মিশন রেস্কিউ||স্পাই থ্রিলার পর্ব-২

in hive-129948 •  2 years ago 

pexels-kony-xyzx-3706647.jpg
সোর্স

যা ভেবেছিলাম তাই।আজ তিনদিন পর টার্গেট এর দেখা পাওয়া গেছে।আমিও স্কোপে চোখ দিলাম।অন্যসময় হলে সুন্দরভাবে ট্রিগার টা টেনে, টার্গেট এর মাথায় একটা বুলেট ঢুকিয়ে দিয়ে হাওয়া হয়ে যেতাম।কিন্তু আজ তা সম্ভব না।
আচ্ছা আমার কাজ শুরু হতে বেশ দেরি। ততক্ষনে বলে নিই আমরা এখানে কেন?আর কেই বা টার্গেট?

টার্গেট এর একটু বর্ণনা দিয়ে নেই।টার্গেট এর কোড নাম ট্যাঙ্গো।আসল নাম বলতে পারব না আপনাদের। কারন আসল নাম বললে বিরাট ঝামেলা হবে।ট্যাঙ্গো AA নামের একটি গেরিলা বাহিনীর আঞ্চলিক প্রধান, এরা নিজেদের একটি গ্রুপের রক্ষাকর্তা বলে গলা ফাটায়।কিন্তু আদতে এরা বিপদে পড়লে সেই গ্রুপের মাথায় বন্দুক রাখতেও দ্বিধা করবে না।

এরা অনেকদিন থেকেই বাংলাদেশের ভেতরে নিজেদের ছোটখাট কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল।বিশেষ করে রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলো ছিল এদের প্রধান ঘাটি।যেহেতু ছোট দল ছিল,তাই আমরা অত মাথা ঘামাই নি।কিন্তু বরাবরই গোয়েন্দা নজরদারি তে ছিল।বেশ কয়েকবার নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে ঝামেলায় জড়িয়ে কয়েকটা পটল ও তুলেছে।

আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী কিন্তু নিজেদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল।পাশাপাশি আমাদের মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স তো আছেই।তারা অনেক চেষ্টা করেছিল AAএর ভেতর নিজেদের লোক ঢুকাতে।কিন্তু বরাবরই কিভাবে যেন আগেভাগেই টের পেয়ে যাচ্ছিল AA।তাই মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স সিদ্ধান্ত নেয় এবার বাইরে থেকে লোক না ঢুকিয়ে তাদের ভেতরের লোক কেই কাজে লাগাতে।

অনেকদিন ধরে পর্যবেক্ষণ এর পর এরকম একটি ছেলেকে পাওয়া যায়।ছেলেটির বয়স কম।চোখে রঙিন স্বপ্ন নিয়ে যোগ দিয়েছিল AAতে।ভেবেছিল গ্রুপের রক্ষাকারী বাহিনীতে যোগ দিয়েছে।কিছুদিন পর যখন তাদের আসল রূপ জানতে পারল তখন সে বিরাট ধাক্কা খায়।আর চেষ্টা করে বের হয়ে আসার। কিন্তু এসব রাস্তা সাধারণত ওয়ান ওয়ে রোড হয়।অর্থাৎ একবার প্রবেশ করলে আর বের হওয়া যায়না।তাকে ভয় দেখানো হয় সে যদি এখানে থেকে পালিয়ে যায় তবে তাকে তো খুজে বের করে মারা হবেই,সাথে তার পরিবার কেও নিঃশেষ করা হবে।তাই সে থেকে যায় তাদের সাথে।আর সুযোগ খুজতে থাকে কিভাবে বেরোনো যায়।

এভাবেই সে একদিন নজরে পড়ে আমাদের মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স এর চোখে।এরপর তাকে আস্তে আস্তে তাকে দলে টানা হয়।তবে সে শর্ত দেয় আগে তার পরিবার কে বের করতে হবে,তারপর থেকে সে কাজ শুরু করবে।সেই অনুযায়ী তাদের সবাইকে বের করে আনা হয়।এবং কাজ শুরু করে আমাদের নতুন এসেট এক্স

এসেট হল বাহিনীর সদস্য নয়,কিন্তু তারপরেও বাহিনীর হয়ে কাজ করে এমন পাব্লিক।যাই হোক এক্স আমাদের হয়ে ভালই কাজ করছিল।তার তথ্য থেকে বেশ কয়েকটা অপারেশন চালাই আমরা,এবং বেশ ভাল সফলতাও পাই।কিন্তু কিছুদিন আগে এক্স এর থেকে একটা গোপন মেসেজ পায় আমাদের মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স। সেখানে এক্স জানায়...................

চলবে

প্রথম পর্বের লিংক

গল্পের সমগ্র চরিত্র ও কাহিনী কাল্পনিক। মিলে গেলে তা সমস্ত কাকতালীয়।লেখকের কোন দায়ভার নেই।নতুন কিছু চেষ্টা করলাম।কেমন হচ্ছে জানাবেন।
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

স্পাই-থ্রিলার সিরিজ বা মুভি আমার খুব ভাল লাগে। মিশন রেস্কিউ আমার এখনো দেখা হয়নি। তবে আপনার রিভিউ দেখে মনে হচ্ছে দ্রুত দেখতে হবে। এসেট এক্স কে দিয়ে মিলিটারি অনেক ইনফরমেশন বের করে নিয়েছে। এক্স নিশচয়ই অনেক গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ দিবে। অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ ভাই।

ভাই এটা মুভি না।আমার নিজের লেখা গল্প।

টাইটেলের পাশে গল্প লিখে দিলে মনে হয় বুঝতে সুবিধা হত। আপনি গল্প এত সুন্দরভাবে লিখেছেন পড়ার সময় ত আমার মনে হচ্ছিল মুভি বা সিরিজে ঢুকে গিয়েছি। সুন্দর লিখেছেন।

ধন্যবাদ ভাই।এটা অনেক বড় কমপ্লিমেন্ট।অনেক উৎসাহ পেলাম ভাই।ধন্যবাদ।