আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি অনেক অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম পরের মেয়ে নাটকের ১২৬ পর্বের মধ্য থেকে ০১ তম পর্ব রিভিউ করে শেয়ার করার জন্য। আশা করি আমার এই রিভিউ পোস্ট আপনাদের অনেক অনেক ভালো লাগবে।

নাজিফার বিয়ের জন্য ঘটকটি আবার তাদের বাসায় আসে। নাজিফার শাশুড়ি ও ঘটকটি অনেক প্রকার কথা বলতে থাকেন। ঘটকটি বলে একটি পাত্র পেয়েছি নাজিফার জন্য। ছেলে অনেক বড়লোক পুরান ঢাকায় অনেক বড় ব্যবসা করেন। আর যদি নাজিফার সাথে বিয়ে হয় তাহলে গুলশানের একটা বাড়ি নাজিফা কে দিয়ে দিবেন। তারপর নাজিফা শাশুড়ি তাকে জিজ্ঞেস করেন ছেলের বয়স কেমন লোকটি বলে চল্লিশ হবে। তখন নাজিফার শাশুড়ি বলেন আমার নাজিফার বয়স ২৮-২৯ বছর হবে কিন্তু এই তুলনায় ছেলের বয়স অনেক বেশি হয়ে যায়। তখন ঘটক বলে নাজিফা তো বিধবা। আবার শুধু বিধবা না তার ৮ বছরের একটা মেয়েও আছে। তাহলে তার জন্য এরকম পাত্র ছাড়া পাওয়া যাবে না। আবারও উনি বলেন ছেলে অনেক বড়লোক বিয়ে দিলে দিয়ে দেন।

অন্যদিকে নাজিফা কে তার মা কল দিয়ে ডেকেছিল। তার অফিসের নিচেই। তার মা গিয়ে বলেন আরিয়ানা কে আমার সাথে নিয়ে যেতে চাই। তো নাজিফা বলে আচ্ছা নিয়ে যাও ওর কাছে রিকশা ভাড়া আছে দিয়ে দিও। তোমাদের টাকা দিয়ে আমার মেয়ে কোন কিছু করবে না। নাজিফার মা এগুলা শুনে অনেক মন খারাপ করে। তারপর নাজিফার মা বলে আমি আরিয়ানাকে আমার বাসায় নিয়ে যেতে চাই। তারপর নাজিফা অনেক রাগ করে বলে আমি কখনোই তোমাদের বাসায় আমার মেয়েকে নিয়ে যেতে দিব না। আপনার স্বামী আমাকে কি বলেছিল মনে নাই। সে আমার স্বামীকে টাকা দিয়ে কিনতে চেয়েছিল। আর তোমাদের সেই বাড়িতে আমার মেয়েকে যেতে দিব কখনোই না। তারপর নাজিফার মা বলে আমি তোকে দশ মাস পেটে ধরে মানুষ করেছি আর এখন তোর শাশুড়ি তোর কাছে আপন। তারপর নাজিফা কল্পনা করতে থাকে তার শাশুড়ির কথাগুলা। নাজিফা বলেন তোমরা যখন আমাকে পর করেছিলে ওই মানুষটা আমাকে আপন করেছিল সে হচ্ছে আমার শাশুড়ি।

অন্যদিকে নাজিফার শাশুড়ি ঘটকটিকে চা খেতে দেয়। চা খাওয়া শেষ হলে নাজিফা শাশুড়ি বলে। আমার নাজিফার ছবি তো আপনাকে দিয়েছিলাম তো ছেলের ছবি আমাকে দেন নাজিফা কে দেখাবো। শুরুতে ঘটক দেখাতে চাইছিল না। ছেলেটি হয়তো সুন্দর না আবার বয়স বেশি এগুলোর জন্য সে দেখাতে চাইছিল না। পরবর্তীতে বলার পর ঘটক তার শাশুড়িকে ছবি দেখায়।

ছেলের ছবি দেখে তো নাজিফার শাশুড়ি অনেক বেশি রাগ করেন। বলে এই ছেলেকে আমার নাজিফা পাত্র হিসেবে ঠিক করেছ। বয়স তো ৪০ এর চেয়ে অনেক বেশি হবে। তখন ঘটক বলে জি ৪২ মত। তখন ও নাজিফার শাশুড়ি অনেক রাগ করে। ঘটক বলে ছেলে অনেক বড়লোক বড় ব্যবসা করে। পুরান ঢাকায় বাড়ি আসছে আবার গুলশানে বাড়ি আছে। নাজিফার সাথে বিয়ে হলে গুলশানের বাড়িটা নাজিফাকে দিয়ে দিবে। এগুলা শুনেও নাজিফা শাশুড়ি রাগ করে বলে নাজিফা এগুলার পাগল না। নাজিফার বাপেও অনেক বড়লোক সে একমাত্র মেয়ে ওইখান থেকে সে চলে এসেছে। তার বাপের কাছ থেকে একটা পয়সাও নেয় না। আর আপনি এখানে টাকার লোভ দেখাতে এসেছেন। এভাবে কথা বলার মধ্য দিয়ে নাজিফা বাসায় চলে আসে।

আসলে এখনকার সময় শাশুড়ি বৌমার মধ্যে এরকম ভালোবাসা দেখা যায় না। যে তার শাশুড়ির জন্য মেয়ের জন্য সারা জীবন একসাথে কাটিয়ে দিতে চাই। তেমনিভাবে নাজিফার শাশুড়িও চাই নাজিফা একটু ভালো থাকুক। কারণ তার শাশুড়ি দেখে নাজিফার বয়স ও অনেক কম। এজন্য নাজিফার শাশুড়ি তার জন্য পাত্র দেখে। আসলে এ ধরনের নাটক দেখতে গেলেন কান্না চলে আসে। সবশেষে বলতে চাই নাটকের এই পর্বটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আশা করি পরবর্তী পর্বগুলো অনেক সুন্দর হবে।