হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসী। আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও বেশ ভাল আছি।এর আগের একটি রিভিউ এ আমি আপনাদের গোয়েন্দা কর্ণেল নিলাদ্রী সরকার এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছি। প্রথম গল্পটির নাম ছিল পরগাছা।আপনারা সেই রিভিউতেই কর্ণেল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
আজ যে গল্পটির রিভিউ লিখব সে গল্পের নামটি একটু অদ্ভূত জিরো জিরো জিরো।গল্প জুড়েই আমরা এর তিন শুন্যের খেলা দেখতে পাব।তো চলুন যাওয়া যাক বইটির সংক্ষিপ্ত বর্ণনায়।
বইয়ের নাম | জিরো জিরো জিরো |
---|---|
লেখক | সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ |
জনরা | গোয়েন্দা,রহস্য রোমাঞ্চ |
ব্যক্তিগত রেটিং | ৯/১০ |
গল্প সংক্ষেপঃ
একদিন জয়ন্ত (কর্নেল এর সহযোগী) কর্ণেল এর বাড়িতে গিয়ে দেখেন কর্ণেল তিনটি মেয়ের সাথে বসে আড্ডা দিচ্ছেন।এরপর কর্ণেল মেয়ে তিনটির সাথে জয়ন্তের আলাপ করিয়ে দেন।মেয়ে তিনজনের নাম সোনালী,রত্না ও দিপ্তী। এরা এসেছে কর্ণেল কে সোনালীর জন্মদিনের নিমন্ত্রণ করতে,এবং জয়ন্ত এসে পড়ায় জয়ন্ত ও নিমন্ত্রিত হয় এবং কর্ণেল তার থেকে জোর করেই ওয়াদা করিয়ে নেন যে সে ও জন্মদিনে যাবে।
এরপর মেয়েরা চলে গেলে জয়ন্ত কর্ণেল কে জিজ্ঞেস করে,একটি জন্মদিনের পার্টির জন্য তিনি এত উত্তেজিত কেন? তখন কর্ণেল তাকে জানায় পার্টি টা শুধু একটা কভার।সোনালীর বাবা অনিরুদ্ধ বাবু একটি তেল রিফাইনারির জেনারেল ম্যানেজার।সম্প্রতি তার রিফাইনারি এলাকায় একটি অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে।একদিন দুপুরে উনি ঘুমাচ্ছিলেন এমন সময় একটি লোক উনার সাথে দেখা করতে আসে।কিন্তু উনি আসতে আসতেই লোক টি চলে যায়,এবং একটি বিশেষ বইয়ের একটি বিশেষ পৃষ্ঠায় একটি চিঠি রেখে যায়।চিঠি তে সোনালির বাবাকে একটি বিশেষ জায়গায় দেখা করতে বলা হয়।চিঠি তে নামের জায়গায় লেখাছিল জিরো জিরো জিরো।
কিন্তু অনিরুদ্ধ বাবু সেখানে পৌছে দেখেন একটি লাশ পড়ে আছে।পরে কর্ণেল সেই পৃষ্টা বের করে দেখেন সেখানে স্যাবোটাজ নিয়ে লেখা আছে তাই কর্ণেল ধারণা করেন তেল রিফাইনারি তে স্যাবোটাজ হবে এবং এর পেছনে আছে বড় কোন দল।এর তদন্ত করতেই তিনি সোনালীদের বাড়ি যাবেন।
এরপর কর্ণেল এবং জয়ন্ত হাজির হয় সোনলীদের বাড়িতে।জন্মদিনে মজার কিছু করার জন্য এবং কর্ণেল এর গোয়েন্দা বুদ্ধির পরীক্ষা নিতে। সোনালী,রত্না,দিপ্তী ঠিক করে তারা একটি ফেক মার্ডার কেস সাজাবে এবং কর্ণেল কে তা সলভ করতে হবে।তারা সোনালীর ভাই দিব্য,জয়ন্ত এবং অনিরুদ্ধ বাবুর পিএ রনধীর কেও এই দলে নেয়।ঠিক হয় দিপ্তী হবে ভিকটিম।দিব্য,জয়ন্ত এবং রনধীর বাবু হবেন সাসপেক্ট।কিন্তু ঘটনার দিন দেখা গেল কেউ সত্যি সত্যি খুন করেছে দিপ্তী কে।
কে খুন করল দিপ্তী কে? আগের খুনের সাথে কি এই খুনের সম্পর্ক রয়েছে? আসলেই কি কেউ স্যাবোটাজ করতে চায়? আর কর্ণেল কি পারবে এই স্যাবোটাজ আটকাতে এবং খুনী কে গ্রেফতার করতে?আর এই জিরো জিরো জিরো কে বা কারা? জানতে হলে পড়ে ফেলুন দুর্দান্ত এই রহস্য উপন্যাস।
ব্যক্তিগত মতামতঃ
টানটান উত্তেজনায় ভরপুর গল্পটি।ঘটনা কখন কোন দিকে মোড় নেবে তা আগে থেকে কল্পনা করতে পারবেন না। এবং শেষ টুইস্ট আপনাকে অবাক করে দেবে। গোয়েন্দা গল্প প্রেমী হলে অবশ্যই পড়ে দেখবেন গল্পটি।