অর্ধেক তাহারা গড়িয়াছে নারী,অর্ধেক তার নর।
এই সৃষ্টির সূচনা লগ্ন থেকেই নারী পুরুষ মিলেই গড়ে তুলেছে এই সুন্দর পৃথিবী।সব কিছুতেই তাদের সমান ক্রেডিট। কিন্তু সমান অবদান থাকলেও নারীরা চিরদিনই অবহেলিত। প্রথমেই জেনে নিই আন্তর্জাতিক নারী দিবসের পটভূমি।
ঘটনার সূত্রপাত হয় আজ থেকে প্রায় ১২০বছর পূর্বে।শীল্পবিপ্লবের পর থেকেই আমেরিকা তে প্রচুর কলকারখানা গড়ে ওঠে। আর সেসব কারখানায় নারী পুরুষ নির্বিশেষে শ্রমিক নিয়োগ হত। সবাই সমান পরিমান কাজ করলেও নারী শ্রমিকদের পারিশ্রমিক ছিল পুরুষদের তুলনায় অনেক কম। আর তাদের সুযোগ সুবিধা ছিল পুরুষদের তুলনায় কম।
এর দাবিতে নারীরা আন্দোলন শুরু করে। তাদের যৌক্তিক দাবি গুলো মেনে নেওয়ার পরিবর্তে তাদের উপর লাঠিচার্জ করা হয়। এতে আন্দোলন কমার পরিবর্তে আরো বৃদ্ধি পায়।ধীরে ধীরে সর্বস্তরের নারীরা আন্দোলনে যোগ দিতে থাকে।এর ফলে আন্দোলন আরো গতিশীল হয়।
প্রবল আন্দোলনের অবশেষে সরকার নতি স্বীকার করে।আর এখান থেকেই নারী দিবসের। আপনারা অনেকেই হয়ত জানেন না যে আগে কিন্তু নারীদের ভোটাধিকার ছিল না। নারীরা সর্বপ্রথম ভোটাধিকার পায় ১৯১৮সালে। এরপর থেকেই আস্তে আস্তে ভোটাধিকার পাওয়া শুরু হয় নারীদের।
নারীদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনের প্রায় ১০০বছরের বেশি হয়ে গেছে।কিন্তু নারীরা কি আজও তাদের স্বাধীনতা পেয়েছে? দূর হয়েছে কি নারী পুরুষের মাঝে চলমান বৈষম্য?
আজকেও কিন্তু নারীরা তাদের স্বাধীনতা পায়নি। এখনো তাদের বুদ্ধিহীন, দুর্বল হিসেবে ধরা হয়। এখনো তাদের সমান মজুরী দেওয়া হয়না। সবাই সব সময় প্রতি পদক্ষেপেই তাদের খারাপ ট্যাগ লাগিয়ে দেয়।সব সময় তাদের ভয়ে ভয়ে বাচতে হয়। এখনো রয়েছে মজুরির বৈষম্য।
আর কিছু পুরুষ তো আছেই যারা নির্যাতন করতে পর্যন্ত পিছপা হয়না। সারা জীবন দমন করে রাখতে চায়। আবার কেউ রাস্তায় অহেতুক হেনস্থা করে।তাহলে দেখা যাচ্ছে নারী আন্দোলনের ১২০বছর পার হলেও নারীরা এখনো পুরোপুরি স্বাধীন হতে পারে নি।সমাজের একটি অংশ তাদের এখনো গৃহবন্দী করে রাখতে চায়।একটু দেরি করে বাড়ি ফিরলে শুনতে হয় নানা রকম কথা।
আসুন আজ এই নারীদিবসে প্রতিজ্ঞা করি আমরা নারীদের তার প্রাপ্য সম্মান দেব।তাদের অহেতুক জাজ করা বাদ দেব। আমাদের মাথায় রাখতে হবে তাদের ব্যক্তিগত জীবন এবং তাদের মতামত কে গুরুত্ব দিতে হবে।আর এগুলো করে আমরা কিন্তু তাদের দয়া করতেছি না। এটা তাদের প্রাপ্য। চলুন সবাই মিলে মিশে পৃথিবীটাকে বৈষম্য মুক্ত করি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit