গ্রামের হোটেল||খাওয়াদাওয়া

in hive-129948 •  2 years ago  (edited)

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও ভাল আছি।আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব একটি ভিন্ন ধরনের রেস্টুরেন্ট রিভিউ।

IMG_20221120_093941.jpg

আমরা মানুষরা বৈচিত্র পছন্দ করি। একটানা কিছু দেখলে,করতে থাকলে,খেতে থাকলে একসময় বিরক্ত হয়ে যাই,অর্থাৎ আমরা একঘেয়েমি পছন্দ করি না।আমাদের মাঝে মাঝে স্বাদ বদল করতে হয়।নইলে জীবন হয়ে ওঠে বিরক্তিকর অসহ্য।

এই কথা টা হয়ত খাবারের ক্ষেত্রেই সব থেকে বেশি খাটে।খাবার আমাদের দৈনিন্দিন জীবনের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের বাচার জন্য শক্তি প্রয়োজন,আর শক্তির জন্য খাবার প্রয়োজন।তাইলে দেখা যাচ্ছে খাবার টা আমাদের জন্য বাধ্যতামূলক।কিন্তু আমরা খাবার কে শুধুমাত্র বেচে থাকার জন্য খেতে হবে তাই খাই,এই পর্যায়ে রাখি নি।আমরা খাবার কে নিয়ে গেছি শীল্পের পর্যায়ে।

IMG_20221120_093930.jpg
নিজেরা তো বাড়িতে বিভিন্ন খাবার বানিয়ে খাই ই,সেই সাথে বাড়ির খাবার খেতে খেতে যখন একঘেয়েমি লাগে তখন চলে যাই রেস্টুরেন্টে,গিয়ে একঘেয়েমি কাটিয়ে নিজের রসনা পরিতৃপ্ত করি।

যাই হোক রেস্টুরেন্ট তো রেস্টুরেন্ট সে হোক শহরের ফ্যান্সি রেস্টুরেন্ট হোক আর গ্রামের নামহীন রেস্টুরেন্ট।আমি উদার মন মানষিকতার মানুষ।আমার কাছে ক্ষুধা লাগলে সব সমান।কেউ আবার বইলেন না,"ক্ষুধায় বাঘে ধান খায় এখানে উদারতার কি হল?"
IMG_20221120_093927.jpg
যাই হোক কয়েকদিন আগে মামা বাড়ি গিয়েছিলাম।মামা সকালে ঘুম থেকে উঠেই কাজে লাগিয়ে দেয়। অনেক খাটুনির পর মামাকে বললাম মামা এখন খেতে হবে।মামা বলল রান্না হয়নি অপেক্ষা করতে হবে।কিন্তু ক্ষুধায় পেটে ছুচো ডন মারছিল।তাই বাজারে চলে গেলাম যদি কিছু পাওয়া যায়।সাথে ছিল মামাতো ভাই ঋত্বিক আর অভি।

IMG_20221120_094154.jpg
তখন এই রেস্টুরেন্ট টি নজরে পরে।এগুলো প্রপার রেস্টুরেন্ট না।এগুলো কে সাধারণত ভাতের হোটেল বলা হয়। হোটেল গুলো খোলে খুবই সকাল সকাল।সকাল বেলা পরোটা,ডাল আর চা।সকালের এই মেনু চলে ৯-১০টা পর্যন্ত।এরপর গেলে আর পাবেন না।আমার কাজ শেষ করে বাজারে যেতে যেতে ১১টা বেজে গিয়েছিল।তাই অন্য সব হোটেলে সকালের নাস্তা বানানো বন্ধ।শুধু মাত্র এই হোটেলটি তে কিছু পরোটা ছিল।
IMG_20221120_094157.jpg
আমাদের হাতে অপশন ছিল ২টি,হয় ঠান্ডা পরোটা খাওয়া অথবা বাড়ি ফিরে যাওয়া।কিন্তু পেটে ক্ষুধার জ্বালা তাই বসে পড়লাম।পরোটা আর ডালের অর্ডার দিলাম।কারন পরটা আর ডাল ছাড়া ছিল না কিছু।প্রায় সাথে সাথেই চলে এলো খাবার।ক্যাটরিনার মত জিরো ফিগারের পরোটা,সাথে ডাল।
IMG_20221120_094110.jpg

মুখে দেওয়ার পর বুঝলাম ডালটি বেশ সুস্বাদু।আপনার যদি কখনো এরকম হোটেলে খেয়ে থাকেন তবে জেনে থাকবেন এই ডাল গুলোর একটি আলাদা টেস্ট থাকে যা বড় রেস্টুরেন্ট গুলো এমনকি বাড়ির খাবারেও পাওয়া যায়না।বেশ তৃপ্তির সাথে খেলাম।তবে পরোটা এত স্লিম হওয়ায় আমার আপত্তি ছিল।এই পরোটার দাম ১০টাকা এটা কোনভাবেই মানতে পারছিলাম না।যাই হোক খাওয়া শেষ করে ডালের প্রশংসা করে,পরোটার সাইজ নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে বের হলাম।
IMG_20221120_094729.jpg

তখন দেখি বাইরে এই বিশাল পতাকা টাঙ্গানো হয়েছে।ঢোকার সময় এটা ছিল না।যদিও আমি ব্রাজিল সাপোর্টার তারপরেও কেউ নিজের পছন্দের দলকে ভালবেসে এত বড় পতাকা বানিয়েছে দেখে ভাল লাগল।

ধন্যবাদ কষ্ট করে পোস্ট টি পড়ার জন্য।পোস্টে কোন ভুল হলে অবশ্যই ধরিয়ে দেবেন।পোস্ট কোয়ালিটি বাড়ানোর জন্য কোন পরামর্শ থাকলে মন্তব্য করে জানাতে দ্বিধা করবেন না।শুভ কামনা রইল আপনার জন্য

VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

banner-NEW.png
break2.jpg
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
break2.jpg

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

image.png

আমরা মানুষ আসলেই বিচিত্র আমরা একঘেয়েমি জীবন একদমই পছন্দ করি না সবসময়ই জীবনের মধ্যে নতুনত্ব খোঁজার চেষ্টা করি। আর এটা বেশিরভাগ সময় ঘটে খাবারের ক্ষেত্রে আপনি মামা বাড়িতে গিয়ে খিদার যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে বাজারে চলে গিয়েছেন, এবং সেখানে গিয়ে রেস্টুরেন্টের খাবার খেয়েছেন আসলে যখন প্রচন্ড রকম ভাবে ক্ষুধা লেগে যায় তখন সামনে যেটাই নিয়ে আসা হয় না কেন সেটা অমৃতের মত লাগে। সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো।

আপনাকে ধন্যবাদ পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

আপনি যাই বলেন না কেন একটু নাম করা না হলে ও এই দোকানের পরোটা গুলো আমার খুব ভালো লাগে খেতে।আপনি যে বললেন বেশি দিন একই জিনিস একঘেয়েমি লাগে।ঠিক আমার ও সব সময় ভালো খাবার ভালো লাগে না।এই ছোট দোকানের তেলে ভাজা পরোটা দিয়ে চা খেতে অনেক ভালো লাগে। বুঝতেই তো পারছেন মুখে রুচি থাকলে ধান ও খেতে ভালো লাগে।হা হা হা😂।

হ্যা আপু চা দিয়ে পরোটা বা রুটি দুটোই অসাধারণ লাগে। আমি মাঝে মাঝে ভার্সিটি যাওয়া আগে খাই।আমার মত পাওয়া গেল কাউকে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

বাহিরের ডাল পরোটা সবসময় খেতে বেশ ভালো লাগে। আমিও মাঝে মাঝে বাহিরের ডাল পরোটা খাই। হ্যাঁ ভাইয়া এখন অতটুকু একটা পরোটা ১০ টাকায় বিক্রি করে। আর বাহিরের এ ডাল সবসময় আলাদা একটা টেস্ট থাকে। আর্জেন্টিনার পতাকা দেখছি বেশ বড়সড়ই লাগিয়েছে।

হ্যা আপু পতাকা টা আরো বড় ছিল,পুরো টা ক্যামেরায় আসে নি।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

এই ধরনের ভাতের হোটেলে যে কত খেয়েছি কোন হিসেব নেই। এই হোটেলগুলোতে হাইজিন কিছুটা কম মেইনটেইন করলেও এই পরিবেশে খেতে আলাদা এক অনুভূতি কাজ করে। আপনার ডাল পরোটা দেখে আমার ক্ষিদা লেগে গেল। পরোটা ঠান্ডা হলেও ক্ষুদা ত নিবারণ হল। আর্জেন্টিনার পতাকা যত বড় খেলে তত অসুন্দর। ধন্যবাদ ভাইয়া।

আর্জেন্টিনার একটু খারাপ সময় যাচ্ছে ভাই,আশা করি নিজেকে গুছিয়ে নিবে রাইভাল টিম।রাইভাল না থাকলে মজা কোথায়।ছাত্র জীবন মানেই তো এরকম হোটেলেই নাস্তা।ধন্যবাদ ভাই ধন্যবাদ গুছানো মন্তব্য করার জন্য।

গ্রামের হোটেল গুলোতে খাওয়া দাওয়া করতে অনেক রকম একটা অনুভূতি হয়। আমার কাছে তো ভীষণ ভালো লাগে। পরোটা তো আমার প্রিয়। সকাল বেলায় পরোটা না হলে আমার জমে না। আর্জেন্টিনার পতাকা তো দেখছি অনেক বড়। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।

আসলেই ভাই গ্রামের হোটেলের কিছু খাবার আছে যা অনেক সুস্বাদু।বেশি পরোটা খাওয়া ঠিক না।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

একঘেয়েমি জীবন থেকে বেরিয়ে আসতে সবারই মন চায়। টং এর দোকানের চা খুব ভাল হয় আমি দেখেছি খেয়ে।এত খুঁতখুঁতে মানুষ আমি, সেই আমিই দেখেছি।আপনি হোটেলে গিয়ে খেয়ে সেই অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন অনেক ভাল লাগলো। আমিও ব্রাজিল ভাইয়া, চিমটি। 🥰

বাহ বাহ আরেকজন ব্রাজিল সমর্থক পেয়ে গেলাম। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

আমাদের এদিকে ও এরকম পরোটা গুলো ১০ টাকা। তবে আমিও মাঝেমধ্যে বিভিন্ন রকম কিছু খেতে ভালোবাসি। তবে ডাল পরোটা দেখে মনে হয় খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। এরকম ডাল পরোটা অনেক সময় আমরা বাড়িতে এনে খেয়েছি। মনে হয় শেষ পর্যন্ত ডাল পরোটা পেয়েছেন এটাই সৌভাগ্য বলতে হবে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

হ্যা আপু কপাল অনেক ভাল।নইলে ঘন্টা দুই আরো না খেয়ে থাকতে হতো।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

আসলে গ্রামের দিকে ষর এই দোকানগুলোকে ঠিক রেস্টুরেন্ট বলা যায় না। এগুলো প্রপার হোটেলই বলা যায়। যেগুলোকে ভাতের হোটেল বলে। এই হোটেল গুলোর অনেক আইটেমই হয় যেগুলো বেশ সুস্বাদু হয়। যদিও তুমি পরোটায় বেশি খুশি হওনি।তবে অন্তত ডালটা যে টেস্টি ছিল সেটা একটা ভালো ব্যাপার।যাক মামা বাড়িতে গিয়ে বেশ মামার সাথে কাজবাজ ভালই হচ্ছে। এর পরে তো আবার মাসির বিয়ে আছে।

মাসির বিয়ের কাজ করতে করতেই তো গেছিলাম দিদি। প্রচুর খাটতে হয়েছে।ধন্যবাদ দিদি সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

ঠিকই বলেছেন সব সময় এক রকম খাবার খেতে আমার কাছেও ভালো লাগেনা। মাঝেমধ্যে খাবারের ভিন্নতা আনতে বাহিরের হোটেলে খাওয়া হয়। আর দোকানের পরোটা এবং ডাল খেতে খুবই ভালো লাগে। হোটেলের ডালগুলোর টেস্ট একটু আলাদা হয়ে থাকে। যাই হোক পরে তো আপনার ক্ষুধা নিবারণ হল। আর বড় আর্জেন্টিনার পতাকা টি দেখে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।

এক রকম খাবার খেতে কারোই ভাল লাগে না আপু। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।