নারী দিবসের শুভেচ্ছা

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসি। আশা করি সবাই ভাল আছন।আমিও ভাল আছি। আজ শেয়ার করব নারী দিবস নিয়ে আমার কিছু ভাবনা চিন্তা

সোর্স

আজ ৮মার্চ। আন্তর্জাতিক নারী দিবস। নারী দিবসের ইতিহাস গুরুত্ব কি আমরা জানি? কেন প্রতিবছর পালন করা হয় তা নিয়ে আমাদের ধারনা কতদুর? যদি আপনি জানেন বা আপনার খুব ভাল ধারণা থাকে তবে আপনাকে অভিনন্দন। কিন্তু আপনি যদি না জেনে থাকেন তাইলে একটু ধারণা দেই।

নারী দিবস শুরু হয়েছিল শ্রমিক আন্দোলন এর মধ্য দিয়ে। শীল্প বিপ্লবের প্রথম দিকে যখন কলকারাখানা গড়ে উঠছে তখন পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও কাজে যোগ দেয়। কিন্তু নারীরা পুরুষদের তুলনায় বেতন পেতেন কম,তাদের কর্মঘন্টাও ছিল অমানবিক। এর প্রতিবাদে নারী শ্রমিকরা নেমে আসেন রাস্তায়।

তারা দাবী জানাতে থাকেন মজুরি বাড়ানোর এবং কর্মঘন্টা কমানোর। কিন্তু সরকার তাদের সেই যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার বদলে তাদের উপর লাঠিচার্জ করে। যেমনটা হয়েছিল আমাদের ভাষা আন্দোলন এ। ফলে আন্দোলন আরো বেগবান হয়। এবং বিভিন্ন চড়াই-উতরাই পেরিয়ে অবশেষে নারী শ্রমিকরা তাদের দাবি বাস্তবায়ন করে।

জার্মান সমাজবিদ ক্লারা জেটকিন ৮মার্চ নারী দিবস পালনের প্রস্তাব দেন।এবং তারপর থেকেই ৮মার্চ নারী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। এই নারী দিবস কিন্তু সাধারণ শ্রমিক আন্দোলন নয়। এই নারী দিবস অনুপ্রেরণা যোগায় নারীদের যে কোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে।কিন্তু বাস্তবতা কি?

বাস্তবতা হচ্ছে সমাজে নারীদের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি খুব বেশি একটা বদলায় নি। এখনো নারীরা নানা বৈষম্যের শিকার। এই যেমন কিছু দিন আগে গ্রামে গিয়েছিলাম আলু তুলতে। আলু তোলার কাজে নারী,পুরুষ উভয় শ্রমিকই কাজ করছে৷ কিন্তু মজুরি দেওয়ার সময় জানতে পারলাম পুরুষরা পাবে ৫০০ আর নারীরা ৪০০। কারন মালিকের মতে নারীরা নাকি পুরুষদের থেকে দুর্বল,তাই তারা কাজ ও কম করে।

শুধু কর্মক্ষেত্রেই নয় শিক্ষাক্ষেত্রে বলুন আর যে ক্ষেত্রেই বলুন।এখনো নারীদের অনেকটা উপেক্ষাই করা হয়,বলা হয় নারীদের বুদ্ধি কম।ফলে অনেক ক্ষেত্রেই তাদের মতামত কেউ অগ্রাহ্য করা হয়। এছাড়াও নানা রকম বৈষম্য তো আছেই৷ তবে আবার পরিবির্তন এর হাওয়া যে একেবারে লাগে নি তা বলা যায় না।
সমাজে কিছু কিছু পরিবর্তন আসছে। শিক্ষার গুণে এখন মানুষ আস্তে আস্তে বুঝতে শিখছে নারীরা পুরুষদের থেকে কোন অংশে কম নয়। তারাও সমাজের উন্নয়নে সমান অবদান রাখছে।

এই নারী দিবস পালনের উদ্দেশ্য কি পূরণ হচ্ছে? নাকি নারী দিবস পালন শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতার মাঝেই সীমাবদ্ধ? আপনার মতামত জানান কমেন্টে।

আজকের পোস্ট এপর্যন্তই। সম্পুর্ণ পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ।ভুল ত্রুটি মার্জনীয়।