আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
বর্তমানে বাংলাদেশে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে অর্থাৎ এটা একটা বোর্ড পরীক্ষা। তো বোর্ড পরীক্ষার সাধারণ নিয়ম গুলো কিন্তু আমরা সকলেই জানি। অর্থাৎ প্রথম যে নিয়মটা সকল স্টুডেন্ট কিংবা টিচারদের মানতে হয়। সেটা হচ্ছে অবশ্যই পরীক্ষার হলে পরীক্ষার সময়ের তিরিশ মিনিট আগে যে কোনো স্টুডেন্টকে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। এবং এটা যে আসলে কোথাও অলিখিত থাকে তা নয়। এটা এডমিট কার্ডে খুব সুন্দর ভাবে লেখা থাকে যে, যতো যা ই হোক না কেনো। একটা স্টুডেন্টকে অবশ্যই সময়মতো তার পরীক্ষার হলে থাকতে হবে।
কিন্তু এইবারের পরীক্ষাতে এমন অনেক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে স্টুডেন্টরা কান্নাকাটি করছে। কারণ তাদেরকে পরীক্ষার হলে ঢুকতে দিচ্ছে না। আর সে সাথে একটা স্টুডেন্টের ভিডিও দেখে আমি তো অবাক। কারণ সেই ছেলেটি পরীক্ষার হলে এসেছে পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১০ মিনিট আগে। আর সে কারণ হিসেবে এটাই বলল শুনলাম যে, সে অনলাইন থেকে একটা পরীক্ষার রুটিন দেখেছিলো এবং সে রুটিনে ওই টাইমটা লেখা ছিলো। অর্থাৎ সে ভুল রুটিন দেখে এই অবস্থায় !
এইগুলো কিন্তু পরীক্ষার সচেতনতার মধ্যে পরে। অর্থাৎ পরীক্ষার বেসিক কিছু সচেতনতা হলো। পরীক্ষার হলে সময় মতোন যাওয়া, এডমিট কার্ড,রেজিস্ট্রেশন কার্ড, কলম, পেন্সিল নিজের স্কেল এসব সবকিছু ঠিকভাবে নেওয়া হয়েছে কিনা সেসব আগের রাতেই ঠিক করে রাখা কিংবা রুটিনটি ঠিক আছে কিনা সেটা একটু চেক করে অন্যদের সাথে মিলিয়ে নেওয়া। নিজের স্কুল কলেজ কিংবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া। এসবের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইম্পরট্যান্ট যেটা। সেটা হচ্ছে, পরীক্ষার হলে সময় মতো পৌঁছানো।
আমি যদি আমার কথা বলি। তাহলে আসলে আমি আমার বোর্ড পরীক্ষাগুলোতে প্রায় দুই ঘণ্টা আগেই বাসা থেকে বের হয়ে যেতাম। আমার স্কুলে কিংবা কলেজে যেতে লাগতো শুধুমাত্র ৩০ থেকে ৪০ মিনিট। কিন্তু তাও আমি দুই ঘন্টা আগে বের হতাম। কারণ আমি এই বিষয়টাতে কোনো রিস্ক নিতে চাইতাম না। আমি মনে করি প্রতিটি স্টুডেন্টের ই এসব মানা উচিত পরীক্ষাগুলোতে। কারণ আপনার সামান্য একটা ভুলের জন্য, আপনার সম্পূর্ণ একটা বছর নষ্ট হয়ে যাবে। এটা অবশ্যই মনে রাখতে হবে।