হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ বাসী।আশা করি ভাল আছেন সবাই।আমিও ভাল আছি।আজ আপনাদের সাথে একটি ভিন্নধর্মী পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।
গুরু অনেক প্রকার এর আছেন। বয়সে বড় সম্মানীয় লোকজন গুরুজন,আবার শিক্ষা দাতাও গুরু। এছাড়াও আমাদের ধর্ম মতে একজন বিশেষ গুরু আছেন।এই গুরুকে বলা হয় দীক্ষা গুরু।
দীক্ষাগুরু প্রধাণত ধর্মীয় শিক্ষা দেন।কিভাবে সাধনা করতে হবে,ধর্মীয় পথে চলতে হবে,ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান সম্পর্কে উপদেশ দেন।অন্যান্য গুরুদের তুলনায় দীক্ষাগুরুর সম্মান একটু বেশি থাকে।
আমাদের দীক্ষাগুরুর নাম পার্থ অধিকারী।উনি কিন্তু এদেশের নাগরিক নন।উনার বাড়ি ভারতের বালুর ঘাটে।তবে উনার ঠাকুর দাদারা ছিলেন বাংলাদেশের নাগরিক।উনার ঠাকুরদাদা প্রথম আমার ঠাকুর দাদা কে দীক্ষা দেন।সেই থেকে বংশ পরম্পরায় উনারা আমাদের গুরু দেব।
গুরুদেব বছরে একবার করে এদেশে আসেন।এসে সব শিষ্যদের বাড়িতে যান। ও আচ্ছা অনেকেই শিষ্য জিনিসটা হয়ত বুঝবেন না।শিক্ষকদের যেমন ছাত্র,তেমনি কোন গুরু যাকে শিক্ষা দেন তারা হলেন শিষ্য।তেমনি উনি এবার বাংলাদেশে এসেছেন।এসে আমাদের বাড়িতে বিশ্রাম নিচ্ছেন।
এদেশে আমরা ছাড়াও গুরুদেব এর আরো অনেক শিষ্য রয়েছেন।তবে সবাই আমাদের এলাকারই।উনি আসার পর সবাইকে আস্তে আস্তে খবর দেওয়া হল।এবং সবাই একে একে আসতে শুরু করলেন।
এরপর সবাই চলে আসলে ধর্মীয় গ্রন্থ পাঠ শুরু হল।গুরুদেব পড়তে লাগলেন এবং আমরা একান্ত অনুগত শ্রোতার মত শুনলাম।এরপর ধর্মীয় গ্রন্থ পাঠ শেষ হলে চলল প্রশ্ন উত্তর পর্ব।আমাদের ধর্ম সম্পর্কে যত কৌতুহল উনার থেকে আমরা পূরণ করে নেওয়ার চেষ্টা করলাম।উনি সব কিছুই সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে দিলেন।এরপর উনি সবাইকে ধর্মীয় উপদেশ দান করলেন। তবে উনি বার বার বললেন সবার আগে ভাল মানুষ হতে হবে,মন কে পবিত্র রাখতে হবে।সব ধরনের খারাপ কাজ থেকে দূরে থাকতে হবে।আর মানুষ কে ভালবাসতে হবে।
এভাবে বেশ খানিকটা রাত হয়ে গেল।উনি কিছুটা বিশ্রাম নিলেন। তারপর নিত্যকর্ম পুজা সারলেন।পাশাপাশি বাইরে সবার জন্য রান্নার কাজ চলছিল।উনি পুজা সম্পন্ন করে সবাই কে প্রসাদ বিতরণ করলেন।এর মাঝেই বাইরের রান্না শেষ হল।
গুরুদেব সবাইকে নিয়ে খেতে বসলেন।যদিও পরিবেশন করতে হবে দেখে আমি বসি নি।এরপর সবাই মিলে খাওয়াদাওয়ার পর উনি জানালেন রাতেই উনি অন্য শিষ্যের বাড়ি যাবেন।কারন উনি সময় কম নিয়ে এসেছেন।আবার সবার বাড়িতেই যেতে হবে।আমারা থাকার জন্য অনেক অনুরোধ করলেও উনি থাকলেন না।
এরপর উনাকে এগিয়ে দিতে গেলাম।উনি যার বাড়িতে এখন যাবেন সেই শিষ্য ও এসেছিলেন।এরপর উনাদের সবাইকে ভ্যানে তুলে দিয়ে এসে আমি খাওয়াদাওয়া করলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা নমস্কার
গুরুদেব আপনাদের বাড়িতে এসেছেন দেখে শুনে খুব ভালো লাগলো ৷ আমাদের ও গুরুদেব আছে আমার বাবা ঠাকুর দাদা দের গুরু আর আমরা বংশপরম্পরায় গুল হিসেবে মানি৷ গুরুদেব এসে ধর্মের শিক্ষা দীক্ষা দিতেন এছাড়া অনেক কিছু ধর্ম বিষয়ে ধর্ম কথা বলতেন৷ আপনার ব্লগটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো ৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমি যখন খুব ছোট ছিলাম তখন আমাদের বাড়িও একবার গুরুদেব এসেছিল, আমার বাবা এবং ঠাকুর দাদাকে দীক্ষা দিতে। আসলে এই পোস্ট পড়ে কমেন্ট করার মতো তেমন বিশেষ কিছু পেলাম না তবে পোস্ট পড়ে সত্যিই বেশ ভালো লেগেছে।
এটাই হচ্ছে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কথা। 🙂
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলেই এরকম পোস্টে মন্তব্য করার মত কিছু থাকে না।এগুলো শুধু পড়ার মত।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit