হাজবেন্ডে সাথে গাংনী স্বর্ণ অলংকারের ঘরে একদিন

in hive-129948 •  10 months ago 


আসসালামু আলাইকুম

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমি আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। সকলকে শুভকামনা জানিয়ে শুরু করছি আজকের একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি হাজবেন্ডের সাথে গাংনী বাজারে উপস্থিত হয়েছিলাম বিশেষ প্রয়োজনে। আর তার মধ্য থেকে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব আজকে‌। আর সেই উদ্দেশ্যে উপস্থিত হলাম। আশা করি আমাদের পোস্টটি আপনাদের ভাল লাগবে।

IMG_20230907_120548_580.jpg


আমাদের থানা গাংনী। আমি এই শহরেই লেখাপড়া করেছি। বিয়ের পর প্রায় প্রয়োজনের স্বামীর সাথে এই বাজারে কেনাকাটা বা ডাক্তারের কাছে এসে থাকি। ঐদিন আমরা গাংনীতে এসেছিলাম একাধিক প্রয়োজনে। তার মধ্যে বিশেষ প্রয়োজন ছিল আমার কানের দুল, আমার বোনের কানের দুল সহজ সোনার একটা জিনিস নতুন করে ঠিক করতে হবে এই জন্য আমার এক ফুবাতো ভাইয়ের স্বর্ণের দোকানে যাচ্ছি।

IMG_20230907_123305_920.jpg

প্রথম বাড়ি থেকে গাড়িতে উঠেছিলাম। এরপর আরেকটা গাড়ি চেঞ্জ করে হাসবেন্ডের সাথে সোজা গাংনীতে চলে আসলাম। সেখান থেকে গাড়িতে নেমে এরপর পৌঁছে গেলাম আমাদের ভাইয়ের দোকানে। এসে উপস্থিত হয়ে দেখি ভাইয়া তার স্বর্ণের দোকান সবেমাত্র ওপেন করলো। ভাইয়ের নাম বিপুল। উনি খুব সাদাসিধা মনের মানুষ। আমাদের পরিবারের সমস্ত স্বর্ণ অলংকার গুলো উনার কাছ থেকেই তৈরি করে নেয়া হয়। এতে কিছুটা হলেও আমাদের সুবিধা আর সাশ্রয়ী হয়ে থাকে। আমাদের বিয়েতে আংটি এনার কাছ থেকে তৈরি করে নেয়া হয়েছিল।

IMG_20230907_120356_948.jpg

IMG_20230907_120353_957.jpg

আমি একে একে আমার আর আমার বোনের স্বর্ণ অলংকার বের করতে থাকলাম ব্যাগের মধ্য থেকে আর হাজবেন্ডের হাতে দিলাম। তুমি হঠাৎ করে বলে বসলো তোমাদের জিনিসগুলো ফটো থাকলে পারে ব্লগ সাজানো যাবে আবার বিশেষ প্রয়োজন হতেও পারে ছবি তোলা থাক না। তখন চিনতা করে দেখলাম সত্যি তো। তাই বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করে ফেললাম সেই মুহূর্তে।

IMG_20230907_122036_481.jpg

IMG_20230907_122029_807.jpg

IMG_20230907_120336_583.jpg

এরপর হাতের বাইলা গলার হার সবকিছুই যেগুলো এনেছিলাম একের পর এক একটি ছোট বাটির মধ্যে রাখলাম। যেহেতু বিপুল ভাইয়া এই বাটিটা আমার হাতে দিল। এটাই করে উনি মেপে দেখবেন সবকিছু। পাশাপাশি বিপুল ভাইয়া তার রুম সাজানোর বিষয়ে আমাদের মাঝে গল্প করছিল। তার এই দোকানটা সাজাতে কয়েক লাখ টাকা খরচ হয়েছে বলেছিল। আমি তো সোনা মাত্র অবাক হয়ে গেলাম। স্বর্ণের দোকান সাজাতে এত টাকা খরচ হয়। উনার কাছ থেকে বেশি নতুন কিছু ধারনা পেলাম।

IMG_20230907_120319_955.jpg

IMG_20230907_120321_387.jpg

কিছুটা সময় ধরে আমরা বসে থাকলাম আর বিপুল ভাইয়ের সাথে গল্প করলাম। উনি আমাদের দাম্পত্য জীবন নিয়ে অনেক কিছু জানতে চাইলেন পাশাপাশি আরো অনেক বিষয়ে গল্প হল। উনি প্রথমত কিভাবে দোকানটা চালু করেছিল সেই বিষয়টাও আমাদের মাঝে তুলে ধরল। আর এভাবে ওনার দোকানে অনেকটা সময় আমরা থাকলাম।

IMG_20230907_120223_408.jpg

এরপর একের পর এক সব জিনিস গুলো সম্পর্কে আমার আইডিয়া দিল। আমি চাইছিলাম আমার কানের দুল ভাঙিয়ে একটু অন্য ডিজাইন করব। নতুন কিছু দুল তৈরি করব এতে খরচ পড়বে কেমন। জয় হোক বিস্তারিত উনি আমাদের মাঝে তুলে ধরলেন। সবচেয়ে মজার বিষয় দীর্ঘদিন উনার কাছে বাকিতে থাকা যায়। আমি এমন অনেক জিনিস তৈরি করে নিয়ে গেছি ছয় মাস পরেও টাকা দিয়েছি যেহেতু আমার ফুফাতো ভাই। তবে যখন সম্ভব টাকা দিয়ে দিই, তাকে তো আর ঘোরানো যায় না যেহেতু তার ব্যবসা এটা। আর এমন অভ্যাসও আমাদের নেই। আরো একটি মজার বিষয় তার দোকানে যখন হালখাতা হয়ে থাকে আমাদের বাকি থাক বা না থাক আমাদের হালখাতা খাওয়ার কাঠ দিয়ে আসে অন্যান্য দোকানে তুলনায় এখানে অনেক কিছুই বেশি বেশি দিয়ে থাকে। আব্বুর সাথে আমি কয়েকবার এসেছি তার দোকানে হালখাতা করতে। যাই হোক এরপর আমরা এখানকার কাজ শেষ করে চলে গেলাম বাজারে কেনাকাটা করতে। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

IMG_20230907_121309_421.jpg
Photography device: Infinix hot 11s
Location


সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

received_434859771523295.gif

আমার পরিচয়

আমি মোছাঃ সিমরান জারা। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সদস্য সুমন জিরো নাইন এর পরিবার। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর। আমি একজন গৃহিণী। আমি ফটোগ্রাফি, রেসিপি পাশাপাশি ব্লগ করতে বেশি পছন্দ করে থাকি। এছাড় বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে ভালো লাগে। আমি এসএসসি পাশ করেছি। গাংনী ডিগ্রী কলেজে অধ্যায়ণরত রয়েছি।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

বাহ এখন যেহেতু স্বর্ণের দাম অনেক বেশি তো কিছু স্বর্ণ দিয়ে দিতেন এই দিকে। আসলেই আগে বুঝিনি স্বর্ণের দাম যেভাবে বেড়ে যাবে। তাহলে ব্যাংকে টাকা না রেখে স্বর্ণের মধ্যে ইনভেস্ট করে দিতাম হা হা হা। বেশ কিছু প্রয়োজনীয় কাজ নিয়ে স্বর্ণের দোকানে গেলেন। আমাদের সাথে বিষয় গুলো শেয়ার করলেন ভালো লাগলো।

আপনি ব্যাংকে টাকা না দিয়ে আমার কাছে দিলেও পারতেন তো আপু, স্বর্ণ কিনে রেখে দিতাম।

ভাইয়ার সাথে স্বর্ণের দোকানে যাওয়া অনুভূতি বেশ ভালো লাগলো।আসলে স্বর্ণের দোকান গুলো খুব সুন্দর করে ডেকোরেশন করতে হয় এবং তাতে অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়।আপনার ফুপাতো ভাই এর স্বর্ণের দোকান জন্য সুযোগ সুবিধা পান আপনি।ভালো লাগলো আপনার সুন্দর পোস্ট টি পড়ে।

হ্যাঁ ভাইয়ার দোকানে অনেক কিছু ছাড় পাওয়া যায়