আমার গ্রাম্য বাজার ভ্রমণের দৃশ্যপট (পর্ব-২) ১০% @shy-fox কে

in hive-129948 •  3 years ago  (edited)

আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা,


আমি ইতিপূর্বে আমার গ্রাম বাজার ভ্রমণের দৃশ্যপট নিয়ে একটি পোস্ট করেছিলাম যেটি পর্ব 1 আপনাদের মাঝে দেখানো হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও আমার কাছে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি ছিল যেগুলো আমি প্রথম পর্বের শেয়ার করিনি। কেননা প্রথম পর্বে আমার ব্লক দিয়ে অনেক বড় হয়ে যাবার কারণে আমি আজ দ্বিতীয় ব্লগ তৈরি করলাম আপনাদের মাঝে আমাদের গ্রাম্য বাজারের ভ্রমণের দৃশ্যপটগুলো দেখানোর জন্য। বিশেষ করে গ্রাম্য বাজার আমার খুব ভালো লাগে। তাই ঢাকা থেকে যখন আমি আমার গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম দুই দিনের জন্য এবং একদিন আমি আমার গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যাবার পর আমার গ্রাম্য বাজারে গেছিলাম বাজার করার জন্য।

বন্ধুরা গ্রাম্য বাজারের দ্বিতীয় পর্ব তোমাদের মাঝে দেখানো যাক কিভাবে আমি আমার গ্রাম্য বাজারে র দৃশ্যপটগুলো সাজিয়েছি।।

IMG_20210917_155527.jpg

  • w3w code

//https://w3w.co/tension.folktale.murmurings

  • photography - Samsung galaxy a10s

    |IMG_20210917_155543.jpg|IMG_20210917_155536.jpg|
    |-|-|


https://w3w.co/tension.folktale.murmurings
photography - Samsung galaxy a10s

আমার গ্রাম্য বাজারে প্রবেশ করার পরে বাজার শেষ করেছিলাম যে কি আমি প্রথম পর্বে দিয়েছি। বেশ কিছুক্ষণ পর আমার প্রচণ্ড জানি কিছু খেতে মন চাইছিল।। সুতরাং আমি চোখ খুলে দেখলাম একজন বৃদ্ধ মানুষ পিয়াজি বিক্রি করছে। গরম গরম পিঁয়াজু দেখে আমি আর লোভ সামলিয়ে রাখতে পারলাম না। দোকান ওয়ালা কে গিয়ে বললাম চাচা পিয়াজি দিন আমাকে। অতএব কিছুক্ষণ পর দোকানদার আমাকে পিয়াজি দিল এবং আমি পিয়াজি খাওয়া শুরু করে দিলাম এবং পেঁয়াজ খেতে খেতে বাজার ভ্রমণ করতে লাগলাম।।

IMG_20210917_155025.jpgIMG_20210917_155020.jpg
  • https://w3w.co/tension.folktale.murmurings
  • photography Samsung galaxy a10s
    বেশ কিছুক্ষণ পর আমি দেখতে পেলাম সেই পিয়াজি ওয়ালা দোকানের পাশেই একটি দুকান্বালা বাদাম এবং কিছু সন্দেশ এবং মিষ্টি বিক্রি করছে। সন্দেশ খেতে আমার খুব ভালো লাগে। তাই আমি সন্দেশ এর দোকানে গেলাম এবং সেখানে গিয়ে বেশ কিছু সন্দেশ কিনে আনলাম।।
    IMG_20210917_154952.jpg

-https://w3w.co/tension.folktale.murmurings
Photographer - @steem-for-future
আমার সন্দেশ কিনা শেষ হলে আমি আবার সামনের দিকে এগোতে থাকলাম। এবারে দেখতে পেলাম একটি সেন্ডেল বিক্রেতা সেন্ডেল বিক্রি করছে। শহরে যেমন দোকানে কিংবা বড় বড় শপিং মলে জুতা বিক্রি করা হয় কিন্তু আমাদের গ্রাম্য বাজারে মাটিতে বসেই এসকল জুতা সেন্ডেল গুলো বিক্রি করা হয়। সুতরাং এটি আমার গ্রামের একটি বৈচিত্র্যময় রূপ ধারণ করতে সক্ষম।।
IMG_20210917_154830.jpg

  • https://w3w.co/tension.folktale.murmurings

  • photography - @steem-for-future
    একেই বলে হাতুড়ে ডাক্তার। এটি আমাদের গ্রামের অনেক পুরনো একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার।সে প্রায় 30 বছর যাবত এই ডাক্তারি পেশায় নিয়োজিত আছেন। তিনি গ্রামের একজন হাতুড়ে ডাক্তার হলেও তার অভিজ্ঞতা অনেক। তাকে দেখে বেশ ভালই লাগছিল আমার।
    IMG_20210917_154823.jpg

https://w3w.co/tension.folktale.murmurings

এটি আমাদের ছোট্ট গ্রামের বাজারে একজন বৃদ্ধ পান বিক্রেতা। মাত্র তিন টাকার বিনিময়ে তার কাছ থেকে আপনি পান কিনে খেতে পারেন। সে অনেকদিন যাবত এই পান বিক্রি করে আসছে। যেটি আমাদের বাজারের মূল ফটক হিসেবে পরিচিত।।
IMG_20210917_155752.jpg

https://w3w.co/tension.folktale.murmurings
ইনি হলেন আমাদের বাজারের একজন কলা বিক্রেতা। সে প্রতিনিয়ত তার খেতে চাষ করা কলা বাজারে বিক্রি করেন। এখানে কোন প্রকার কেমিক্যাল ছাড়াই আপনি সুন্দর মানের কলাগুলো খেতে পারেন।

তার জমিতে কলা চাষ করেন এবং তার নিজের জীবিকা নির্বাহ করার জন্য সে সবসময়ই আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছেন।
IMG_20210917_155708.jpg

https://w3w.co/tension.folktale.murmurings
আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো এখান থেকে সংগ্রহ করা হয়। আমার গ্রাম্য বাজার ভ্রমণের মন্দির সাপোর্ট হল এটি। এখানে সকল প্রকার রান্না করার সামগ্রী পাওয়া যায় এবং যেটি আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস হিসেবে পরিচিত।।
IMG_20210917_155712.jpg

https://w3w.co/tension.folktale.murmurings
এসকল দোকানগুলো ভ্রমণ করার পর আমি সোজা চলে আসলাম বাজারের সর্বশেষ প্রান্তে। বাজারের শেষ প্রান্তে এসে দেখলাম একজন ছোট ছেলে আলু বিক্রি করছে।

যদিও তাহলে এখনো শ্রম দেওয়ার বয়স হয়নি তার পরে তার নিজের জীবিকা এবং পিতা-মাতার মুখের দিকে সে সে এসকল কাজগুলো করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। সুতরাং সেলুট জানাই আমাদের গ্রাম্য বাজারের এই সকল মানুষদেরকে।।

IMG_20210917_160142.jpg
https://w3w.co/tension.folktale.murmurings

আমার বাজার ভ্রমণে প্রায় দুই ঘণ্টার সময় লেগেছিল। বাজার ভ্রমণের 2 ঘন্টা সময় লাগার পর আমি যে পিয়াজি খাচ্ছিলাম সেই পিয়াজের থলে থেকে আরও এক হলে পেঁয়াজি বের করলাম।

পিয়াজি বের করার পরে আমি আবার পুনরায় পেঁয়াজি খেতে সক্ষম হলাম। এবং আমার সাইকেলের হ্যান্ডেলের সাথে একটি পলিথিন এর সাহায্যে পিয়াজি আটকে নিলাম এবং পিয়াজি খেতে খেতে আমি তখন বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। বেশ কয়েকদিন আমি অনেক মজা করেছিলাম আমার গ্রাম্য বাজারে এবং আমার গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে।

যদিও সময় খুব কম ছিল তারপরে খুব আনন্দ উপভোগ করেছিলাম। অবশেষে পিয়াজি খেতে খেতে আমি আমার বাড়িতে চলে আসি এবং বাড়িতে আসার পর আমার দাদীর কাছে আমার বাজার ব্যাগগুলো হস্তান্তর করি।

আর এই ছিল আমার গ্রাম্য বাজারের ভ্রমণের দৃশ্যপট পর্ব 2। জিটি অলরেডি আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করে ফেললাম।।

![IMG_20210917_160231.jpg]()
https://w3w.co/tension.folktale.murmurings Photographer @steem-for-future

cc

@rme @photoman @amarbanglablog @shy-fox

Regards

Screenshot_20210911-222132_Chrome.jpg

@steem-for-future

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনার বাজারে ছবিগুলো বেশ সুন্দর হয়েছে এবং সাথে ভালো বর্ণনাও দিয়েছেন। বাজারে চপ,পেয়াজি ভাজির দোকান দেখলেই মনচাই খেতে। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।

ভালোবাসা অবিরাম প্রিয় ভাই আপনার জন্য

বাজারের অনেক গুলো চিত্র আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন আপনি।বাজারের অনেক ব্যাখ্যা আপনি আপনার পোস্টে তুলে ধরেছেন।তিন টাকায় পান বিক্রি করে যদি পান বিক্রেতার লাভ হয় তাহলে আমাদের এখানে যারা 5 টাকা করে পান বিক্রি করে তারা তো ডাকাতি করতেছে।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।শুভ কামনা রইলো ভাই।

খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন ভাই আপনার মতামত টি। সম্পুর্ন পোস্ট টি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক অভিনন্দন

আপনি বাজারের সব কিছু অনেক সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। খুব স্বল্প সময়ে অনেক ভালো লাগলো। বিশেষ করে মুরুব্বী-এর লোক বড়া, চপ বিক্রি করছিল একটি লোক কলা বিক্রি করছিল গুলো অনেক সুন্দর ছিল দেখতে ভালো লাগছে। এককথায় আপনি সবকিছু সুন্দরভাবে প্রদর্শন করেছেন। আপনি সবকিছু নিয়ে অনেক ভালো কিছু তৈরি করেছেন আপনার জন্য শুভকামনা রইল। অনেক ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে।

ব্লগটি সম্পূর্ণ ধৈর্য সহকারে দেখার জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো ভাই

গ্রামের বাজারের দোকানপাট গুলো একেবারে সাধাসিধা থাকে এবং এগুলো দেখতে সত্যিই খুব চমৎকার লাগে কারণ শহরে এরকম সাদাসিধে দোকান একেবারে দেখা যায়না।

ঠিক বলেছেন। গ্রামের দোকান গুলো যেন আমাদের সহজ-সরল মানবিকতা প্রকাশ করে।
যেগুলো শহরে খুবই নগণ্য