বাঙ্গালীদের বার মাসে তের পার্বন। তাও তো এগুলো প্রধান অনুষ্ঠান,এছাড়াও ছোট বড় নানা উৎসব লেগেই থাকে। তেমনি ছোট একটি পুজা হচ্ছে শীতলী পুজা।
আমি যে মেলায় গিয়েছিলাম সেটি শীতলী পুজা উপলক্ষ্যে। এই মেলা টি প্রতিবছর এইদিনেই অনুষ্ঠিত হয়। তবে মেলার বিশেষত্ব হল, মেলাটির মেয়াদ একদিন।অবশ্য মেলার দোকানপাট বসা শুরু করে আগের দিন থেকেই।
এই মেলাটি অনেক ঐতিহ্যবাহী মেলা।আমরা সেই ছোট থেকেই মেলা দেখে আসছি।আমার বাবারাও তাদের ছোট বেলায় এই মেলা দেখেছে।কিন্তু গত দুই বছর মেলা অনুষ্ঠিত হয়নি করোনার জন্য।এবার করোনার বাড়াবাড়ি নেই। কিন্তু তারপরেও প্রথম দিকে কমিটির আগ্রহ ছিল না।কিন্তু যত পুজার দিন এগিয়ে আসতে লাগল ততই সবার মন চঞ্চল হওয়া শুরু করল।
এত ঐতিহ্যবাহী মেলা তো আর জেনেবুঝে বন্ধ রাখা যায়না তাই সর্বশেষ ১৬তারিখ এলাকার ছেলেরা মিলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবার মেলা আমরাই করব । এতে বড়রা সাহায্য করলে করবে, নইলে নিজেরাই চাদা তুলে করব।
এতে মনে হয় কমিটি লজ্জা পেল।পরে তারাও যোগ দেয়।এই সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে চাদা তোলা,পুজার প্রস্তুতি নেওয়ার বিশাল দায়িত্ব সবাই নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয়। তার ফলাফল হল মেলা। তবে হঠাৎ করে হওয়ায়, এবার মেলার যৌলুস এত কম।
মেলায় লোকজন আসা শুরু হয় দুপুরের পর থেকে। আর সকাল থেকে তারপর বেলা যত বাড়তে থাকে তত বাড়তে থাকে ভিড়।আজ যে মেলা সেটা আমার মনে ছিল না।টিউশন শেষ করে এসে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম।তখনই ছোটভাই ফোন দিয়ে বলল,"দাদা আপনি কেন যেন মেলায় আসলেন না? ভুলে গেছেন নাকি?"
তখন আমার মনে পড়ল আজ শীতলী তলার মেলা।কিন্তু হিসেব মিলিয়ে দেখলাম দুপুর ছাড়া মেলায় যাওয়া সম্ভব না।আর দুপুরে গেলে অত মজা হবে না।কিন্তু তারপরেও একবারে না হবার থেকে অল্প হওয়াও ভাল। তাই সাথে সাথে রওনা দিলাম।
যাওয়ার আগে বন্ধু প্রণব কে ফোন দিলাম।তারপর প্রণব কে বাসা থেকে তুলে নিয়ে দুইজন মিলে মেলায় চলে গেলাম। কিন্তু গিয়ে হতাশ হলাম।লোকজন একদম নেই,তবে বেশ ভাল দোকানপাট বসেছে। দোকানের মাঝে খাবারের দোকান,কসমেটিক এর দোকান আর ছেলেমেয়েদের খেলনার দোকানই প্রধান।
আমরা বেশ কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করলাম,তারপর বন্ধু আর ছোট ভাই দের নিয়ে জিলাপি খেলাম।তবে সবাই মিলে অনেকদিন পর একত্রিত হওয়ায় এত মজা করছিলাম যে ছবি তুলতেই ভুলে গেছিলাম। এরপর টিউশন এর সময় হওয়াতে সবাইকে বিদায় জানিয়ে চলে আসলাম।অনেক ভাল সময় কেটেছে আজ। অনেকদিন পর মন খুলে আড্ডা দেওয়া আর হাসতে পেরেছি।
মেলা থেকে জিলাপি না আনলে মেলা করা সম্পূর্ণ হয়না।তাই আসার সময় অবশ্য সবার জন্য জিলাপি আনতে ভুলি নি। নিন আপনাদের সাথেও শেয়ার করে নিলাম।খেয়ে জানাবেন কেমন লাগল মেলার জিলাপি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাই, বন্ধু প্রণব কে নিয়ে ঐতিহ্যবাহী এই মেলায় খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন তা আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ বুঝতে পারছি। এই ঐতিহ্যবাহী মেলায় আগে আপনার বাবা এসেছিল, তারপর আপনি ছোট থেকেই এই ঐতিহ্য মেলায় এসেছিলেন। তাহলে তো এই মেলা অনেকদিন থেকেই চলে আসছে।তবে কি ভাই, করোনা কালীন সময়ে সবখানে মেলার আয়োজন বন্ধ ছিল।যাইহোক বন্ধু ও ছোট ভাইদের নিয়ে মেলায় জিলাপি খেয়েছেন এবং সেই সাথে সবার জন্য জিলাপি কিনেছেন, সব মিলিয়ে ঐতিহ্যবাহী এ মেলা দারুন উপভোগ করেছেন। আর এসব নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন, এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit