অনেকদিন পর আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। পরীক্ষা আরো নানা চাপে লেখালেখির সময় পাইনি।আশা করি এখন থেকে নিয়মিত হতে পারব। তো চলুন ব্লগ শুরু করা যাক।
আপনারা যারা আমার নিয়মিত পাঠক তারা জানেন আমার চারজন খুব কাছের বন্ধু আছে। তানভীর,নাফিজ, নাহিদ,শিমুল। আমাদের বন্ধুত্বের প্রায় ১৪বছর হয়ে গেল।দিন যায় মাস যায় আমরাও বড় হই। যদিও আমি এখনো মনের দিক থেকে হাইস্কুলের গন্ডি পেরোতে পারি নি। কিন্তু সবাই তো আর আমার মত না।
আমাদের মাঝে প্রথম উইকেট পড়ে নাফিজ এর। ওর বিয়ের প্রায় চারবছর হয়ে গেল। আমরা সবাই আড্ডাতে বসলেই আলোচনা করতাম পরের সিরিয়াল কার।তবে এখানে আমি বাই ডিফল্ট সিরিয়ালে সবার শেষে ছিলাম।কারন আমার দায়িত্ব পালন করে বিয়ে করতে করতে আরো ৪-৫ বছর দরকার।
আমরা সবাই আন্দাজ করতাম শিমুল হয়ত দ্বিতীয় থাকবে। কারন নাফিজ বাদে আমাদের মাঝে শুধুমাত্র শিমুলই একমাত্র চাকুরীজীবি। কিন্তু মানুষ ভাবে এক হয় আরেক। আমার পরেই দ্বিতীয় যার সব থেকে কম সম্ভাবনা ছিল সে হল নাহিদ। কারন আমাদের মাঝে নাহিদ সব থেকে ছোট,আর ওর পড়াশোনাও শেষ হয়নি।
কিন্তু মানুষ ভাবে এক হয় আরেক।সবাইকে অবাক করে দিয়ে নাহিদ কয়েকদিন আগে ঘোষণা দিয়ে বসল সে পাত্রী দেখতে যাচ্ছে,আমাদের ও যেতে হবে। আমরা যেন প্রস্তুত হই।আমরা সবাই হতভম্ভ।যাই হোক আমারা মনে মনে প্রস্তুতি নিলাম।কিন্তু আমি যেটা আগে থেকে আশা করি সেটাই ব্যর্থ হয়।
যেদিন মেয়ে দেখতে যাওয়া সেদিন ই মাকে ডাক্তার দেখানোর তারিখ,তাই যাওয়া হল না। শিমুল ও ছুটি না পাওয়ায় আসতে পারে নাই। তানভীর আর নাফিজ গেল ওর সাথে। আমি যদিও অনেক মিস করতেছিলাম,কিন্তু দায়িত্বর কাছে হেরে যেতে হয়। যাই হোক সারাদিন আমিও ব্যস্ত ছিলাম জন্য খোজ নেওয়া হয়নি।রাতে নাহিদ ফোন দিয়ে বলল ভাই পাত্রী পছন্দ হওয়াতে বিয়ে টা সেরেই নিয়েছি।
প্রচন্ড ভাল লাগল কথাটা শুনে। তবে বন্ধুর বিয়ে মিস হয়ে গেল জন্য খারাপ ও লাগতেছিল। ওকে অভিনন্দন জানিয়ে সেদিনের কথা শেষ হল। দুইদিন পর নাহিদ ফোন দিয়ে জানালো শুক্রবার বৌভাত।মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলাম এবার যেতেই হবে,এই সুযোগ ছাড়া যাবে না।এবার পালা গিফট এর। কি গিফট দেওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনায় বসলাম বাকি চারজন।অনেক আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল সরাসরি ক্যাশ দিব।কারন বিয়ের পর এখন ক্যাশ টাই বেশি দরকার।
অত:পর শুক্রবার চলে আসল।এবারো শিমুল অনুপস্থিত,তানভীর ও পরীক্ষার কারনে আবার ফিরে গেছে।আমি আর নাফিজ দুপুরে রওনা দিলাম। কিছুক্ষণের মাঝে পৌছে গেলাম বিয়ে বাড়ি। গিয়ে বন্ধুর সাথে দেখা করলাম,করে অভিনন্দন জানালাম।যদিও ভাবি পর্দা করে জন্য তার সাথে দেখা হল না। আঙ্কেল আন্টির সাথে দেখা করে কুশল বিনিময় করলাম।
এরপর খাওয়াদাওয়ার পালা।আমার জন্য আলাদা ব্যবস্থা করতে চাইলেও আমি রাজি হইনি,কারন একজন এর জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা অনেক ঝামেলার। আর অনুষ্ঠানের মাঝে একজন কে এই ঝামেলায় ফেলার কোন মানেই হয়না।
নাফিজ খাইতে বসল আমি বাইরে বসে আঙ্কেল এর সাথে গল্প করতে লাগলাম।নাফিজ এর খাওয়া শেষ হবার পর নাহিদ কে গিফট দিলাম। এর মাঝে নাহিদের শ্বশুর বাড়ির লোকজন চলে আসল। আর আমরাও ফিরে আসলাম।
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit