দরকার শুধুমাত্র সচেতনতা || @shy-fox 10% beneficiary

in hive-129948 •  3 years ago 

আমি মাঝে মাঝে চেষ্টা করি, আমার প্রফেশনাল বিষয়গুলো আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য। কারণ এখানে কিছু ভালো সচেতনতা মূলক তথ্য দেওয়া থাকে ।যার কারণে আমি মনে করি যে, এই পোস্টগুলো যারা পড়বে তারা কিছুটা হলেও সচেতন হতে পারবে।গত কয়েকদিন থেকে আবহাওয়া খুব একটা ভালো যাচ্ছে না ।আর আবহাওয়া ভালো না যাওয়ার কারণে প্রতিনিয়ত বৃষ্টি হচ্ছে যার কারণে চেম্বারে রোগীর পরিমাণ আগের থেকে অনেকটাই কমে গিয়েছে। কিন্তু কালকে দুপুর বেলা যখন আমি লাঞ্চ করতে বসবো, ঠিক তার আগ মুহূর্তে একটা রোগী চলে আসলো। আসলে ঐটা বাচ্চা রোগী ছিল এবং রোগীর সঙ্গেকার লোকজন গুলো অনেক অস্থির ছিল ,বাচ্চার অবস্থার জন্য।


বাচ্চারা হয় নিষ্পাপ । তাই তাদেরকে সবদিক থেকেই আসলে ম্যানেজ করা খুব কঠিন হয়ে যায়। কারণ তারা কোন কিছুই জেনে বুঝে করে না। যাইহোক গতকালের বাচ্চাটা অনেক দুষ্ট ছিল এবং তাকে কোনভাবে আমি ম্যানেজ করতে পারছিলাম না। যখন তার অবস্থা দেখলাম সেটা আসলেই খুবই কষ্টদায়ক ছিল আমার জন্য। কারণ বাচ্চার ম্যান্ডিবুলারের সাবলিঙ্গুয়াল গ্ল্যান্ড সেটা পুরোটাই ফুলে গিয়েছে এবং ওখানে ইনফেকশন হয়ে গিয়েছে।মূলত এই ইনফেকশন হয়েছে বাচ্চার ওরাল হাইজিন ভালোভাবে ঠিকঠাক ছিল না আসলে বাচ্চা ছোটবেলা থেকেই অনেক প্রকার মিষ্টি জাতীয় খাবার ও আঁশ জাতীয় খাবার ও অন্যান্য চকলেট চিপস ও ভাজা পোড়া খাবার বেশি খেত। যার কারণে আবার মূলত দাঁতে ক্যারিজ হয়ে গিয়েছিল এবং সেখান থেকে আস্তে আস্তে ইনফেকশন পুরো মুখ ছড়িয়ে গিয়েছে।আসলে মিষ্টান্ন জাতীয় খাবার, চকলেট চিপস ও অন্যান্য ভাজাপোড়া খাবার খেলেই যে ক্যারিজ হবে তা কিন্তু না। আসলে বাচ্চার ওরাল হাইজিন ভালো ছিলনা । সে প্রতিনিয়ত ব্রাশ করত না এবং তার মুখ ও দাঁতের যত্ন নিত না ।আমি মনে করি এজন্য তার বাবা-মায়ের ভূমিকা থাকা দরকার ছিল ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বাচ্চারা ভুল করবেই আর দিনশেষে বাচ্চাদের ভুলগুলো সংশোধন করে দেওয়ার দায়িত্ব কিন্তু বাবা-মার।
অবশেষে বাচ্চার সমস্যা অনুযায়ী তাকে আমি চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এবং তাকে আমি ফলোআপের মধ্যে রেখেছি । এবং বাচ্চাকে যখন আমি চিকিৎসা দিচ্ছিলাম তখন সে আমার হাতে অনেকবার কামড় দিয়েছে এবং আমার ডান হাতের আঙ্গুল অনেকটা ফুলে গিয়েছে । যাইহোক এই বিষয় গুলো খুব একটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ না আমার কাছে । তবে আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, সন্তান যেহেতু আপনার তাই সন্তানের সবরকম দায়িত্ব কিন্তু আপনার । আর সবথেকে বড় বিষয় হচ্ছে, আপনার সন্তানের ওরাল হাইজিন মেইনটেইন করার দায়িত্ব হচ্ছে আপনার ।যেহেতু বাচ্চারা এই সময় একটু ওরাল হাইজিনের প্রতি উদাসীন। তাই তাদের ওরাল হাইজিনের প্রতি প্রতিনিয়ত খেয়াল রাখা কিন্তু আপনার দায়িত্ব ।যাইহোক সকল বাচ্চার জন্য শুভেচ্ছা রইল । কারণ তাদের বাবা-মা তাদের প্রতি যেন আরো যত্নশীল ও সচেতন হয় এজন্যই আর কি এই পোস্টটি আমি শেয়ার করলাম ধন্যবাদ সবাইকে।
বি:দ্র: যদি কারো জানার আগ্রহ থাকে কিভাবে বাচ্চার ওরাল হাইজিন মেইনটেইন করতে হয়? তাহলে আমাকে কমেন্ট বক্সে প্রশ্ন করতে পারেন। আমি চেষ্টা করব উত্তর দেওয়ার জন্য।
20210819_134709.jpg

20210819_134611.jpg

20210819_134621.jpg

20210819_134648.jpg

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ওরাল হাইজিন বিষয়ে আসলে সচেতনতা ছিল না। আপনার পোস্টটি পড়ে এখন থেকে সচেতন হওয়ার চেষ্টা করব আসলে বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ আমাদের সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য। কারন দাঁত আমাদের বড় সম্পদ এবং আর এই দাঁত যদি বাচ্চারা অল্প বয়সেই নষ্ট করে ফেলে তাহলে বাকি জীবন তাদেরকে অনেক পস্তাতে হবে। তাই বাচ্চারা না বুঝলেও আমাদেরকে দায়িত্ব নিতে হবে তাদেরকে শোধরানো এবং তাদের দাঁতের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে। অনেক সুন্দর করে বলেছেন ভাই এবং এ বিষয়গুলো সবার অনুসরণ করা উচিত। আপনি যেহেতু আপনার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে শেয়ার করছেন তাই এ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আমাদের সবার উচিত আমাদের বাচ্চাদের নজর রাখা। আমার দেড় বছরের মেয়ে বাচ্চা আছে আর তাই আমি তার ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলো মানার চেষ্টা করব। কিছুটা খারাপ লাগলো শুনে যে আপনি কামর খেয়েছেন তারপরও এটা প্রফেশন এবং আপনি আপনার জায়গা থেকে সঠিক কাজ করে যাচ্ছেন এটা জেনে ভালো লাগলো।

খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পোষ্ট করেছেন ভাইয়া।আমি মনে করি,যাদের বাড়ি ছোট ছোট বাচ্চা রয়েছে আপনার পোষ্ট দেখে তারা নিশ্চয়ই সতর্কতা অবলম্বন করতে পারেন।ধন্যবাদ ভাইয়া।

সচেতন মূলক পোস্ট ধন্যবাদ ভাই আপনাকে শেয়ার করার জন্য

দেখে মনে হচ্ছে বালকটি অনেক বছর দাঁত মাজে না ।তবে সবারই নিজের দাঁতের প্রতি যত্নশীল হওয়া উচিত ।দাঁত মানবের সৌন্দর্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ।তাই দাঁত থাকতে আমাদের দাঁতের মর্ম বুঝতে হবে ।ধন্যবাদ আপনাকে এই ইনফরমেশন গুলো পেশ করার জন্য ।।

অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য জানতে পারলাম।বিশেষ করে আপনার সাথে আমি একমত। কারণ বাবা মায়ের উচিত ছিল বাচ্চার যত্ন নেওয়া।ধন্যবাদ ভাই আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

ভাই অনেক সচেতনতা মূলক একটি পোস্ট। বাচ্চারা তো নিজের খেয়াল রাখবে না এটা স্বাভাবিক। কিন্তু পরিবারের সদস্যদের দরকার তাদের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখা।

সচেতনতাই ভালো থাকার মূলমন্ত্র। তাই আমাদের অবশ্যই সব ক্ষেত্রে সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে

খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া 😇।

খুবই সুন্দর একটি পোষ্ট! আপনার এই সচেতনতা মূলক পোস্ট এর মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারলাম এবং আশা করছি এই কমিউনিটির অনেকেই অনেক তথ্য জানতে পেরেছে আপনার পোস্টের মাধ্যমে। ভাই, আপনি কি মেডিকেল পেশার সাথে জড়িত?

খুবই গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতামূলক পোস্ট করেছেন ভাইয়া। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ আমি মনেকরি আপনাদের একটু হলেও পোস্টটি উপকারে এসেছে ।শুভেচ্ছা রইল সকলের জন্য।