হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি মেহেরপুর মৎস্য আঢ়তে মাছ বিক্রয় করতে যাওয়ার অনুভূতি নিয়ে। এত পূর্বে আমি মাছ বিক্রি করতে যাওয়ার পথ জার্নির ৪টা পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। এ পোস্টে আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে যাচ্ছি মেহেরপুর বাজারের মধ্যে প্রবেশ করার দৃশ্য গুলি। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্ট জুড়ে আপনারা সাথে থাকবেন এবং সমস্ত তথ্য পড়ে ধারণা লাভ করবেন।
মেহেরপুরের ওয়াবদা মোড় থেকে সোজা মল্লিক পাড়ার রোড হয়ে বড়বাজারের দিকে অগ্রসর হলাম। আর এই মুহূর্তে আমাদের গাড়ি বেশ স্লো ভাবে চলছিল যেহেতু শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছি। অবশ্য এই বাজারটা আমার দীর্ঘদিনের চেনা যেহেতু মেহেরপুর গভমেন্ট কলেজে লেখাপড়া করেছি এখানে আমার ফ্রেন্ড মারুফ ম্যাচে থাকত। আর সেই সুবাদে এখানে বেশি চলাচল করেছি আমি। দুই বন্ধু মিলে এখানে চলাচলের বেশ স্মৃতি আমাদের রয়েছে। এছাড়াও এখানে একটি হসপিটালে আমার খালার বাচ্চা হওয়া উপলক্ষে চলাচল করেছিলাম তাই এলাকাটা বেশ পরিচিত মনে হচ্ছিল। অনেকদিন পর মেহেরপুরের এই রোডে চলতে পেরে বেশ আনন্দ বোধ করছিলাম সাঝসকালে। যেহেতু এখানে মেহেরপুর সরকারি হাসপাতাল তাই অন্যান্য জায়গার তুলনায় সকাল-সকাল এখানে কিছুটা হলেও মানুষের সমাগম শুরু হয়ে গেছে। তবে ভালোলাগা বিষয় আশেপাশে দোকানগুলো তেমন চোখে পড়ছে। হয়তো এই দিকের দোকানগুলো উচ্ছেদ করা হয়নি এবং রাস্তার কাজগুলো কাটা হয়নি শহরের মধ্যে প্রবেশ পথে। তাই দীর্ঘ পথ চলতে চলতে এসে যে পরিবর্তন দেখেছি অবশ্য অপরিবর্তন রয়েছে। এ রাস্তায় লোক সংখ্যা এবং গাড়ি-ঘুড়া কমছিল। তবুও ধীরেসস্থে আমরা চলছিলাম আর সেই ফাঁকে ফাঁকে আমি কয়েকটা ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করেছিলাম। তবে আড়তে দ্রুত পৌঁছাতে হবে যেহেতু মাছ বিক্রয়ের বিষয়। দেরী হলে মাছ অনেক মারা যায় এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে আমার মত মাছ বিক্রয় করতে আসা লোকরা আগে উপস্থিত হয়ে গেলে মাছের বাজার কমে যায় এই বিষয়টা আমাদের মাথায় ছিল।
Photography device: Infinix hot 11s
location
মেহেরপুর মল্লিক পাড়ার রাস্তা পার হয়ে কিছুটা ভেতরের দিকে প্রবেশ করার মুহূর্তে লক্ষ্য করলাম যে জায়গায় পথ চলতে মানুষের ভিড় থাকতো অতি বেশি এখানে সকালবেলায় লোকজনের দেখায় নেই। তারপরে হালকা বৃষ্টি হয়েছে তাই রাস্তা একদমই ফাঁকা। অনেকদিন পর মেহেরপুর শহরের মধ্যে প্রবেশ করতে পেরে সবকিছু ভালোভাবে দুচোখ ভরে দেখতে দেখতে যাচ্ছিলাম এবং অতীতের স্মৃতিগুলো স্মরণ করছিলাম। এমন দিন গেছে এই রাস্তা দিয়ে দ্রুত বাজারে দিকে গেছি ডাব কেনার উদ্দেশ্যে। কারণ হসপিটালে আমার পেশেন্ট রয়েছে। ঠিক এমনও অনেক স্মৃতি রয়েছে এই রাস্তায় আমার চলাচলের।
Photography device: Infinix hot 11s
location
এই পর্যায়ে আপনারা ফটোগ্রাফিতে দেখতে পাচ্ছেন মেহেরপুরে বড়বাজারের দৃশ্য। এই বাজারে আমার সবচেয়ে পরিচিত একটি দোকান রয়েছে নদী ইলেক্ট্রনিক্স। আমি দীর্ঘদিন ওই দোকান থেকে ইলেকট্রনিক্সের জিনিস কেনাকাটা করেছি। অবশ্য মেহেরপুরের বড়বাজার টা বেশ বড়ই। একদিকে বর্ডারে যাওয়ার রাস্তা অন্যদিকে মুজিবনগর যাওয়ার রাস্তা পর্যন্ত একটানা বড়বাজার। যাইহোক আমরা ধীরেসস্থে বাজারের মধ্যে প্রবেশ করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকলাম।
Photography device: Infinix hot 11s
location
মেহেরপুরের বড়বাজারের দিকে কিছুটা পথ এগিয়ে যেতেই চোখে বাঁধলো মাছের আড়তের রাস্তা। বিভিন্ন জায়গায় মাছ বিক্রয় করার জন্য আমি গিয়েছি কিন্তু মেহেরপুরের আড়তের মত এত বড় আড়ত খুব কম সংখ্যক জায়গায় লক্ষ্য করেছি। আড়তে লোক সংখ্যা ধরে না তাই রাস্তার চারিপাশে যেন মাছ ব্যবসিকের ভিড় জমে থাকে। আমরা সেই ভিড়ের মধ্য দিয়ে গাড়ি নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকলাম। এ রাস্তার অপজিট পাশে রয়েছে মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, মেহেরপুর পৌর ভবন, শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়, মেহেরপুর হল, মেহেরপুর মুক্তমঞ্চ ইত্যাদি। এই জায়গাটা আমার বেশ পরিচিত কারণ এর আগে আমি অনেকবার এসেছি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য এমনকি বন্ধুর সাথে ঘোরাঘুরি করতে। মিরপুরের এই সুন্দর লোকেশন গুলো আমার খুবই ভালো লাগে। যাইহোক অনেকদিন পর মাছ বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে এখানে এসে পুরনো স্মৃতিগুলো যেন বারবার ভেসে আসতে থাকলো মনের মধ্যে অবাক নয়নে যেন বারবার এদিক ওদিক ফিরে তাকাতে থাকলাম এবং দেখতে থাকলাম আর মনে মনে স্মরণ করলাম সেই স্টুডেন্ট লাইফের স্মৃতিগুলো। সামনে মসজিদ লক্ষ্য করছি যেটা একসময় এই বাজারের বড় মসজিদ নামে পরিচিত ছিল তবে কিন্তু এতটা বড় ছিল না বর্তমান যেমন বড় করা হয়েছে। মসজিদ তার ওপারে রয়েছে বড় পুকুর। মেহেরপুর বড়বাজারের সবচেয়ে বড় পুকুর সেটা। যার চারিপাশ পাচীর দিয়ে ঘেরা এবং সানকরা। পুকুরটার মধ্যে বেশ কিছু ঘাট রয়েছে যেখানে মানুষ গোসল করে।
Photography device: Infinix hot 11s
location
মাছের আড়ত পুকুরের পাড়ে এসেছিল কিন্তু লক্ষ্য করে দেখলাম কিছুটা সামনের দিকে এগিয়ে এনে বড় মাছের বাজার তৈরি করেছে। তাই উপস্থিত হয়ে পাশের আলো দার ভাইকে প্রশ্ন করলাম ভাইয়া আড়ত তো এর আগে ওই পাশে ছিল। বলবো ভাই পুকুরের ওই পাশ থেকে এদিকে আনা হয়েছে কারণ মাছের আড়ত টা বড় করা হয়েছে বলে। ওই পাশের জায়গাটাতে মানুষের জায়গা দেয়া সম্ভব হতো না তাই এদিকে জায়গা করা হয়েছে। আমি ওই পাশে বেশ কিছুদিন চলাচল করেছি এমনকি পুকুরপাড়ের প্রাচীরের উপরে বসে থেকে পড়েছি বিভিন্ন সাহিত্যিকের গল্প কবিতার বই। যাইহোক মেহেরপুর মাছের আড়তের দৃশ্য দেখে আমি অবাক হয়ে গেলাম। সকাল সাতটা আটটার মধ্যে এত মাছ জুটে গেছে এই আড়তে কল্পনার বাইরে। আমরা মাছের আড়তে আসার পূর্বে মাছের আরত যেন জমজমাট হয়ে উঠেছে বিভিন্ন স্থানের মাছ বিক্রেতা এবং ক্রেতা এসে। অবশেষে আমাদের মাছের গাড়িটা একটি ঘরের পাশে রাখা হলো যে আড়তদার আমাদের মাছ বিক্রয় করে দেবে,তার সাথে আগে যোগাযোগ করেহয়েছিল মোবাইলে। আমাদের গাড়ি ভেড়ানোর পর আমি কথা বলতে গেলাম আড়তদ্দার ভাইদের সাথে। মাছ বিক্রয়ের সমস্ত কার্যক্রম গুলো সামনের পোস্টে আপনাদের মাঝে তুলে ধরা হবে।
Photography device: Infinix hot 11s
location
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
Posted using SteemPro Mobile
মাছ বিক্রি করার জন্য আড়তে গিয়েছে জেনে খুব ভালো লাগলো। আসলে নিজের চাষের মাছ বিক্রি করার অনুভূতিটা সত্যি খুব অন্যরকম। আপনি মাছ চাষ করেন যেন খুব ভালো লাগলো। আসলে মাছ মাছ চাষ করা আমার খুব শখের। পোস্ট টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমি প্রায় প্রায় মাছ বিক্রয় করে থাকি বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমরাও মাছ চাষ করে থাকি কিন্তু আড়তে গিয়ে মাছ বিক্রি করার অভিজ্ঞতা আমি এখনো নিতে পারিনি। আসলে সেভাবে সুযোগ হয়ে উঠে না যার কারনে এই আশাটা আমার আজও পূরণ হয়নি। তবে ইচ্ছা আছে আমাদের মাছ নিয়ে একদিন আড়তে গিয়ে বিক্রি করব। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আড়তে মাছ বিক্রয় করতে গেলে অনেক ধারণা লাভ করা যায়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হুম অনেক কিছুই জানতে পারা যায়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মাছ বিক্রি করতে আড়তে গিয়েছিলেন,আসলে নিজের চাষের মাছ প্রয়োজন মিটিয়ে বিক্রি করতে পারা বেশ ভালো।এতে অনেকটা লাভবান হওয়া যায়।আমি বাড়ি থাকলে মাছ চাষ করতে পারতাম।এটা অনেকটা ভালো লাগার একটি কাজ।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এটা আমাদের এক প্রকার মাছ চাষ ব্যবসা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আড়তে মাছ বিক্রি করতে গেলে যেন অন্য রকমের একটা ভালো লাগা কাজ করে। যদিও মেহেরপুর আরো তে আমি কোন সময় মাছ বিক্রি করতে যাইনি কিন্তু মাছ বিক্রি করার এমন অভিজ্ঞতা আমার বেশ কয়েকবার রয়েছে। যদি আড়তদারদের কাছে আগে থেকে না বলা হয় তাহলে মাছ বিক্রি করাটা অনেক কঠিন হয়ে যায়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সুযোগ করে একদিন মেহেরপুর আড়াত ঘুরে এসো অনেক বড় জায়গা
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit