আসসালামু আলাইকুম। শুভ সকাল আমার বাংলা ব্লগ
। আশা করছি আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনারা সকলেই বেশ ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও বেশ ভাল আছি। আমরা যেন সর্বদা সুস্থ সুন্দর এবং ভালো থাকতে পারি সে কারণে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি।
আজ আমি আমার শৈশবের স্মৃতি নিয়ে একটি ব্লগ লেখার জন্য উপস্থিত হয়েছি। শৈশবে আমাদের অনেক মধুময় স্মৃতি থাকে এবং সে সকল স্মৃতিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো শৈশবে স্কুলে ছুটির দিনগুলো
। চমৎকার এই শৈশবের স্মৃতি নিয়ে আজকের এই ব্লগ শেয়ার করার জন্য আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম। আমি আশাবাদী আপনারা সকলে আজকের এই ব্লগ উপভোগ করবেন এবং আপনাদের শৈশবের কথা মনে পড়বে। তাহলে চলুন সকলে মিলে উপভোগ করে আসি।
শৈশবে সব থেকে আনন্দদায়ক মুহূর্ত ছিল স্কুলে ছুটির দিন। অন্যান্য দিনগুলোতে বন্ধুরা মিলে যেমন আমরা দলবদ্ধ ভাবে স্কুলে যেতাম এবং স্কুলে গিয়ে লেখাপড়া করতাম এবং অনেক দুষ্টামি করতাম। স্কুলের টিফিন টাইমে বন্ধুরা মিলে খেলাধুলা করতাম এবং ছুটি দিলে একসঙ্গে সকলে মিলে এক দৌড় দিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিতাম। কারণ আজকে আমাদের স্কুল ছুটি হয়েছে এবং এখন আমরা বাসায় গিয়ে ইচ্ছে মত খেলাধুলা করব।
সাপ্তাহিক স্কুল চলাকালীন সময়ে দিনটা বেশ ভালো কাটে। কারণ বন্ধুবান্ধব এর সাথে লেখাপড়া এবং পাশাপাশি টিফিন টাইমে ফুটবল হাডুডু, ক্রিকেট কিংবা দৌড়ানি খেলতে অনেক বেশি ভালো লাগে। স্কুল ছুটির পর যখন ঘন্টা বাজে কে কখন কে কার আগে স্কুল ত্যাগ করতে পারে এর প্রতিযোগিতা করতাম।
মাঝে মাঝে স্কুল ছুটির পরে স্কুল ব্যাগ রেখে স্কুল মাঠেই খেলতে শুরু করতাম। বেশ ভালো একটা অনুভূতি ছিল পুরো বিষয়গুলো।
তবে শৈশবের সবথেকে আরও মধুময় বিষয় ছিল যখন বৃহস্পতিবার এবং দিনের অর্ধেক সময় স্কুলে ক্লাস চলার পর স্কুল ছুটি হতো।
বৃহস্পতিবার ছিল আমাদের স্কুলের অর্ধেক সময়। কারণ টিফিন টাইম এরপর স্কুল ছুটি হয়ে যাবে এবং প্রায় দুপুর ২ টা পর্যন্ত স্কুল এর সকল কার্যক্রম খোলা থাকবে। দুপুর ২ টার পর স্কুল ছুটি ঘোষণা করা হয় এবং সাপ্তাহিক ছুটি ছিল শুক্রবার।
বৃহস্পতিবার টিফিন শেষ করে যখন ক্লাসে প্রবেশ করতাম তখন আর ক্লাসের ভেতরে ক্লাস করতে মন চাইতোনা। কখন ছুটির ঘন্টা বাজবে এবং আমরা কখন ধরে গিয়ে বাহিরে আসবো এবং খেলাধুলা শুরু করব। তাছাড়াও আজকে বের হতে পারলেই কালকে পুরো দিন খেলাধুলা করতে পারব এবং পুরো দিন আমাদের স্কুল ছুটি থাকবে।
ছুটির সেই আনন্দ বুকে লালন করতাম এবং এত বেশি ভালো লাগতো যে কথা বলে বোঝানোর মত না। বৃহস্পতিবারের দিন যখন অর্ধেক দিন ক্লাস করে স্কুল ছুটি ঘোষণা করা হলো তখন স্কুল ব্যাগ ঘাড়ে নিয়ে দৌড় দিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিতাম। বাড়িতে এসে কোনরকম খেয়ে কিংবা না খেয়ে খেলতে বের হয়ে যেতাম। কারণ কালকে স্কুল ছুটি এবং আজকে আর সন্ধ্যায় পড়তে বসবো না এমনও হাজারও বাহানা ছিল।
বিশেষ করে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে দেরি করে ঘুম থেকে উঠতে চাইলেও ঐদিন আরো সকাল করে ঘুম থেকে উঠতাম কারণ খেলার নেশায় বন্ধুর অপেক্ষা করছিল।
মূলত সবকিছু মিলিয়ে শৈশবের এই স্মৃতির মুহূর্ত গুলো সত্যি অত্যন্ত আনন্দদায়ক ছিল। কারণ শৈশবের একদিন ছুটি পেলে মনের ভিতরে যে শান্তি আসতো সেই ছুটি এখন আজীবন কাটালেও হয়তো আর শান্তি হবে না আগের মত। কারণ শৈশবে স্মৃতি যে বড়ই মধুময়।
স্কুল জীবনের সব থেকে আনন্দময় মুহূর্ত ছিল শৈশবের স্কুল ছুটি দেয়ার মুহূর্ত।সাপ্তাহিক কিংবা সরকারি ছুটির দিনগুলোতে এত বেশি আনন্দ করতাম যা সত্যিই আজীবন মনে রাখার মত।
আপনারও কি আমার মত শৈশবের স্মৃতির দিনগুলো এমন আনন্দে কাটতো?? ছুটির দিনে কি আপনিও আনন্দ করতে এবং কোন বন্ধু কার আগে স্কুল ত্যাগ করতে পারে এমন প্রতিযোগিতা প্রতিযোগিতা খেলতেন?
চাইলে আপনিও আমার মত শৈশবের আনন্দময় দিনগুলো ভাগ করে নিতে পারেন। আমার বাংলা ব্লগ আপনার অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য এক সুবর্ণ মাধ্যম। তাই আপনার অনুভূতি, আবেগ ,ভালোলাগা এবং ভালোবাসাগুলো প্রকাশ করুন আমার বাংলা ব্লগ
কমিউনিটির মাধ্যমে। আমরা আপনার সব ধরনের ক্রিয়েটিভিটি ও আবেগ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
|250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি
আমি মোহাম্মদ আকাশ সরদার
। জাতীয়তা বাংলাদেশী। আমি ব্লগিং করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। যদিও আর্ট আমার অনেক বেশি পছন্দ তবে আর্টওয়ার্ক কাজের জন্য আমার হাত একদম বাজে। ভ্রমণ এবং ফটোগ্রাফি আমার সব থেকে প্রিয় বিষয়। নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ এবং নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হতে বেশ ভালো লাগে। অসহায় মানুষদেরকে সাহায্য করতে পারলে মনের ভেতরে আনন্দ আসে। সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে মানুষের সেবা করতে চাই এবং সকলের প্রিয় ব্যক্তি হয়ে এই সমাজে বসবাস করতে চাই।
https://x.com/steemforfuture/status/1852540042100765055?t=JfFB6J8dk4zsL8aJ4TbpEw&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
@tipu curate 2
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted 👌 (Mana: 1/8) Get profit votes with @tipU :)
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাই আপনি শৈশবের স্মৃতিময় মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন পরে ভালো লাগলো। বৃহস্পতিবারের দিন আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগতো কারণ অর্ধেক বেলা ক্লাস করে তারপর সারাদিন ছুটি আবার পরের দিনেও ছুটি। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
শৈশবের ছুটির দিনগুলো নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি। আপনার পোস্ট পড়ে সেই শৈশবের দিন গুলোর কথা মনে পড়ে গেল। একে একে মনে পড়ে গেল সেই খেলার সাথীদের,স্কুলের বন্ধুদের। তবে ছুটির দিন গুলো এখনো উপভোগ করি। ভালো লেগেছে আপনার পোস্টটি। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
শৈশবের দিনগুলো এখন আমরা খুবই মিস করি। শৈশবে আমরা কতটা দলবদ্ধ হয়ে চলাফেরা করতাম। স্কুলে গিয়ে সবার সাথে অনেক মজা করতাম। কিন্তু বর্তমান সময়ে তা আর হয়না। এখন আমরা সকলেই নিজের কাজের মধ্যে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit