড ক্লান্ত, বড্ড অসহায়
বেমানান আমি এসবের কাছে ।।

অসাধারণ একটি কবিতা আমাদের মাঝে উপহার দিয়েছেন ভাইয়া। বিশেষ করে আপনার লেখা এই লাইন দুটো আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আপনি আমাদের সমাজের এই নিচু মানসিকতার লোকগুলোকে কেন্দ্র করে সুন্দর একটি কবিতা আমাদের মাঝে উপহার দিয়েছেন। আপনি ঠিকই বলেছেন এরা হচ্ছে দু-পেয়ো কীট। এগুলো আজ মানুষ রূপ ধারণ করে সমাজের মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে রেখেছে নিজেদের আসল চেহারা। এই সমাজের মানুষগুলো বড়ই অদ্ভুত। অন্যের ভালো কখনো সহ্য করতে পারে না। সমালোচনাই মনে হয় তাদের একমাত্র কাজ। যখন আমরা না খেয়ে থাকি ও দিনের পর দিন কষ্টে কাটাই তখন কেউ দেখতে আসে না কিন্তু যখনই আমরা নতুন জীবনের সন্ধানে পথ চলতে শুরু করি এবং নতুন স্বপ্নে এগিয়ে যাই তখন সমালোচনার ঝড়ে নিজেকে খুবই ছোট মনে হয়। সমালোচনার ঝড়ে ভেসে যায় নিজের ইচ্ছে গুলো। হয়তো সেই সব কিছুর মাঝে নিজেকে আজ বড়ই বেমানান মনে হয়। তখন মনে হয় আমি বড় ক্লান্ত, বড্ড অসহায় এবং বেমানান এই মানুষের মাঝে। নিজেকে বড় অসহায় মনে হয় তখন। মনে হয় কেন আমরা এমন মানসিকতার মানুষ। আমরা সৃষ্টির সেরা জীব হয়েও কেন নিজের ব্যক্তিত্বকে ধরে রাখতে পারিনা। তখন খুবই আফসোস হয় কারণ সৃষ্টির সেরা জীব গুলোকে দু-পেয়ো কীট মনে হয়। আমি চাই এই সমাজের মানুষগুলো নিজের মানসিকতাকে বদলে একে অন্যের সহযোগিতায় এগিয়ে আসুক। হয়তো তখনই আমাদের মানব জীবন সার্থক হবে। এর মাধ্যমে আমরা দু-পেয়ো কীট থেকে মানুষ হতে পারব। আমরা মানুষ হতে চাই। ভাইয়া আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।

এই বেড়াজাল এই সমালোচনা
আমি নিতে পারব তো ।।
আমি বড্ড ক্লান্ত, বড্ড অসহায়
বেমানান আমি এসবের কাছে ।।

কবিতার এই লাইনটি আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লেগেছে। এটা আমাদের বাস্তবজীবনের সাথে মিলে যায়। মাঝে মধ্যে এমন সময় আসে যখন আমরা অনেক অসহায় হয়ে পড়ি। তখন এসবের কাছে টিকে থাকা কঠিন।

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।

বিঃদ্র দিয়ে লিখা উক্তিটি আসলেই একেবারে যথার্থ লিখেছেন ভাইয়া।
একেবারেই মনের কথা গুলো।

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।

মাঝে মাঝে মনে হয়
উদিত হয়ে কি লাভ,
নিয়তি আমাকে ডুবিয়ে দিক ।।
সমালোচনার মুখপাত্র না থেকে
অন্ধকারেই থাকতে চাই ,

ভাইয়া আপনার কবিতাটি আমার খুবই ভালো লেগেছে। এই কবিতাটি একদম বাস্তব মুখী। কবিতাটি পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। এই কবিতাটি আমাদের সমাজের প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের সাথে বাস্তবতা রয়েছেন। আসলেই সমাজের সমালোচনা মানুষের অভাব নেই, আর এই সমালোচনা মানুষের সমালোচনাগুলো খুবি বিরক্ত এবং খুবই কষ্টকর। যার কারনে নিজেকে লুকিয়ে রাখতে ইচ্ছা করে। তবে সমালোচনা থাকবেই তার পরেও আমাদের এই সমাজে বসবাস করতে হবে। সমাজে এরকম কীটপতঙ্গ থেকে দূরে থাকাই ভালো নিজের মতো করে গুছিয়ে জীবনটা পরিচালনা করতে হবে।এত সুন্দর কবিতা আমাদের উপহার দেওয়া জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।

সমালোচিত না হলে কখনো আলোচিত হওয়া যায় না।পৃথিবীতে সকল আলোচিত ব্যক্তি সমালোচিত হয়েছে হচ্ছে হবে।।সমালোচনার ভয়ে উদিত না হওয়ার চিন্তা কখনোই করা যাবে না।সফলতা কিংবা আলোচিত হওয়ার পথ বড়ই পিচ্ছিল বড়ই দুর্গম। আজ এই দুর্গম পিচ্ছিল পথ পাড়ি দিতে পারলেই আলোচিত হওয়া যায়।সমালোচনা দিল তখন মুখ থুবরে লুকিয়ে থাকে।
♥♥

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।

মনুষ্য জীবন বেশি ভয়ংকর বিষধর সাপের চেয়ে আমি মনে করি।কেননা কোনো জীব তার সম্পূর্ণ মুখের ভাষা প্রকাশ করতে পারে না কিন্তু একজন মানুষ সমালোচনা আর কটুক্তির দ্বারা একটি আলোকময় জীবনকে অন্ধকারে ঠেলে দিতে পারে।তাই নতুন দিনের সূচনায় উদিত সূর্যের আলোর মতো নতুন মানুষের বাক্যালাপ।সমালোচনা থেকে বাঁচতে নিঃসঙ্গ জীবন কাটানো ভালো অন্ধকারের মতো।সমগ্র কবিতাটি দারুণ লিখেছেন ভাইয়া।ধন্যবাদ আপনাকে।