বোনের পরিক্ষার আজ প্রথম দিন

in hive-129948 •  2 years ago 

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ বাসি।আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি।

IMG_20220915_102039.jpg

আমরা সবাই কখনো না কখনো শিক্ষাজীবনে ছিলাম।আর শিক্ষা জীবনে শিক্ষকদের পরেই আমরা যাকে প্রধান শত্রু ভাবতাম সেটা হল পরীক্ষা।আমি তো এখনো মাঝে মাঝে ভাবি,"মাস্টার মশাইরা ছাত্রদের সুখ মোটেই সহ্য করতে পারেন না।তাই এক্সাম নামক বস্তু টি আবিষ্কার করেছেন।"
আবার অনেক সময় তো ভাবতাম টাইম মেশিন নিয়ে অতীর যাই।তারপর যে এই পরীক্ষা ব্যবস্থা আবিষ্কার করেছে তাকে একটি রামধোলাই দিয়ে তার মাথা থেকে এগুলো কুচিন্তা বের করে দিয়ে আসি।

সময়ের পরিক্রমায় এখন আমি শিক্ষক।এখন আমি পরীক্ষা নেই ছাত্রছাত্রীদের। কিন্তু এখনো দেখি আমার ছাত্ররাও ঠিক আমি ছোট তে যেভাবে চিন্তা করতাম সেভাবে চিন্তা করে।যাই হোক আসল বিষয় এটি নয়।

অনেকেই জানেন হয়ত সারাদেশে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে।যা একজন ছাত্র-ছাত্রীর জীবনের প্রথম কোন বড় প্রতিযোগীতা মূলক পরীক্ষা।এর আগে অবশ্য পিইসি,জেএসসি আছে।কিন্ত বাস্তব জীবনে এগুলো খুব একটা কাজে লাগে না।কিন্তু মাধ্যমিক বা এসএসসি পরীক্ষা ভবিষ্যত জীবনের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
IMG_20220915_103642.jpg

যাই হোক আমাদের ছোট বিন্দু আজ মাধ্যমিকের পরিক্ষার্থী।আজ তার প্রথম পরীক্ষা ছিল।বুঝতেই পারছেন স্বভাবতই কিছুটা নার্ভাস।যেহেতু আমি ওর মেন্টর তাই ও গতকাল রাতেই আমাকে বলে রেখেছিল আর কেউ যাক না যাক আমাকে ওর সাথে যেতেই হবে।

সেই হিসেবে আজ সব টিউশন তারাতারি শেষ করে বাসায় এসে হাজির হলাম।কিন্তু এসে দেখি ও রেডিই হয়নি।ওকে তাড়া দিলাম।বললাম পরীক্ষার প্রথম দিন তাড়াতাড়ি যেতে হয়,গিয়ে সিট খোজা আরো অনেক বিষয় আছে।তখন ও বলল ওর বান্ধবীর বাবা আগেই সব খোজ নিয়ে রেখেছে তাই আগে আগে যাওয়ার কোন প্রয়োজনীয়তা নেই।১১টা থেকে পরীক্ষা ১০.৩০ এ গেলেই হবে।

IMG_20220915_103637.jpg

এরপর অবশেষে ১০.২০ এ তৈরি হয়ে নিল।সাথে মা ও যাবে।সবাই তৈরি হয়ে নেওয়ার পর ছবি তুললাম।এরপর বিন্দু ঠাকুর ঘরে প্রণাম সেরে বের হল।আমরাও সবাই পরীক্ষা কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে বের হলাম।এবং পথে প্রতিবেশিদের থেকে আশির্বাদ নিল বিন্দু।

পরীক্ষার কেন্দ্র আমাদের বাসা থেকে মাত্র ৫মিনিটের পথ।ফলে অল্প সময়ের মাঝেই সেখানে পৌছে গেলাম।সেখানে গিয়ে দেখি এলাহী কান্ড।প্রচুর লোকজনের সমাগম হয়েছে।হওয়া টাই স্বাভাবিক।প্রথম পরীক্ষা তে সবাই বাবা-মা ভাই বোন কে সাথে নিয়ে আসে।যাই হোক কোন মতে সেই ভিড় ঠেলে বোন কে নিয়ে হলে প্রবেশ করলাম।কিন্তু কপাল খারাপ ওকে ওর রুম পর্যন্ত এগিয়ে দিতে পারলাম না।কারন আমরা প্রবেশ করার সাথে সাথেই দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য গণ অভিভাবক দের হল প্রাঙ্গন ত্যাগের জন্য অনুরোধ করছিলেন।তাই পরীক্ষাকেন্দ্রের পরিবেশ ঠিক রাখার জন্য বেরিয়ে আসলাম।

IMG_20220915_103506.jpg

রাস্তায় অবশ্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছি যেমনঃরোল রেজিষ্ট্রেশন নম্বর ঠিক ভাবে লেখা,এবং প্রবেশ পত্রের সাথে মিলিয়ে দেখা,প্রশ্নের নাম্বার এর সাথে খাতার নাম্বার মিল রাখা,মাথা ঠান্ডা রেখে পরীক্ষা দেওয়া।সর্বশেষ প্যানিক না করা।

বেরিয়ে আসার পর মা কেন্দ্রের বাইরে অপেক্ষা করতে চাইলেন। কিন্তু আমি নিষেধ করলাম।কারন বাইরে বৃষ্টি ছিল আর পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে ভিড় বাড়ানোর কোন মানেই হয়না।তাই আমরা চলে আসলাম।এদিকে পরীক্ষা শুরু সাথে সাথে আমাদের টেনশন শুরু হয়ে গেছে।অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম কখন পরীক্ষা শেষ হবে।এরপর পরীক্ষা শেষে বিন্দু বাসায় ফিরে আসল এবং জানালো পরীক্ষা অনেক ভাল হয়েছে তখন চিন্তা মুক্ত হলাম।

সবাই আমার ছোট বোনের জন্য দোয়া করবেন যাতে তার আগামী জীবন সুন্দর হয়।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Congratulations on taking the Madhyamik Exam, I hope you pass it well. We've been dealing with something very annoying this a few years ago.But everything will be beautiful once we go through it well.


Imagen2.png
CONGRATULATIONS

This post has been upvoted with @steemcurator09/ Curated by: @ridwant

image.png

আসলে বোর্ড পরীক্ষাগুলো দেওয়ার সময় এতটাই নার্ভাস থাকতাম যে বলে বোঝানো যাবে না। আর সেটা যদি হয় লাইফের প্রথম বোর্ড এক্সাম তাহলে তো কোনো কথাই নেই। আমার তো জ্বর চলে আসত। তবে পরীক্ষার হলে প্রশ্নপত্র পাওয়ার পর এই ভয়টা আর থাকত না। আপনার বোনের জন্য শুভকামনা রইলো।

অনেক সময় তো ভাবতাম টাইম মেশিন নিয়ে অতীর যাই।তারপর যে এই পরীক্ষা ব্যবস্থা আবিষ্কার করেছে তাকে একটি রামধোলাই দিয়ে তার মাথা থেকে এগুলো কুচিন্তা বের করে দিয়ে আসি।

এটা চিন্তা না করে যদি কোন প্রকারে প্রশ্নপত্রটা পাওয়া যেত টাইম মেশিন করে গিয়ে, তাহলে বোধহয় নাম্বারটা একটু বেশি পাওয়া যেত। হা হা হা...

প্রশ্ন পেলেও তো পরিক্ষা দেওয়া লাগত তাইলে লাভ কি? তার থেকে ঐ ব্যাটাকে ঠ্যাংগানি দাও।পরীক্ষা দেওয়া লাগবে না।

একজনকে ঠ্যাংগানি দিয়ে বিদায় করলে তো তার জায়গায় অন্য একজন চলে আসবে। তাতে লাভ টা কি হলো। তার থেকে প্রশ্নপত্র পেয়ে গেলে তো লাভ বেশি, রিক্স কম। হা হা হা...

আপনি যদি ভবিষ্যতে যেতে পারেন তাহলে আমাকে নিয়ে যাইয়েন ভাই আমিও কয়েক ঘা দিয়ে আসব পরীক্ষার আবিষ্কারক কে। যাইহোক আপনার বোন বিন্দুর জন্য শুভকামনা আশাকরি ভালো ফলাফল করবে।।

অনেক ধন্যবাদ ভাই। অতীতে যেতে হবে ভাইয়া।