গল্প-"মিশন রেস্কিউ"||স্পাই থ্রিলার পর্ব-৩

in hive-129948 •  2 years ago 

pexels-kony-xyzx-3706647.jpg
সোর্স

পর্ব-২

এক্স মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স কে জানায়"সামনেই খুব বড় কিছু ঘটাতে যাচ্ছে AA।তারা এই উপলক্ষে সৈন্য সংগ্রহ করছে।কিন্তু সবাইকে এই ব্যাপারে অন্ধকারে রাখা হয়েছে।শুধু ট্যাঙ্গই পুরো ব্যাপার টা জানে। বাংলাদেশ........

সে কথা টা সম্পূর্ণ করার আগেই গুলির শব্দ হয় এবং কল কেটে যায়।গুলিটা কাকে করা হয়েছে,এক্সকি গুলিটা করেছে? নাকি গুলিটা এক্সকেই করা হয়েছে?

এবার আপনারা মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স এর কথা চিন্তা করুন। AA বড় কিছু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে কিন্তু কি করবে,কোথায় করবে, কবে করবে তা জানা নেই।একে তো দেশের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা,সেই গোদের উপর বিষফোড়া আবার এসেট কে নিয়ে টেনশন। তাদের মাথা যখন এই টেনশনে ফেটে যাবার অবস্থা, তখন কোন জিনিয়াসের মাথা থেকে যেন প্ল্যান বেরোয় স্পেশাল অপস কে দিয়ে একটি রেস্কিউ মিশন চালালে কেমন হয়?

আর সেই জিনিয়াস এর বুদ্ধিতেই আমরা এখন এখানে।ও হ্যা আমরা সবাই স্পেশাল অপারেশন টিম বা সংক্ষেপে স্পেশাল অপস।আমাদের বিশেষত্ব তো আগেই বলেছি,আমাদের কোন পরিচয় নেই।আমরা ধরা পড়লে সরকার অস্বীকার করবে আমরা বাংলাদেশ এর নাগরিক।পরিবার থেকেই কোন দাবি জানানো হবে না,কারন অধিকাংশেরই আমাদের পরিবার নেই।

তবে তাদেরও যে কম খাটতে হয়েছে ব্যাপার টা তা না।তাদের খুজে বের করতে হয়েছে এক্স কে খুজে পাওয়ার সম্ভাবনা কোথায় সব থেকে বেশি।তারপর কোথায় রাখা হতে পারে তাকে।কোন পথ দিয়ে আমরা সব থেকে নিরাপদে পৌছাতে পারব।এগুলো প্রচুর পরিশ্রম আর ঝুকি নিয়ে তাদেরই বের করতে হয়েছে।

তবে আমাদের কপাল ভাল।এক্স কে আমাদের বর্ডারের খুব কাছেই রাখা হয়েছে। আর সেই রাস্তার অধিকাংশ টাই জঙ্গলে ঘেরা।ফলে আমাদের খুব কম সময় ফাকা জায়গায় থাকা লাগছে,আর খুব সহজেই আমরা কভার নিতে পারব। যদিও আমি আর আলফা ২দিন আগে থেকে এসে রেকি করছি শত্রুর গতিবিধি। তাই আমি এখানে ৩দিন থেকে থাকলেও গ্রাউন্ড টিম এসেছে আজকে।
এরপর তারা আমাদের খুজে বের করেছে আমাদের ফেলে আসা গোপনীয় চিহ্ন গুলো দিয়ে।এরপর আলফা তাদের অ্যাটাকিং প্ল্যান বুঝিয়ে দেয় ।

যাই হোক।এখন বর্তমানে ফিরে আসি৷ বর্তমানে আমাদের মিশন এক্স কে রেসকিউ করা আর পারলে ট্যাঙ্গো কে ইন্টারোগেট করে তথ্য বের করা।তাই আমি চাইলেও ট্রিগার টিপে ট্যাঙ্গোর মাথায় বুলেট দিতে পারছি না।
তবে চিন্তা নাই,আমি আর আলফা আছি ব্যাকাপ হিসেবে।আমাদের মেইন টিম চলে গেছে AAএর ক্যাম্পের আশে পাশের জঙ্গলে।

ক্যাম্প টি একটি বিশাল বড় দোতালা বাড়ি।তারউপর হয়ত এক্স বন্দী হিসেবে আছে।আবার ওদের ট্রুপ্স কত তাও আমাদের সঠিক ভাবে জানা নেই।কারন তারা কেউ খুব একটা বাড়ির ভেতর থেকে বের হয়না।মনে হয় অপেক্ষা করছে কোন কিছুর জন্য।আর এটা আরো বড় অস্বস্তির কারন।আমাদের প্রাইমারি অবজেক্টিভ আগে এক্স কে রেসকিউ করা।

তাই আমাদের দল থেকে আমি আর আলফা আলাদা হই স্নাইপার নিয়ে। যাতে দূর থেকে বাকি দের কভার দিতে পারি। আর বাকিরা চুপিসারে অপেক্ষা করছে জঙ্গলে।রাত যত ঘনিয়ে আসবে তত কাছে চলে আসবে আমাদের আক্রমনের সময়।এখন আমাদের কাজ শুধু ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করে যাওয়া,আর শত্রুর গতিবিধির উপর সাবধানে নজর রাখা।

চলবে.........

গল্পের সমগ্র চরিত্র ও কাহিনী কাল্পনিক। মিলে গেলে তা সমস্ত কাকতালীয়।লেখকের কোন দায়ভার নেই।নতুন কিছু চেষ্টা করলাম।কেমন হচ্ছে জানাবেন।

VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

ভাই খুব ভাল লিখছেন গল্প। চালিয়ে যান। এক্স ত অনেক তথ্য দিচ্ছিল। এখন এক্স এর কি হয়েছে বলা মুশকিল। এক্স যদি বেচে থাকেও তাহলে তাকে রেস্কিউ করা অনেক টাফ হবে ট্যাংগোর কাছ থেকে।পরবর্তী পর্বেরঅপেক্ষায় রইলাম।

উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

যাক তাহলে তো বাঁচা গেল এটা শুনে সমগ্র চরিত্র ও কাহিনী কাল্পনিক। আমি পুরো গল্পটা পড়ে ভাবলাম আপনি কোন অতপ্রতভাবে এরকম একটি মিশনে জড়িত নাকি। অনেক ভালো লাগলো গল্পটি আগামী অপেক্ষায় রইলাম।

খুব স্বপ্ন ছিল ভাই এরকম কোন মিশনে জড়িত থাকার।কিন্তু হাইটের জন্য ধরা খেয়ে গেছি।ধন্যবাদ ভাই অনেক বড় একটি কমপ্লিমেন্ট দিয়েছেন।অনেক উৎসাহিত হলাম।

এটা ঠিক বলেছেন হাইট কিন্তু এসব মিশনের জন্য খুবই অত্যাবশ্যকীয়। ধন্যবাদ আমার মন্তব্যের সুন্দর ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য।

এই ধরণের আন্ডার কভার এজেন্ট এর গল্প পড়তে ভালো লাগে। দেশের সর্বোচ্চ ইন্টেলিজেন্স আর রিস্কের কাজ করে এরা। কিন্তু কোন রকম সিকিউরিটি নেই লাইফের। ভারতের ক্ষেত্রে RAW ও তাই।এই ধরনের গল্প বা সিনেমা সব সময় টানে।

হুম আমারো খুব প্রিয়।তাই ভাবলাম নিজের প্রিয় টপিক টা নিয়ে লিখেই ফেলি। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ দিদি।

যেন এক সিনেমার গল্প। যদিও গল্পটি কাল্পনিক। যেভাবে আপনি বলছিলেন মনে হচ্ছিল যেন সত্যি সত্যি আপনি নিজেই গল্পের মধ্যে ছিলেন। আর এই ধরনের মিশন আমি এরকম কয়েকটা সিনেমা দেখেছি। এরকম গল্প গুলো বেশ ভালই লাগে। এক্স এর যে কি হয়েছে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

ধন্যবাদ আপু। অনেক বড় একটা কমপ্লিমেন্ট দিয়েছেন।অনেক উৎসাহিত হলাম।

তিন টি পর্ব পড়ার পর কিছুটা বোঝার পর মনে হল, এখন কিছু লিখতে পারবো গল্পটার উপর । আপনার জানা এবং লিখার হাত বেশ ভাল। গেরিলাদের কাজ সম্পর্কে বেশ পড়াশুনা করেন। পরবর্তি পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

অনেক ধন্যবাদ আপু।আপনার মন্তব্য টি অনেক উৎসাহিত করল।