স্ক্রিনশট ফ্রম মিডিয়া প্লেয়ার
আজ যে মুভিটি নিয়ে কথা বলব সেটি মূলত একটি অ্যানিমেটেড মুভি।অর্থাৎ কার্টুনের মত। কিন্তু পার্থক্য হল কার্টুনের গল্পের কোন প্লট থাকে না, কিন্তু এই মুভি গুলোর প্লট থাকে।আমি এই এনিমেটেড মুভি গুলোই বেশি দেখি।এই মুভিটি সুপার হিরো জনরার। আর মাল্টিভার্স থিওরি ফলো করে। মাল্টিভার্স থিওরি হল একই সাথে অনেক গুলো পৃথিবী পাশাপাশি বর্তমান।শুধু সেগুলো অদৃশ্য একটি দেওয়াল দ্বারা পৃথক করা।এবং বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে এই দেয়াল ভেদ করে অন্যপাশে যাওয়া যায়। আর এই দেয়ালের দুই পাশের পৃথিবী কে বলে বাস্তবতা বা রিয়েলিটি।
স্ক্রিনশট ফ্রম মিডিয়া প্লেয়ার
আবার তখন টাইম ট্রাভেল করা সম্ভব। অর্থাৎ অতীত থেকে বর্তামানে আবার ফিউচার থেকে বর্তমানে আসা সম্ভব।এগুলো বললাম, তাইলে মুভির এক্সপ্লেইনেশন টা বুঝতে সহজ হবে।
সংক্ষিপ্ত বর্ণনা
মুভির নাম | লিজিয়ন অব সুপার হিরো |
---|---|
প্রোডাকশন হাউস | ডিসি অ্যানিমেটেড হাউস |
জনরা | সুপার হিরো |
ভাষা | ইংরেজী |
রিলিজ ডেট | ৭ফেব্রুয়ারি২০২৩ |
মুভির প্লট
মুভির প্লট এর মেইন ক্যারেক্টার একটি মেয়ে।তার নাম কারা-এল।তবে কারা সাধারণ কোন মেয়ে নয়।সে ভবিষ্যতের ক্রিপ্টন গ্রহের বাসিন্দা।সুপার ম্যানের কাজিন।
ক্রিপ্টন গ্রহ যখন ধ্বংস হচ্ছিল তখন কারা-এল এর মা তাকে একটি এস্কেপ পডে(রকেটের মত একটি যন্ত্র) করে ভবিষ্যতের পৃথিবীতে সুপার ম্যানের কাছে পাঠিয়ে দেয়।
স্ক্রিনশট ফ্রম মিডিয়া প্লেয়ার
কিন্তু দুর্ঘটনা বসত সে অতীতে চলে আসে।ক্রিপ্টন গ্রহের বাসিন্দারা মানুষের তুলনায় অনেক উন্নত।তারা সূর্য থেকে শক্তি পায়।তাই তারা যেখানেই থাকুক সেখানকার সুর্য যত শক্তিশালী তারাও তত শক্তিশালী।ক্রিপ্টনের তুলনায় পৃথিবীর সুর্য প্রায় হাজার গুণ শক্তিশালী তাই তারা মানুষের তুলনায় কয়েক হাজার গুণ শক্তিশালী হয়।এছাড়া তাদের কিছু সুপার হিউম্যান পাওয়ার আছে।যেমন:তারা উড়তে পারে,প্রচন্ড ভারি জিনিস তুলতে পারে।
স্ক্রিনশট ফ্রম মিডিয়া প্লেয়ার
কারা পৃথিবীতে আসার পর তার পাওয়ার আগের তুলনায় অনেক বেড়ে যায়।তাই সে তার পাওয়ার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।ফলে সে উপকার করতে গেলেও ক্ষতি হয়ে যায়।এতে মানুষ তার উপর অনেক বিরক্ত হয়।এতে সে অনেক মন খারাপ করে।সে আর পৃথিবীতে থাকতে চায় না।তখন একদিন সুপার ম্যান তাকে টাইম বাবলের সাহায্যে ভবিষ্যতের একটি জায়গায় নিয়ে যায়।
স্ক্রিনশট ফ্রম মিডিয়া প্লেয়ার
জায়গাটির নাম লিজিয়ন অব সুপার হিরো হেডকোয়ার্টার।লিজিয়ন হল ভবিষ্যতের সুপার হিরোদের একটি গ্রুপ।যারা পৃথিবীর কে বিভিন্ন এলিয়েন টেরোরিস্ট ও সুপার ভিলেন দের থেকে বাচায়।এই হেডকোর্টারে তারা ভবিষ্যত সুপার হিরোদের ট্রেনিং ও দিয়ে থাকে।
সুপার ম্যান তাকে সেখানে ট্রেনিং নেওয়ার জন্য নিয়ে যায়,তখন সেখানে মনো-এল নামের আরেকজনের সাথে পরিচয় হয়।সে কারা কে পুরো হেডকোয়ার্টার ঘুরিয়ে দেখাতে থাকে এবং সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে থাকে।সেখানে সে দেখতে পায় ব্রেনিয়্যাক-৫ কে।ব্রেনিয়াক পৃথিবীর সব থেকে বড় সুপার ভিলেনদের মাঝে একজন।তার কাজ হল কোন গ্রহে গিয়ে সেই গ্রহের সমস্ত জ্ঞান কে নিজের মাঝে নেওয়া।তারপর সেই গ্রহকে ধ্বংস করে দেওয়া।
স্ক্রিনশট ফ্রম মিডিয়া প্লেয়ার
এখানে কারা ব্রেনিয়্যাক কে দেখে ভিলেন ভাবে এবং তার সাথে ফাইট শুরু করে।কিন্তু এক পর্যায়ে সিনিয়র সুপার হিরোরা এসে তাকে আটকায়।এরপর থেকেই কারা, ব্রেনিয়্যাক কে সন্দেহের চোখে দেখতে থাকে।আর আমরা জানতে পারি অন্যান্য সবাই ব্রেনিয়্যাক কে সন্দেহ করে।এর মাঝেই একদিন হেডকোয়ার্টার এ হামলা হয়।ট্রেইনি সুপার হিরোদের মাঝে একজন মারা যায়।
স্ক্রিনশট ফ্রম মিডিয়া প্লেয়ার
এবং ব্রেনিয়্যাক কেও সেই মৃতদেহের পাশে পাওয়া যায়।তাই সবাই ব্রেনিয়্যাক কেই দোষী ভাবতে থাকে।তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে আটকে রাখা হয়।কিন্তু কারার একটু খটকা লাগে,ব্রেনিয়্যাক মহাবিশ্বের সব থেকে চালাক ব্যক্তি। তাইলে সে খুন করে লাশের আশে পাশে কেন থাকবে?তখন সে জেলখানায় ব্রেনিয়্যাক এর সাথে দেখা করতে যায়।
স্ক্রিনশট ফ্রম মিডিয়া প্লেয়ার
তখন ব্রেনিয়্যাক বলে আমি একটি ক্লোন।আমার মত আরো অনেক ক্লোন রয়েছে।তারা আমার মত জ্ঞানী,কিন্তু তারা তাদের জ্ঞান খারাপ কাজে লাগিয়েছে।আমাদের এই হেডকোয়ার্টার এ এমন একটি অস্ত্র আছে যা দিয়ে এই রিয়্যালিটির সব নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।আর এই অস্ত্র কে খুজছে ব্ল্যাক সার্কেল নামের এক টেরোরিস্ট গ্রুপ যার পেছনে আছে আমার মতই এক ব্রেনিয়্যাক ক্লোন।
স্ক্রিনশট ফ্রম মিডিয়া প্লেয়ার
আমার উদ্দেশ্য ছিল সেই ব্রেনিয়্যাক ক্লোনের আগেই ঐ অস্ত্রকে খুজে বের করা এবং তা নিরাপদ করা।যাতে এই রিয়ালিটি কে, ঐ ব্রেনিয়্যাক এর হাত থেকে বাচাতে পারি।
কারা দ্বিধা তে পড়ে যায়। কারন সব ব্রেনিয়্যাক ক্লোন ই কোন না কোন ভাবে ভিলেন।এ যদি সত্যি বলে তাইলেও পুরো বিশ্বের জন্য অনেক খারাপ কিছু অপেক্ষা করছে।আবার যদি মিথ্যা বলে তাইলে তাকে সাহায্য করা মানেই বিশ্বকে নিয়ন্ত্রন করার অস্ত্র তার হাতে তুলে দেওয়া।
স্ক্রিনশট ফ্রম মিডিয়া প্লেয়ার
ব্রেনিয়্যাক-৫ কি আসলেই সত্যি বলছে? কারা কি পারবে মহাবিশ্ব রক্ষা করতে? আর ব্রেনিয়্যাক যদি সেই ট্রেইনি সুপার হিরো কে হত্যা না করে তবে হত্যা করল কে?
ব্যক্তিগত মতামত
অ্যানিমেটেড মুভি দেখে কার্টুন মনে করবেন না।এসব মুভির প্লট বলিউডের ছবির থেকেও অনেক ভাল হয়।আর অ্যানিমেটেড হওয়ায় অ্যাকশন গুলোও হয় মারদাঙ্গা।ছবির প্রতি ধাপে ধাপে রহস্য দিয়ে ভরা। মুভির দৈর্ঘ্য ১ঘন্টা২৩মিনিট।আর এই ১ঘন্টা ২৩মিনিট আপনার অসাধারণ কাটবে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে ৪/৫দেব।
OR
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমি যেহেতু এই জাতীয় সিনেমা গুলো কখনো দেখি না তাই এর নামও আমার সঠিক জানা ছিল না। তবে নতুন একটি সিনেমা সম্পর্কে আপনার পোস্টের মধ্য দিয়ে ধারনা লাভ করলাম। আপনি বেশ চমৎকার রিভিউ করেছেন। সুযোগ পেলে আমি এই সিনেমাটা দেখার চেষ্টা করব। যেহেতু আপনি দেখেছেন আমি না দেখলে কেমন হয়। এত সুন্দর একটি রিভিউ সিনেমা করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আশা করি ভাল লাগবে।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit