আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগ এর সকল বন্ধুদের শুভেচ্ছা। আশা করছি চমৎকার এই দিনে আপনারা সকলেই বেশ ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে আমার শৈশবের গল্প শেয়ার করতে উপস্থিত হলাম। সাধারণত শৈশবের স্কুলে যাওয়ার সেই দিনগুলো অত্যন্ত আনন্দময় ছিল। আমি আজকে সেই শৈশবের দিন নিয়ে আপনাদের মাঝে লিখতে এসেছি। উপভোগ করার জন্য পড়তে থাকুন আশা করছি ভাল লাগবে।
শৈশবে স্কুলে যাইনি এমন শিশু খুব কম পাওয়া যাবে। ঠিক যদিও উচ্চমাধ্যমিক বিশ্ববিদ্যালয় লেখাপড়া করতে পারেনি তবে তারপরেও আমিও শৈশবে প্রাইমারি শিশু শ্রেণী স্কুলে লেখাপড়া করেছিলাম এবং আমারও স্কুলে যাওয়ার সেই চমৎকার দিনের মুহূর্তগুলো এখনো বেশ মনে পড়ে।
আমাদের পাড়ার সব ছেলেমেয়ে আমরা একসাথে স্কুলে যেতাম। ঘুম থেকে ওঠার পরে হাতে বই নিয়ে কোনরকম একটু হোমওয়ার্ক ও রিডিং পড়া শেষ করতাম। এরপর ইস্কুলের সময় হয়ে গেলে বন্ধুদের বাসায় বন্ধুদেরকে ডাকতে যেতাম স্কুলে যাওয়ার জন্য।
মাঝে মাঝে যখন ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যেত তখন বন্ধু আমার বাসায় এসে হাজির। তখন আমি খুব দ্রুত ব্রাশ করতাম এবং বন্ধুকে নিয়ে আমরা একসাথে সকালের নাস্তা করতাম। যদিও বিলাসবহুল নাস্তা করতে পারতাম না তবে তার পরেও বন্ধুর সাথে পান্তা ভাত খাওয়ার মজাই ছিল আলাদা। কারণ বন্ধু সাথে থাকলে জীবনের সমস্ত আনন্দগুলো এক মুহূর্তে যেন আরো বেশি রঙিন হয়ে উঠতো ।
বন্ধুদের প্রতি বন্ধুদের একটা বেশ দায়িত্বশীলতা ছিল। আমরা একেক জন একেক বন্ধুর বাসায় গিয়ে তাকে স্কুলে যাওয়ার জন্য ডাকতাম। মাঝে মাঝে বন্ধুদের সাথে স্কুলে যাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে গাছে ঢিল ছুড়ে আম পাড়তাম।
আমার এখনো বেশ মনে আছে। একবার বন্ধুদের সাথে স্কুলে যাওয়ার সময় প্রতিবেশীর এক বাগান থেকে আম চুরি করেছিলাম। কিন্তু ওই আম চুরি করার জন্য আমাকে বেশ লাগছে তো হতে হয়েছিল এবং আমি একজন বন্ধুর কাছে জিম্মি হয়েছিলাম।
যদিও স্কুল শুরু হত বেলা দশটার পরে তবে তারপরেও আমরা সকাল-সকাল স্কুলে উদ্দেশ্যে বের হয়ে পড়তাম। স্কুলে রাস্তায় আমরা শুরু করতাম বিভিন্ন রকমের গল্প। আজকে কি কার্টুন দেখেছি? অথবা আজকের দিনের শিডিউল কি? স্কুল থেকে ফিরে কোথায় ফুটবল অথবা ক্রিকেট খেলব এই বিষয়ে আরো নানারকমের গল্প করতাম।
মাঝে মাঝে স্কুলে যাওয়ার সময় বৃষ্টির দিনের মুহূর্তগুলো আরো সবথেকে বেশি ভালো ছিল।
বর্ষাকালে প্রায় বৃষ্টি দেখা দিত। তবে বৃষ্টির দিনে গ্রাম অঞ্চলে ছেলেমেয়েদের স্কুলে যেতে একটু বেশি কষ্ট হয়। কারণ গ্রামাঞ্চলের রাস্তায় প্রচন্ড কাদা থাকে এবং গ্রামের বাড়িতে ছাতা খুব একটা বেশি দেখা যায় না। তাই গ্রামের ছেলে মেয়ে যখন স্কুলে যায় তখন মাথায় পলিথিন অথবা মাথার ওপরে কলার পাতা দিয়ে স্কুলে যাওয়ার অভিজ্ঞতাটা সত্যিই অত্যন্ত আনন্দদায়ক ছিল
ঠিক আমিও যখন সকালে স্কুলে যেতাম বন্ধুদের সাথে মাঝে মাঝেই বৃষ্টি শুরু হয়ে যেত। বৃষ্টির ভেতর আমরা দৌড়ে দৌড়ে স্কুলে যেতাম। কারণ আমাদের কাছে ছাতা ও পলিথিন যদি না থাকে তাহলে আমরা আমাদের বইও খাতাগুলো শার্ট এর ভেতর দিয়ে বুকের কাছে রাখতাম এবং দৌড় দিতাম বৃষ্টির ভেতর দিয়েই।
স্কুলে থেকে বাসা দূরত্ব মাত্র ৫০০ মিটার। অথবা এর কিছুটা বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সাধারণ এই পাঁচ মিনিটের রাস্তা যেতে আমাদের প্রায় এক ঘন্টার বেশি সময় অতিক্রম হয়ে যেত।
সত্যিই শৈশবে স্কুলে যাওয়ার সেই দিনগুলো এখন বেশ মনে পড়ে। কারণ এখন আমি আমার গ্রামের বাড়িতে আছি এবং আমার চোখের সামনে দিয়ে যখন ছেলে মেয়েগুলো স্কুলে যায় তখন তাদেরকে দেখে আমারও আবারও শৈশবের দিনগুলোর কথা মনে পড়ে এবং শৈশবের মতো স্কুলে যেতে মন চায়।
তবে শৈশব যে বড়ই স্মৃতিময়!¿
VOTE @bangla.witness as witness
OR
|250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি
আমি মোহাম্মদ আকাশ সরদার
। জাতীয়তা বাংলাদেশী। আমি ব্লগিং করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। যদিও আর্ট আমার অনেক বেশি পছন্দ তবে আর্টওয়ার্ক কাজের জন্য আমার হাত একদম বাজে। ভ্রমণ এবং ফটোগ্রাফি আমার সব থেকে প্রিয় বিষয়। নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ এবং নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হতে বেশ ভালো লাগে। অসহায় মানুষদেরকে সাহায্য করতে পারলে মনের ভেতরে আনন্দ আসে। সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে মানুষের সেবা করতে চাই এবং সকলের প্রিয় ব্যক্তি হয়ে এই সমাজে বসবাস করতে চাই।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
https://x.com/steemforfuture/status/1828268610944671978?t=xc76ke26_p1w4KRhK_llVw&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ দারুন একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করেছেন শৈশবে স্কুলে যাওয়ার সেই স্মৃতিময় দিনগুলো। আপনার লেখা পোস্টটি পড়ে সত্যি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। ঠিক বলেছেন ভাই আসলেই সেই সময় আমরা একজন বন্ধু অন্যজন বন্ধুকে স্কুলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যেতাম আসলে এসব স্মৃতিগুলো এখন মনে পড়লে বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া বন্ধু থাকলে জীবনের সমস্ত আনন্দগুলো এক মুহূর্তে রঙিন হয়ে ওঠে। আপনার মত আমারও অনেক সময় সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যেত তখন বান্ধবী এসে দাঁড়িয়ে থাকতো তারপরে একসাথে খাওয়া দাওয়া সেরে একসাথে স্কুলে যেতে অনেক মজা করে। ধন্যবাদ ভাইয়া শৈশবের অনেক সুন্দর স্মৃতিময় মূহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit