আজ - সোমবার
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট।
আপনারা সকলেই জানেন আজ ১৫ ই আগস্ট। আর ১৫ ই আগস্ট বলতে আমরা বুঝতে পারি বাংলার ভূমিতে এক শোকের কালো ছায়া। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট এর রাতে বীর বাঙালি, বাংলা মায়ের বীর সন্তান, বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আর এই শহীদদের শরণার্থী এবং তাদের রুহের মাগফিরাত কামনার্থে এই দিনটিকে শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতিবছর সারা দেশব্যাপী যথাযথ মর্যাদার মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে তা পালন করা হয়ে থাকে। আজ ১৫ আগস্টে আমাদের স্কুল কর্তৃক আয়োজিত শোক দিবস পালনে আমি অংশগ্রহণ করেছিলাম। তাই আমি সেই বিষয়কে কেন্দ্র করে কিছু কথা আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে চাই।
১৫ ই আগস্ট 🌑 জাতীয় শোক দিবস 🌑 |
---|
ফটোগ্রাফি
১৫ ই আগস্ট, জাতীয় শোক দিবস। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন উপলক্ষে 'গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরি স্কুল'এর উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান দায়িত্ব পালন করতে হয় আমাকে। কারণ বিশেষ কোনো দিবস উপলক্ষে স্পেশাল দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছে। সাথে অনলাইন সংক্রান্ত বিষয়ে আমাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। জাতীয় শোক দিবসে আমরা সবাই গভীরভাবে শোকাহত। আমার অনেকেই জানি এই ১৫ই আগস্ট পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে স্বাধীনতা দিবস। আমরা তাদের স্বাধীনতাকে শ্রদ্ধা জানাই। আর কোন জাতিকে যেন স্বাধীনতা রক্ষার জন্য বুকে রক্ত ঝরাতে না হয় সেই কামনা করি। শোক দিবস উপলক্ষে আমাদের নির্দিষ্ট টাইম করে দেয়া হয়েছিল সকাল আটটার ১০-১৫ মিনিট পূর্বে স্কুলে উপস্থিত হতে হবে। তাই আমরা চেষ্টা করেছিলাম ৭ঃ৪৫ এ স্কুলে উপস্থিত হওয়ার জন্য। যেহেতু বিশেষ কোনো দিবস এবং অনলাইন বিষয়ক কাজে আমার দায়িত্ব বেশি। তাই এই বিষয়ের জন্য নিজেকে বেশি প্রস্তুত রাখতে হয়েছিল। যাহোক আমি সকাল ৭ঃ৪৫ মিনিটে স্কুলে পৌছে গেলাম। তার পাশাপাশি অন্যান্য শিক্ষকরা স্কুলে এসে উপস্থিত হল।
প্রথমে স্কুলের সাউন্ড বক্স অফিস থেকে বের করে দোতলায় নিয়ে গেলাম। সেটা একটি চেয়ারের উপরে রাখলাম হল রুমের পাশে। সাউন্ড বক্স অন করে আমার মোবাইলের সাথে ব্লুটুথ কানেকশন করলাম। এরপরে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ইউটিউব থেকে ডাউনলোড করে নিয়ে প্লে করলাম। কোরআন তেলাওয়াত শেষে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ প্লে করলাম।
এরপরই মুস্তাফিজুর স্যার এবং শামসুল স্যারের সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শ্রদ্ধাঞ্জলি একটি ব্যানার টাঙ্গানোর কাজ সম্পন্ন করলাম। প্রথম এক প্রান্তে টাঙানো হয়েছিল কিন্তু প্রচণ্ড বাতাসের ফলে সেই স্থান পরিবর্তন করে হল রুমের সামনে নিয়ে আসা হয়। হয়তো এই কাজটি পূর্ব দিনে করা হয়ে থাকে কিন্তু আমাদের ব্যানার তৈরি করা হয়েছিল যার ফলে পূর্ব দিনে করতে পারি নাই।
এরপরে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতভাবে উত্তোলন করা হয়। আমরা সকলেই জানি বিশেষ কোন শোক দিবসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। ঠিক সেটাই করলাম আমরা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন পতাকা উত্তোলন করলেন। সকাল সাড়ে আটটার সময় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করণের মধ্য দিয়ে এই দিবস পালনের সূচনা হয়। আমরা সকলেই নীরবে স্মরণ করলাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।
আমরা সকলেই জানি ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবরের সহ পরিবারকে হত্যা করেছিল ঘাতকেরা। তাদের নির্মম হত্যাকান্ড ইতিহাসের পাতায় এক শোকাহত দৃশ্য। এ বাঙালি জাতি যতদিন থাকবে ততদিন আশা করি এই দিনটিকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে এবং শহীদদের জন্য বিশেষ মোনাজাতের ব্যবস্থা করবে। এই দিনে সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নিজ নিজ দায়িত্বে শোক দিবস পালন করে থাকে। শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বীর বাঙালি, বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের কথা। সাতে মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের কথা। আমরা আমাদের অফিসে আলোচনা সভার আয়োজন করেছিলাম। অনেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে গল্প করেন। তিনার মত শ্রেষ্ঠ নায়ক বাংলার মাটিতে একজনে ছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন আদর্শ স্বপ্ন ন্যায় নীতিগুলো সবার মাঝে গুণকীর্তন হতে থাকে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখতেন ছাত্র-ছাত্রীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য যে চিন্তা চেতনা মনে লালন করতেন সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো। শিক্ষার্থীরদের জন্য কেমন সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করতে হবে সে বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়াও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সময় পাকবাহিনী আমাদের এলাকায় যে সমস্ত কর্মকাণ্ড করেছিল সে বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। মোটামুটি অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনার মধ্য দিয়ে আমাদের সম্মানিত শোকসভা শেষ হলো দোয়া করা হলো শহীদদের জন্য।
এরপরে আমরা স্কুল সংক্রান্ত কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনার মধ্য দিয়ে আজকের কার্যক্রম শেষ করলাম। তবে কার্যক্রম শেষ করার পূর্বে সবাই একটি সিদ্ধান্ত নিল একত্রিত হয়ে ছবি উঠানোর জন্য। সকলে ফিক্সড করলো জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত অবস্থায় দেখতে পারা যাবে বা ফটোর মধ্যে থাকবে এমন দৃশ্য সামনে রেখে ফটো উঠাতে হবে এবং শোক দিবসের ব্যানার পাশে রেখে ছবি উঠাতে হবে। সবই একমত দেওয়ার সাথে সাথে প্রস্তুত হলাম ছবি তোলার জন্য। তবে শোক দিবস উপলক্ষে আমাদের শার্টের বুকে কালো ছিল লাগানো হয়েছিল। আর এভাবে আজকের কর্মসূচি সম্পূর্ণ হল। আগামীকাল থেকে সহ সহ নিয়মে স্কুলের কার্যক্রম চলতে থাকবে। তবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত অবস্থায় রেখে গেলাম। বিকেল পাঁচটার সময় নামানোর উদ্দেশ্যে নিকটস্থ একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
|
---|
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | camera-50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৫ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোষ্টে,ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
বাংলাদেশের প্রায় প্রত্যেকটি জায়গাতেই ১৫ ই আগস্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করার জন্য শোক দিবস পালন করা হয়েছে। আমরাও চেষ্টা করেছি মিলাদ মাহফিল এবং বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে শোক দিবস পালন করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমাদের সকলেরই উচিত শোক দিবস পালনে অংশগ্রহণ করা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit