উন্নত জীবনের আশায় জীবন বিসর্জন (দ্বিতীয় পর্ব)

in hive-129948 •  3 months ago 

কেমন আছেন বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


কথাবার্তার এক পর্যায়ে সাজিদ শাকিলকে বলে তুই যেহেতু দেশে কোন চাকরি পাচ্ছিস না। তাহলে বিদেশ চলে আসিস না কেনো? তখন শাকিল বলে আসলে বিদেশ যাওয়ার কোনো ইচ্ছা আমার নেই। কারণ আমি চলে গেলে এখন সংসার দেখাশোনা করবে কে? বাবার বয়স হয়েছে সে সব কাজ করতে পারে না। তখন শাকিল বলে আরে তুই বিদেশে গেলে ভালো টাকা পয়সা ইনকাম করতে পারবি। তোর পরিবার তখন আরো ভালো থাকবে। সাজিদের বুদ্ধিটা শাকিলের পছন্দ হয়।


তীব্র গরমে অসহনীয় ঢাকা শহর_20240501_211619_0000.png

ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।

সেদিন রাতে বাড়ি ফিরে শাকিল তার মাকে কথাটা বলে। সেই সাথে সে সাজিদের উন্নতির গল্প ও শোনায়। শাকিলের মার অবশ্য বুদ্ধিটা খুব একটা পছন্দ হয় না। সে শাকিলকে বলে বাবা তুমি দেশেই একটা চাকরি-বাকরি ব্যবস্থা করো। তখন শাকিল কিছুটা বিরক্ত হয়ে বলে দুই বছর ধরে তো চেষ্টা করছি। এখন পর্যন্ত কোথাও কিছু পেলাম না। তারপর শাকিল তার মাকে বলে তুমি বাবার সাথে কথা বলে দেখো। বাবা যদি টাকা দিতে রাজি হয় তাহলে আমি বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করি। সেদিন রাতে শাকিলের মা শাকিল এর বাবার সাথে এই বিষয়ে কথা বলে। শাকিলের বাবারও বিষয়টা পছন্দ হয় না।


সে বলে বড় ছেলে দেশ ছেড়ে চলে গেলে সংসারটা কে দেখবে? তারপরে সে বলে দেখো যদিও বিদেশ যাওয়ার জন্য ডিসিশন নিয়ে ফেলে তাহলে আর ওকে বাধা দেবো না। কিন্তু সেই সাথে তার মাথায় এই চিন্তাটাও কাজ করতে থাকে। রিটারমেন্ট করার পর যে টাকা পেয়েছিলো এককালীন সেই টাকাটাই তাদের একমাত্র সম্বল। বিদেশ যেতে গিয়ে সেই টাকাটা খোয়া গেলে তাদের পথে বসতে হবে। তখন শাকিলের মা শাকিল এর বাবাকে বলে কাল সকালে তুমি একবার ওর সাথে কথা বলে দেখো। (চলবে)


আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।



ধন্যবাদ

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

যদি কেউ চেষ্টা করে একাগ্রচিত্তে দেশে কিছু করার, তাহলে অবশ্যই সে সাকসেস হবে। প্রবাসের জীবনটা খুবই কষ্টের, এই জিনিসটা উপলব্ধির মধ্যে কেউই আনে না। শাকিল যদিওবা প্রথমে বিদেশে যাবার বিপক্ষে ছিল, তার বন্ধু তাকে লোভে ফেলে দিয়ে অঢেল টাকার প্রবণতা দেখালো। যাইহোক অসমাপ্ত গল্পের সমাপ্তের অপেক্ষা রইলাম। খুবই অধীর আগ্রহে পরবর্তী অংশের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।

শাকিল যেহেতু এতো চেষ্টা করার পরেও কোনো চাকরি পায়নি, আমার মনে হয় ভালো কোনো লিংকের মাধ্যমে বিদেশে চলে গেলে ভালো হবে। সাজিদ যদি শাকিলকে এই ব্যাপারে হেল্প করে,তাহলে সবচেয়ে বেশি ভালো হবে। কারণ বিদেশে যাওয়ার জন্য অনেক মানুষ দালালের খপ্পরে পড়ে জীবনটাকে একেবারে নষ্ট করে ফেলে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।