গল্পটা জীবনের

in hive-129948 •  2 years ago 
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসী। আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও ভাল আছি৷ আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব একটি রোমান্টিক গল্প

pexels-vjapratama-935789.jpg
সোর্স

আমাদের গল্পের হিরো হলো জীবন৷ হ্যা ঠিকই ধরেছেন এজন্যই গল্পের নাম জীবনের গল্প।হাহাহাহা।যাই হোক এখন ফিরে আসি গল্পে।জীবন এর বয়স খুব বেশি না। মাত্র মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হয়েছে।

পড়াশোনায় সে ভালই। তবে ধরাবাধা পড়াশোনা তার কখনোই ভাল লাগে নি। তার ইচ্ছা দুনিয়ার সব জ্ঞানের ভান্ডার থেকে সব কিছুই অল্পস্বল্প চেখে দেখা।কিন্তু সার্টিফিকেট তো দরকার।তাই বাধ্য হয়ে পড়তে হয়। নিম্ন মধ্যবিত্ত বাবামায়ের একমাত্র সন্তান।তারাও তার দিকে তাকিয়ে আছে।কবে পড়াশোনা শেষ করবে, একটা চাকুরি পাবে আর তাদের দু:খ ঘুচবে।

জীবন ও এসব নিয়ে ভাবে।তবে জীবন তার জীবন নিয়ে অতটা সিরিয়াস নয়। সে ছোট থেকেই অভাব দেখে বড় হয়েছে।তাই সে জীবনের সাথে যুদ্ধ করার জন্য নিজস্ব কিছু দর্শন বানিয়ে নিয়েছে।এরমাঝেই একটা হল,যা হবার তা হবেই।সেটা নিয়ে আগে থেকে টেনশন করে দ্বিগুন কষ্ট নেওয়ার কোন মানেই হয়না।

ভাল ছাত্র হলেও সারাদিন পড়ার টেবিলে বসে থাকবে এমন ছাত্র জীবন নয়। তার অধিকাংশ সময় কাটে খেলার মাঠে।সাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়াতে। এখানেও তার একটা দর্শন আছে।বড় হয়ে তো চাকুরি তে ঢুকে গাধার খাটুনিই খাটব।তাইলে এখন কেন মিছামিছি সারাদিন পড়ার টেবিলে বসে থাকব।তাইলে জীবন টাকে উপভোগ করব কখন?

জীবনের বয়সী ছেলেরা যখন বাইকের পিছে গার্লফ্রেন্ড নিয়ে ঘোরে জীবন তখন সাইকেলে,একা একা ঘোরে।তার বন্ধু বান্ধব ও বিশেষ নেই।কারন আজকাল কার দুনিয়া টাই শো অফের দুনিয়া।যার ভালো বাইক আছে সবাই তার সাথে বন্ধুত্ব করতে চায়।কি যে মজা পায় বাইকে সেটা জীবন বোঝে না।আপনারা ভাবতে পারেন আঙ্গুর ফল টক,তাই জীবন হয়ত মনে মনে বাইকওয়ালা ছেলেদের হিংসা করে।

বিষয়টা তা নয়। যেহেতু নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম তাই তাকে বড় হতে হয়েছে প্রচুর হিসাব করে পা ফেলে।২টাকা খরচের আগেও তার ভাবতে হয়েছে,আমি যে খরচটা করছি সেটা কি আসলেই দরকার? তাই বাইকের ক্ষেত্রেও তার একই মতামত।বাইক তো আমার কোন কাজে লাগছে না,বাইকের থেকে কোন লাভ ও পাচ্ছি না।আবার আমার কোন ইনকাম সোর্স নেই।তাইলে বাইক দিয়ে হবেটা কি?
বাবার টাকায় তেল পুড়িয়ে এমনি এমনি গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়ানোর কোন মানে হয়না।

এভাবেই জীবনের প্রতিক্ষেত্রেই তার পদক্ষেপ খুবই হিসেব করে।তার বয়সী ছেলেমেয়ে যখন প্রেমের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে, জীবন তখনো সিঙ্গেল।তার ২-১টা বান্ধবী যে নেই তা নয়।কিন্তু তাদের সাথে সম্পর্ক ঐ নোট দেওয়া নেওয়া পর্যন্তই।জীবনের মতে প্রেম মানে মোহ মায়া৷ ওতে কোন লাভ নেই সময় নষ্ট ছাড়া।তাই সে প্রেমের আশে পাশেও নেই।

এভাবে ভালই কাটছিল জীবনের জীবন।কিন্তু একদিন সব এলোমেলো হয়ে গেলো।

কেন? জানতে হলে অপেক্ষা করুন পরের পর্ব পর্যন্ত।

আজকের পর্ব এপর্যন্তই।আজ শুধু হিরোর পরিচয় দিলাম।আস্তে আস্তে গল্প আরো গভীর হবে।কেমন লাগল জানাবেন।আপনার উৎসাহ দিলে পরের পর্ব আনব।ধন্যবাদ সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ার জন্য।
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

ভাইয়া খুব সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করেছেন। আমার কাছে গল্প পড়তে অনেক ভালো লাগে।গল্পের নামের সাথে মিলিয়ে গল্পের নায়কের নাম দিয়েছেন তারজন্য ভালো লাগলো। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের সত্যি অনেক হিসেব নিকেশ করে চলতে হয়। তবে সবাই জীবনের মতো নয় তাহলে পৃথিবী অন্য রকম হতো। তার জীবনে বন্ধু বান্ধবের সংখ্যা কম ছিল আর সে মনে করে প্রেম ভালোবাসা মায়া-মোহ এটা কিন্তু ঠিকই ভেবেছে। কিন্তু কিসের জন্য তার জীবনে হঠাৎ করে এলোমেলো হয়ে গিয়েছে তা জানার জন্য পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ।

খুব সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করেছেন। গল্পটি পড়ে আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে।আসলে মধ্যবিত্ত ছেলে মেয়েদের অনেক হিসাব-নিকাশ করে চলতে হয়। তাদের জীবন বিলাস বহুল হয় না। জীবন অনেক সুন্দর এবং স্বাভাবিক জীবন কাটার পরেও তার জীবন হঠাৎ কেন এলোমেলো হয়ে গেল তা অধীর আগ্রহে জানার অপেক্ষায় রইলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।