শিশির ভেজা সকালে পুকুর পাড় হতে মাকড়সার জালের ফটোগ্রাফি

in hive-129948 •  last year 
আসসালামু আলাইকুম

img_1700200072022.jpg

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমি আপনাদের দোয়ায় মোটামুটি অনেক ভালো আছি। সকলকে শুভকামনা জানিয়ে শুরু করছি নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের কাছে ভিন্ন ধর্মী একটি পোস্ট শেয়ার করতে চাচ্ছি। জানিনা এমন পোস্ট কখনো দেখেছেন কিনা। আমরা অনেক কিছুই ফটোগ্রাফি করে থাকি তবে কিছু কিছু জিনিস রয়েছে যেগুলোর দিকে লক্ষ্য করে দেখি না। একদিন সকালে পুকুরে যাওয়ার খুব ইচ্ছে হলো আর সেখান থেকেই বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম। কখনো এ জাতীয় ফটোগ্রাফি পূর্বে করি নাই তাই চেষ্টা করছি ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের দেখানোর।


ফটোগ্রাফি সমূহ:



আমাদের পুকুর পাড়ে একটি পাইপ পোতা রয়েছে। যে সময় বৃষ্টি হয় না সেই সময় এই পাইপের মাধ্যমে পানি তুলে পুকুরে পানি দেয়। তাই কিছুদিন আগে যখন আমি উপরে অবস্থান করছি সকালবেলায় হঠাৎ পাইব টার প্রাণ আমার নজর আসলো। আমার তখন ইচ্ছে হলো একটি ফটোগ্রাফি করি আমাদের পরিবারের লোকজনকে দেখাতে পারবো আমার শ্বশুরবাড়িতে পুকুরপাড়ে পানি দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। যখন আমি ফটোগ্রাফি টা করলাম হঠাৎ লক্ষ করলাম ফটোগ্রাফির মধ্যে মাকড়সার বাসা। সকাল ভরে শিশির পরে তাই মাকড়সার বাসায় পানি জমে রয়েছে। বিষয়টা আমার কাছে বেশ ইন্টারেস্টিং মনে হল তাই ভাবলাম মাকড়সার বাসা যদি ফটোগ্রাফি করে আমার বাংলা ব্লগে শেয়ার করি তাহলে কেমন হয়। এরপর ভেবেচিন্তে দেখলাম আমার আশেপাশে তো অনেকগুলো এমন বাসা রয়েছে আগে কখনো খেয়াল করি না। তাই আমি লেগে পড়লাম সুন্দর করে ফটোগ্রাফি করব এই চিন্তায়। আমি যখন শুরু করলাম আমার কার্যক্রম তখন চোখে একটা মাকড়সা বাধলো না। এরপর আমি ছোট ছোট এই মাকড়সার বাসা গুলো ক্যামেরা বন্দি করার জন্য উঠে পড়ে লাগলাম।

IMG_20231016_063411_028.jpg

IMG_20231016_063341_710.jpg

IMG_20231016_060639_285.jpg

IMG_20231016_063343_264.jpg

কিছুটা সময় ধরে আমি আমার মত করে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করছি মাকড়সার বাসার এই মুহূর্তে কয়েকটা জায়গায় আমি লক্ষ্য করে দেখতে পারলাম মাকড়সা রয়েছে জালের নিচে উপরে না। এজন্য হয়তো আমার চোখে এত পূর্বে মাকড়সা বাঁধেনি। তবে যাই হোক নিয়েরের পানি অর্থাৎ শিশির ভেজা কারণে মাকড়সার জাল গুলো দেখতে বেশ উজ্জ্বল লাগছিল। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি মাঝেমধ্যে আমার হাজবেন্ডের মোবাইল থেকে ফটোগ্রাফি করে থাকি বিভিন্ন পর্যায়ের ফটোগ্রাফি বিয়ের পর থেকে যাবত পর্যন্ত অনেক করেছি কিন্তু কোনদিন এভাবে এই জিনিস স্বচক্ষে দেখি নাই বা লক্ষ্য করি নাই। হয়তো আজকেও চোখে বাধতো না যদি শিশির ভেজা অবস্থায় না থাকতো। এরপর আমি পুকুরপাড়ের ঘাসের উপর দিয়ে কিছুটা এগিয়ে অন্য পুকুরের দিকে যেতে থাকলাম লক্ষ্য করে দেখলাম জায়গায় জায়গায় এমন মাকড়সার বাসা অনেক রয়েছে। আমি তখন আমার হাজবেন্ডের কাছে জানতে চাইলাম এই জাতীয় মাকড়সার বাসা কি সব সময় থাকে। সে উত্তর দিল শীতকালে দেখা যায়। তখন বুঝতে পারলাম হয়তো কুয়াশার পানি অথবা শিশির ভেজা পানির কারণে চোখে বাধে তাই শীতকালে দেখা যায় বলল। যাইহোক আমি আর তার কাছে বেশি কিছু না জানতে চেয়ে তার পিছু পিছু পুকুরগুলো ঘুরতে থাকলাম। যে সমস্ত মাকড়সার জালগুলো সামনে বা পিছনে বাধ্য থাকলো তার মধ্যে থেকে সুবিধা জনক ভাবে ফটোগ্রাফি করতে থাকলাম। কারণ পাওটা পথ দিয়ে চলতে যে কয়টা সামনে বাধছিল ভালো রকম সে কয়টা ফটো করেছি। এছাড়া সামনে পিছে আরো যেগুলো ছিল সেগুলোর কাছে যায়নি, শিশিরের পানিতে পা অথবা কাপড় ভিজে যাবে এভয়ে।

IMG_20231016_060611_011.jpg

IMG_20231016_060630_564.jpg

IMG_20231016_060608_239.jpg

IMG_20231016_060609_584.jpg

IMG_20231016_060522_929.jpg

IMG_20231016_060557_790.jpg

IMG_20231016_060520_400.jpg

এরপর একটি জায়গায় বসে আমি আরো কিছু সুন্দর করে মাকড়সার জাল ফটোগ্রাফি করলাম। আমাকে দেখে মাকড়সা এই দিক থেকে ওদিক ওদিক থেকে এদিকে সরে যেতে লাগলো। কিছুটা সময়ের জন্য আমি যেন মাকড়সার সাথে খেলা শুরু করে দিলাম। তবে তখন বেশ কুয়াশা পড়ছে মনে হল গা শীতল হয়ে আসতে থাকলো। এদিকে সে আমাকে ঝাড়ি মারতে থাকল সকালবেলায় পুকুরপাড়ে এসে ঘাসের মধ্যে পাগলামি করছে এই সে বলতে লাগায় আর বেশি ফটোগ্রাফি করতে পারলাম না। তবে অনেকদিন পর মনে হল যেন ছোটবেলায় সাথীদের সাথে যেভাবে হাঁড়িকুড়ি খেলাধুলা করতাম, ঠিক তেমনি খেলার অনুভূতি খুঁজে পেয়েছি এই মাকড়সার জালের ফটোগ্রাফি করতে গিয়ে। আশা করি আমার ফটোগুলো আপনাদের ভাল লেগেছে। আবারো উপস্থিত হব নতুন কোন ফটো নিয়ে।

IMG_20231016_060514_898.jpg

IMG_20231016_060655_398.jpg

IMG_20231016_060654_324.jpg
Photography device: Infinix hot 11s
লোকেশন


পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

received_434859771523295.gif


পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ।

TZjG7hXReeVoAvXt2X6pMxYAb3q65xMju8wryWxKrsghkLbdtHEKTgRBCYd7pi9pJd6nDf4ZPaJpEx3WAqvFVny2ozAtrhFXaDMnAMUAqtLhNESRQveVFZ7XHcED6WEQD48QkCkVTAvNg6.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ফটোগ্রাফি পোস্ট পড়তে আমার ভীষণ ভালো লাগে. অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখতে পায় এবং দারুন কিছু ফটোগ্রাফি আপনি আজকে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন মাকড়সার জালের ফটোগ্রাফি। জ্বী আপু এগুলো শীতকালে দেখা যায় এবং দারুনভাবে বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে আপনি ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করেছেন।

আপু ফটোগ্রাফি পোস্ট করার নিয়মে বলা হয়েছে যে একটিমাত্র ফটোগ্রাফি দিয়ে ফটোগ্রাফি করা যাবেনা। আপনি সাতটি ফটোগ্রাফি দিয়ে ফটোগ্রাফি করতে পারবেন।

জি আমি সেটাই চেষ্টা করেছি

অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছ। দীর্ঘ দুই বছর ধরে কাজ করছি কিন্তু এ জাতীয় ফটোগ্রাফিগুলো কখনো লক্ষ্য করা হয়নি। তবে যাই হোক মাকড়সার জাল ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু অনেক সুন্দর হয়েছে।

খুশি হলাম সুন্দর মন্তব্য পেয়ে

শিশির ভেজা সকালে ঘাসের উপর দিয়ে খালিপায়ে হাঁটাহাঁটি করতো অনেক ভালো লাগে। আপনি দারুন দারুন ফটোগ্রাফির সাথে সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করেছেন। মাকড়সার জালের ফটোগ্রাফি গুলো বেশ সুন্দর হয়েছে। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ

Posted using SteemPro Mobile

আমি চেষ্টা করেছিলাম ফটোগুলো ধারণ করতে

খালি চোখে মাকড়সার জালগুলো খুব একটা বেশি দেখা যায় না। তবে একটু ভালোভাবে দেখার চেষ্টা করলে এই মাকড়সার জালগুলোকে দেখতে পাওয়া যায়। আজকে আপনি শিশির ভেজা এই মাকড়সা জালের যে ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন তা একদম অসাধারণ হয়েছে। শিশিরের কারণে এই মাকড়সার জালগুলোকে খুবই সুন্দরভাবেই দেখা যাচ্ছে। আর এত সকাল বেলা এরকম সুন্দর ফটোগ্রাফি করতে যাওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই।

হ্যাঁ ভাই ক্যামেরায় অনেক ভালো লেগেছে

শীতের সকালে শিশির ভেজা দৃশ্যগুলো ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। পুকুর পাড়ে মাকড়সা জালের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিল। বিশেষ করে শিশির পড়ায় এর সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। সুন্দরভাবে প্রতিটা ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছেন।

Posted using SteemPro Mobile

আপনার মন্তব্য পেয়ে অনেক খুশি হলাম

মাকড়শা জাল দিয়ে ঘর বানিয়েছে নিখুত ভাবে।
খুব ভালো লাগছে মাকড়শার জাল দেখতে।তার উপরে শিশির বিন্দু পড়ে মাকড়সার জালের সুন্দর্য বেড়ে তুলেছে দ্বিগুণ ভাবে।সুন্দর ফটোগ্রাফি করার জন্য ধন্যবাদ।

মাকড়সা অনেক সুন্দর ঘর বানাই