ইফতারের দাওয়াত

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসী।আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও ভাল আছি।আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব স্টুডেন্ট দের সাথে ইফতার করার কিছু মুহুর্ত

কয়েকদিন থেকে রোজা শুরু হয়ে গেছে। সারাদিন রোজা রাখার পর সন্ধ্যায় ইফতার। প্রতিবছর প্রথম রোজা থেকেই আমার ইফতার শুরু হয়ে যায়। কারন সন্ধ্যায় কোন না কোন টিউশন থাকত।তাই তাদের সাথেই ইফতার করা লাগত। এছাড়া বন্ধুবান্ধব রা তো আছেই।

তবে এবার কয়েকটা রোজা পার হয়ে গেল। বন্ধু বান্ধব নেই, আবার সন্ধ্যার পর টিউশন ও নেই।একা একা হয়ত কিনে ইফতার করা যায়,কিন্তু সেটা তে মজা নেই। যাই হোক অবশেষে গতকাল দাওয়াত পেলাম ইফতার এর। দাওয়াত দিয়েছিল আমার দ্বিতীয় প্রজন্মের স্টুডেন্ট। দ্বিতীয় প্রজন্মের স্টুডেন্ট বললাম কারন এর বড় বোন ও আমার কাছে পড়ত।

যাই হোক গতকাল দুপুরে নিমি ফোন দিল,ফোন দিয়ে বলল ভাইয়া আপনার দাওয়াত। আমি প্রথমে খুশি হয়ে গেলাম।ভাবলাম দুপুরের খাবার টা বেশ হবে। তারপর মনে পড়ল আরে এখন তো রোজা, তাইলে আবার দাওয়াত কি করে? আমিও মজা করে বললাম,রোজার মাঝে দাওয়াত। খাওয়াদাওয়া কি ঈদের পরে?

তখন নিমি বলল," আরে ভাইয়া সত্যই দাওয়াত,তবে দাওয়াত ইফতার এর সময়"। আর দাওয়াতে আপনার জন্য সারপ্রাইজ আছে। যাই হোক আমি ভুলেই গেছিলাম দাওয়াত এর কথা। সন্ধ্যায় ঘুমাচ্ছিলাম,হঠাৎ নিমি আবার ফোন দিল।বলল ইফতার এর সময় হয়ে গেছে তারাতারি চলে আসেন।

তারাতারি হাজির হয়ে গেলাম,গিয়ে দেখি এলাহি কান্ড। সাধারণ ইফতার এর আইটেম তো আছেই,সেই সাথে রয়েছে আমার প্রিয় খিচুড়ি। অনেক খিচুড়ি খেয়েছি কিন্তু দুইজন মানুষের খিচুড়ি আমার খুবই প্রিয়,আমার মতে এর থেকে ভাল খিচুড়ি মাস্টার শেফ ও বানাতে পারবে না। এই দুইজনের একজন আমাদের বৃষ্টিচাকি আর দ্বিতীয় এই আন্টি৷

আর আন্টি জানে খিচুড়ি আমার অনেক পছন্দ,তাই আন্টি খিচুড়ি রান্না করলেই আমাকে দাওয়াত দেন।বৃষ্টি চাকি কাকিমাও তাই করেন৷ যাই হোক আমি গিয়ে দেখি সব রেডি। এর মাঝে আজান ও দিয়ে দিল। সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া শুরু করলাম। বরাবরের মত আজকেও খিচুড়ি অসাধারণ হয়েছিল। তারপর আবার শেষ পাতে সারপ্রাইজ হিসেবে ছিল পায়েস।একদম ষোলকলা পূর্ণ।

VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy


_{আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।}