বিজয় দিবস উদযাপন||

in hive-129948 •  2 years ago 

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসী।আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও ভাল আছি।প্রথমেই সবাইকে জানাই মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।

pexels-moshiur-rahman-bijoy-5111819.jpg

সোর্স

আজকের এই দিনে ৩০লক্ষ শহীদ আর ২লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের কাঙ্ক্ষিত বিজয়।শেষ হয় নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ।শেষ হয় বাংলার দামাল ছেলেদের বুকের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতার সংগ্রাম।

বড় বড় সেনানায়কের মতে বাঙালী নাকি ননমার্সাল রেস অর্থাৎ গোর্খা,শিখদের মতো যোদ্ধা জাতি নয়।ভাত খাওয়া ভীতু জাতি।কিন্তু আমি তাদের সাথে একমত কখনোই হতে পারি না।বাঙালী এমন একটি জাতি যারা মাতৃভাষার জন্য বুকের তাজা রক্ত দিয়েছে।যখনই কেউ বাঙালীদের দমানোর চেষ্টা করছে তখনই বাঙালী তেজ জ্বলে উঠেছে।দেখিয়ে দিয়েছে বাঙালী কারো থেকে কম নয়।

চিন্তা করুন পাকিস্তানী ওয়েল ট্রেইনড ও সমরাস্ত্রের সামনে মান্ধাতার আমলের থ্রি নট থ্রি রাইফেল নিয়ে দাড়াতে ভয় পায় নি।অপারেশন জ্যাকপট নামটি অনেকেই শুনে থাকবেন।এটি মুক্তযুদ্ধ চলাকালীন বাংগালী মুক্তিসেনাদের দ্বারা চালানো একটি বিখ্যাত অপারেশন।এটি ছিল পুরোপুরি একটি সুইসাইডাল মিশন।এই অপারেশন এর বাছাইয়ের সময় একটি ফর্মে স্বাক্ষর করতে হত যেখানে লেখা থাকত,আমি দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন বিসর্জন দিতে সম্মত হয়েই এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করছি।যুদ্ধে আমার মৃত্যু ঘটলে কেউ দায়ি থাকবে না।

তাদের প্রশিক্ষণ নিতে হত অত্যাধুনিক পোষাক ছাড়া।ঠান্ডা,বর্ষায় ঘন্টার পর ঘন্টা নদীর বুকে প্রশিক্ষণ চালিয়ে যাওয়া।শুধু দেশকে ভালবেসে।মতিউর শত্রুঘাটিতে স্ত্রী সন্তান রেখে, বিমান ছিনতাই করে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন শুধু দেশকে ভালবেসে।তিনি জানতেন তার এই কাজের ফলে তার স্ত্রী সন্তানের জীবন নরকতুল্য হয়ে উঠবে তারপরেও তিনি দ্বিতীয়বার ভাবেন নি।বাকি বীরশ্রেষ্ঠরাও রেখে গেছেন সাহসিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত।

এমন হাজার হাজার বীরত্বগাথা নিয়ে রচিত আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস।যার প্রতি সেকেন্ড ত্যাগের।প্রতিসেকেন্ড বাংলার সোনার ছেলেদের বুকের রক্তে রঞ্জিত।কিন্তু বাংগালী তবুও দমে যায় নি।নিজের সবটা দিয়ে লড়াই করে গেছে।

অবশেষে ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী বুঝতে পারে পতন অনিবার্য। আত্মসমর্পণ না করলে একজন পাকিস্তানি সেনাও জিবীত ফিরতে পারবে না।এর ফলে আত্মসমর্পণ করেন পাকিস্তানী বাহিনীর ৯৩ হাজার সৈন্য।অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়।

যুদ্ধের শুরু থেকেই প্রতিবেশিদেশ ভারত প্রচুর সাহায্য করেছে।অস্ত্র,গোলাবারুদ,প্রশিক্ষণ, শরণার্থীদের আশ্রয়।সেজন্য তাদের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি।প্রার্থনা করি সকল শহীদ দের জন্য,যাদের প্রাণের বিনিময়ে আমরা অর্জন করেছি আমাদের এই বিজয়।আমাদের প্রত্যেকের উচিত দেশের প্রতি কর্তব্য পালন করে সেই বিজয়কে সমুন্নত রাখা।

সবাইকে পুনরায় বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।সম্পূর্ণ ব্লগটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।ভুল ত্রুটি মার্জনীয়

VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

banner-NEW.png
break2.jpg
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
break2.jpg

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

প্রথমে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা। আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক ৩০ লক্ষ মানুষের প্রাণের বিনিময়ে আমাদের অর্জিত এই স্বাধীনতা। আমরা বাঙালি ভাবলে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে বাঙালি হিসেবে আমি অনেক গর্ব বোধ করি। শহীদদের প্রতি রইল অনেক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। খুব সুন্দর গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

আপনাকেও ধন্যবাদ আপু সুন্দর গোছানো মন্তব্য করার জন্য।

image.png

প্রথমেই বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানাই। আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক এবং ত্রিশ লক্ষ তাজা প্রানের বিনিময়ে আমাদের এই অর্জিত স্বাধীনতা। কিন্তু স্বাধীনতার এই ৫২ তম দিবসেও এসে আমরা কতটুকু স্বাধীনতা অর্জন করতে পেরেছি দারিদ্র্যতা, দুর্নীতি আর বৈষম্যের মাপকাঠিতে এ প্রশ্ন রইলো সবার কাছে? তবুও বলি বাঙালি রক্ত আমাদের রক্তে বইছে বইছে, ঘোর অন্ধকার কাটিয়ে স্বাধীনতার সূর্যোদয় হবেই হবে। যেখানে দারিদ্রতা আর দূর্নীতি মাথা চারা দিয়ে উঠতে পারবেনা।

ভাইয়া আপনার প্রশ্নটা যথাযথ এবং যুক্তিসংগত।তবে আমরা যদি কঠোর হই তবে দুর্নীতির সুযোগ কেউ পাবে না। আমরাই একটু সুবিধা ভোগের জন্য ওদের ঘুষ দিতে উৎসাহিত করি। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

বিজয় দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
রক্তের বিনিময়ে আমাদের এই স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। বাঙালির ইতিহাস মনে পড়লে আসলেই গর্ববোধ হয়। দীর্ঘ নয় মাস রক্ত খয়ী যুদ্ধের তোর আমাদের এই স্বাধীনতা। প্রতিবেশী দেশ ভারত নানান ভাবে বাংলাদেশকে সমর্থন করেছিলেন।

ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

আপনাকে জানাই বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা। বাংলাদেশ আজ পৃথিবীর মানচিত্রে এক স্বতঃস্ফূর্ত স্বাধীন দেশ এই দেশের জন্য এমনি এমনি হয় লাখো লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে এবং মা বোনের সম্ভ্রমের দামে কেনা এই স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিজয় লাভ করে। সেই থেকে এই দিনটি আমাদের কাছে চির স্মরণীয়।

ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

এমন হাজার হাজার বীরত্বগাথা নিয়ে রচিত আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস।যার প্রতি সেকেন্ড ত্যাগের।প্রতিসেকেন্ড বাংলার সোনার ছেলেদের বুকের রক্তে রঞ্জিত।কিন্তু বাংগালী তবুও দমে যায় নি।নিজের সবটা দিয়ে লড়াই করে গেছে।

হাজারো ইতিহাস কথা হাজারও জীবনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে পেয়েছি আমরা এই স্বাধীনতা।।
অনেক সুন্দর এবং গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য দিয়ে অনেক সুন্দর একটি আলোচনা করেছেন খুবই ভালো লাগলো শহীদদের প্রতি রইল গভীর শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা।।

ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

১৬ই ডিসেম্বর হানাদার বাহিনী বুঝতে পারে তারা বিজয়ী হওয়া সম্ভব নয়। তারা বুঝতে পেরেছিল যদি তারা আত্মসমর্পণ না করে তাহলে একজন পাকিস্তানি সেনা ও তাদের দেশে যেতে পারবে না। এজন্য 93 হাজার সেনা আত্মসমর্পণ করেছেন। আর এজন্যই ১৬ই ডিসেম্বর অর্জিত হয়েছে বিজয়। আমাদের স্বাধীনতার জন্য যারা শহীদ হয়েছেন সবার প্রতি রইল শ্রদ্ধা ও সালাম।

শহীদ দের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

ঠিকই বলেছেন ভাইয়া, নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের কারণেই আজকে আমাদের অর্জিত এই দেশ। ৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে আজকে আমরা বিজয় দিবস পালন করছি। ঠিক বলেছেন তারা দেখিয়ে দিয়েছে বাঙালি কারো থেকে কম নয়। তারা কোনভাবেই হার মানতে রাজি হয়নি। নিজের দেশের জন্য জীবন দিয়েছে। আপনার বিজয় নিয়ে স্মরণে লেখাগুলো ভীষণ ভালো লাগলো।

ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

সত্যি ভাইয়া ৩০ লক্ষ মানুষের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা।মতিউর মতো মানুষের জন্য আজ আমার পেয়েছি স্বাধীনতা।৯৩ হাজার সৈন্য আত্মসমর্পণ করেছিল বলে, আজ আমাদের এই বিজয়। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ বিজয় দিবসে নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।

অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

ঐসব সেনা নায়কেরা হয়তো জানে না দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে বাঙালি কাউকে ভয় পাই না। তাদের দেশের উপর ভাষার উপর আঘাত করলে তারা ছাড় দেবে না। আর আমাদের ছিল অসংখ্য বীর সেনা। যারা দেশের জন্য জীবন বাজি রাখতে কোনো দ্বিধাবোধ করেনি। সবকিছুর বিনিময়েই আজকের এই স্বাধীনতা। বেশ চমৎকার লিখেছেন দাদা।।

অবশ্যই বাঙালীরা চাইলে সব করতে পারে।ধন্যবাদ সুন্দর উৎসাহ মূলক মন্তব্য করার জন্য।

আপনাকেও ভাইয়া বিজয় দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আজকের এই বাংলাদেশ। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, এই দেশটিকে আমাদের বিশ্বের কাছে তুলে ধরার দায়িত্ব আমাদের ই।এই দেশকে দারিদ্র্য মুক্ত, ক্ষুধা মুক্ত করার দায়িত্ব আমাদের সকলের নিতে হবে। এই বিজয় দিবসে এই পণ করি সবাই যে দেশকে এত এত বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাদের জীবন বাজি রেখে আমাদের কে উপহার দিয়ে গেল,সেই দেশের মান আমরা রাখব।বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ কে তুলে ধরব স্বাধীন একটি দেশ হিসেবে।অনেক ভাল লিখেছেন ভাইয়া। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।