হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ বাসী।আশা করি সবাই সুস্থ আছেন।এই শীতের দিনে চারদিকে রোগের ছড়াছড়ি।সবাই একটু সাবধানে থাকবেন।সুস্থতা অনেক বড় আশীর্বাদ।
যাই হোক আজ শুক্রবার,শুক্রবার মানে মুভি দেখার দিন।পুরো সপ্তাহের মাঝে শুক্রবারেই একটু সময় পাওয়া যায়।গত শুক্রবার একটি ওয়েব সিরিজ পেলাম।স্পাই থ্রিলার আমার সব সময়ের পছন্দের। তাই দেখা শুরু করলাম।আজ সেই সিরিজের দ্বিতীয় পর্বই শেয়ার করব আপনাদের সাথে। হেভি স্পয়লার থাকবে,তাই পড়ার আগে ভেবে নিবেন।
সংক্ষিপ্ত বর্ণনা
সিরিজের নাম | মুখবির-স্টোরি অব এ স্পাই |
---|---|
সিজন | ১ |
পর্ব | ২ |
জনরা | স্পাই,থ্রিলার |
অভিনয়ে | প্রকাশ রাজ,জৈন দুররানি,আদিল হুসেইন,সত্যদীপ মিশ্রা |
পরিচালক | শিবাম নায়ার,জয়প্রদ দেশাই |
রিলিজ ডেট | ১১নভেম্বর ২০২২ |
গত পর্বের সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ
ভারতের উপর আক্রমনের জন্য পাকিস্তান উন্নত ধরনের ট্যাংক কেনে।সে ট্যাংকের তথ্য বের করার জন্য ভারত নিজেদের গুপ্তচর পাকিস্তানে পাঠায়।সেই গুপ্তচর গিয়েই বিপদে পড়ে। এরপর থেকে আজকের পর্ব।
সংক্ষিপ্ত প্লট
সেই আক্রমণকারী যখন কামরান কে মারতেই যাবে তখন পেছন থেকে একজন মুখোশধারী এসে সেই আক্রমণ কারীকে মেরে দেয় এবং নিজের মুখোশ খুলে পরিচয় দেয়।সে কামরান এর হ্যান্ডেলার অর্থাৎ সে কামরান এর সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করবে।এরপর সে কামরান কে বাড়ি যেতে বলে এবং সেই লাশ টিকে গায়েব করে।
এরপর আসে সব থেকে কঠিন কাজ।যেটা করতে না পারলে কামরান তার গোয়েন্দাগিরি শুরু করতে পারবে না।তাকে বোখারি পরিবারের সদস্য হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে।
সে প্রথমে তার ব্যাগ বস্তা নিয়ে বোখারী বাড়িতে যায়। সে যখন যায়,তখন সবাই ভাবে কে এই ছেলে।তারপর কামরান আস্তে আস্তে নিজেকে হারফান বোখারী পরিচয় দেয়। হারফান এর বাড়ির বড় ছেলের বেচে যাওয়া একমাত্র ছেলে।কিন্তু প্রথমে কেউ বিশ্বাস করতে চায়না।তখন হারফান এর চাচা তাদের বাড়ির চাকর কে পুলিশ ডাকতে পাঠায়।
এরপর হারফান আস্তে আস্তে এমন কিছু তথ্য দিতে থাকে যা এই পরিবারের লোকজন ছাড়া আর কারো জানার কথা না।এরপর সে একটি অর্ধেক পোড়া জায়নামাজ বের করে দেখায় এবং আমরা তার চাচার হাতেও একই রকম দেখতে একটি জায়নামাজ দেখতে পাই। তখন হারফান এর দাদী অবাক হয়ে বলে যে আমি দুই ছেলেকে একই রকম কিনে দিয়েছিলাম,হারফান আমার নাতি। এর মাঝেই পুলিশ চলে আসে এবং হারফান কে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।তার দাদী অনেক আটকানোর চেষ্টা করলেও,তার চাচা কোন প্রতিবাদ করে না।ফলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
পুলিশ তার কাগজপত্র চেক করে সঠিক পায় এবং তাকে আবার ফিরিয়ে দিয়ে যায়।এর মাঝেই কর্ণেল জেদি হারফান কে আক্রমণকারী সেই গুন্ডার মৃতদেহ খুজে পায়।তখন আমরা জানতে পারি সেই লোকটি মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স এর সদস্য।কর্ণেল জেদি মৃতদেহ টি পরীক্ষা করে এবং তার হাতের দড়ির গিট থেকে বুঝতে পারে এটা কোন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গুপ্তচরের কাজ।তখন সে তার অধিনস্ত অফিসার দের বলে সেদিন ইন্ডিয়া থেকে যারা এসেছিল তাদের খোজ নিতে।
ফলে হারফান এর উপরেও নজরদারি শুরু হয়।এরপর হারফান তার মিশন শুরু করে।সে প্রথমে একজন কার ডিলার এর সাথে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর জন্য তার শোরুমে চাকুরি নেয় এবং তার সেল করার দক্ষতা দিয়ে তাকে ইম্প্রেস করে।/সে তাকে কথায় কথায় জানায় সে ইন্ডিয়া তে ঢোকার অনেক গোপন রাস্তা জানে।তখন শোরুমের মালিক তাকে বলে তুমি যদি এই রাস্তা দিয়ে আমাদের অবৈধ মালামাল নিয়ে যেতে পারো তবে প্রচুর টাকার মালিক হব।
হারফান একদিনের সময় নেয়।এবং ইন্ডিয়া তে থাকা তার অফিসার দের থেকে অনুমতি নেয়।সে পরে তার শোরুমের মালিকের সাথে মত দেয়। তখন সেই মালিক তাকে একজন ব্রিগেডিয়ার এর কাছে নিয়ে যায়। এই ব্রিগেডিয়ার এর কাছাকাছি আসাই কামরান /** হারফান** এর আসল উদ্দেশ্য। সেই ব্রিগেডিয়ার হারফান এর থেকে তার পরিচয় নেয় এবং তাকে বলে তার বাড়ি অর্থাৎ কাশ্মীরে ফোন দিতে এবং হারফান এর দিকে বন্দুক তাক করে।
হারফান জানত এই সিচুয়েশন আসবে,এজন্য তার অফিসার রা এমন একটি যন্ত্র বানায় যেটা কল কে মাস্ক করে।অর্থাৎ আপনি যেখানে কল করেছেন সেই আসল জায়গাটি গোপন রাখে,আর আপনি যে অবস্থান দেখাতে চান সেই অবস্থান দেখায়।
কিন্তু হারফান যখন কল করে তখন যন্ত্রটি কাজ করছিল না।ফলে হারফান এর আসল লোকেশন ফাস হয়।তখন ব্রিগেডিয়ার তাকে গুলি করতে উদ্যত হয়।
হারফান কিভাবে এই সিচুয়েশন থেকে বের হবে? নাকি এখানেই তার গোয়েন্দাগিরি শেষ? তাকে কি জেলে যেতে হবে? সহ্য করতে হবে অকথ্য নির্যাতন?
আমার মতামত
ক্যারেক্টার ডেভলপমেন্ট এর জন্য প্রথম পর্ব একটু স্লো ছিল।কিন্তু দ্বিতীয় পর্বের শুরু থেকেই গল্প প্রচন্ড গতি পায়। একটার পর একটা ধামাকা আসতেই থাকে।মোড়ের পর নতুন মোড়।সাসপেন্স এর পর সাসপেন্স।একটা মুহুর্তও স্কিপ করার উপায় ছিল না।আর প্রত্যেকের অভিনয় ছিল দুর্দান্ত।দ্বিতীয় পর্ব কে ১০ এ ৮দেব।
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খুব ইন্টারেস্টিং লাগছে। এটা অবশ্যই দেখতে হবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দেখে নিয়েন দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাহ্ বেশ ভালো ওয়েব সিরিজ তো। আমি তো গল্পটা বেশ উপভোগ করলাম। একজন স্পাই কিভাবে একটি পরিবারের বিশ্বাস অর্জন করলো ভাবা যায়। যাক জায়গামতো পৌছে আবার ফোন কলের গেড়াকলে সে ফেঁসে গেছে মনে হচ্ছে। দেখা যাক সামনে কি হয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া সময় পেলে দেখে নিয়েন। অনেক সুন্দর ওয়েব সিরিজ টি। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit