রবিবারের আড্ডা -১০৪ | উন্মুক্ত আড্ডা - ১৩ পর্ব

in hive-129948 •  18 days ago 

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPpk8eD5J8faiKQyTY86VPmRcbBxcyhfJkfLYxxJsDwxKvWA2RKPALhKodnEkc...nDAHgDXC7qTcoSYDLfzRB1P9H6Rx8Ljgm3Q9mzCmtQsCWCZG8Mc2hagDi9CD9WZMwjKxRU1ohmpQ5TgufZDjM6ZsTw96Vt41c5U34cFDwKWkXWNwDYRtR9uu8a.png

ব্যানার ক্রেডিটঃ @hafizullah

আমার বাংলা ব্লগের আয়োজন রবিবারের আড্ডার নতুন সংযোজন হচ্ছে এবিবি উন্মুক্ত আড্ডা । মূলত এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে যারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকে তাদের সামনে একটা বিষয় তুলে ধরা হয়। যে সকল সদস্য স্বতঃস্ফূর্তভাবে সেই বিষয়ে কথা বলতে আগ্রহী হয়, তাদের নিয়েই মূলত এই অনুষ্ঠানটা পরিচালিত করা হয়।

তাছাড়া এই অনুষ্ঠানটি তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে, যেহেতু চার-পাঁচজন অতিথি থাকে প্রথমত দুইবারে সকল অতিথির মতামত শোনা হয়, দ্বিতীয়তঃ কিছুটা বিরতি দিয়ে উপস্থিত দর্শকদের মতামত গ্রহণ করা হয় এবং নিজেদের পছন্দের গান শোনা হয়। সর্বশেষে উপস্থিত সকল দর্শক ও শ্রোতাদের জন্য থাকে শুভেচ্ছা পুরস্কার।

samsun.PNG

cgg.PNG

Capture.PNG

agim.PNG

অতীতের সিনেমা দেখার অনুভূতি।



প্রথম অতিথিঃ @tanjima
ভেরিফাইড সদস্য, আমার বাংলা ব্লগ
মতামতঃ আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন শুধুমাত্র বৃহস্পতিবার আর শুক্রবার করে বিটিভিতে ছায়াছবি হতো। বিশেষ করে যখন স্কুলে পড়তাম, তখন বৃহস্পতিবারের দিনে স্কুল শেষ করে দ্রুত ঐরকমই ছায়াছবি দেখতে যেতাম আমাদের পার্শ্ববর্তী বাড়িতে। মাঝে মাঝে ফিরতে অনেক দেরি হয়ে যেত, তাছাড়া বাড়ি থেকে এসব পছন্দ করত না। একবার যখন চুরি করে ছায়াছবি দেখতে গিয়েছিলাম, তখন বাবা আমাদের খুঁজতে বেরিয়ে একদম সোজা সেই বাড়িতে চলে গিয়েছিল। তারপরে তো সেই রাগারাগি করেছিল আমাদের সঙ্গে। এরকম অজস্র ঘটনা আছে ছায়াছবি দেখা কে কেন্দ্র করে। আজ তা শুধুই অতীত।

দ্বিতীয় অতিথিঃ @shahid540
ভেরিফাইড সদস্য, আমার বাংলা ব্লগ
মতামতঃ একবার ঈদের দিনে এলাকার ছেলেদের সঙ্গে মিলে আমাদের পার্শ্ববর্তী এলাকার বদরগঞ্জ মিতু সিনেমা হলে সবাই মিলে ছবি দেখতে গিয়েছিলাম। আমরা যখন সিনেমা হলে পৌঁছায় তখন ইতিমধ্যেই প্রথম শো'র অনেকটা শেষ হয়ে গিয়েছিল, তাই বাধ্য হয়ে পরের শো দেখেছিলাম। এবং বাড়ি ফিরতে অনেক রাত হয়ে গিয়েছিল। তারপর যখন বাড়ি ঢুকেছিলাম, বাবা আমাকে ভীষণ শাসন করেছিল। আমি তো সেই রাতেই রাগ করে নানি বাড়ি চলে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে নানির কাছে সব বিষয় জানাই, অবশেষে নানু বাবাকে ফোন করে এবং সব বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করে। তারপরে চারদিন পরে আমি নানার সঙ্গে বাড়ি যাই, তখন অবশ্য বাবা আমার সঙ্গে কথা বলেনি, পরে অবশ্য কথা বলেছিল এবং তারপর থেকে আর কখনো রাত করে বাড়ি ফেরা কিংবা সিনেমা দেখতে যাইনি।

তৃতীয় অতিথিঃ @ah-agim
ভেরিফাইড সদস্য, আমার বাংলা ব্লগ
মতামতঃ আমার এখনো খুব ভালোভাবে মনে আছে, সেই সময় শুধুমাত্র সপ্তাহে দুই দিন সিনেমা দেখানো হতো বিটিভিতে, তাছাড়া আমাদের বাড়িতে টিভি ছিল। মজার ব্যাপার হচ্ছে আমার আত্মীয়-স্বজন থেকে শুরু করে সব চাচাতো মামাতো ভাইয়েরা সবাই আসতো আমাদের বাড়িতে টিভি দেখতে, তবে সেই সময় মাঝে মাঝেই আবহাওয়া জনিত কারণে টিভি দেখা ব্যাঘাত ঘটতো। যেহেতু অ্যান্টেনার মাধ্যমে সংযোগ হতো টিভি চ্যানেল, তাই মাঝে মাঝে অ্যান্টেনা এদিক সেদিক নড়ে গেলে বেশ কষ্ট হতো টিভি দেখতে। তাই আমরা নিজেদের ভিতরে রুটিন ভাগ করে নিতাম, যখনই টিভি দেখতে অসুবিধা হতো তখনই কাউকে বাহিরে পাঠিয়ে দিতাম অ্যান্টেনা ঠিক করার জন্য। এভাবেই সেই সময়কার দিনগুলো অতিবাহিত হয়েছে। যা আজ শুধুই স্মৃতি।

চতুর্থ অতিথিঃ @samhunnahar
ভেরিফাইড সদস্য, আমার বাংলা ব্লগ
মতামতঃ আমি তখন ছোট ছিলাম, তাছাড়া আমাদের বাড়ি ছিল দুর্গম এলাকায়। যেহেতু সপ্তাহে দুদিন মাত্র সিনেমা হতো, তাছাড়া আগে থেকে বিজ্ঞাপন দেখানো হতো, তাই আমরা পূর্বেই জেনে যেতাম কবে কি সিনেমা হবে। অবশেষে সিনেমা দেখতে যেতাম নানু বাড়িতে। তবে একবার সে কি অবস্থা মাঝে মাঝেই বিদ্যুৎ চলে যেত, তখন যেন একদম ভালো লাগতো না, মনে মনে দোয়া পড়তাম বিদ্যুৎ আসার জন্য। তাছাড়া টিভি সংযোগ ঠিকঠাকমতো পেতোনা বিধায় মামা টিভির উপরে হালকা করে আঘাত করত, একবার রাগ হয়ে এমন জোরে আঘাত করেছিল টিভি একদম নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তাছাড়া তারপর থেকে আমরা এলাকার এক মেম্বারের বাড়িতে টিভি দেখতে যেতাম। বিশেষ করে শুক্রবারের দিন সেজেগুজে নতুন কাপড় পড়ে যেতাম। তবে একবার বাড়িতে আসতে রাত হওয়াতে , আম্মু ভীষণ শাসন করেছিল আমাদের দুই বোনকে।

তাৎক্ষণিক অতিথি ও শ্রোতার মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

Screenshot_20250202_235457_Chrome.jpg

dxcz.PNG

পুরস্কারের স্পন্সর কমিউনিটির প্রতিষ্ঠাতা @rme দাদা

মূলত এভাবেই আয়োজন করা হয়েছিল এবিবি উন্মুক্ত আড্ডা। আমাদের চিন্তাধারা প্রতিনিয়তই ব্যতিক্রম, তাই সব ব্যতিক্রম চিন্তা-ভাবনা নিয়েই আমরা এগিয়ে যেতে চাই প্রতিনিয়ত সামনের দিকে। আশাকরি আমাদের সঙ্গে সকলেই থাকবেন, এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।

ধন্যবাদ সবাইকে।


2FFvzA2zeqoVJ2SVhDmmumdPfnVEcahMce9nMwwksSDdRvZ6f4GKSwLn3BBFmPFifbbr21AhPTJ7XiTPJGbzxXNzpL3AeDnWebvp5DxFE241B8HGEVAr2C8nYkd2N.png

D5zH9SyxCKd9GJ4T6rkBdeqZw1coQAaQyCUzUF4FozBvW787kzcgWYkwvNtA2hFHjZmHJF7T9cU9fuNnktTXyjPQrbBYfZq5mcrxbtVXjuouLjrPEViYtkZQyE2bNmeVzsXTft.png

ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

রবিবারের আড্ডার মুহূর্ত টা আপনি আজকে অনেক সুন্দর করে সবার মাঝে শেয়ার করেছেন। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে এটা দেখে। সবার অনেক সুন্দর সুন্দর অনুভূতি সম্পর্কে জানতে পারলাম। আর অনেক ভালো লেগেছে। যারা যারা উপস্থিত ছিল না তারা সবাই পুরোটা এই পোস্ট পড়ে জানতে পারবে। আমিও জানতে পারলাম।

রবিবারের ১০৪ তম উন্মুক্ত আড্ডায় অতিথি হিসেবে থাকতে পেরে আমার অনুভূতি খুবই ভালো ছিলো। সবাই মিলে খুবই আনন্দের সাথে উন্মুক্ত আড্ডা উপভোগ করেছিলাম। বরাবরের মতোই আপনার উপস্থাপনা দারুন ছিলো ভাই। যাইহোক গতকালকের উন্মুক্ত আড্ডার পুরো বিষয়টি আজকে লিখিতভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

এবারের আড্ডাটা পুরোনো স্মৃতি নিয়ে খুব সুন্দর ভাবে জমে উঠেছিল। আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি এই আড্ডার অতিথি হিসেবে থাকতে পেরে। বাকি অতিথিরাও খুব সুন্দর ভাবে তাদের স্মৃতি শেয়ার করেছেন। আমার কাছে রবিবারের আড্ডায় অংশগ্রহণ করতে খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর ভাবে সম্পূর্ণ আড্ডা তুলে ধরার জন্য।

রবিবারের আড্ডা আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকল সদস্যদের জন্য অন্যতম একটা আনন্দের দিন। আর বর্তমান সময়ে রবিবারের উন্মুক্ত আড্ডাটি অনেক বেশি জমজমাট হয়ে উঠছে। আমি আশা করি এই জমজমাট আড্ডার ধারাবাহিকতা আগামী দিনেও বজায় থাকবে।

এই সপ্তাহের উন্মুক্ত আড্ডা বেশ উপভোগ করেছি। বিশেষ করে শাহিদ ভাই বেশ গুছিয়ে কথা বলেছেন। উনার কথাগুলো শুনে বেশ ভালো লেগেছিল। যাইহোক এই রিপোর্টটি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।