কয়দিন আগে যখন গ্রামে ছিলাম, তখন আমাদের পাশের বাড়িতে এক ছোট বাচ্চার শরীরে ফুটন্ত গরম পানি পড়েছিল। মূলত এই ঠান্ডায় বাচ্চার গোসল করানোর জন্যই গরম পানি করা হয়েছিল ইলেকট্রিক জগে, যেহেতু বাড়ির ভিতরে খুব একটা তেমন লোকজন ছিল না আর সেই সুযোগেই ছোট বাচ্চাটি অনেকটা আগ্রহের বশেই ইলেকট্রিক জগটি ধরতে গিয়েছিল, আর তাতেই শরীরে পানি ছিটকে পড়েছিল।
ব্যাপারটা বড্ড সাংঘাতিক, তাছাড়াও কষ্টদায়ক। ইচ্ছে করেই সেদিন আমি বাচ্চাটা কে দেখতে যাইনি, কেননা ছোট বাচ্চাদের কষ্ট খুব একটা স্বচক্ষে দেখতে ইচ্ছে করে না। তারপরেও আশেপাশের লোকজনের কাছ থেকে যা বিস্তারিত শুনেছিলাম, তা শুনেই অনেকটা ব্যথিত হয়ে গিয়েছিলাম।
এখন তো প্রায় দুই সপ্তাহ হচ্ছে বাসায় ফিরে এসেছি, মোটামুটি এখানে এসে নিজের কর্মে মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তবে তারপরেও গতরাত থেকে একটা বিষয় ফেসবুকে দেখার পর থেকে বলা যায় অনেকটা আমি মানসিক ট্রমার ভিতরে আছি।
রাশেদের বাড়ি আমার পার্শ্ববর্তী এলাকাতে, আমার এখনও খুব ভালোভাবে মনে আছে যখন আমি পার্ট টাইম জেনারেল সার্জারি অ্যাসিস্ট করতে যেতাম, ঠিক সেই সময়ই একটা ক্লিনিকে রাশেদের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছিল। মূলত সেবার রাশেদের স্ত্রীর ডেলিভারি হয়েছিল। সেই অপারেশনও আমি অ্যাসিস্ট করেছিলাম । সেদিন রাশেদের মুখে বেশ হাসি দেখে ছিলাম।
পুত্র সন্তান হওয়াতে পুরো ক্লিনিকের সবাইকে মিষ্টি খাইয়েছিল রাশেদ। কোনরকমে আমার ভাগ্যেও দুটো মিষ্টি এসেছিল, তারপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়াতে যুক্ত হয়ে গিয়েছিল রাশেদ আমার সঙ্গে। মাঝে মাঝেই টুকটাক কথা হতো, বয়সে আমার থেকে ও একটু বড় হলেও, আমাদের মাঝে সম্পর্ক ছিল বেশ ভালই।
সেদিনই দেখছিলাম ওর ছেলের, ও চতুর্থ জন্মদিন পালন করল, অনেকটা জাঁকজমকপূর্ণভাবে। সেই ছবিগুলো সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখেছিলাম। তবে গতকাল রাত্রি বেলা যখন, হঠাৎই ওর সন্তানের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় পোড়া ক্ষতস্থানগুলো দেখেছিলাম, তখন কিছুটা মানসিকভাবে আহত হয়েছিলাম।
মূলত রাশেদের স্ত্রী গ্যাসের চুলায় দুধ গরম করছিল, সেই ফুটন্ত দুধ বাচ্চার দুষ্টামির কারণে হঠাৎই বাচ্চার শরীরে ছিটকে পড়ে যায়, যার কারণে এই দুর্ঘটনা। এমনিতেই যে ঠান্ডা, তার ভিতরে ঐ পোড়া ক্ষত স্থানগুলো, বেশ কষ্ট দিচ্ছে বাচ্চাটাকে। বাচ্চাটা যেমন কষ্ট পাচ্ছে, ঠিক তেমনটা কষ্ট পাচ্ছে রাশেদ ও তার স্ত্রী। ব্যাপারটা আসলেই বেদনাদায়ক। তাছাড়া একটা বিষয় লক্ষ্য করে দেখবেন, এ ধরনের ঘটনাগুলো এই শীতের সময়েই বেশি হয়।
মানে উষ্ণতা খুঁজতে গিয়ে হিতে বিপরীত হয়ে যায়। তাই যাদের বাড়িতে ছোট বাচ্চারা আছে, তারা একটু দয়া করে অধিক সতর্কতা অবলম্বন করুন এই সময়ে। কেননা ছোট বাচ্চাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনা মারাত্মক কষ্টদায়ক।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1751189960156381558?t=AiVSQnTFSJkneDpNbg-Upw&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার আজকের সচেতনতা মূলক পোস্টটি অবশ্যই আমাদের শিক্ষা দিবে,ফুটন্ত গরম যেকোন কিছু ও আগুণ থেকে শিশুদের সাবধানে রাখতে। শুধু শিশু কেন,তীব্র শীত থেকে বাচতে আগুন পোহাতে গিয়ে বড়দেরও পুড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে প্রতিদিন কোথাও না কোথাও।তাই এসব থেকে আমাদের সবাইকে সাবধান হতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এমন অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা কারো সঙ্গেই না ঘটুক, এই প্রত্যাশাই ব্যক্ত করছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলেই বাচ্চাদের কষ্ট স্বচক্ষে দেখা যায় না। প্রতি বছর শীতকালে এই ধরনের ঘটনা প্রায়ই শোনা যায়। এসব ঘটনা শুনলেও খুব খারাপ লাগে। তাই বাসায় থাকা বড়দের উচিত শিশুদের দিকে বেশি বেশি খেয়াল রাখা। তাছাড়া পানি গরম করার ইলেকট্রিক জগ শিশুদের হাতের নাগালের বাইরে রাখা উচিত। মোটকথা এমতাবস্থায় সচেতনতা বৃদ্ধি করা ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই। রাশেদ ভাইয়ের বাচ্চার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। যাইহোক এমন সতর্কতামূলক একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একদম ঠিক বলেছেন ভাই, এই সময় সচেতনতা বৃদ্ধি ছাড়া আর অন্য কোন উপায় নেই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আসলেই ব্যথিত করে ভীষণ! এই শীতের মাঝে ক্ষত হলে সেটা আরও পেইনফুল বেশি। রাশেদ ভাইয়ের ছেলের অবস্থা জেনে খুবই খারাপ লাগছে! ইলেকট্রিক জিনিসপাতি সবসময় বাচ্চাদের থেকে দশহাত দূরে রাখা উচিত! নয়তো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে। রাশেদ ভাইয়ের ছেলের জন্য দোয়া রইল, যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ্য হয়ে উঠে 🌼
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
রাশেদের ছেলের আমিও দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি ভাই, কেননা এই শীতে বড্ড কষ্ট পাচ্ছে বাচ্চাটা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সেজন্য ছোট্ট বাচ্চাদের সব সময় সতর্কতার সাথে রাখতে হয়। তারা অনেক ছোটাছুটি করে অনেক সময় দেখা যায় অসাবধানতা বশত দুর্ঘটনা ঘটে যায়। যেটা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না । এইরকম ঘটনার অনেকগুলো সাক্ষী হয়েছি ।সত্যিই ছোট্ট বাচ্চাদের কিছু হলে অনেক খারাপ লাগে। যেটা আপনি ভালই অনুভব করেছেন ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলেই ভাই সতর্ক থাকা খুবই জরুরি, এমন ঘটনা কারো সঙ্গেই না ঘটুক, এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কি আর বলবো ভাই মনটা খারাপ হয়ে গেলো। সকলকে সচেতন থাকতে হবে বিশেষ করে যেসব বাসায় বাচ্চাকাচ্চা রয়েছে তাদের থেকে ইলেকট্রিক সকেট এবং এ বিদ্যুতিক জিনিসপত্র গুলো দূরে রাখাই শ্রেয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit