আজ - সোমবার
হাই! বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি অনেক অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম হাড় কিপটি নাটকের ১০৫ পর্বের মধ্য থেকে ৪৬ তম পর্ব রিভিউ করে শেয়ার করার জন্য। আশা করি আমার এই রিভিউ পোস্ট আপনাদের অনেক অনেক ভালো লাগবে।
নাম | হাড় কিপটে |
---|---|
রচনা | বৃন্দাবন দাস |
পরিচালক | সালাউদ্দিন লাভলু |
অভিনয়ে | আমিরুল হক চৌধুরী, চঞ্চল চৌধুরী, বৃন্দাবন দাস, মোশাররফ করিম, আ খ ম হাসান, শামীম জামান, শাহনাজ খুশি সহ আরো অনেকে। |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | আঞ্চলিক বাংলা |
ধরণ | কমেডি,ড্রামা |
পর্বের সংখ্যা | ১০৫ |
রিভিউ | ৪৬ তম পর্ব |
দৈর্ঘ্য | ১৮ মিনিট |
প্ল্যাটফর্ম | ইউটিউব @cdchoicedrama চ্যানেল |
চরিত্রেঃ
- মোশাররফ করিম
- আমিরুল হক চৌধুরীর
- চঞ্চল চৌধুরী
- বৃন্দাবন দাস সহ আরো অনেকে
শিবানী তার বাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়ে রয়েছে এই মুহূর্তে এক প্রতিবেশী এসে উপস্থিত। প্রতিবেশী এসেই শিবানির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে থাকে। কিন্তু কোন কথাই যেন শিবানীর কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হচ্ছে না। কারণ শিবানীর বিয়ের বিষয় সে মহিলা সব জেনে গেছে। সে মনে মনে ভেবেছিল বাবার বাড়ি থেকে আসতে আসতে হয়তো এতদিন শিবানীর বিয়ে হয়ে গেছে। হয়তো শিবানীদের বাড়িতে গেলে তাকে আর দেখা পাবে না বিয়ে হয়ে চলে গেছে। কিন্তু দেখা গেল এখনো শিবানের বিয়ে হয়নি। ঠিক এমনই ভাবে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যখন মহিলাটা আলোচনা করতে চাচ্ছিল শিবানী শুধু কথাগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছিল বিভিন্ন কৌশলে। এমনই শিবানীর বেশ কিছু আচরণ দেখে তার খুবই খারাপ লাগলো।
এদিকে নহর তার প্রেমিকার সাথে বেশ কিছু খারাপ আচরণের কথা বলছে। কারণ নহরের দেশ সহ্য হয় না। সে বিয়ে করার জন্য প্রস্তুত তার মাকেও রেশমার বাবার কাছে নিয়ে গিয়েছিল কিন্তু কোন ফয়দা হয়নি। এদিকে রেশমা উল্টা চাপ সৃষ্টি করছেন নহরের উপর। কারণ রেশমা জানে তার ভাই যদি ডাক্তারি পাস করে বাড়িতে ফিরে তাহলে নহরের মতো অশিক্ষিত ছাওয়াল এর সাথে বোনের আর বিয়ে দিবে না। আর এই সমস্ত কথাবার্তা নিয়ে বেশ দুজনার মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়ে গেল। এতদিন রেশমা যেভাবে তার প্রেমিক নহরের দেখার জন্য পথ চেয়ে থাকতো, গাছ তলায় এসে দাঁড়াতো আজকের এই দ্বন্দ্বের পর থেকে হয়তো সেভাবে আর আসবে না। তবে দুজনার ভালোবাসার মিলন হওয়ার পিছনে অন্তরায় মনোমালিন্য। তারা দুইজন যদি একসাথে মিল হয় না চলতে পারে তাহলে তো আরো বিভেদ সৃষ্টি হবে। এই বিষয়টা নহোর বুঝতে পারল না।
এদিকে নজর আলীর বড় ছেলের প্রেমিকা চুমকি বহরকে ভাবি ডাক শোনানোর বিনিময়ে একটি লুঙ্গি উপহার দিয়েছে। তবে চুমকি আশা করেছিল এখন থেকে বহর হয়তো তাকে বারবার ভাবি ডাক ডাকবে। কিন্তু দেখা গেছে বহরের দাম বেড়ে গেছে। সে চুমকিকে একবার ভাবি ডাক ডাকার বিনিময়ে লুঙ্গি পাওয়ার প্রত্যাশা করে বারবার। ঠিক এমনই কথাবার্তা নিয়ে চুমকি বেশ ক্ষেপে গেল। চুমকি তো আর বারবার তাকে লুঙ্গি উপহার দিতে পারবে না প্রত্যেক বার ডাকার বিনিময়ে। কি ভালোমতাই বুঝে ফেলেছে বহর দারুন একটা সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে ভাবি ডাক ডাকার বিনিময়ে। অতঃপর দেখা গেল চুমকি তাকে রাগিয়ে তুলল এবং তার গাছ ছোয়ার চেষ্টা করল তাই বহর পালিয়ে গেল।
এদিকে নজর আলী কৃপণের বাড়িতে কারফিউ চলছে। এমন কথা শোনা মাত্র গোল্লা অবাক হল। কারন নজরালী কৃপণ ইতিমধ্যে তাকে নড়ি হাতে ধাওয়া করেছিল। এছাড়া নজর আলী তার ভাগ্নের তাড়ানোর পূর্বে নিজের ছোট ছেলে কেউ বাড়িছাড়া করেছে। তাই বাড়িতে রান্নাবান্নার বিষয়টাও দেখভাল করছে সে যেন বাড়ির গিন্নি অর্থাৎ কমলা বানু তাদেরকে ভাত রান্না করে না দেয়। মামীর মুখে এমন কথা শুনেন গোল্লা বলল আমি যদি এই বাড়ির সন্তান হতাম তাহলে এই সমস্ত কারফিউ পরাধীনতার আর থাকত না আমি কবে স্বাধীন করে দিতাম তাদের। এমনই কথা শুনে বেশ কষ্ট পেল তার মামনি। কারণ নজর আলী কৃপণ এতটাই কৃপণ ব্যক্তি, বাড়ির সকল মানুষের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে।
মন ভালো রাখার জন্য নজর আলী কৃপণ একটি গাছের নিচে পুকুর পাড়ে বসে রয়েছে। কিন্তু গাছের উপর থেকে একটি পাখি সবসময় থাকে জ্বালাতন করছে বাজে সাউন্ড করে। ঠিক এমন এই মুহূর্তে পিছন থেকে হঠাৎ তার বন্ধু হারাধন দত্ত এসে উপস্থিত পিছনে। এরপর দুই বন্ধুর মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হলো। নজর আলী বলল হারাধনের তো বউ নেই সে কি বুঝবে মনের কষ্ট। তার বউ আছে তাই যত যন্ত্রণা। আর ঠিক এভাবেই দুজনার মধ্যে বউ নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয়ে গেল। এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে না দেখে থাকতে পারেনা আবার তাদের মধ্যে যে কোন বিষয় নিয়ে ঝগড়া শুরু হয়ে যায়। নাটকের শুরুর পর্ব থেকে এ পর্যন্ত একই রকমের অভিনয় তাদের মধ্যে লক্ষণীয়।
এদিকে শিবানী তার বাড়িতে রান্নার কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। মামাদের না খাইয়ে রাখার জন্য। এদিকে তার মামা যখন রান্নাবান্নার বিষয় নিয়ে আলোচনা করছে তখন সে তার মামাদের বলছে বাড়িতে চাল নাই। এক কথায় মামাদের তাড়ানোর ধান্দা। আর মামারা যতদিন আছে তারা যেন চাল কিনে দেয়, এমনই চিন্তা নিয়ে শিবানী রান্নার কাজ বন্ধ রেখেছে। আর ঠিক এমনই মুহূর্তে নহোর আলী হারাধন দত্তের বাড়িতে এসে উপস্থিত হলো। সে শিবানীর সাথে তেমন কোনো কথা না বলেই শুধু হারাধন দত্তের খোঁজ নিতে চাইলেও। মনে হচ্ছে যেন হারাধন দত্তের সাথে বিশেষ কোন এক গুরুত্বপূর্ণ কথা রয়েছে। আর এভাবেই হারপিকটা নাটকের ৪৬ তম পর্ব শেষ হয়।
হাড় কিপটে নাটকের ৪৬ তম পর্বের লক্ষণীয় বিষয় ছিল নজর আলী কৃপণের ছেলেদের আর তোমাদের পাশাপাশি নজর আলী কৃপণের মনের কষ্ট। একদিকে ছোট ছেলের বিয়ের আনন্দ যেন মাটি হয়ে গেল। এদিকে প্রেমিকার সাথেও মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়েছে। আরেকদিকে নজর আলী কৃপণের মেজো ছেলে সুযোগে একটি লুঙ্গি পেয়ে গেছে সেই কারণে চুমকিকে ভাবি ডাক ঢাকার পরিবর্তে লুঙ্গি পাওয়ার প্রত্যাশা করে। অর্থাৎ সে বুঝাতে চাচ্ছে চুমকিকে ভাবি ডাক শুনতে হলে আবার লুঙ্গি উপহার দিতে হবে। এদিকে নজর আলীর কৃপণের বাড়িতে এমন অবস্থা তৈরি করে রাখা হয়েছে যেন কোন স্বাধীনতা নেই। তাই বললা আসে যায় সে যদি এই বাড়ির সন্তান হতো তাহলে কবে এবাড়ির স্বাধীনতা এনে দিত। তবে এ কথা সত্য এই নাটকের প্রত্যেক অভিনেতা নিজ নিজ স্থান থেকে খুব সুন্দর অভিনয় করে থাকে। যতটা হাস্যকর ততটাই রোমান্টিক অভিনয় এই নাটকের মধ্যে। যেখানে কৃপণতা প্রেম হাসি আনন্দ অভিমান বিরাজমান। তাই নাটকটা আমার খুবই ভালো লাগে। চাইলে আপনারা নাটকটা দেখতে পারেন এবং আনন্দ উপভোগ করতে পারেন।
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন নাটক রিভিউতে, ততক্ষণ ভালো থাকুন। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে আজকের এই নাটকটার রিভিউ সম্পূর্ণ পড়তে। নাটকের রিভিউ আমার অনেক ভালো লাগে। আমি মাঝেমধ্যেই নাটক দেখার জন্য চেষ্টা করি। তবে সময়ের কারণে এখন আর খুব একটা নাটক দেখতে পারিনা। কিন্তু আমি যখনই নাটক দেখি তখনই শিক্ষনীয় নাটকগুলো দেখার জন্য চেষ্টা করি। এই নাটকটা অনেক সুন্দর ছিল। আপনি খুব সুন্দর ভাবে রিভিউ টা উপস্থাপন করেছেন। এত সময় নিয়ে নাটক না দেখে আমি মনে করি রিভিউ পড়ে নিলেই ভালো। এটার মাধ্যমে সম্পূর্ণ কাহিনী অল্প সময়ের মধ্যেই পড়ে নেওয়া যায়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আশা করবো আপনি সম্পূর্ণ নাটক দেখবেন
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই পর্বে বেশ কিছু দারুণ দিক উঠে এসেছে। একদিকে যেমন শিবানী বিয়ে করবে না এইটা। অন্যদিকে বহর লুঙ্গির লোভে চুমকি কে শেষমেশ ভাবি বলে ডাকলো হা হা। আর নহর তো বরাবরই এমন একটু বোকা টাইপের। হাড়কিপটে নাটকের এই পর্বের রিভিউ টা বেশ ভালো করেছেন ভাই। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ ভাই আপনি কিন্তু ঠিক বলেছেন
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আরে মনে হচ্ছে এই নাটকের রিভিউ দুঃখের সাথে বলতে হয় প্রত্যেকটি অভিনেতা এই অন্ধকার মেঘের আংশিক বলেছে।
যে স্থান থেকে আমি এই রিভিউ পরিচালনা করি, অসুখের দিনও বিরতিহীন আনন্দ যে থাকে। এমনকি রাজনৈতিক বিভক্তি, সংঘাত অর্থাৎ না কি হোক আনন্দে ভরা।
তাই বলি, একজনের স্থান হোক যেখানে আমার সংঘাত অর্থাৎ প্রশংসা, বিরাট জনগণের উৎফুল্লতা এবং আনন্দ থাকে।
আমার পৃথিবীর সকল ভয়, অন্ধকার, হুমকি এই না কি উৎফুল্লতা দেখিয়েছে জীবন।
***চলো, পরবর্তী রিভিউতে আসি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit