সম্মান

in hive-129948 •  6 months ago 

আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে সম্মান সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।


image.png



লিংক


আসলে ছোটবেলা থেকে আমরা দেখে আসছি যে আমাদের বাড়িতে যারা গুরুজন রয়েছে তারা তাদের বয়স্ক লোকেদেরকে অর্থাৎ বয়স্ক মা-বাবাদের সব সময় সম্মান করে। আসলে তাদের দেখাদেখি আমরাও কিন্তু আমাদের বয়স্ক বাবা-মা এবং বাইরে যারা বয়স্ক লোক রয়েছে তাদেরকে আমরা সম্মান করি। আসলে এই শিক্ষাটা কিন্তু কখনো কেউ কাউকে দিতে হয় না। আসলে আমরা অনেকেই স্কুল কলেজ থেকে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা পেয়ে থাকি। আবার কিছু কিছু শিক্ষা আমরা নিজেদের পরিবার থেকেও পেয়ে থাকি। আসলে পরিবার থেকে আমরা যে শিক্ষাটা পেয়ে থাকি সেটা আমাদের ভবিষ্যৎ জীবনকে সব থেকে বেশি প্রভাবিত করে। আসলে আমাদের পরিবার যদি ভালো হয় তাহলে আমরা জীবনে ভালো কিছু করতে শিখব। আর পরিবার যদি খারাপ হয় তাহলে আমরা ভালো কিছুই কখনোই শিখতে পারবো না।



আসলে পরিবার আমাদের ছোটবেলা থেকে শেখায় যে আমরা সমাজের লোকেদেরকে কিভাবে সম্মান করবো এবং সমাজের কোন লোককে আমরা যাতে অসম্মান না করি সেজন্য আমরা সব সময় বিশেষ খেয়াল রাখবো। আসলে আমরা সবসময় পরিবার থেকে যেসব জিনিস গুলো দেখি সেই সব জিনিসগুলো ভবিষ্যৎ জীবনে প্রয়োগ করার চেষ্টা করি। আসলে ধরুন আমাদের পরিবারের লোকজন খুব খারাপ। তাহলে তাদের এই খারাপ পরিবারের লোকজনকে দেখে পরিবারের সকল ছোট সদস্যরা সেইসব শিখে নেবে এবং পরবর্তীতে তারা সমাজের লোকের সাথে অনেক বেশি খারাপ ব্যবহার করবে। আসলে শৈশবকাল হল শেখার বয়স। সেই সময়ে শিশুরা যা দেখবে সেই জিনিসগুলো ভবিষ্যৎ জীবনে প্রয়োগ করতে শিখবে।


আর পরিবারের সকল সদস্যরা যদি সব সময় ভালো হয় এবং তারা অন্যদেরকে সম্মান করে তাহলে তাদের পরবর্তী প্রজন্মের শিশুরাও সেই সব ভালো কর্মকাণ্ড শিখে তারাও সমাজের বিভিন্ন উপকারে আসবে। আসলে এই পৃথিবীতে গুরুজনকে সম্মান করা আমাদের অবশ্যই দায়িত্ব এবং কর্তব্য। আসলে একদিকে যেমন গুরুজন সম্মান পাবার যোগ্য তেমনি প্রতিটা ছোট সদস্য অর্থাৎ যারা বয়সে অনেক কম তাদেরও আদর পাওয়ার অধিকার রয়েছে। আসলে আপনি যদিও বড় হয়ে এসব ছোট সদস্যদের সম্মান অর্থাৎ আদর না করেন তাহলে আপনি কখনোই আশা করবেন না যে তাদের কাছ থেকে সম্মান পাবেন।


আসলে তাইতো দুই পক্ষের অর্থাৎ বয়স্ক এবং কনিষ্ঠ এই দুই পক্ষের লোকেরা একে অন্যকে যদি সম্মান করে তাহলেই আমরা সম্মান পেতে পারি। কারন আমি কাউকে যদি সম্মান না করি তাহলে আমিও মোটেও আশা করব না যে আমি জীবনে অন্যের কাছ থেকে সম্মান পাব। আসলে জীবনে বড় হতে গেলে অবশ্যই আমাদেরকে সঠিক শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। আর এই শিক্ষা আমরা যেসব স্কুল-কলেজ থেকে গ্রহণ করি সেসব স্কুল কলেজের শিক্ষকদের প্রতিও আমাদের যথেষ্ট সম্মান রাখা উচিত। কারণ শিক্ষক হলেন আমাদের শিক্ষাগুরু। যে গুরু পরবর্তীতে আমাদের সমাজে বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করতে শেখায়।



আসলে এভাবে সবাই যদি মিলেমিশে একে অপরকে সম্মান করে সমাজে বসবাস করি তাহলে সমাজে কখনো কোন অরাজকতার সৃষ্টি হবে না। এছাড়াও সমাজের প্রতিটা লোক একে অন্যকে ভালবাসবে এবং একে অন্যের বিপদে সবসময় এগিয়ে আসবে। আর আমরা যদি সমাজের কোন মানুষকে সম্মান না করি তাহলে আমরাও জীবনে কোনদিন সম্মান পাবো না এবং এর ফলে সমাজে বিভিন্ন উশৃঙ্খলতার সৃষ্টি হবে। তাইতো আমরা একে অন্যের প্রতি অবশ্যই সম্মান রাখবো এবং সবাই মিলেমিশে একই সাথে বসবাস করার চেষ্টা করব। আর এর ফলে আমরা সুন্দর সমাজ গড়ে তুলতে পারবো।



আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।


আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আসলে বেসিক শিক্ষাটা আমরা কিন্তু পরিবারের কাছ থেকেই পেয়ে থাকি। ছোটরা সবসময়ই অনুকরণ প্রিয়। সহজভাবে বলতে গেলে ছোটরা যা দেখে তা-ই শিখে। অর্থাৎ আমরা যদি ছোটদের সামনে অন্য কারো সাথে ভালো ব্যবহার করে থাকি,তাহলে ছোটরা কিন্তু ভালোটাই শিখবে। কিন্তু আমরা যদি ছোটদের সামনে বকাবকি করি,তাহলে ছোটরা বকাবকি ই শিখবে। তাছাড়া বড়দেরকে অবশ্যই সম্মান করতে হবে এবং ছোটদেরকে স্নেহ করতে হবে। পৃথিবীর নিয়মটা হচ্ছে গিভ এন্ড টেক। অর্থাৎ আমি দিলে আমিও পাবো। মানে আমি কাউকে সম্মান দিলে,অন্য কেউ আমাকে সম্মান করবে,আর এটাই স্বাভাবিক। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।