পড়ন্ত বেলায় নানু বাড়িতে

in hive-129948 •  10 days ago 

এই মুহূর্তটা কয়েকদিন আগের, সেদিন পড়ন্ত বেলায় চলে গিয়েছিলাম হীরার নানু বাড়িতে। মূলত পুরো পরিবার নিয়েই গিয়েছিলাম। যেহেতু ওখানে হীরার পৈতৃক পুকুরে মাছ ধরা হচ্ছিল আর তাছাড়া মাছগুলো সকলের মাঝে ভাগাভাগি হবে এই জন্যই যাওয়া হয়েছিল।

20241109_170210-01.jpeg

20241109_170205-01.jpeg

20241109_170121-01.jpeg

20241109_165930-01.jpeg

20241109_170104-01.jpeg

20241109_165850-01.jpeg

20241109_165717-01.jpeg

20241109_165645-01.jpeg

20241109_165639-01.jpeg

20241109_170810-01.jpeg

খুব বেশি সময় লাগেনি আমাদের এখান থেকে যেতে, মোটামুটি মিনিট বিশেক এর ভিতরেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলাম। তাছাড়া পুকুরটা যেহেতু একদম জমির ভিতরের দিকে ছিল তাই সেখানে যাওয়া হয়নি।

তবে দীর্ঘদিন পরে নানু বাড়িতে গিয়ে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছিলাম। দেখছিলাম গ্রামের ছোট ছেলেরা টায়ার দিয়ে খেলছিল রাস্তায় । এমন মুহূর্ত আমার শৈশব জীবনেও ছিল, বাবু তো বিষয়টা দেখে বেশ খুশি হয়ে গিয়েছিল, অবশেষে ছোট ছেলেগুলোকে থামিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছিলাম এবং ছবি তুলেছিলাম।

কিছুদিন পরেই ধান কাটা শুরু হবে, কেননা ইতিমধ্যেই মাঠের ধান পাকতে শুরু করেছে। হয়তো তখন আবারো নানু বাড়িতে আসা হবে কেননা তখন থাকবে শীতের পিঠার দাওয়াত। আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে যত দেরিতে যাওয়া যায় ততই আদর যত্নের পরিমাণ বৃদ্ধি হয়।

এই যে সেদিন বহুদিন পর গিয়েছিলাম , সবাই যেন আমাদের মাথায় তুলে রেখেছিল। স্বল্প সময়ের মধ্যেই কত আয়োজন করেছিল,থাকার জন্য বেশ অনুরোধ করেছিল, তবে কাজের চাপের কারণে থাকতে পারিনি। তাও যতোটুকু সময় ছিলাম, বেশ ভালই লেগেছে সবকিছু।

আশেপাশের আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতেও গিয়েছিলাম তারাও বেশ সাবলীল ভাবে আলাপচারিতা করেছিল, আমরা চতুর্দিকে হালকা ঘোরাফেরা করেছিলাম, সবকিছু যেন সজীব ও প্রাণবন্ত লাগছিল আমাদের কাছে। যদিও এখন গ্রামেই থাকা হয়, তারপরেও যখন অন্য গ্রামে আসা হয়েছে এবং সেখানকার পরিবেশ প্রকৃতি ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম বেশ ভালোই লেগেছিল সবকিছু। সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছিল টায়ার খেলা।

যদিও সময়ের পরিক্রমায় এই টায়ার খেলা হারিয়ে যেতে বসেছে, তাও যখন হুট করে সেদিন দেখলাম তখন আচমকা একটা ভালো লাগা কাজ করছিল নিজের মাঝে। মনে হচ্ছিল শৈশবটা যেন আবারও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছিল।

puss_mini_banner.png

Banner-22.png

ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

টায়ার খেলা এখনকার বাচ্চারাও খেলে তাহলে। এমন দৃশ্য দীর্ঘদিন পর দেখলাম ভাই। ছোটবেলায় আমিও টায়ার খেলা খেলতাম। যাইহোক গ্রামটা কিন্তু খুবই সুন্দর। হীরা আপুর নানু বাড়িতে গিয়ে সবমিলিয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছেন তাহলে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে চোখ দুটি একেবারে জুড়িয়ে গিয়েছে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

আমি নিজেও এমনটা অনেকদিন পরে দেখছি ভাই, হয়তো শহরে জীবনে এটা কোন ভাবেই দেখা সম্ভব হতো না।

পড়ন্ত বেলায় হীরা আপুর নানুর বাড়িতে গিয়ে বেশ দারুন সময় কাটিয়েছেন। আপনার অনুভূতিটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।ছোট বাচ্চারা টায়ার খেলা নিয়ে ব্যস্ত ছিল সেই ফটোগ্রাফিটি দেখতে বেশ দারুন লাগছিল।আসলে গ্রামের সৌন্দর্যের মতো কোনো সৌন্দর্যই হয় না আর গ্রাম বাংলার সৌন্দর্য সবাইকেই টানে।শায়ান বাবু ও হীরা আপুকে অনেক সুন্দর লাগছে।সব মিলিয়ে আপুর নানুবাড়ির গ্রামের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ধন্যবাদ পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ আপু আমার অনুভূতি বুঝতে পারার জন্য, আসলেই সময়টা বেশ ভালো কেটেছিল।

আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে যত দেরিতে যাওয়া যায় ততই আদর যত্নের পরিমাণ বৃদ্ধি হয়।

আপনার পোষ্টের মধ্যে এই কথাটা কিন্তু আমার ভীষণ মনে ধরেছে। এটা কিন্তু চরম সত্য কথা। কোন আত্মীয়র বাসায় বারবার গেলে সেখানে তেমন কদর পাওয়া যায় না। শৈশবের সেই টায়ার খেলা এখন আর তেমন দেখা যায় না আগে এর অনেক কিছুরই যেন বিলুপ্তির পথে বসেছে। যাইহোক ভাইয়া হীরা ভাবির নানুর বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

আমার কাছেও তেমনটাই মনে হয় ভাই, যত দূরত্ব তৈরি হয় ততই সম্পর্ক ভালো থাকে ।

সবাই মিলে হীরা আপুর নানু বাড়িতে ঘুরতে গিয়েছিলেন জেনে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। আর অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। বিশেষ করে বাচ্চাগুলোর সাথে দারুন সময় কাটিয়েছেন। এরকম সুন্দর মুহূর্ত গুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে।

হ্যাঁ আপু, সময়টা বেশ ভালোই কেটেছে হীরার নানু বাড়িতে।

আমাদের শৈশব টা এমনই হয়ে থাকে ভাই। সে শুধু একটা বাহানা খোঁজে। আর সেটা পেলেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। আপুর নানু বাড়িতে গিয়ে সময় টা বেশ ভালোই কেটেছে আপনার। যদিও থাকতে পারেননি।

আমাদের শৈশব টা এমনই হয়ে থাকে ভাই। সে শুধু একটা বাহানা খোঁজে। আর সেটা পেলেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠে।

দারুণ বলেছেন ভাই।