নিস্তব্ধ কবর
রফিকুল ইসলাম সুমন
এই কবর, যা শুয়ে আছে অন্তরালে,
এটা শুধু মৃতদেহ নয়, এক যুগের চিহ্ন।
যেখানে সময় থেমে যায়, তবুও তা চলে,
রক্ত আর বিসর্জনের ধারায় গড়া এই মাটি।
যারা এখানে শোয়, তারা মরে না কখনো,
তাদের আত্মা ইতিহাসে মিশে যায়,
গভীর শ্বাসের মধ্যে, যেখানে শব্দ নেই,
তবুও শুনতে পাওয়া যায় তাদের কণ্ঠস্বর।
এই কবরের নিচে চাপা পড়েছে যে সংগ্রাম,
তা কখনো ভুলবে না মানুষ,
এখানে ঘুমাচ্ছে এক অমর কাহিনী,
প্রত্যেক শাব্দিক ছোঁয়ায় জন্ম নেয় নতুন বিপ্লব।
ধূলি এবং রক্তের সঙ্গে মিশে থাকা
শরীরের মধ্যে লুকানো থাকে এক মহাকাব্য,
যার প্রতিটি পদক্ষেপ আজও তাড়া করে,
যাদের রক্তের বিনিময়ে এই পৃথিবী দাঁড়িয়ে আছে।
এই কবরের ভেতরে অদৃশ্য হয় না কিছু,
কারণ এখানে জীবনের অবশেষে থাকে এক অটুট সত্য।
তাদের নাম কখনো অচেনা নয়,
যারা মারা গেছে, তারা অমর হয়ে আছে আমাদের ভেতর।
মৃত্যু কি সত্যি শেষ?
না, মৃত্যু এক নতুন জন্মের সোপান।
এখানে শুয়ে থাকা আত্মারা ফের আসে—
তাদের কবর, তাদের রক্ত,
এবং তাদের সংগ্রাম।
এই কবরের মাটি সঞ্চয় করে রেখেছে
এক পৃথিবীজুড়ে গড়ানো ইতিহাস,
যেখানে সব কিছু অমর,
আর কোনো কিছু হারায় না।
তারা যা রেখে গেছে,
তা কখনো মুছতে পারে না সময়।
তাদের কবর, শুধু মাটি নয়,
এক ইতিহাস, এক আত্মা,
যা পৃথিবীর বুকেই থাকবে চিরকাল।