আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে শৈশব হলো জীবনের স্তম্ভ সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।
লিংক
আসলে একটা শিশুর জন্ম গ্রহণের পর থেকে যেসব জিনিসপত্র সে সমাজে দেখতে পায় সেসব জিনিস থেকে তারা শিক্ষা অর্জন করে সেই শিক্ষাকে তারা ভবিষ্যৎ জীবনে প্রয়োগ করার চেষ্টা করে। অর্থাৎ একটা শিশু জন্মের পর থেকে যে শিক্ষা গ্রহণ করে সে শিক্ষা কিন্তু তার পরবর্তী জীবনের অনেক বেশি বড় ভূমিকা পালন করেন। কেননা একটা শিশুর মস্তিষ্ক শৈশবকালে শুধুমাত্র বাইরে থেকে শিক্ষা অর্জনের জন্য এবং বিভিন্ন আচার-আচরণ শেখার জন্য তৈরি হয়। আর আপনি যে জিনিসটি তার সামনে করবেন ঠিক সেই জিনিসটি সে সবসময় নিজে পরবর্তীতে করার জন্য চেষ্টা করবে। কেননা অনেকে বলে যে একটি শিশু যদি শিক্ষিত পরিবারের জন্মগ্রহণ করে তাহলে সে ভালো শিক্ষা গ্রহণ করবে এবং জীবনে মানুষের মত মানুষ হতে পারবে।
আর কোন শিশু যদি খারাপ পরিবারের জন্মগ্রহণ করে তাহলে সে সেই পরিবারের খারাপ জিনিস গুলো শিখতে থাকে এবং এর ফলে কিন্তু তার জীবনে এই খারাপ জিনিস গুলো অনেক বেশি প্রভাব আনতে পারে। আর এর ফলে কিন্তু সেই ব্যক্তি জীবনে তার সেই শৈশবকালের শেখা জিনিসগুলো প্রয়োগ করার চেষ্টা করবে। আর এই জন্য বলা হয় যে একটা শিশু যখন জন্মগ্রহণ করে তখন সেই সময়টাই কিন্তু তার ভবিষ্যৎ জীবনের স্তম্ভ। আর এ সময় যদি আমরা একটা শিশুকে ভালো জিনিস শেখাতে এবং দেখাতে পারি তাহলে তারা কিন্তু সেই ভালো জিনিস থেকে ভালো জ্ঞানগুলো তাদের মধ্য নিয়ে তাদের মধ্যে ভালো-মন্দের বিচার বোধ সৃষ্টি হবে। আর এর ফলে তারা কিন্তু পরবর্তীতে এইসব ভালো জিনিস গুলো প্রয়োগ করার চেষ্টা করবে এবং খারাপ জিনিস থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবে।
তাইতো আমাদের প্রতিটি অভিভাবকদের অবশ্যই উচিত যে তাদের সন্তানদেরকে সবসময় ভালো শিক্ষা দেওয়া। আর তাদের সন্তানের সামনে যদি কোন অভিভাবক কোন ধরনের খারাপ কর্মকাণ্ড করে এবং কোন ধরনের ঝগড়া-বিবাদ করে তাহলে কিন্তু সেই জিনিসগুলো তাদের শিশুদের মনে অনেক বেশি প্রভাব ফেলতে পারে। আর এর ফলে কিন্তু তারা ভবিষ্যতে তাদের দেখাদেখি জিনিসগুলো তারাও তাদের নিজেদের জীবনে প্রয়োগ করার চেষ্টা করবে। কেননা একটা পরিবার যদি খারাপ হয় তাদের জেনারেশন গুলো সব সময় খারাপ হয়। এছাড়াও প্রত্যেকটা শিশুদেরকে অবশ্যই ছোটবেলায় বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করিয়ে দিতে হবে। কারণ তারা যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ভালো শিক্ষা পেয়ে থাকে তাহলে তারা সে শিক্ষাকে জীবনে প্রয়োগ করার চেষ্টা করতে পারবে।
আমরা দেখতে পাই যে যেসব শিশুরা শৈশবকালে ভালো কোন শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে না তারা কিন্তু ভবিষ্যত জীবনে তেমন একটা বেশি উন্নতি করতে পারে না এবং তাদের দ্বারা দেশের তেমন একটা বেশি ভালো কোন কিছুই হয় না। আর এইসব বাচ্চারাও কিন্তু পরবর্তীতে যখন অভিভাবক হয় তারাও কিন্তু তাদের বাচ্চাদেরকে তেমন একটা ভালো শিক্ষা দিতে পারে না। তাইতো আমাদের সবার উচিত যে কোন শিশুর সামনে কোন ধরনের খারাপ কাজ করা যাবে না এবং তাদেরকে সব সময় একটা ভালো পরিবেশ উপহার দেওয়া আমাদের অবশ্যই দায়িত্ব এবং কর্তব্য। কেননা তাদের যদি একটা ভালো পরিবেশ আমরা দিতে পারি তাহলে তারা সেই ভালো পরিবেশে বড় হয়ে ভালো কিছু করার জন্য সব সময় চেষ্টা করবে।
আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।