উৎসবের পরের প্রথম কর্মদিবস || @shy-fox 10% beneficiary

in hive-129948 •  3 years ago 

20220707_171303.jpg
দুপুরের পরেই খালেক মিয়া আমাকে ফোন দিয়েছে । বলল তাড়াতাড়ি চেম্বারে আসার কথা । এমনিতেই আজকে যে পরিমাণ গরম পড়েছে, তার মধ্যে তাপমাত্রা অনেকটাই বেশি । মোবাইলের স্ক্রিনে তাপমাত্রা দেখেই কিছুটা হতভম্ব হয়ে গিয়েছি । বাহিরে বের হয়ে বুঝলাম এমন তাপমাত্রায় বেশিক্ষণ থাকলে নির্ঘাত চামড়া পুড়ে যাবে । যাইহোক কোনরকম কষ্ট করে চেম্বারে গেলাম ।

20220707_171200.jpg

তবে চেম্বারে গিয়েই আমি কিছুটা বোকা সেজে গিয়েছি । কারণ আমার মা এসেছে আমার চেম্বারে । আমার মা বলতে যাকে আমি বুঝাচ্ছি, সেটা হচ্ছে আমার বড় ভাইয়ের মেয়ে । মোটামুটি ওকে কম বেশি সকলেই চেনেন । কারণ ওকে নিয়ে আমি বেশ কয়েকবার পোস্ট করেছিলাম । যাইহোক ও আমার মা আর শায়ান আমার বাবা । আমি বলছি সুপ্তর কথা । ওরা যখন ঢাকায় ছিল, তখন আমাকে বলেছিল ওর দাঁতে নাকি ক্যাভিটিস হয়েছে । ইদানিং বেশ ভালই সমস্যা করে । তাই আমি বলেছিলাম ছুটিতে সময় পাইলে, চেম্বারে আসার জন্য । কিন্তু ওরা যে আমাকে এভাবে সারপ্রাইজ দেবে সেটা আমি ভাবিনি ।

চেম্বারে গিয়ে যখন আমি ওদেরকে দেখেছি । তখন আমি অনেকটাই অবাক হয়ে গিয়েছি । আমি বললাম তোমরা আসবা, আমাকে আগে থেকে ফোন করে জানালেই তো হতো । তখন আমাকে বলেই ফেলল, তোমাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্যই আমরা মূলত এইভাবে এসেছি।

20220707_171316.jpg

আমি অতঃপর চেম্বারে বসে তারপর সুপ্তর সঙ্গে অনেকক্ষণ গল্প করলাম এবং ওর সমস্যা জানার চেষ্টা করলাম । যেহেতু ও আমার মা, তাই ওর দাঁতের চিকিৎসায় কোন ত্রুটি রাখা যাবে না । আমি ওর সঙ্গে অনেকটা সময় ধরে গল্প করছি এবং ওর সমস্যাগুলো ওর কাছ থেকেই জানার চেষ্টা করছি ।

সব থেকে বড় মজার ব্যাপার হচ্ছে , আমার যখন শহরের চেম্বার ছিল । তখন ওরা পুরনো বাসাতেই থাকতো এবং মোটামুটি শহরের চেম্বার আমার পুরনো বাসার সঙ্গেই লাগানো ছিল এবং যার কারণে সুপ্ত মোটামুটি দাঁতের রোগী এবং দাঁতের সমস্যাগুলো সম্পর্কে আগে থেকেই কিছুটা জেনে অবগত আছে । যার কারণে ওর আসলে মূলত কোন ভয়ডর নেই বললেই চলে ।

20220707_171750.jpg

আমি যখন ওর সমস্যাগুলো শুনছিলাম, তখন ও আমাকে বলছিল বাবাই তুমি আমাকে ডেন্টাল ইউনিটে আগে শুয়ে দাও, তারপরে আমার দাঁত দেখো আর আমার সঙ্গে কথা বলো । আমার দাঁতে ভালই সমস্যা হয় এবং মাংস খাইলে লেগে যায় প্রতিনিয়ত দাঁতের সঙ্গে । দেখতে দেখতে মা আমার বেশ ভালোই বড় হয়ে গেল । এইতো সেদিনই ওর জন্ম হলো আর আজকে কত বড় হয়ে গিয়েছে । যাইহোক আমি এবার ওকে দেখার চেষ্টা করছি ।

যেহেতু ভাবির কাছ থেকে শুনলাম, ও প্রতিনিয়ত প্রচুর বাহিরের খাবার খায় । যেমন চকলেট চিপস ও অন্যান্য খাবার । এজন্যই মূলত এই ঝামেলা গুলো হয়েছে ওর দাঁতে । মূলত উপরের চোয়ালের দুই পাশের মাড়ির দাঁতে ক্যাভিটিস হয়েছে এবং এই জন্য এখন কোন খাবার খেলে সেখানে লেগে থাকে এবং বেশ ভালই ব্যথা করে ।

20220707_171809.jpg

অতঃপর আমি ভালোভাবে ডায়াগনোসিস করে, তারপরে ট্রিটমেন্ট প্লান শুরু করলাম এবং চেষ্টা করলাম , ওকে বুঝিয়ে কিছুটা শান্ত রাখার জন্য । তবে আসলে অন্যান্য বাচ্চাদের ক্ষেত্রে যে সমস্যাটা হয়, ওর বেলায় সে রকম কোনো সমস্যাই হয়নি । কারণ ও এসবের সঙ্গে আগে থেকেই অভ্যস্ত আছে । যাইহোক ওকে বললাম মা তোমার এখানে আমি ফিলিং করিয়ে দেবো তারপরে আর কখনো খাবার লেগে থাকবে না এবং তুমি খুব ভালোভাবে খেতে পারবে । অবশেষে ও খুব ভালোভাবেই রাজি হয়ে গেল ।

তবে তারপরেও যখন আমি ওর দাঁতের ক্যারিজ গুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করার চেষ্টা করছিলাম । তখন ও একটু ব্যথা পেয়েছিল । আমি দেখছিলাম ও কিছুটা কান্না করছিল । তবে আমি ওকে আশ্বস্ত করলাম যে, মা এই গুলো পরিষ্কার করা শেষ হয়ে গেলেই তুমি আর কোন ব্যথা পাবে না । তোমাকে ব্যথা দিয়ে আমারও খুব কষ্ট হচ্ছে । যাইহোক আমি তোমার দাঁতগুলো ভালোভাবে ঠিক করে দিচ্ছি ।

20220707_171811.jpg

যেহেতু ঈদের পরে এটাই আমার প্রথম রোগী । তাই এখানে আমার দায়িত্বের পরিমাণটা অনেকটাই বেশি আর তার মধ্যে আমার মা বলে কথা । যাইহোক আমি চেষ্টা করলাম খুব ভালোভাবে দাঁত দুটোর ক্যাভিটি পরিষ্কার করে, তারপরে ভালোভাবে ফিলিং করিয়ে দেওয়ার জন্য । এই ক্ষেত্রে আমি কিছু কথা আপনাদেরকে বলতে চাই ।

বিশেষ করে যাদের বাড়িতে ছোট বাচ্চা আছে,
সেইসব বাচ্চাদের ছোটবেলা থেকেই ভালোভাবে দাঁত ও মুখ পরিষ্কার রাখার ব্যাপারে সচেতন করে তুলতে হবে । কারণ যদি ছোটবেলা থেকেই বাচ্চাদের দুধ দাঁত গুলো নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে পরবর্তীতে যখন স্থায়ী দাঁত ওঠার সময় হয়ে যায়, তখন বেশ ভালই কষ্ট হয় । আর তাছাড়া দাঁতের ব্যথা খুবই মারাত্মক ও কষ্টদায়ক । দাঁতের ব্যথায় যারা ভুগেছেন তারা এই কষ্ট সম্পর্কে কম বেশি ভালোই জানেন । তাই নতুন করে ব্যাপারটা আর বললাম না । তবে শুধুমাত্র সচেতন করে গেলাম ।

20220707_171833.jpg

তবে এক্ষেত্রে আপনারা আমাকে একটা প্রশ্ন করতে পারেন । আপনি যেহেতু নিজেই ডেন্টিস্ট তাহলে আপনার পরিবারের লোকজনের সচেতনতার এই অবস্থা কেন । আমি আসলে এই প্রশ্নের উত্তর , সাবলীল ভাষায় দিতে চাই ।আপনার বাচ্চারা যেমন বাড়ির লোকজনের কথা শোনে না, ঠিক আমার বাসার বাচ্চাদের একই অবস্থা । তাছাড়াও অসুখ বিসুখ আসলে কারো হাতের উপর থাকে না । তারপরেও যেহেতু আমি একজন ডেন্টিস্ট , এক্ষেত্রে অবশ্যই বলব সচেতনতা দরকার এবং সমস্যা যদি হয়েই থাকে, তাহলে প্রথম দিকেই চিকিৎসা নেওয়া উচিত । নতুবা পরবর্তীতে ঝুঁকি অনেক বৃদ্ধি পায় ।

অবশেষে খানিক পরেই, সুপ্তর দাঁতের গর্তগুলো পরিষ্কার করে সেখানে ফিলিং করিয়ে দেওয়া হল এবং তারপরে কিছু মেডিসিন প্রেসক্রাইব করা ও সঙ্গে কিছু নিয়মকানুন বলে দেওয়া হলো । বিশেষ করে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করার কথা । তবে আমি জানিনা, ও কতটুকু খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে পারবে । তারপরেও যতটুকু বলার বলে দিলাম এবং বললাম আমাদের বাসায় বেড়াতে যাওয়ার কথা ।

20220707_171118.jpg

সর্বোপরি ঈদের পরবর্তী প্রথম কর্ম দিবসের প্রথম দিনের সময়টা সুপ্তোর সঙ্গে ভালোই কেটেছে এবং আমিও খুব আত্মতৃপ্তি পেয়েছি ওকে ভালোভাবে চিকিৎসা দিতে পেরে । সত্যি বলতে কি, প্রতিটি শিশুই ভালো থাকুক তাদের বাবা-মার কাছে এবং যত্নে থাকুক প্রতিনিয়ত , এমনটাই প্রত্যাশা করি ।

Banner-2.png

ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

যার কারণে ওর আসলে মূলত কোন ভয়ডর নেই বললেই চলে ।

ছেলের কাছে আসছে তাই আরো ভয়ডর নেই। আমার অনেক ভয় লাগে এই দাঁতের সমস্যার জন্য আমার ভাগনীকে নিয়ে গেছিলাম দাঁত উঠানোর জন্য, যে পরিমান কান্না করছিলো। সত্যি বলতে ছোটখাটো অপারেশনই আমার ভয় লাগে।
যাইহোক, আপনাকে ভালোই সারপ্রাইজ দিয়েছে। মাঝে মাঝে এমন সারপ্রাইজ ভালোই লাগে। পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন ভাই।

আপনার ভাগনীর জন্য ভালোবাসা রইল। চেষ্টা করুন তার দাঁতের যত্ন প্রতিনিয়ত নেওয়ার জন্য।

আপনার মা তো বেশ সাহসী মনে হচ্ছে। এত ছোট বাচ্চা দাঁত দেখাতে এসেছে একটুও ভয় পায়নি। আমার বাচ্চাকে দাঁতের ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে তো ভয়ে শক্ত হয়ে থাকে। যাইহোক বাচ্চাদের এই একটি সমস্যা এত বাহিরের খাবার চকলেট চিপস খায় যে দাঁতে সমস্যা হয়ে যায়। এগুলো থেকে দূরে রাখাও খুব কষ্টকর। প্রথম কর্ম দিবসে ভালো একজন রোগী পেয়েছেন বোঝা যাচ্ছে। দোয়া রইল সুপ্তর জন্য।

হুম ম্যাডাম প্রথম কর্মদিবসেই মা হাজির হয়েছিল চেম্বারে , বেশ ভালোই ছিল সময়টা আমার কাছে ।

আপনার মাকে দেখে ভালো লাগলো ভাইয়া। সুপ্ত ছোট মানুষ তাই হয়তো খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে খুব একটা সচেতনতা নেই। তবে যাই হোক আপনার মত একজন ছেলে যখন তার পাশে আছে তাহলে মায়ের আর কিসের চিন্তা। আপনার মা যেন ভালো থাকে এবং পুরোপুরিভাবে সুস্থ হয়ে ওঠে এই কামনা করছি। ভাইয়া আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।❤️❤️❤️

এখন মোটামোটি ভালোই আছে আমার মা । তবে এইটা সত্য কথা বাচ্চাদের কোন ভাবেই বাহিরের খাবার থেকে দূরে রাখা যায় না ।

অনেকদিন বিরতির পর ছোট মাকে এভাবে চেম্বারে পাওয়া আমার কাছে মনে হয় আশীর্বাদ স্বরূপ ছিল। ভালো একটা মুহূর্ত চোখ বুজে বলা যায়। ভাই একদম ঠিক বলেছেন, ছোট বাচ্চাদের হাজার বলেও কিছু কিছু অভ্যেসের একদম পরিবর্তন করা যায় না। আমরাও হয়তো এমনই ছিলাম। তারপরেও যতটা সম্ভব সচেতন করা উচিত। প্রিয় মানুষ গুলো ভালো থাকুক সব সময় এটাই চাওয়া।

একদম ঠিক , আমরাও মনেহয় সম্ভবত ছোট বেলাতে এমনটাই ছিলাম । না জানি , আমাদের বাবা-মায়েদের কি অবস্থা হয়েছিল সেই সময় ।

প্রতিনিয়ত প্রচুর বাহিরের খাবার খায় । যেমন চকলেট চিপস ও অন্যান্য খাবার । এজন্যই মূলত এই ঝামেলা গুলো হয়েছে ওর দাঁতে । মূলত উপরের চোয়ালের দুই পাশের মাড়ির দাঁতে ক্যাভিটিস হয়েছে

ছোট্ট বয়সে এই অভ্যাসটা প্রতিটি বাচ্চার ক্ষেত্রে খুবই স্বাভাবিক বিষয়। তবে ডেইরি মিল্ক ক্যান্ডি দাঁতের জন্য একটু বেশি ক্ষতিকারক কারণ এই ক্যান্ডি খাওয়ার পরে দাঁতের সাথে একদম লেগে থাকে।

ছবিতে বাবা আর মেয়ের ছবি বেশ সুন্দর লাগছে ভাইয়া।

একদম ঠিক বলেছেন ভাই আঁশ যুক্ত খাবার গুলো আরও বেশি ক্ষতিকারক দাঁতের জন্য ।

দাঁতের ব্যথায় যারা ভুগেছেন তারা এই কষ্ট সম্পর্কে কম বেশি ভালোই জানেন । তাই নতুন করে ব্যাপারটা আর বললাম না । তবে শুধুমাত্র সচেতন করে গেলাম ।

দাঁতের ব্যথা কতটা মারাত্মক শুধুমাত্র এর ভুক্তভোগীরাই এই কষ্টটা অনুমান করতে পারছে। তবে আপনার মা কিন্তু বেশ সাহসী। আপনার ছোট্ট মিষ্টি কিউট মামনিকে দেখে খুবই ভালো লাগলো। আশা করছি এবার সে পুরোপুরিভাবে সুস্থ হয়ে উঠবে। তার জন্য
দোয়া ও শুভকামনা রইলো ভাইয়া।

এইটা সত্য কথা আপু যখন কেউ দাঁতের ব্যথার শিকার হয় , তখনি বুঝতে পারে দাঁতের গুরুত্ব। চেষ্টা করা হয়েছে, আমার মা কে ভালোভাবেই চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ।

আসলে কয়েকদিন বাইরের খাবার বন্ধ রাখবে আর এরপর আবার আগের মতোই।এমনটাই হয়,আমি নিজেও এমন ছিলাম।

এমনটা শুধু আপনি না আপু , আমরা সকলেই কম বেশি ছিলাম।

মাশাআল্লাহ ওতো বেশ সাহসী মেয়ে 🤗
খুব বেশি বিরক্ত করেনি☺️
আমার মেয়ের দাত পড়ার সময় একটি দাঁতের নিচে আরেকটি দাঁত উঠে যায়😕 কি যে কষ্ট পেয়েছে সে বলে বোঝানো যাবেনা। কিন্তু কারো কথা শুনেনি, একটু ধরতে পর্যন্ত দেয়নি।
শেষ পর্যন্ত জোড় করে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে দাঁত ফেলতে হয়েছে তাও বিস্তর যুদ্ধ করে।

যাক মেয়েটা সুস্থ হোক দোয়া রইল 🥀

এমন যুদ্ধ আমার চেম্বারে প্রায় প্রতিদিনই হয় , যখন ছোট বাচ্চাদের দাঁত দেখতে হয় ঠিক তখন ।

ভাইয়া আপনার মা কিন্তু বেশ সাহসী। একটুও ভয় না পেয়ে কি সুন্দর ভাবে দাঁতের চিকিৎসা গুলো নিল তা সত্যি অবাক ব্যাপার। তবে যাই হোক, বাচ্চাদের পক্ষে চকলেট চিপস থেকে দূরে থাকা সত্যিই অনেক কঠিন ব্যাপার। তবে আমাদের সকলকেই নিজের দাঁত সম্পর্কে বিশেষ সচেতন হওয়া উচিত। ঈদের পরবর্তী প্রথম কর্মদিবস আপনার মায়ের সঙ্গে কেটেছে দেখে খুব ভালো লাগলো। শুভকামনা রইল আপনার ও আপনার মায়ের জন্য।

ও আসলে ছোট বেলা থেকেই আমার চিকিৎসা সেবা দেওয়া থেকে অভ্যস্ত ছিল যার কারণে ভয়ডর নেই ওর ।

  ·  3 years ago (edited)

আল্লাহর রহমতে মাশাল্লাহ আপনার মেয়েটা অনেক মিষ্টি। আমার ছেলেকে দাঁতের ডাক্তার দেখাবো কি তাকে সেলুনে পর্যন্ত নিতে পারিনা চুল কাটার জন্য। ভয় পায়। হা ভাই এটা আমাদের সকলের প্রত্যাশা প্রত্যেক সন্তান যেন ভালো থাকে তার বাবা মায়ের নিকট। আমার সন্তানকে নিয়ে আমি বড় দুশ্চিন্তায় আছি কারণ তাকে ব্রাশ করাতে পারিনা। কারণ সে অটঘিজমে আক্রান্ত।

ও আমার বড় ভাইয়ের মেয়ে , আমার মা । এইটা সত্য ছোট বাচ্চাদের চুল কাটাতেও বেশ বেগ পেতে হয় । আপনার সন্তানের ব্যাপারটা জেনে ভালোই লাগলো ভাই । শুভেচ্ছা রইল।

আসলে বড় ভাই কিংবা ছোট ভাই এর মেয়েদের খুব মায়া লাগে নিজের সন্তানদের থেকেও আপন মনে হয়।

ছোট বাচ্চাদের দাতের জন্য চকলেট টা বেশিই ক্ষতি করে। আশা করা যায় তার নতুন করে সমস্যা হবে না।আপনার জন্যও শুভ কামনা এবং ভালবাসা রইল