নবরাত্রি 2022: নবরাত্রিতে মা দুর্গার রূপ

শৈলপুত্রী- মা দুর্গার প্রথম রূপকে বলা হয় শৈলপুত্রী। তাদের পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে শারদীয় নবরাত্রি। পাহাড়ের রাজা হিমালয়ের কন্যা হিসেবে জন্মের কারণে তার নাম রাখা হয়েছিল শৈলপুত্রী। তার বাহন বৃষ।

ব্রহ্মচারিণী- মা দুর্গার নয়টি শক্তির মধ্যে দ্বিতীয় শক্তির নাম ব্রহ্মচারিণী। এখানে ব্রহ্ম অর্থ তপস্যা বা তপস্যা, অর্থাৎ যিনি তপস্যা করেন। তার ডান হাতে জপের জপমালা এবং বাম হাতে একটি কমন্ডল রয়েছে।
চন্দ্রঘন্টা- নবরাত্রির তৃতীয় দিনে মা চন্দ্রঘন্টার পূজা করা হয়। মায়ের এই রূপ শান্তিময় ও কল্যাণময়। ঘন্টা আকৃতির অর্ধচন্দ্র মায়ের কপালে খোদাই করা হয়, তাই তাকে চন্দ্রঘন্টা বলা হয়। মায়ের ঘণ্টার ভয়ঙ্কর শব্দে ভূত-প্রেতরা ভয় পেয়ে গেল।

কুষ্মাণ্ডা- মা দুর্গার চতুর্থ রূপকে বলা হয় কুষ্মাণ্ডা। মাকে তার ধীর এবং হালকা হাসি দিয়ে সমগ্র মহাবিশ্বের স্রষ্টা বলে মনে করা হয়।

স্কন্দমাতা- মায়ের পঞ্চম রূপ হল স্কন্দমাতা। এটি ভগবান স্কন্দ কুমার কার্তিকেয় নামেও পরিচিত। মায়ের বাহন হল সিংহ এবং তার দেবতা বাল স্কন্দকে তার কোলে বসে থাকতে দেখা যায়।

কাত্যায়নী- এটি মা দুর্গার ষষ্ঠ রূপের নাম। মহিষাসুরকে বধ করার জন্য মা কাত্যায়নীর জন্ম হয়েছিল মহর্ষি কাত্যয়ের কাছে। দেবীর এই রূপ বজ্রমণ্ডলের প্রধান দেবতা হিসেবে পূজিত।

কালরাত্রি- সপ্তমীর দিনে মা কালরাত্রির পূজা করার নিয়ম আছে। মায়ের এই রূপ সম্পূর্ণ কালো। মাথার চুল বিক্ষিপ্ত এবং গলায় বিদ্যুতের মতো জ্বলজ্বলে মালা। তিনটি চোখ এবং বাহন একটি গর্ভ। তাদের নাসারন্ধ্র থেকে আগুনের শিখা নির্গত হয়। এটি উপরের ডান হাতে শুয়োর মুদ্রা এবং নীচের অভয় মুদ্রা এবং উপরের বাম হাতে লোহার কাঁটা এবং নীচের হাতে খড়গ দিয়ে সবাইকে আশীর্বাদ করে।

মহাগৌরী- অষ্টম শক্তিকে বলা হয় মহাগৌরী। মায়ের রং সাদা এবং বাহন ষাঁড়। তাদের পোশাক ও গহনাও সাদা। উপরের বাম হাতে ডমরু এবং নীচের হাতে আশীর্বাদ মুদ্রা এবং উপরের ডান হাতে অভয়া মুদ্রা এবং নীচের হাতে ত্রিশূল ধারণ করে। পার্বতী রূপে শিবকে স্বামীরূপে পাওয়ার জন্য তিনি কঠোর তপস্যা করেছিলেন।

সিদ্ধিদাত্রী- নবরাত্রির নবম দিনে মাকে সিদ্ধিদাত্রী রূপে পূজা করা হয়। তাঁর বাহন সিংহ এবং তিনিই সকল প্রকার সিদ্ধির দাতা। তার ডানদিকে নীচের হাতে একটি চক্র, উপরের হাতে একটি গদা, বাম দিকে নীচের হাতে একটি শঙ্খ এবং উপরের হাতে একটি পদ্ম ফুল রয়েছে।