আসসালামু আলাইকুম। শুভ সকাল। আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুদের শুভেচ্ছা। আশা করছি আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনারা সকলে ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের অনেক অনেক দোয়া এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও ভালো আছি। আমরা যেন সব সময় সুস্থ সুন্দর এবং ভালো থাকতে পারি সে কারণে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি।
আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি ব্লগ লিখার জন্য উপস্থিত হয়েছি। আজকে ব্লগ এর বিষয়বস্তু নির্ধারণ করা হয়েছে ভাগ্য যখন স্রোতের বিপরীতে
। সকলেই উপভোগ করুন আশা করছি ভালো লাগবে।
সৃষ্টিকর্তা আমাদের পৃথিবীতে পাঠানোর আগেই আমাদের ভাগ্য নির্ধারণ করে রেখেছেন। আমরা দুনিয়াতে কতদিন থাকব কি খাব এবং কতদিন চলাফেরা করতে পারব আমাদের রিযিক এবং সবকিছু একজন নির্ধারণ করে রেখেছেন। তবে সৃষ্টিকর্তার নির্ধারিত রিজিকের আশায় শুধুমাত্র বসে থাকলে হবে না। আমাদের সেই রিজিক ইনকাম করে নিতে হবে এবং তবেই আমরা আমাদের জীবনের প্রতিটি কার্যক্রম সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারব।
তবে এই পৃথিবীতে এমনও হাজার মানুষ পেয়েছে যাদের ভাগ্য স্রোতের বিপরীতে চলে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। তারা যত চেষ্টা করছে নিজেদেরকে আরও বেশি উন্নত করতে ততই যেন তাদের জীবনে অন্ধকার নেমে আসছে।
একজন মানুষ ঘুম থেকে ওঠার পরে অক্লান্ত পরিশ্রম করছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পরিশ্রম এবং রাত হলে ঘুমিয়ে যাচ্ছে। সকালে আবারো পরিশ্রম। কিন্তু তারপরেও তাদের ভাগ্য যেন স্রোতের বিপরীত। যতই ইনকাম করছে ততই তাদের সংসারে অভাব অনটন লেগে আছে। কোনভাবে যেন সংসারের অশান্তি যেতে চায় না। যদিও অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে সংসারে কিছুটা উন্নতি আসার সম্ভাবনা রয়েছে হঠাৎ করেই পরিবারের কেউ অসুস্থতায় ভোগে। অন্যদিকে সংসারের যেকোনো অপরিস্থিতিকর পরিবেশ চলে আসে এবং যার ফলে আবারও সংসারের সেই নাজেহাল অবস্থা তৈরি হয়।
আমাদের মানব জীবনে ভাগ্য দিয়ে গঠিত। তবে সৃষ্টিকর্তা ততক্ষণ কোন ব্যক্তির ভাগ্য পরিবর্তন করেন না যতক্ষণ না সে চেষ্টা করে। ভাগ্যে লিখা আছে তবে শুধুমাত্র ভাগ্যের লেখা ভরসা করে থাকলে চলবে না।। লিখে রাখা জিনিসটি অবশ্যই আমাদের কর্মের মাধ্যমে বুঝে নিতে হবে এবং তবে আমরা আমাদের সঠিক ভাগ্যফল পেতে পারি।
তবে মাঝে মাঝে অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেও যখন আমরা আমাদের ভাগ্যের কাঙ্খিত ফল পায় না তখন মনের ভেতরে সত্যি অনেক খারাপ লাগে। অক্লান্ত পরিশ্রম, খেয়ে না খেয়ে নিজের জীবনের উন্নতি সাধনের চেষ্টা করেও যখন দেখা যায় ভাগ্য স্রোতের বিপরীত তখন জীবনটা সত্যি বেদনার হয়ে পড়ে। কোন কিছুই করতে ভালো লাগে না এবং একপর্যায়ে হাল ছেড়ে দিতে মন চায়।
আমি আমার বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি। অক্লান্ত পরিশ্রম এবং ধৈর্য নিয়ে কাজ করার ফলেও যখন সেই কাজে ফলাফল যথেষ্ট পাওয়া যায় না তখন আর সেই কাজ করতে মন চায় না। কাজের প্রতি একটা ঢৃহ অনীহা তৈরি হয় এবং সবকিছু ছেড়ে দিতে মন চায়।
যদিও ভাগ্যের পরিবর্তন হতে কিছুটা সময় লাগতে পারে তবে সে ক্ষেত্রে আমাদের অবশ্যই ধৈর্য ধারণ করা উচিত। তবে ধৈর্য ধারণ করার পরেও যদি ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে যায় তখন জীবনের পরিস্থিতি এবং গতিবিধি কেমন হয় আমার সঠিক জানা নাই। তবে এতোটুকু জানি অক্লান্ত পরিশ্রমের পরেও আমার ভাগ্য স্রোতে বিপরীতে চলছে। চাকুরী হারিয়েছি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো যোগ এবং সবকিছু মিলিয়ে খুবই খারাপ একটি সময় চলে যাচ্ছে আমার। তবে তারপরে ওই সৃষ্টিকর্তার প্রতি একমাত্র ভরসা। অবশ্যই ভাগ্য একদিন আমার অনুকূলে আসবে এবং সকল সমস্যায় দূর হবে। সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন ইনশাল্লাহ।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
|250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি
আমি মোহাম্মদ আকাশ সরদার
। জাতীয়তা বাংলাদেশী। আমি ব্লগিং করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। যদিও আর্ট আমার অনেক বেশি পছন্দ তবে আর্টওয়ার্ক কাজের জন্য আমার হাত একদম বাজে। ভ্রমণ এবং ফটোগ্রাফি আমার সব থেকে প্রিয় বিষয়। নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ এবং নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হতে বেশ ভালো লাগে। অসহায় মানুষদেরকে সাহায্য করতে পারলে মনের ভেতরে আনন্দ আসে। সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে মানুষের সেবা করতে চাই এবং সকলের প্রিয় ব্যক্তি হয়ে এই সমাজে বসবাস করতে চাই।
https://x.com/steemforfuture/status/1831926924589068707?t=PZXX_ZrivYB3B41-p-jTwA&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার কথায় সহমত পোষণ করলাম ভাই। যখন অক্লান্ত পরিশ্রম করার পরেও সেই কাজের ফল পাওয়া যায় না তখন আর মন চাইবে না সেই কাজে থাকি। জীবনে এমন অনেক পরিশ্রমের মধ্যেও মানুষ টিকে থাকে। তবে কোথায় আছে না দেওয়ালে পিঠে খেলে মানুষ সামনের দিকে আসে। মানুষের জীবন সংগ্রামীময়। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করার পরে চেষ্টা করে একটু শান্তির নিশ্বাস ফেলার। যখন সেটাও না হয় তখন মানুষ হয়ে যায় হতাশ। আর এমনও হাজার হাজার মানুষ হয়েছে আমাদের দেশে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit