Oছোট ভাই ও বন্ধুদের সাথে ঘুরে বেড়ানোর কিছু মুহূর্তে //১০%প্রিয় @shy-fox

in hive-129948 •  3 years ago  (edited)

হ্যালো বন্ধুরা.....
আসসালামু আলাইকুম....
আমি @sohag01 বাংলাদেশ থেকে....



প্রথমেই সবাইকে আমার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাই। সবাই কেমন আছেন। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমি ও মহান আল্লাহ তায়ালা রহমতে ভালো আছি।



বেশ কিছুদিন ধরে আমি খুবেই অসুস্থ ছিলাম।তাই কয়েকদিন ধরে আপনাদের মাঝ থেকে দুরে ছিলাম। বর্তমানে মহান আল্লাহ তায়ালা আশিস রহমতে ভালো আছি। তাই আজকে আপনাদের মাঝে ফিরে আশা।



রংপুর চিড়িয়াখানা শিশুপার্ক পর্ব-০১



IMG20220218130313.jpg

আজকে আমি আপনাদের মাঝে ছোট ভাইয়ের সাথে রংপুর চিড়িয়াখানা শিশুপার্ক ঘুরে বেড়ানোর কিছু মুহূর্ত ও কথা আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে ঘুরে বেড়ানোর কিছু মুহূর্ত।৷ কিন্তু আমি এটিকে দুটি পর্বে বিভক্ত করেছি।কারণ একদিনে আমার পক্ষে সব বলা সম্ভব পর না। তাহলে চলো বন্ধুরা পর্ব-০১ যেনে আসি রংপুর চিড়িয়াখানা শিশুপার্ক বেড়ানোর কিছু মুহূর্ত ও কথা।



দিনটি ছিল ১৬ ফেব্রুয়ারী। প্রতিদিনের মতোই আমি ঘুম থেকে সকাল আটটার দিকে উঠি।তারপর ফ্রেশ হয়ে কিছু নাস্তা করে কলেজ এ যাই।কলেজ শেষ করে দুইটার দিকে হোস্টেল এ ফিরে আসি।তারপর ফ্রেশ হয়ে আমি দুপুরের খাওয়া করি।খাওয়া করার পর একটু বিশ্রাম করার জন্য ঘুমাতে যাব আর তখনই আমার চাচাতো ভাই ফোন দিয়ে বলে সে রংপুর আসতেছে আমার কাছে কয়দিন থাকার জন্য।তাই আর ঘুম গেলাম না।



কিছুক্ষণ পর ছোট ভাই ফোন দিয়ে বললো রংপুর বাস টার্মিনাল এ আসতে তাকে নিয়ে আসার জন্য।তাই আমি বাস টার্মিনাল গেলাম তাকে নিয়ে আসার জন্য।হোস্টল এ নিয়ে আসার পর তাকে কিছু নাস্তা করার জন্য দিলাম এবং আমি তার সাথে কিছু নাস্তা করলাম।নাস্তা শেষ করার পর ছোট ভাঃ বললো ভাই চলেন রংপুর চিড়িয়াখানা শিশুপার্ক ঘুরে আসি।আমি না করলাম না।তখন আমার এক বন্ধুকে ফোন দিয়ে বললাম চল রংপুর চিড়িয়াখানা শিশুপার্ক ঘুরে আসি। সেও বললো চল অনেক দিন তোর সাথে দেখা হয়নি দেখাও হবে তোর সাথে।



তখন আমি ছোট ভাইকে নিয়ে লালবাগ গেলাম এবং কিছুক্ষণ পর আমার বন্ধু শুভ চলে আসে।সেখান থেকে আমরা একটি অটোরিকশা ভাড়া করে রংপুর চিড়িয়াখানা শিশুপার্ক যাই।রংপুর চিড়িয়াখানা শিশুপার্কটি রংপুর চিড়িয়াখানার ভিতরে অবস্থিত। তাই আমরা টিকিট কাউন্টার থেকে তিনটি টিকিট ক্রয় করে ভিতরে প্রবেশ করি।



শিশুপার্কের প্রধান গেট




IMG20220218130327.jpg


রংপুর চিড়িয়াখানা ভিতরে প্রবেশ করার পর আমরা শিশুপার্ক ঘুরে বেড়ানোর জন্য শিশুপার্ক এর গেটের দিকে যাই।শিশুপার্কের গেটটি দেখতে অনেক সুন্দর। গেটটির সামনে ইট পাথের তৈরি সুন্দর দুইটি পরীর মূর্তি রয়েছ এবং গেটের সামনে একটি গরিলা রয়েছে।তখন আমি গেটের দৃশ্যটি আমার ফোনের ক্যামেরায় আবদ্ধ করি।তারপর আমরা শিশুপার্ক এ ডুকার জন্য আবার তিনটি টিকিট ক্রয় করি। তারপর শিশুপার্ক এর ভিতরে প্রবেশ করি।



ভিতরে প্রবেশ করেই মনটা অনন্দিত হয়ে উঠলো।খুবেই সুন্দর একটি কৃত্রিম পরিবেশ। কৃত্রিম পরিবেশটি দেখেই বুঝা যাচ্ছিল না যেন এটি কৃত্রিম ভাবে বানানো। সব কিছুই মনে হয় প্রকৃতি সৌন্দর্য। তখন আমরা কিছু সময় দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখতেছিলাম শিশুপার্কটি।



কৃত্রিম ঝরনা



IMG20220218131113.jpg

তখন আমার চোখে পড়ে একটি কৃত্রিম ভাবে তৈরি ঝরণা তখন আমি ও আমার বন্ধু ছোট ভাই মিলে সেখানে যাই।তারপর আমরা কৃত্রিম ঝরনার কিছু সুন্দর মুহূর্ত উভোগ করি।



অচিনপুর রেলওয়ে স্টেশন



IMG20220218130552.jpg

তখন আমার ছোট ভাইয়ের চোখে পড়ে একটি ছোট রেল স্টেশন। রেল স্টেশনটির নাম ও রয়েছে অচিনপুর নগর রেলস্টেশন। শিশুপার্কটির চারদিকে ঘুরে বেড়ানোর জন্য এ রেল স্টেশনটি তৈরি করা হয়েছে শিশুদের জন্য।যাতে করে তারা ছোট রেলগাড়ীতে বসে সহজে চারদিকে ঘুরে বেড়াতে পারে।



ভয়ংকর রাক্ষস



IMG20220218132727.jpg

তারপর আমরা একটু পা বাড়িয়ে দেখতে পাই একটি রাক্ষস এর মূর্তি। রাক্ষস এর মৃর্তিটি দেখতে অনেক ভয়ংকর ছিল ।প্রথম আমি এ দেখে ভয় পেয়ে গেছিলাম।এতো নিখুঁত ভাবে ইট পাথর দিয়ে রাক্ষস এর মূর্তিটি তৈরি করেছে দেখে বুঝায় যাইতেছিল না।মনে হচ্ছিল সত্যিকারের রাক্ষস।



দেয়ালে সুন্দরী মেয়ের দৃশ্য



IMG20220218132647.jpg

IMG20220218132529.jpg

তারপর সেখানে থেকে একটু পা বাড়িয়ে দেখতে পাই দেয়ালের মধ্যে একটি আর্ট করা সুন্দর দৃশ্য।দৃশ্যটি ছিল সুন্দর একটি মেয়ের দৃশ্য। দৃশ্যটি দেখার পর মনে মনে সুন্দরী মেয়েটির প্রেমে পড়ে গেলাম।আর সেখানে বসার জন্য একটি লোহার তৈরি কাঠামো ছিল। আমি আমি সেখানে বসে সুন্দরী মেয়েটির সাথে আমার একটি ছবি আবদ্ধ করি।

এখানেই আজকের মতো আমাদের শিশুপার্ক ঘুরে বেড়ানোর প্রথম পর্ব-১ শেষ করতেছি।আর একদিন এভাবেই আপনাদের মাঝে শিশু পার্ক এর দ্বিতীয় পর্ব-২ নিয়ে হাজির হবো। ততক্ষণে আজকের মতো আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিলাম।আশা করি দ্বিতীয় পর্বে আপনাদের মাঝে অনেক কিছু তুলে ধরতে পারবো রংপুর শিশু পার্কের।আজকের মতো এটুকুই।



সবাইকে আবারো আমার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানিয়ে আজকের মতো এখানেই শেষ করতেছি । সবাই ভালো থাকবেন নিজের ও পরিবারের খেয়াল রাখবেন। ধন্যবাদ সবাইকে কষ্ট করে আমার পোস্টি পরিদর্শন করার জন্য। সকলের জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইল।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আমি বিশ্বাস করি আপনি একজন ভাল মানের ব্লগার হতে পারবেন তবে আপনাকে অবশ্যই নিয়মিত কাজ করতে হবে। আপনি হয়তো আমাদের কমিউনিটির নিয়ম সম্পর্কে অবগত রয়েছেন যারা খুব বেশিদিন ইন একটিভ থাকবে তারা তাদেরকে আমরা বাদ দিয়ে নতুন নাম্বার নেবো। আশা করি আপনি খুব শীঘ্রই নিয়মিত কাজ করবেন তা না হলে আপনাকে আমরা লিস্ট থেকে বাদ দিতে বাধ্য হব, ধন্যবাদ।

আমি দুঃখিত ভাইয়া পারিবারিক সমস্যার কারণে কয়দিন থেকে পোস্ট করতে পারিনি।ইনশাআল্লাহ কাল থেকে আমি কাজ করবো।

ওয়াও শিশুপার্কটি দেখতে কিন্তু সত্যি চমৎকার লাগছিলো। আপনার ঘুরে বেড়ানোর মুহূর্তগুলো সত্যিই খুবই চমৎকার ছিল ভাই আপনি খুবই সাজিয়ে গুজিয়ে পোস্ট টি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে আপনার মুহূর্তগুলো উপলব্ধি করতে পারলাম ।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এমন সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

দেখে মনে হচ্ছে আপনি ছোট ভাইদের সঙ্গে একটি সুন্দর আনন্দঘন মুহূর্ত কাটিয়েছে। অনেক কয়েক বছর আগে আমিও সেখানে বেড়াতে গিয়েছিলাম এখন দেখে মনে হচ্ছে নতুন নতুন অনেক কিছু সংযোজিত হয়েছে। দেখে খুব ভালো লাগলো । ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য শুভকামনা রইল।