আমার বাংলা ব্লগ-৬ 🎁 বর্তমান অথবা বিলুপ্ত প্রায় স্থানীয় লোকসংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ১০% 🦊 @shy-fox

in hive-129948 •  3 years ago 

১০% 🦊 @shy-fox🦊

20210906_194720.jpg

আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা। আশা করছি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের সকলের দোয়ায় এবং আমার মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে আমিও ভাল আছি।

তবে প্রতিদিনের মত আমি আজকে কোন ব্লগিং নিয়ে হাজির হয় নি। হাজির হয়েছি, #amarbanglablog কর্তিক প্রতিযোগিতা 6 এর আয়োজনে @moh.arif ভাই এর আমন্ত্রণে উপস্থিত হয়েছি একটি কনটেস্ট এ যোগদান করার জন্য।

সাধারণত যেখানে স্থান পাবে আমার লোকসংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য নিয়ে বেশ কিছু পোস্ট। যেগুলো কালের বিবর্তনে আমাদের পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে কিংবা যেগুলো আমরা আজ আর আজ থেকে বেশ কিছুদিন পর এগুলো দেখতে পাব না হয়তো সেই জিনিস গুলো নিয়ে আমি আপনাদের মাঝে আজ একটি ব্লগিং তৈরি করার জন্য উপস্থিত হলাম।

মূলত আপনারা স্থানীয় এলাকাগুলো থেকে আপনি এই সুন্দর কনটেস্টে উপভোগ করতে পারেন। সেখান থেকে আপনার এলাকার বিলুপ্ত হওয়া জিনিস গুলো আমরা সকলেই উপভোগ করতে পারব এবং সকলেই বিলুপ্ত হওয়া জিনিস সম্পর্কে আলাদা আলাদা জ্ঞান আহরণ করতে পারব।

কালের গর্ভে যে সকল জিনিস গুলো আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে অবশ্যই আমরা সে সকল জিনিস গুলো ঐতিহ্য ধারণ করতে চাই। এবং ব্লগ চেইন এর মাধ্যমে হাজার বছর পৃথিবীতে এগুলোকে টিকিয়ে রাখতে চাই।

এরই ধারাবাহিকতা নিয়ে #amarbanglablog কর্তৃক আয়োজিত প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করছে। আশা করছি সবাই আমার পোস্ট উপভোগ করবেন এবং আমার এলাকার স্থানীয় লোক ও সংস্কৃতি সম্পর্কে বিশেষ কিছু জ্ঞান এবং ধারণা আহরণ করতে পারবেন। চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।।।।

আজকে আমি আলোচনা করব আমার বর্তমান লোকসংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য নিয়ে। যেগুলো প্রায় আমাদের সমাজ থেকে আজ বিলুপ্তির পথে।

সমাজ থেকে এসকল জিনিসগুলোকে যদি আমরা চিরদিন আমাদের মনের মাঝে গেথে রাখতে চায় তাহলে সকল জিনিস গুলো এখন আমাদের জাদুঘরের সংগ্রহ করে রাখতে হবে অথবা মোবাইলে ফটোগ্রাফি অথবা সংগ্রহশালা নির্মাণ করে সেগুলো অবশ্যই সংগ্রহ করে রাখতে হবে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য। কেননা আমার নিজের দেখা জিনিসগুলো আজকে আমি যেগুলো দেখছি হয়তো সেগুলো আর পাঁচ বছর পর এই পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে।
এরই ধারাবাহিকতা নিয়ে আমি আজকে আপনাদের সামনে বেশ কিছু বিলুপ্ত এবং ঐতিহ্য বাহি জিনিস নিয়ে হাজির হয়েছি অবশ্যই সকলে উপভোগ করবেন।।

🤣 ১-হারিকেন 🤣

IMG_20210906_172146.jpg
https://w3w.co/bulletins.powers.combines
IMG_20210906_172135.jpg
https://w3w.co/bulletins.powers.combines
IMG_20210906_172132.jpg
https://w3w.co/bulletins.powers.combines
প্রথমেই আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি আমাদের কালের গর্ভে হারিয়ে যাওয়া একটি বাঙালির সংস্কৃতি হারিকেন নিয়ে। আমার পোস্ট টি যেসকল ছেলেমেয়ে ২০০০ সাল এর পরে জন্ম গ্রহণ করেছে তারা হয়তো এটি আর খুব একটা কেউ দেখেনি.। কেননা হারিকেন কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে আমাদের মাঝ থেকে। আগে আমাদের সমাজে বাতি ব্যবহার করা হতো যেগুলো কেরোসিন অথবা অন্যান্য দিয়াশলাই দিয়ে চালানো হতো। তবে এখন আধুনিক যুগে বৈদ্যুতিক এর প্রচুর আগমনের ফলে এবং মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নের ফলে এখন আর হারিকেন খুব একটা দেখা যায়না। এটি আমাদের লোকসংস্কৃতির একটি চরম পর্যায়ে।

আমার এই পোস্ট এর লেখাগুলো কেউ যদি পর্যবেক্ষণ করে তাহলে অনেকেই হয়তো বুঝতে পারবে তারা হয়তো হারিকেন খুব একটা এখন আর কেউই দেখতে পাইনি। তবে আমার এলাকার লোকসংস্কৃতি গুলো ধরে রাখার অন্যতম মাধ্যম এবং ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য আমি এই ফটোগ্রাফি কি করেছি একটি লোকসংস্কৃতি মেলা থেকে।।।

কালের গর্ভে আমাদের ঐতিহ্য হারিয়ে গিয়েছে তার একটি প্রমাণ হলো এই হারিকেন।।

🤣২- শিকা ,নকশি শিকা 🤣

IMG_20210906_174743.jpg

https://w3w.co/bulletins.powers.combines

IMG_20210906_174738.jpg

https://w3w.co/bulletins.powers.combines
থামেন? নকশী শিকা?? অনেকেই প্রশ্ন করতে পারি। এটা আবার কি।??
আসলে এখন আমরা সাধারণত আমাদের তৈজসপত্র এবং ঘরের বিভিন্ন ধরনের জিনিস পাতি গুলো সংরক্ষন করার জন্য বিভিন্ন ধরনের রেক অথবা বিভিন্ন ধরনের কাঠের তৈরি করতে ব্যবহার করি।
বিশেষ করে আমাদের খাবার সংরক্ষণ করার জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিক অথবা কাঠের তৈরি এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকি। তবে যখন এসকল আধুনিক যুগ ছিল না তখন আমাদের মায়েরা অথবা বোনেরা তাদের সুন্দর হাতে এই নকশি শেখা তৈরি করত এবং সেখানে তারা তাদের বিভিন্ন ধরনের জিনিসগুলো কে রেখে দিত সযত্নে। যেন ইঁদুর-বিড়াল অথবা অন্য কোনো প্রাণী তাদের খাবারগুলোকে নষ্ট করতে না পারে।

তবে এখন যদি আপনি লক্ষ্য করেন তাহলে দেখবেন হয়তো 1000 টি বাড়ির মধ্যে পাঁচটি বাড়িতেও এই নকশী শিকা খুঁজে পাবেন না। এগুলো আমাদের পুরনো ঐতিহ্য এবং শিল্পকে কালের গর্ভে দিন দিন হারিয়ে ফেলেছে।

সুতরাং বর্তমান বিলুপ্ত হয়ে যায় এমন একটি আমার এলাকার ঐতিহ্যের মধ্যে অন্যতম হলো নকশী শিকা।।

🏠🏘️ খড় ও সন এর ঘর 🏘️🏠

IMG_20210906_174105_mfnr.jpg

https://w3w.co/bulletins.powers.combines
IMG_20210906_173824.jpg

https://w3w.co/bulletins.powers.combines

IMG_20210906_173815.jpg
https://w3w.co/bulletins.powers.combines
IMG_20210906_173646.jpg
https://w3w.co/bulletins.powers.combines
IMG_20210906_173008.jpg
https://w3w.co/bulletins.powers.combines
IMG_20210903_182230_mfnr.jpg

https://w3w.co/bulletins.powers.combines
দ্বিতীয়তঃ, আপনারা হয়তো অনেকেই গ্রামের বাড়িতে যদি বেড়াতে যান তাহলে দেখতে পাবেন কিছু খড় এবং সন দিয়ে ঘর তৈরি করা থাকে। যেসকল ঘর তৈরীর কাজে বাস ব্যবহার করা হয়ে থাকে এবং পাটের তৈরি রশি দিয়ে ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়। তবে কালের বিবর্তনে এবং আধুনিক যুগের অত্যন্ত পরিবর্তনের ফলে এখন আর এর সকল ঘরগুলো গ্রামের বাড়িতে দেখা যায় না।
মানুষ আগে বোন থেকে লতা পাতা সংগ্রহ করত এবং সেই সকল লতাপাতা অথবা খড় অথবা পাটের তৈরি রশি দিয়ে নিজেদের ঘর তৈরি করত এবং সেই ঘরে ব্যবহার করা হতো মাটি। কিন্তু কালের বিবর্তনে এখন আর এসকল ঘর গুলো দেখা যায় না।
গ্রামে কিংবা শহরে এখন শুধু লক্ষ্য করা যায় বড় বড় ইট পাথর দিয়ে তৈরি দালান কোঠা।
তবে আমি মনে করি এগুলো হচ্ছে আমার এলাকার কিছু বিলুপ্ত হওয়া ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। যেগুলো এখন আর আমার নিজের গ্রামে আমি দেখি না কিংবা কোন স্থানে আমার চোখে পড়ে না। আমি মনে করি এগুলো বেশ কিছুদিন পরে হয়তো হারিয়ে যাবে আমাদের মাঝ থেকে। সুতরাং আমার এলাকার স্থানীয় লোক ও সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের একটি নিদর্শন হল

এই খড় ও ছন দিয়ে তৈরি বাড়ি।।

আমার এলাকার ঐতিহ্য গুলোকে ধারণ করার জন্য আমি এবং আমার বন্ধুরা মিলে একটি লোকসংস্কৃতি মেলায় অংশগ্রহণ করেছিলাম এবং সেখানে গিয়ে আমি এই ছবি গুলো সংগ্রহ করি।।

📷 মাটির তৈরি তৈজসপত্র📸

IMG_20210906_172649.jpg
https://w3w.co/bulletins.powers.combines
IMG_20210906_172353.jpg
https://w3w.co/bulletins.powers.combines
IMG_20210906_172155.jpg
https://w3w.co/bulletins.powers.combines
এগুলো হলো মৃৎশিল্পের কিছু অবদান। আমাদের এলাকার মানুষগুলো কোমর এখনো মাটি দিয়ে এসকল তৈজসপত্র গুলো তৈরি করে থাকেন। এগুলোর মধ্যে স্থান পায়, ভাত রান্না করার পাত্র, পানি খাওয়ার জন্য কলসি, ভাত খাওয়ার জন্য থালা, এবং গরু গুলোকে লালন পালন করার জন্য বিশেষ এক ধরনের জিনিস।
নকশি পাতিল অথবা এই সকল ধরনের মৃৎশিল্প গুলো আমাদের মাঝ থেকে প্রায় হারিয়ে গিয়েছে। এখন শুধু আমাদের সমাজে রয়েছে পিতল অথবা সিলভারের তৈরি তৈজসপত্র। এখন মানুষ রান্না করার কাজে আর মাটির হাড়ি ব্যবহার করে না। এখন মানুষ ব্যবহার করে গ্যাসের চুলা অথবা সিলভার এর তৈজসপত্র অথবা প্রেসার কুকার রাইস কুকার এসকল ডিজিটাল জিনিসগুলো। কিন্তু আগে আমাদের রান্না করার একমাত্র মাধ্যম ছিল এ সকল মাটির তৈজসপত্র গুলো

IMG_20210906_172218.jpg

https://w3w.co/bulletins.powers.combines
তবে এখন আর মাটির তৈজসপত্র গুলো খুব একটা দেখা যায়না। আস্তে আস্তে আমাদের সমাজ থেকে এগুলো প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। হয়তো আর পাঁচ থেকে দশ বছর পর আমাদের সমাজ থেকে এসকল তৈজসপত্র গুলো উঠে যাবে এবং আমাদের আগামী প্রজন্ম গুলো চিনতে পারবেনা যে মাটি দ্বারা কোন তেজস্ক্রিয় কিংবা আমাদের ব্যবহৃত জিনিস গুলো তৈরি করা যায়।
সুতরাং আমার এলাকার লোক সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের প্রধান ধারা বহন করে এই মাটির তৈরি তৈজসপত্র গুলো। যেগুলো কালের বিবর্তনে আমার মাঝ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।।।

😈 মাথাল 👿

IMG_20210906_174805.jpg
https://w3w.co/bulletins.powers.combines
IMG_20210906_172315.jpg

https://w3w.co/bulletins.powers.combines
আমার এলাকার লোক সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের অন্যতম বাহন হিসেবে রয়েছে মাথাল। বর্তমান যুগে এখন আর এই ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি গুলো খুব একটা লক্ষ করা যায় না। এগুলো হলো আমাদের পুরো কৃষি মাটি প্রতিটি দেশে একটি অমূল্য জিনিস।

আগেকার কৃষকরা যখন মাঠে কাজ করতো ক্ষেতে-খামারে তাদের ধান কাটতে অথবা বিভিন্ন কৃষি কাজ করতো তখন রোদ থেকে বাঁচার জন্য কৃষকরা সুন্দরী এই জিনিসটি ব্যবহার করত। যেটাকে আমরা সাধারণত মাতাল বলে অভিহিত করতে পারি।

কিন্তু আপনি যদি এখন আপনার এলাকায় লক্ষ্য করেন তাহলে দেখবেন উন্নত কৃষি প্রযুক্তি হবার ফলে এখন আর কৃষকরা তাদের কৃষিজমিতে কঠোর পরিশ্রম করার পূর্বেই উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের কঠিন কাজ গুলোকে সহজ করে ব্যবহার করছে।
সুতরাং এক্ষেত্রে আমাদের দেশ থেকে মাথাল এর প্রচলন ধীরে ধীরে উঠে যাচ্ছে। সুতরাং লোকসংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় আমাদের দেশ থেকে ধীরে ধীরে এই জিনিসটি হয়তো একসময় আর খুঁজে পাওয়া সম্ভব হবে না।

তবে এখনো কিছু কিছু এলাকায় এর ব্যবহার থাকলেও কিছুদিনের মধ্যেই হয়তো উন্নত কোন প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে এই মাথাল এর ব্যবহার উঠে যাবে আমাদের পৃথিবী থেকে।।

সুতরাং লোক ও সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বিলুপ্তির পথে রয়েছে এই মাথাল 👿

👿 তামুক খাবার তৈজসপত্র😈👿

IMG_20210906_172248.jpg
https://w3w.co/bulletins.powers.combines
IMG_20210906_172241.jpg

https://w3w.co/bulletins.powers.combines
বন্ধুরা, চিত্রে যে ছবিটি দেখা যাচ্ছে এটি আসলে প্রকৃতপক্ষে কোন সত্তিকারের তামুক খাওয়ার দৃশ্য নয়।

আমি এবং আমার বন্ধু মিলে লোকজ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সুন্দরতম কিছু নিদর্শন প্রকাশ করার জন্য একটি মেলায় যাবার পর তামুখ আবার বিশেষ এক যন্ত্রের সন্ধান পেলাম।

বিশেষ করে আমাদের আগের রাজা-বাদশা অথবা ধনী মানুষ গুলো যখন সিগারেট কিংবা বেরি আবিষ্কার হয়েছিল না তখন তারা বিশেষ এক মাধ্যম দিয়ে তামুক গ্রহণ করত। সেগুলো তৈরি করা হতো মাটির তৈজসপত্র দিয়ে।

আমিও সঠিক এই মাটির তৈরি জিনিসটির নাম জানিনা। শুধু জানি এটি আমার প্রাচীন ঐতিহ্যকে রক্ষা করে এবং আমার এলাকার লোক ও সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য এর মূল বাহন। সুতরাং মাটির তৈরি এই তামু খাবার বিশেষ যন্ত্র টি সংগ্রহ করেছিলাম একটি মৃৎশিল্পের মেলা থেকে।

এটি হলো আমাদের দেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া একটি শিল্প। যেটি কালের গর্ভে হারিয়ে গিয়েছে আমাদের মাঝ থেকে। এখন শত চেষ্টা করেও আর হয়তো এই জিনিসটি আমরা খুঁজে পেতে সক্ষম হবো না।।

বন্ধুরা, আর এই ছিল আমার স্থানীয় এলাকার লোক ও সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য নিয়ে একটি পোস্ট প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ। আমার মনে হয় আমরা সকলে যদি সকলের এলাকার লোক ও সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য গুলো যেগুলো হারিয়ে গিয়েছে আমাদের মাঝ থেকে সেগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করে তাহলে আমরা প্রত্যেকে প্রত্যেকের লোকসংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারবো। জানতে পারবো আমাদের পৃথিবীর মাঝ থেকে হারিয়ে যাওয়া কিছু ঐতিহ্য গুলোকে|

বিশেষ দ্রষ্টব্য,

তামুক খাওয়ার দৃশ্যটি কাল্পনিক। এখানে কোন তামুক খাওয়া হয়নি কিংবা কোন নেশা জাতীয় দ্রব্যের খাবার প্রতি কাউকে আগ্রহ করা হয়নি। শুধুমাত্র প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আমি এই ফটোগ্রাফি টি সংগ্রহ করেছি। মনে করছি সকলেই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

👌🙏🙏

ফটোগ্রাফিঅরিজিনাল ফটো
ফটোগ্রাফি করেছেন@steem-for-future
ব্যবহারিত ডিভাইসমোবাইল ফোন
নাম এবং মডেলস্যামসাং গ্যালাক্সি a10s
বিষয়লোকসংস্কৃতি ও ঐতিহ্য
ধরণপ্রতিযোগিতা ৬
লোকেশনগাজিপুর বাংলাদেশ

আন্তরিকভাবে অভিনন্দন জানাতে চাই সুন্দরী প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য @rme দাদাকে সাথে @amarbanglablog কে এবং আমাকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য দাওয়াত দিয়েছিলেন @moh.arif ভাই সহ এই প্রতিযোগিতার সকল বিচারকমণ্ডলী গন @blacks @hafizullah @photoman @curators @shy-fox সহ সকল একটিভ মেম্বার এবং আমার বাংলা ব্লগ ব্যবহারকারী সকল বন্ধুদের।।

প্রিয় রেগার্ডস

আমিIMG_20210906_172315.jpg
@steem-for-future

আমি মোঃ আকাশ আলী। আমি একজন গার্মেন্টস কর্মচারী সাথে স্টিমিট এ কাজ করি। বিউটি অফ ক্রিটিভিটি এবং আমার বাংলা ব্লগ আমার প্রিয় কমিউনিটি। আমি আমার এলাকার মানুষগুলোকে এবং দেশের মানুষ গুলোকে সেবা এবং সহযোগিতা করতে চাই এবং তাদের সকলের দোয়া নিয়ে পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে চাই। পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে চাই সকলের ভালোবাসা নিয়ে এবং পিতা-মাতার আদর এবং দোয়া নিয়ে। গরিব-দুঃখী এবং অসহায় মানুষদেরকে ভালোবাসি এবং তাদেরকে সাহায্য করাটাই আমার মূল জীবনের লক্ষ্য।।।

ধন্যবাদ সবাইকে

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

সব মিলিয়ে অনেক সুন্দর লিখেছেন। ছবি গুলো অসাধারণ ছিল। সাংস্কৃতিক প্রায় বিলুপ্তির পথে আপনাদের পোস্ট দেখে পুরনো স্মৃতি ও ঐতিহ্য অনুভব করছি। আমরা আমাদের সাংস্কৃতিকে কখনো ভুলে যাবো না।

অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আমার ব্লগ টি সুন্দরভাবে পর্যবেক্ষণ করার জন্য। আশা করছি এই পোস্ট এর মাধ্যমে আমি আমার এলাকার পুরনো স্মৃতি এবং ঐতিহ্য গুলোকে ধারণ করতে সক্ষম হয়েছে।। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামতের জন্য

বিলুপ্তপ্রায় জিনিস গুলো দেখে আমি খুবই আবেগ পৃত হয়ে গেলাম। আমি ছোট থাকতে এরকম খড়ের ঘরের চাল দেখেছিলাম। কিন্তু এখন আর তার দেখা দুঃসাধ্য। ধন্যবাদ ভাই এরকম জিনিস শেয়ার করার জন্য।

আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ সাথে থেকে যথেষ্ট পরিমাণে সাপোর্ট এবং সুন্দর মতামতের জন্য

খুব সুন্দর উপস্থাপন করেছেন ভাই। হেরিকেনের সাথে যে আমার কত আবেগ জড়িয়ে আছেকী বলব ভাই। কালের বিবর্তনে হেরিকেন এখন শুধুই ইতিহাস।

image.png
তবে ভাই এই ধরনের জিনিস গুলো মানুষ এখন সৌখিনতার জন্য বাড়িতে রাখছে। এটাকে বিলুপ্ত বললে আমি ব‍্যক্তিগত ভাবে মানতে পারব না।
এবং হোককা টা সত্যিই এখন বিলুপ্ত। এটা অসাধারণভাবে লিখেছেন। আগে এর ব‍্যবহার থাকলেও এখন এই হোককা দেখা যায়না বললেই চলে।

সবমিলিয়ে ভালো উপস্থাপনা ছিল।।

তবে এখন এগুলোর পরিবর্তে কিছু কিছু মানুষ কিন্তু কৃত্রিম এবং আধুনিক জিনিসপত্র ব্যবহার করছে। এর ব্যবহার খুবই নগণ্য আমাদের সমাজে।

অসংখ্য ধন্যবাদ ব্লগটি ভিজিট করার জন্য এবং সাথে থাকার জন্য

উপস্থাপনা অসাধারণ করেছেন ভাইয়া। তার সাথে সাথে পুরনো ছবি কিছু দেখতে পেলাম, বিশেষ করে চালের ঘর আর তামাক খাওয়ার তৈজসপত্র দেখে। শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ভাইয়া আপনার জন্য।

সবকিছু বেশ পুরোনো। কালের বিবর্তনে যেগুলো হারিয়ে গেছে আমাদের সমাজ থেকে। সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করার চেষ্টা করেছি।

ভালো লাগলো শুনে খুব খুশি হলাম

ধন্যবাদ ভাইয়া

Wow ভাই আপনি তো দেখছি হারিয়ে যাওয়া অনেক কিছুই তুলে ধরেছেন।কালের বিবর্তনে আমরা এই সকল জিনিস গুলো হারিয়ে ফেলেছি।কখন এটা চিন্তা করিনা যে এই জিনিস গুলো এক সময় আমাদের দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতো।
অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই।আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো।

image.png

হারিকেন টা বেশ নতুন 😎

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মতামত করার জন্য। আর হারিকেনটা নতুন নয় এটিকে কৃত্রিম রং ব্যবহার করা হয়েছে এবং এর ভিতরে কৃত্রিম আলো জালানো হয়।

অরিজিনাল হারিকেন বিলুপ্ত হয়ে গেছে আমাদের সমাজ থেকে

অনেক সুন্দর করে সবকিছু সাজিয়ে পরিবেশন করেছেন। অনেক কিছু শিখতে ও জানতে পেরেছি আপনার পোস্ট পড়ে।

অসংখ্য ধন্যবাদ ব্লগ টি পর্যবেক্ষণ করার জন্য। এবং বাংলা ব্লগের সাথে থাকার জন্য

ধন্যবাদ ভাই।

সব মিলিয়ে খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন লোকসংস্কৃতির বিষয়বস্তুগুলো। পুরনো দিনের মানুষের ব্যবহারের জিনিসপত্রগুলোর ছবিগুলো খুব সুন্দর হয়েছে।

এসকল লোকসংস্কৃতি গুলো বিলুপ্তপ্রায়। খুব কষ্ট করে ছবিগুলো উপস্থাপন করেছি