হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসী।আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমার অবস্থা খুব সুবিধার নেই।এত কাজ চারদিক থেকে চেপে ধরেছে যে দম ফেলার ফুসরত পাচ্ছি না।
যাই হোক কোন রকমে পরীক্ষা দিয়ে বাসায় আসলাম।এসে ঘুমানোর চেষ্টা করলাম কিন্তু ঘুম আসতেছিল না।তাই ভাবলাম সি হাল্ক এর দ্বিতীয় এপিসোড টি দেখে ফেলা যাক।গত পর্বের রিভিউ মিস করলে এখানে গিয়ে দেখে নিতে পারেন।
সিরিজের নাম | সি হাল্ক-অ্যাটর্নি অ্যাট ল |
---|---|
জনরা | অ্যাকশন,অ্যাডভেঞ্চার,সুপার হিরো |
নির্মাতা | জেসিকা গাও |
অভিনেতা,অভিনেত্রী | মার্ক রাফেলো,তাতিয়ানা মাসলানি,জমিলা জমিল,বেনেডিক্ট ওয়ং |
স্ট্রিমিং প্লাটফর্ম | ডিজনি+ |
পার্সোনাল রেটিং | ৭/১০ |
গত পর্বের সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ
গত পর্বে আমরা দেখেছি একজন সাধারণ উকিল জেনিফার কিভাবে সুপারহিরো হাল্কএ রূপান্তরিত হয় এবং কিভাবে তার নতুন জীবনের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার চেষ্টা।এরপর পর্বের শেষের দিকে দেখি জেনিফার একটি কেস লড়ছে এমন সময় একটি সুপার পাওয়ার সম্পন্ন একজন আদালতে হামলা করে।তখন জেনিফার হাল্কেররূপ নেয় এবং সবাই কে বাচায়।
দ্বিতীয় পর্বের সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ
বর্তমান পর্বের শুরুতেই আমরা দেখতে পাই কোর্ট রুমে সবাইকে বাচানোর জন্য সি-হাল্ক অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।নিউজ চ্যানলে গুলো তাকে নিয়ে সংবাদ করছে,প্রত্যক্ষদর্শী দের সাক্ষাৎকার নিচ্ছে।সবাই সি-হাল্ক কে সেদিনের জন্য ধন্যবাদ দিচ্ছে।আর আমরা এখান থেকেই জানতে পারি জেনিফার এর নাম সি হাল্ক কারা দিল? তো জেনিফার এসব উপভোগ করছিল এমন সময় তার বস এসে জানায়, তারা কোন সুপার হিরো কে চাকুরি তে রাখতে পারবে না।অর্থাৎ তারা আর জেনিফার কে চাকুরি তে রাখবে না।তখন জেনিফার প্রশ্ন করে, "সবাই কে বাচানোর পুরষ্কার তাইলে এটাই" ।এরপর দেখা যায় জেনিফার অনেক জায়গায় চাকুরির জন্য ইন্টারভিউ দিচ্ছে কিন্তু সব খানেই তাকে জানানো হচ্ছে, "কোন সুপার হিরো কে তারা চাকুরি তে রাখবে না"।
এরপর জেনিফার কে তার বাড়িতে সবার সাথে ডিনার করার জন্য ডাকা হয়।তার বাবা মা তাকে বলে সমস্যা নাই তোমার চাকুরি হারানোর বিষয় নিয়ে কেউ কিছু বলবে না।কিন্তু সেখানে যাওয়ার সাথে সাথেই তার কাজিন তাকে চাকুরি নিয়ে খোচা মারা শুরু করে।এবং তার অন্য আত্মীয়রা তার সুপার হিরো হওয়া নিয়ে ব্যাঙ্গ করছে।
এরপরের দৃশ্যে আমরা দেখি জেনিফার একটি বারে বসে আছে,এবং তখন একটি লোক আসে তাকে একটি জব অফার করে।এই ব্যক্তি হচ্ছে সেই "ল" ফার্মের মালিক যাদের বিরুদ্ধে ঐদিন কোর্টে কেস লড়ছিল।উনি জেনিফার কে পরের দিন থেকেই চাকুরি তে যোগ দিতে বলেন।
জেনিফার পরদিন চাকুরি তে যোগ দিতে গিয়ে জানতে পারে তাকে সুপার হিরো ল ডিভিশন নামের নতুন খোলা একটি বিভাগে কাজ করতে হবে।আর এখানে কাজ করতে হলে তাকে সব সময় হাল্ক হয়ে থাকতে হবে।কারন তারা চায় যেহেতু জেনিফার সুপার হিরো দের কেস লড়বে তাই সেও যাতে সব সময় সুপার হিরো হয়েই থাকে।
এরপর জেনিফার কে প্রথম কেস জানানো হয়।এই কেস টি অ্যাবোমিনেশন নামের একটি সুপার ভিলেনের জামিনের। অ্যাবোমিনেশন ও হাল্ক।তবে সে সুপার ভিলেন।তাকে বানানো হয়েছিল হাল্ক অর্থাৎ ব্রুস ব্যানার কে হত্যা করার জন্য।হাল্ক কে হত্যা করতে গিয়ে সে পুরো শহর ধ্বংস করে ফেলে।এরপর হাল্ক তাকে হারায় এবং তাকে বন্দী করে একটি সুপার ভিলেনদের জেলে রাখা হয়।
যেহেতু ব্রুস ব্যানার জেনিফার এর কাজিন এবং অ্যাবোমিনেশন তাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল তাই সে এই কেস নিতে চায় না।কিন্তু তার বস তাকে জানায় তুমি কেস না নিলে তুমি চাকুরি হারাবে।তাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তুমি তোমার ক্লায়েন্ট এর সাথে দেখা করে এসো।
জেনিফার তার ক্লায়েন্ট এর সাথে দেখা করতে যায়।সেখান সে অ্যাবোমিনেশন এর সাথে কথা বলে জানতে পারে অ্যাবোমিনেশন তার অতীতের কাজের জন্য লজ্জিত।সে আবার সাধারণ জীবণে ফেরত যেতে চায়।আর একটি প্রশ্ন করে আমাকে তো সরকার বানিয়েছিল তোমার ভাইকে হত্যা করার জন্য,আমি শুধু সেই নির্দেশ পালন করেছি।তবে আমি কেন অপরাধী?
এরপর জেনিফার এর বস তাকে বলে তার সিদ্ধান্ত রাত ১০টার আগেই জানাতে হবে।তখন জেনিফার ব্রুস কে ফোন করে বিস্তারিত বলে এবং জানতে চায় সে কেসটি নেবে কিনা।তখন ব্রুস বলে আমি ওকে মাফ করে দিয়েছি তুমি কেস টি নিতে পার।এরপর আমরা দেখতে পাই ব্রুস সেই স্পেশ শিপ যেটির কারনে তারা দুর্ঘটনায় পড়েছিল সেটা তে চড়ে কোথায় যেন যাচ্ছে।
এরপর জেনিফার কেস টি নেবে এটি জানাতে তার বস কে কল দেয়।কিন্ত তার বস তাকে টিভি চালু করতে বলে।টিভি চালু করে জেনিফার দেখে অ্যাবোমিনেশন জেল থেকে কিভাবে যেন পালিয়ে গেছে।এবং আবার শহর ধ্বংস করা শুরু করেছে।কিন্তু সেই হাই সিকিউরিটি জেল থেকে অ্যাবোমিনেশন পালালো কিভাবে? জানতে হলে দেখে ফেলুন সি-হাল্ক-অ্যাটর্নি অ্যাট ল
ব্যক্তিগত মতামতঃ
এই পর্বটি তুলনামূলক স্লো।এই পর্বে কোন অ্যাকশন নেই।এই পর্বে সুপার হিরো দের জীবনের সমস্যা গুলো তুলে ধরা হয়েছে।তারা ব্যক্তিগত জীবনে কি কি অসুবিধার সম্মুখীন হয় তা দেখানো হয়েছে।আর সব থেকে বড় কথা বেশ মজার।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit