মহান বিজয় দিবস উদযাপন

in hive-129948 •  last year 
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসী।আশা করি সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত কুচকাওয়াজ এর কিছু অংশ

প্রথমেই সবাইকে জানাই মহান বিজয় দিবসের আন্তরিক শুভেচ্ছা।পৃথিবীরে ১৯৬ টি রাস্ট্র রয়েছে,তবে এদের মাঝে খুব কম রাষ্ট্রই আছে যারা দীর্ঘ নয় মাস স্বশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে স্বধীনতা লাভ করেছে।যাদের স্বাধীনতার দাম দিতে হয়েছে ৩০লক্ষ লোকের বুকের রক্ত আর দুই লক্ষ মা বোনের ইজ্জত দিয়ে।কত মা, বোন বাবা হারিয়েছে তাদের সন্তান, ভাই স্বজনদের সে হিসেব না হয় গোপনেই থেকে গেল।

এই ত্যাগ,তিতিক্ষার ফসল আমাদের বাংলাদেশ। যার জন্ম রক্তরঞ্জিত হয়ে।আজকেই সেইদিন যেদিন আমরা মুক্তি পেয়েছিলাম পরাধীনতার শৃঙখল থেকে। শ্বাস নিয়েছিলাম মুক্ত বাতাসে। আজকেই সেই মহান দিন,আমাদের বিজয় দিবস। এই দিনেই হানাদার মুক্ত হয়েছিল বাংলাদেশ।

প্রতিবছর বিপুল সমারোহের সাথে বিজয় দিবস পালন করা হয়। বিজয় দিবসের উদযাপন শুরু করা হয় রাত বারোটা থেকে৷ প্রথমেই ৩১ বার তোপধ্বনি করা হয়। এই ৩১ তোপধ্বনির মাধ্যমে শুরু হয় বিজয় দিবস।তারপর সর্বস্তরের জনতা স্মৃতিসৌধ,শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন করে। এরপর সকাল বেলা স্কুল,কলেজ, পুলিশ,গ্রাম পুলিশ থেকে কুচকাওয়াজ এর উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট কোন ময়দান বা উদ্যানে জমা হওয়া শুরু করে।

আমাদের এলাকার সবাই জমা হয় আমাদের গোবিন্দগঞ্জ বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে।এবছরেও ব্যতিক্রম হয়নি,সকাল আটটা থেকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ছাত্রছাত্রী ও মানুষ এসে জমা হতে থাকে মাঠে। সাধারণ জনগনের জন্য বসার ব্যবস্থা ছিল আর যারা কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে তে অংশগ্রহণ করবে তাদের জন্য আলাদা জায়গা ছিল। আমি গিয়ে দর্শক শ্রেণীতে বসলাম। এই ঠান্ডার মধ্যেও প্রচুর মানুষ এসে জমা হয়েছে।

প্রথমেই জাতীয় সংগীত গাওয়ার সাথে পতাকা উত্তোলন এর মাধ্যমে অনুষ্ঠান আরম্ভ হল। এরপর অনুষ্ঠানের সভাপতি শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে দিলেন ও প্রারম্ভিক বক্তব্য দিলেন।এরপর বিভিন্ন মহলের সুধিজন তাদের বক্তব্য দিলেন। তারপর শুরু হল মার্চ পাস্ট এবং জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান প্রদর্শন।তারপর আস্তে আস্তে প্রত্যেকটি স্কুল নিজেদের ডিসপ্লে প্রদর্শন শুরু করে।
এগুলো দেখতে দেখতে অতীতে চলে গিয়েছিলাম৷ যখন কেজিতে ছিলাম তখন সকাল ৬টায় কাপতে কাপতে স্কুলে গিয়ে হাজির হতাম। তারপর সেখানে থেকে মাঠে। আমাদের স্কুল ডিসপ্লেতে যুদ্ধের দৃশ্য তুলে ধরত।

তাই মাঠে গিয়ে দুইভাগ হয়ে যেতাম। একদল সাজত মুক্তিযোদ্ধা,একদল হানাদার বাহিনী।তারপর শুরু হত লড়াই দুইদলের। হানাদার দের কেউ অক্কা পেত,কেউবা মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে বন্দী হত। এরপর স্যার সবাইকে নিয়ে লাইন ধরে নিয়ে গিয়ে নাস্তা করাতেন। কত সুন্দর ছিল সেই দিন গুলো। যাই হোক যুগ পরিবর্তন হয়েছে,এখনকার সব কিছুই অনেক অ্যাডভান্স।অনেক ভাল লাগছিল সবার পারফরম্যান্স। এভাবেই দুপুর হয়ে গেল,সেই সাথে আস্তে আস্তে লোকজন ভিড় কমে আসল। আমারো ক্ষুধা লেগে গিয়েছিল,তাই বাড়ি চলে আসলাম।

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

আমাদের এখানেও বেশ জাক জমক ভাবে এই দিবস কে পালন করা হয়েছে অনেক গুলো স্কুল একত্রিত হয়ে কুজ কাওয়াজ এর মাধ্যমে।ধন্যবাদ দাদা সুন্দর ভাবে তুলে ধরার জন্য

Posted using SteemPro Mobile

আপনাকেও ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile