প্রতিযোগিতা-৪০//বর্ষাকালীন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি

in hive-129948 •  last year 

আজ - বুধবার

১১ শ্রাবণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
২৬ জুলাই, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ

IMG_20230725_182941_407.jpg



আসসালামু আলাইকুম




হ্যালো বন্ধুরা,

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হতে এসেছি এই কনটেস্টের একজন সদস্য হিসাবে। হয়তো এতগুলো দিন আপনাদের মাঝে অংশগ্রহণ করতে পারেনি বিভিন্ন কারণে তবুও চেষ্টা করলাম লাস্টের দিন এসে হাজির হতে। জানিনা কতটা উপস্থাপন করতে পারব আপনাদের মাঝে বর্ষার প্রাকৃতিক দৃশ্য নিয়ে তবুও এই সময়টা কেমন যাচ্ছে আমার আর কেমন অনুভূতি ফিল করছি আমি সেই সমস্ত দিকগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করব। তাই চলুন আর দেরি না করে এখনই চলে যায় মেইন পয়েন্টে।


ফটোগ্রাফি সমূহ:


১ নং ফটোগ্রাফি

আমরা জানি ছয়টি ঋতুর দেশ বাংলাদেশ যেখানে গ্রীষ্মকাল, বর্ষাকাল, শরৎকাল, হেমন্ত কাল, শীতকাল ও বসন্তকাল। যেহেতু আমাদের এই কনটেস্টের মূল বিষয় বর্ষা কালকে কেন্দ্র করে কিছু বলা, তাই আমিও চেষ্টা করছি আপনাদের মাঝে বর্ষাকালের সুন্দর আবহাওয়া ও তার বৈচিত্র রূপ নিয়ে কিছু বলার জন্য। আমরা জানি আষাঢ় আর শ্রাবণ দুই মাস বর্ষাকাল। এই সময়ে আকাশে যে কোন মুহূর্তে মেঘ জমা হয়ে অঝোরে বৃষ্টি ঝরতে পারে আবার যে কোন মুহূর্তে মেঘ কেটে গিয়ে সূর্যমামা তার আলো ছড়াতে পারে। তবে বৃষ্টির দিনগুলিকে কে কোন দৃষ্টিতে দেখে তা আমি জানিনা,তবে আমার কাছে বেশ ভালই লাগে এই মুহূর্তে প্রিয়জনকে সাথে নিয়ে আনন্দে সময় অতিবাহিত করতে। ভালো লাগে আবার একাকীত্ব সময় টা কবিতা লিখতে। প্রেম অনুভূতিমূলক কবিতা লিখতে ভালো লাগে, আবার যখন দেখি একটু কষ্ট লাগা সৃষ্টি হয় মনের মধ্যে তখন বিরহের কবিতা লিখতেও পছন্দ করি। তবে এই মনের অনুভূতিটা কিন্তু পরিবর্তন করে বর্ষাকাল। কারণ বর্ষাকাল যেমন তার রূপ পরিবর্তন করে যে কোন মুহূর্তে ঠিক সেভাবেই একজন মানুষের মধ্যেও সাড়া ফেলতে পারে ও অনুভূতি পরিবর্তন করতে পারে ঠিক আমার মত। আজ সারাদিন কেমন জানি ঝিরিঝির বৃষ্টি আসছে, যে কোন মুহূর্তে হঠাৎ কালো মেঘে ছেয়ে যাচ্ছে আর অঝরে বৃষ্টি নামছে। রান্নাঘরের চালের উপর ফোটায় ফোটায় বৃষ্টি জমে রয়েছে। এতগুলা ফোটা ফোটা বৃষ্টি কখনো এভাবে দেখা হয়নি আজ শুধু ফটোগ্রাফি করার জন্য যখন মোবাইলটা নিয়ে খুজছিলাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ঠিক তখনই ক্যামেরাবন্দি হল এই দৃশ্য। তবে একটি ফটো গ্যালারিতে না রেখে দিয়ে সবি শেয়ার করার চেষ্টা করলাম, হয়তো এর এক একটা ফটোর মধ্যে এক এক রকম সৌন্দর্য খুঁজে পেতে পারেন।

IMG_20230726_112840_178.jpg

IMG_20230726_112842_691.jpg

IMG_20230726_112846_143.jpg

IMG_20230726_112851_495.jpg

IMG_20230726_112854_577.jpg

IMG_20230726_112901_121.jpg

IMG_20230726_112907_287.jpg



received_305654148004402.webp


২ নং ফটোগ্রাফি

বর্ষা এসেছে আমাদের মাঝে। বর্ষার সময় কিশোর যুবক ছেলেরা ফুটবল খেলতে বেশি পছন্দ করে কিন্তু বর্ষা যদি বৃষ্টি না দেয় তাহলে কি ফুটবল খেলায় বন্ধ হয়। এ পর্যায়ে লক্ষ্য করছেন পাটের ক্ষেতের পাশে খালি জমিতে অনেকে ফুটবল খেলছে কিন্তু সেখানে নেই কোন বৃষ্টির দেখা, তবুও শুকনো মাটির বুকে তারা খেলার চেষ্টা করছে। বর্ষাকাল বৃষ্টি না দিলে তাই কি খেলা বন্ধ রাখা যায়? তাই তো যুবক কিশোরেরা ফুটবল খেলা বন্ধ না রেখে তাদের সাধ্যমত চেষ্টা করছিল। আর ঠিক সে মুহূর্তে যেন ক্যামেরা নিয়ে হাজির হয়ে ছিলাম আমি।

IMG_20230616_184019_157.jpg

IMG_20230616_184025_664.jpg

IMG_20230616_184008_730.jpg

IMG_20230616_184006_710.jpg



received_305654148004402.webp


৩ নং ফটোগ্রাফি

আমার ছোট থেকে অভ্যাস বৃষ্টি হলে বৃষ্টির পানিতে ভেজা। বিশেষ করে বর্ষাকালেই যেন বৃষ্টিতে ভেজার প্রতি বেশি আকর্ষণ সৃষ্টি হয় মনের মধ্যে,কারণ বর্ষার সময় যে কোন মুহূর্তে বৃষ্টি আসতেই পারে আর এই সময়টা বিভিন্ন কাজে-কর্মে অবস্থান করার মুহূর্তে ভিজে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তবুও শখ করে ভিজতে হয় যখন ইচ্ছে জাগে। আর বৃষ্টিতে ভেজা তো আমার প্রত্যেক বছরের নিয়মিত অভ্যাস। হতে পারে সেটা কর্মরত অবস্থায় অথবা নিজের শখে।

IMG_20230617_165050_737.jpg

IMG_20230617_165019_987.jpg



received_305654148004402.webp


৪ নং ফটোগ্রাফি

আমার পরিবার আমাকে ভালোবেসে আমার শার্ট প্যান্ট গেঞ্জি গুলো কেচে দিয়েছিল কিন্তু এখন যে বর্ষার সময় সেটা তো সকলেরই জানা। হয়তো জামা কাপড় গুলোকে রোদে শুকাতে দিয়েছিল কিন্তু এদিকে হঠাৎ বৃষ্টি এসে সব ভিজে দিয়েছিল। আর এটাই হচ্ছে বর্ষাকালের আসল দৃশ্য। এখানে রাগ অভিমান করার কিছুই নেই কারণ এটা বর্ষাকাল যে কোন মুহূর্তে বৃষ্টি আসতে পারে আবার যে কোন মুহূর্তে আকাশে রোদ তার আলোয় আলোকিত করতে পারে মেঘের ফাঁকে।

IMG_20230726_123952_978.jpg

IMG_20230726_123957_386.jpg



received_305654148004402.webp


৫ নং ফটোগ্রাফি

আমাদের ভুলে গেলে চলবে না বর্ষার সময় কিন্তু নানান প্রকার ফুল ফুটে থাকে বিশেষ করে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য এবং সুপরিচিত বর্ষাকালের ফুলের নাম হচ্ছে কদম ফুল কিন্তু এই মুহূর্তে কদম ফুলের ফটোগ্রাফি করা আমার হয়নি তার পাশাপাশি কিন্তু এই গ্রাম্য ঢোল কলমি ফুল ফুটতে দেখা যায় যেখানে সেখানে। গত দুইদিন আগে কদম ফুল ফুটতে দেখেছিলাম একটি বিদ্যালয়ের মাঠের পাশ দিয়ে। গাছে প্রচুর কদম ফুল ফুটে রয়েছে তখনই যেন ফুলগুলো দেখে মনে হয়েছিল এখন বর্ষার সময় আর তার অপরূপ সাজে সাজিয়েছে এই ফুলগাছ। আমার দুর্ভাগ্যটা ছিল এটাই যে রাত্রি কালীন মুহূর্ত লাইটের আলোয় যা দেখছিলাম।

IMG_20230615_094401_675.jpg



received_305654148004402.webp


৬ নং ফটোগ্রাফি

৩ এ জুলাই বাসা থেকে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। যাওয়ার আগে বাড়িতে যখন অবস্থান করেছিলাম প্রচন্ড রোদ ছিল। যখন কুষ্টিয়া মিরপুরে অবস্থান করেছিলাম রেললাইনের পাশে তখন দেখলাম আকাশে যথেষ্ট মেঘ ঘিরে আসছে। এরপর যখন কুষ্টিয়া শহরে পা রাখলাম তখন আবারো হালকা রোদের দেখা মিলেছিল। কিছুটা দূরে এগিয়ে যেতে প্রচন্ড রোদ চলতে কষ্ট হয়েছিল। কিন্তু একঘন্টা পরেই এতটাই বৃষ্টি হয়েছিল মনে হয় না এতক্ষণ সময় ধরে এবার বর্ষা হয়েছে কারণ বাড়িতে ফিরতে পথে সারা রাস্তায় জার্নিরত অবস্থায় শুধু বৃষ্টি আর বৃষ্টি। আকাশের রং যেমন কোন সময় স্থির নয়, যে কোন মুহূর্তে পরিবর্তন হয় ওই দিনটা ঠিক তেমনি হয়েছিল। এই রোদ এই বৃষ্টি এই হালকা বৃষ্টি আবার রোদ।

IMG_20230703_090234_826.jpg

IMG_20230703_092446_8.jpg



received_305654148004402.webp


৭ নং ফটোগ্রাফি

এইতো কিছুদিন আগে চলতি পথে লক্ষ্য করে দেখলাম প্রচন্ড রোদে ঘেমে আমার গা ভিজে যাচ্ছে কিন্তু সামনের দিকে যখন চেয়ে দেখি আকাশের ঘন কালো মেঘ যেন ছেয়ে আসছে। কিছুটা সময় পরে হয়তো আমাকে বৃষ্টির জলে ভিজতে হবে। তবে তা সত্য, কিছুক্ষণ পরে অবশ্যই বৃষ্টি এসেছিল এবং আমার আশ্রয় গ্রহণ করতে হয়েছিল একটি দোকানের চালার নিচে। হয়তো কিছুটা বিরক্ত বোধ করছিলাম তার পরেও সময়টা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল

IMG_20230706_135216_299.jpg

IMG_20230705_083951_535.jpg



received_305654148004402.webp


৮ নং ফটোগ্রাফি

আমরা জানি যেখানে রোদের দেখা নাই, সেখানে গাছপালা সুস্থ সবল ভাবে বৃদ্ধি হতে পারে না। এই মুহূর্তে আপনারা দেখতে পারছেন বৃষ্টিতে ভিজে গেছে একটি কুলের চারা। যে গাছটা দেখতে বেশ সুস্থ সবল হয়তো। এমনই ভাবে একবার বৃষ্টি এসে ভিজে যায়, আবার রোদ এসে তাকে আলো দেয়। আর এই আলো বাতাসের মাঝখান থেকে বৃদ্ধি পাওয়া শুরু হয়েছে। হয়তো বর্ষার সময়, এই জন্য গাছটা সবল ভাবে বেড়ে ওঠার সুযোগ পায়।

IMG_20230726_112950_711.jpg

IMG_20230726_112954_587.jpg



received_305654148004402.webp


৯ নং ফটোগ্রাফি

এ পর্যায়ে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন পেয়ারা গাছের উপর করল্লা গাছ উঠে পড়েছে এবং সেখানে ফুল এসেছে, কয়েকটি করল্লা ধরেছে। তবে এই করল্লা গাছগুলো কেউ লাগায়নি বা বীজ কেউ বনেনি,এমনিতেই বৃষ্টির পানি হওয়াতে পড়ে থাকা বীজগুলো কলিয়ে গেছে এবং গাছ হয়েছে। কবে কোথা থেকে এখানে বীজ আসলো কেউ জানে না। আর সেই থেকে এ পর্যায় পর্যন্ত এসে গেছে করল্লা গাছ। তাই এই বর্ষার সময়কে ধন্যবাদ জানায় হয়তো এমন হাজারো বৃক্ষ লতাকে জন্মাতে সহায়তা প্রদান করে থাকে বর্ষাকাল। শুধু এই নয় বর্ষার সময়টা বৃক্ষরোপন করার সময়। হাজার কৃষক ভাইয়েরা রয়েছে বর্ষাকাল এলে স্বপ্ন দেখে বিভিন্ন গাছ উৎপাদন করবে তাদের নিজ বাসভূমি অথবা যে কোন জায়গায়। আমিও যেমন আশায় রয়েছে কিছু দিনের মধ্যেই অসংখ্য কলার গাছ লাগাব পুকুর পাড়ে, হয়তো বর্ষার সময় না আসলে এই চিন্তাধারা মাথায় আসতো না।

IMG_20230726_112804_806.jpg

IMG_20230726_112811_686.jpg

IMG_20230726_112824_820.jpg

IMG_20230726_112938_488.jpg



received_305654148004402.webp


১০ নং ফটোগ্রাফি

বর্ষার সময় কিছু মানুষের জীবনে জীবিকা নির্বাহের সুযোগ এনে দেয়। এ ধরুন নদীতে পানি বেড়ে গেলে যারা নৌকা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে তাদের জন্য সুবিধা হয়, যারা নদীতে মাছ ধরে তাদের জন্য মাছ ধরার সুবিধা সৃষ্টি হয় কিন্তু বর্ষার সময় যদি বৃষ্টি না হয় তাহলে সে সমস্ত মানুষদের অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয়। দেখতে হয় নতুন কোন কর্মস্থল। ঠিক তেমনি একটি ছেলের দৃশ্য ফুটে উঠেছে এই পর্যায়ে। এবার বৃষ্টি কম হচ্ছে, আসলেই বর্ষার সময় মনে হচ্ছে না এ বছরে। কারণ সময়ের তুলনায় বৃষ্টির সংখ্যা খুবই কম। এই ছেলেটা চুয়াডাঙ্গা থেকে মেহেরপুরের গাংনী থানায় অর্থাৎ আমাদের পুকুরের আশপাশে এলাকায় কুইছি সাপ ধরতে আসে এবং বেশ কিছু কুইছি সাপ ধরে বাজারে বিক্রয় করে। এভাবেই তার প্রতিদিনের রোজগার কিন্তু এবার বর্ষা কম হাওয়ায় বিল খালে তেমন একটা পানি নেই যার জন্য তেমন বেশি একটা সে কুইছি সাপ পায় না। কারণ বর্ষার সময় বৃষ্টি হলে এই সাপের বাচ্চা ফোটে। তাই হয়তো জেলে ভাই বা নৌকা চালক ভাইদের মতো এই ছেলেটার পেশা অনেকটাই থেমে গেছে। অনেকটা থেমে গেছে তার কর্ম। বিভিন্ন জায়গায় তাকে হয়রানি হতে হয় কয়েকটি সাপ পাওয়ার আশায়।

IMG_20230622_101301_7.jpg



received_305654148004402.webp


১১ নং ফটোগ্রাফি

প্রত্যেক বছর বৃষ্টির পানি পেলে অর্থাৎ বর্ষার সময় বৃষ্টি হলে সেই পানি দিয়ে বিভিন্ন জায়গাতে পুকুরপাড়ের বিভিন্ন স্থানে সবজি ফালানোর জন্য থানা তৈরি করতাম এবং বীজ বপন করতাম। এবার কিন্তু ব্যতিক্রম যেহেতু বর্ষার শুরুতেই বীজ বপন করতে হয় ঝিঙ্গা সিচিঙ্গা সিম বরবটি ধাড়স সহ বিভিন্ন সবজির। যে সমস্ত কৃষকেরা মাঠে ফসল ফলায় তাদের সাথে আমাদের এই সবজি চাষের কোন সাথে নেই, নিজেদের খাওয়ার জন্য সবজি চাষ আর কি। এবার এই সমস্ত সবজির বীজ বপন করতে হচ্ছে আমাকে সাবমারসিবল পাম্প এর সহায়তায় পুকুর থেকে পানি তুলে, যা ফটোতেই বুঝতে পারছেন। প্রচন্ড রোদ গরমে উচু স্থানে সবজি ফলানো বেশ কঠিন। গত বছরগুলোর তুলনায় এবার সবজি ফলানো বেশ কঠিন, যার বাস্তব প্রমাণ এবার ঝালের দাম বাংলাদেশের বাজারে। হয়তো বৃষ্টি না হওয়ার জন্যই ঝাল হয়নি তাই ঝালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এদিকে আমাকে সবজি ফলাতে হচ্ছে সাবমারসিবল পাম্পের সহায়তায়

IMG_20230616_080906_412.jpg


received_305654148004402.webp


১২ নং ফটোগ্রাফি

এ পর্যায়ে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আজকের দিনের দৃশ্য। যেহেতু বর্ষার দিন আজ ১১ই শ্রাবণ,আমরা জানি শ্রাবনের কিছু দিন সারাদিন ধরে জমজমা বৃষ্টি হয়। আজকেও বেশ কয়েকবার হালকা হালকা বৃষ্টি এসেছিল মেঘ হয়ে কিন্তু তারপরেই এতটা প্রচন্ড রোদ শুরু হয়ে যাচ্ছে আকাশ যেন হয়ে উঠছে পরিষ্কার। আর সেই সুন্দর আকাশের দৃশ্যই ধারণ করেছে এ পর্যায়ে।

IMG_20230726_132157_156.jpg

IMG_20230726_132159_892.jpg

IMG_20230726_132203_758.jpg

IMG_20230726_132207_986.jpg



received_305654148004402.webp


১৩ নং ফটোগ্রাফি

পরিবার যখন মশারি টা ধুয়ে দিয়েছিল শুকানোর উদ্দেশ্যে রোদ দেখে কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টি এসে ভিজে গিয়েছিল। ঘর থেকে নামতে যেন ভিজে গেল সম্পূর্ণ তাই আর তোলা হলো না মশারি টা। এদিকে বাড়ির পাশে ধরে থাকা চালকুমড়া টাও যেন ভেজে গোসল হয়ে গেছে। আর এটা শুধু বর্ষাকালেরই অবদান কারণ অন্যান্য সময় এভাবে হুট করে বৃষ্টি আসে না। তবে যাই হোক বর্ষার এই বৃষ্টিকে আমি আশীর্বাদ স্বরুপ জ্ঞান করি। কারণ হাদিসের একটি দোয়া রয়েছে, বৃষ্টি শুরু হওয়ার পূর্বে সেই দোয়াটা যদি পাঠ করা যায় বৃষ্টির প্রত্যেকটা ফোটার বিনিময়ে একটি করেছে নেকি পাওয়া যায়। তাই বলতে পারি অন্যান্য ঋতুর তুলনায় বর্ষার সৃজন টা আশীর্বাদ স্বরুপ।

IMG_20230726_130050_411.jpg

IMG_20230726_130116_715.jpg



received_305654148004402.webp


১৪ নং ফটোগ্রাফি

প্রচন্ড রোদের মুহূর্তে তোলা আখ গাছের দৃশ্য, কিন্তু প্রচণ্ড রোদের এক মিনিট আগে বৃষ্টি পড়ছিল প্রচন্ড জোরে! এমন দৃশ্য দেখে কে বলতে পারে বর্ষার দিন বা এক মিনিট আগেই ঝমঝম বৃষ্টি হয়েছিল। বর্ষার সময় আবহাওয়া কখন কোন রূপ ধারণ করে কেউ বলতে পারেনা। আকাশ দেখে পথ চলতে গেলে পুরাই ভুল পথে পা বাড়ানো হবে কারণ মনে রাখতে হবে এই সময় যেকোনো মুহূর্তে বৃষ্টি আসতে পারে তাই ঠিক সেই প্রটেকশন নিয়েই চলার উচিৎ। তবে প্রত্যেক মুহূর্তটা যে এমন হবে তা কিন্তু নয়। তাই আবহাওয়ার দিকে লক্ষ্য রেখেই আমাদের চলা উচিত।

IMG_20230726_130151_375.jpg

IMG_20230726_130157_447.jpg



received_305654148004402.webp


১৫ নং ফটোগ্রাফি

অনেকেই বলে থাকে কচুর পাতা অথবা মানের পাতায় পানি জমে না। একদম ছোট থেকে শুনে আসছি এই কথাটা। তবে কি বর্ষার ক্ষমতা একটু বেশি? কচু অথবা মানের পাতার প্রত্যেকটা স্থানে ফোটায় ফোটায় জমে থাকে এভাবে বৃষ্টির ফোঁটা। তবে দৃশ্য ধারণ করাটা বেশ চমৎকার ছিল যেখানে চোখ গেছে সেখানে লক্ষ্য করে দেখেছি গাছের পাতায় ফোটা ফোটা জমে রয়েছে বর্ষার এই চমৎকার বারিধারা।

IMG_20230726_131032_813.jpg



received_305654148004402.webp


১৬ নং ফটোগ্রাফি

বর্ষার সময় যে সকলের জন্য প্রত্যাশা মূলক সেটা কিন্তু নয়। বৃষ্টির দিনে ভোগান্তির শিকার হতে হয় এমন গৃহপালিত পশুদের। কারণ আমরা জানি ছাগল কখনোই বৃষ্টির পানিতে পা দিতে আশা করেনা। যদি বৃষ্টি আসে তারা আশ্রয়স্থল খোঁজে। তাদের হালকা বৃষ্টির পানি যদি গায়ে পড়ে তারা লাফ দিয়ে চলে যায় যেখানে মাথা গোঁজার ঠায় রয়েছে। তাই আমরা এটা বলতে পারি বর্ষার সময় সকলের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ নয়। এ সময়ে অনেক গৃহপালিত পশু পাখি অর্থাৎ ছাগল গরু অথবা হাঁস মুরগির বিভিন্ন প্রকার রোগ লেগে থাকে এবং এ রোগে অনেক পশু পাখি মারা যায় যেমন কিছুদিন আগে আমাদের বাড়িতে একটি ছাগল অসুস্থ হয়ে মারা গেছে বৃষ্টির পানিতে ভিজেছিল বলে। আজকে এখানকার বড় খাসি ছাগলটা ভিজে গেছিল বৃষ্টির পানিতে। আমি বাড়ি থেকে একটি লুঙ্গি নিয়ে যেয়ে তার গা পুছিয়ে দিলাম।

IMG_20230726_131052_050.jpg

IMG_20230726_131054_877.jpg



received_305654148004402.webp


১৭ নং ফটোগ্রাফি

হয়তো অনেকে বলতে পারে এই কনটেস্ট বর্ষাকালীন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি নিয়ে লেখালেখি করতে হবে কিন্তু বিভিন্ন প্রকার সমস্যা এই সেই নিয়ে কেন বলছি আমি। তবে এটা বুঝতে হবে বর্ষাকালীন মুহূর্তে কত কিছুর সম্মুখীন হতে হয় আর সেই সম্মুখীনতা আমাদের পরিবেশের সাথেই প্রভাবিত করে তোলে তাইতো তুলে ধরছি সমস্ত বিষয়। যেমন এই পর্যায়ে আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে যাচ্ছি তেতুল গাছের ফুল এর দৃশ্য ।আমরা কি সকলেই জানতাম বর্ষার সময় তেতুলের ফুল ফোটে? আর এই তেতুলের প্রতি আকৃষ্ট কারা? হয়তো অনেকের তেতুল শব্দটা মনে আসলেই জীভেতে জল চলে আসে। তবে বর্ষার অবদান সেই জায়গাতেই। বর্ষাকাল তেঁতুল গাছে নিয়ে আসে তেতুলের অগণিত ফুল। এমন কিছু গর্ভধারিনী মা রয়েছে যারা শারীরিক দিক থেকে অসুস্থ বোধ করে খাওয়া দাওয়া রুচি পায় না কিন্তু এই তেঁতুল গাছের পানে চেয়ে থাকে, কেউ যদি তার হাতে একটি তেতুল ফল এনে দেয় তাহলে হয়তো শারীরিক যন্ত্রণার মাঝে খাওয়া-দাওয়ায় কিছুটা রুচি ফিরে আসতে পারে। ঠিক তেমনটাই আজ আমার পরিবারের মুখে শুনতে হয়েছিল। যার জন্য সেখানে অবস্থান করেছিলাম। তাই আমি ধন্যবাদ জানাই বর্ষাকালীন এই সময়টাকে। যে আজকে এমন অনেক মানুষের সহায়তা প্রদান করার জন্য বারবার প্রতিবার প্রতিবছর ফিরে আসে।

IMG_20230726_131748_510.jpg

IMG_20230726_131842_604.jpg

IMG_20230726_131928_697.jpg

IMG_20230726_131930_463.jpg



received_305654148004402.webp


১৮ নং ফটোগ্রাফি

এ পর্যায়ে আপনারা একটি ছোট্ট কলার কাইন দেখতে পাচ্ছেন। এটাকে অনেকে দেশি কলা বলে আবার কেউ সইটি কলা বলে। তবে অনেকেই জানেনা এই কলা খেতে যতটা সুস্বাদু তবে তার মধ্যে একটি অজানা তথ্য রয়েছে। আমরা তো পাকা কলা খেয়ে থাকি, কখনো কলার মধ্যে বীজ দেখেছি? এই কলাতে বর্ষাকালে বীজ লক্ষ্য করা যায়। যে সমস্ত কলা গুলো অন্যান্য সময়ে হয়ে থাকে অর্থাৎ এই বংশজাত কলা অন্য সময় হয়ে থাকলে সেখানে বীজ থাকে না। তবে বর্ষার সময় এই কলার মধ্যে বীজ থাকে, কালো কালো গোল গোল আটি। যা দেখতে অনেকটা পুঁইশাকের বীজের মতো। ছোটবেলায় দাদা-দাদীদের মুখে শুনতাম এই কলা নাকি শরীরের জন্য খুবই উপকারী বিশেষ করে গর্ভধারিনী মানুষদের জন্য সবচেয় গুরুত্বপূর্ণ খাবারের তালিকায় অন্যতম, এই কলা নাকি সমস্ত শ্রেণীর মানুষদের বেশি শরীর ভালো রাখে।

IMG_20230726_131945_172.jpg

IMG_20230726_132138_983.jpg

IMG_20230726_132139_942.jpg

IMG_20230726_132149_267.jpg



received_305654148004402.webp


১৯ নং ফটোগ্রাফি

বর্ষার দিনের পড়ন্ত বিকেলের একটি সুন্দর অপরূপ দৃশ্য। যে দৃশ্যে আপনারা দেখতে পারছেন সূর্য মামা প্রায় ডুবে যাওয়ার জন্য হেলে পড়ছে পশ্চিম দিকে, আর চারিপাশের মেঘগুলো জেনো তাকে ঘিরে মেঘের ভেলা ভাসিয়ে চলছে। আকাশের এপাশে ও পাশে চারি পাশে যেন ভিড় করছে কালো অথবা সাদা মেঘের ভেলা। পশ্চিম সাইডের মেঘের মাঝখান থেকে সূর্য মামার সেই জোরালো রশ্মি জেনো এসে পড়ছে আমার মোবাইলের গ্লাসে। তবুও চলতি পথের রানিং অবস্থায় চেষ্টা করেছিলাম ক্যামেরায় ধারণ করতে এই পড়ন্ত বিকালের অপরূপ দৃশ্য। এদিকে ফসলের ক্ষেতে হালকা পানি দেখা যাচ্ছে যা বৃষ্টি হয়েছি পরশুদিন। জায়গায় জায়গায় জমে রয়েছে সেই বৃষ্টির পানি আর এ মুহূর্তে বৃষ্টির পানি সহ ফসলের মাঠ আর আকাশের দৃশ্য ক্যামেরায় একই ফটোর মধ্যে ধারণ করতে বেশ ভালো লাগছিল এবং সেই জন্যই ফটোটা হয়েছিল স্পেশাল। আর এই নিয়ে যেন সৃষ্টি আর এই নিয়ে যেন বৈচিত্রময় রূপ আমার সোনার বাংলার। আমি বড় ভালোবাসি প্রানের চেয়েও বেশি ভালোবাসি আমার প্রিয় জন্মভূমিকে। যার রূপ দেখে সকল দুঃখ বেদনা ভুলে যায়। এই আমার মা মাতৃভূমি আমার সোনার বাংলাদেশ। আকাশের এই অপরূপ দৃশ্য দেখতে দেখতেই ফির ছিলাম বাড়ির দিকে। ফিরছিলাম মায়ের চোখের সামনে

IMG_20230725_182938_669.jpg

IMG_20230725_182946_764.jpg



received_305654148004402.webp


২০ নং ফটোগ্রাফি

এবার বর্ষার সময় সত্যি বৃষ্টিপাত খুবই কম। দাওয়াত খাওয়ার আশায় গিয়েছিলাম তিন আত্মীয়র বাসায় গতকাল পরশু তার আগের দিন। এমন একটি গ্রামে উপস্থিত হয়েছিলাম যে গ্রামে পাকা রাস্তা নেই, গ্রামটা জুড়ে শুধু মেঠো রাস্তা আর জায়গায় জায়গায় হেয়ারিং। বর্ষার সময় এই সমস্ত রাস্তাগুলো কাদায় পরিপূর্ণ হয়ে যায় কিন্তু এবার বর্ষা নেই তাই রাস্তাগুলো মোটামুটি চলার মত রয়েছে। এদিকে আত্মীয়র বাসায় উপস্থিত হয়ে দেখলাম এখন তো বর্ষার সময় এই সময়ে মোটা মোটা জাম্বুরা বাজারে দেখতে পাওয়া যায়। আমাদের বাসায় জাম্বুরা গাছ নেয়, যার জন্য এর কথা স্মরণ ছিল না। যাইহোক আত্মীয়র বাসায় তা দেখা মিলল। বিকাল মুহূর্তে আসর এবং মাগরিবের নামাজ আদায় করব একটি মক্তবে, সেই আশায় বের হয়েছিলাম আত্মীয়র বাসা থেকে। আসরের নামাজ আদায় করে বসলাম একটি নদীর কিনারে। সেখানে বসে শুনলাম যেখানে অবস্থান করছি বর্ষার সময় অর্থাৎ এই সময়ে নাকি পানিতে পরিপূর্ণ থাকে। যতদূর চোখ যায় ব্রিজ এর নিচ দিয়ে নদীতে সামান্য পরিমাণ পানি যেখানে ছোট বাচ্চারাও এদিক থেকে ওদিকে চলে যেতে পারে। আমরা বসে খেলা দেখছিলাম দুইপাড়ে ফুটবল খেলা খেলছিল কিশোর যুবক আর ছোট ছেলেমেয়েরা। আমরা যে পাড়ে বসে ছিলাম এদিকটায় ছোট ছেলেমেয়েরা খেলছিল। আর ওপারে কিশোর ছেলেরা ফুটবল খেলছিল। ঠিক এই মুহূর্তে কিছু পাতি হাঁস এর বাচ্চা এসে আমাদের পাশ দিয়ে পোকামাকড় খেতে খেতে চলে গেল। তখন ঠিক মনে হলো সত্যিই বর্ষার সময় এই সমস্ত পাতি হাঁসগুলো তো নদীর জলে খেলা করে বা খেয়ে বেড়ায়। নদীতে পানি নেই তাই হয়তো তারা নদীর দিকে যাচ্ছে না। নদীতে যদি পানি থাকতো তাহলে অনেকেই হয়তো সিপ দিয়ে মাছ ধরত নদীর জলে। এমন পর্যায়ের মানুষেরও দেখা মিলল না। তবুও বলবো বর্ষার সময় গ্রাম বাংলার দৃশ্য বিভিন্ন পর্যায়ে সৌন্দর্য সৃষ্টি করে থাকে। যেখানে বিভিন্ন প্রকার গাছ-গাছালি জন্ম নেয় বোন জঙ্গল সৃষ্টি হয়। এমনটা আমাদের পিছন সাইডেও দৃশ্যমান ছিল। আর এই সমস্ত দিকগুলো নিয়েই বর্ষার সময়ের প্রতিচ্ছবি।

IMG_20230725_124541_110.jpg

IMG_20230725_090157_836.jpg

IMG_20230725_125143_839.jpg

IMG_20230724_173453_678.jpg

IMG_20230724_182528_793.jpg



received_305654148004402.webp


পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

received_434859771523295.gif


পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ।

TZjG7hXReeVoAvXt2X6pMxYAb3q65xMju8wryWxKrsghkLbdtHEKTgRBCYd7pi9pJd6nDf4ZPaJpEx3WAqvFVny2ozAtrhFXaDMnAMUAqtLhNESRQveVFZ7XHcED6WEQD48QkCkVTAvNg6.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ওয়াও বর্ষাকালীন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম জাস্ট।প্রতিটি ফটোগ্রাফি মনোমুগ্ধকর।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

আমার এই পোস্ট পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

প্রথমে অভিনন্দন জানাই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনের জন্য।প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনের জন্য বেশ সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন।প্রতিটি ফটোগ্রাফি দেখতে বেশ সুন্দর হয়েছে। আর বর্ষা ঋতুর ধরনেই হলো কখনও বৃষ্টি কখনও রোদ।আর তাই বর্ষার ফটোগ্রাফিগুলো এতো সুন্দর । অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্য পড়ে খুশি হলাম

প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সুন্দর সুন্দর বর্ষাকালের ফটোগ্রাফি দেখতে পারবো। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর হয়েছে। এখন বৃষ্টির সৃজন তাই কখনো আকাশে রোদ আবার কখনো বৃষ্টির দেখা মেলে।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার এই সুন্দর মন্তব্য দেখে

বাহ অসাধারণ একটি পোস্ট তুলে ধরলেন আপনি বর্ষাকালীন ফটোগ্রাফি নিয়ে অনেক ভালো লাগলো। কারণ আপনার ফটোগ্রাফির মধ্যে গ্রামীন বাংলার বিভিন্ন ধরনের দৃশ্য আপনি তুলে আনলেন। বর্ষাকালের ছবি আপনি বিভিন্নভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করলেন মুগ্ধ হয়ে গেছি আমি দেখে। তাছাড়া বৃষ্টিতে ভেজার অনুভূতি অন্য ধরনের যা আপনি বৃষ্টি ভেজা ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

এই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু

এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।আপনি বর্ষাকালীন প্রতিযোগিতার জন্য খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। বর্ষাকালের এত সুন্দর দৃশ্য দেখলে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

সাবলীল ভাষার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

অসাধারণ এবং চমৎকার ফটোগ্রাফি গুলো নিয়ে আপনি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন দেখে ভালো লেগেছে। এই প্রতিযোগিতাটিতে অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। আপনার তোলা বর্ষাকালীন প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। অনেক সুন্দর করে প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে ভোগ করে নিয়েছেন। সব মিলিয়ে কিন্তু খুবই সুন্দর ফটোগ্রাফি ছিল।

আপনাকে জানাই অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু

প্রথমেই আপনাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ হয়েছে ভাই। বৃষ্টিতে ভিজতে আসলেই খুব ভালো লাগে। প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি গুলো সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

খুশি হলাম ভাইজান আপনার এই সুন্দর মন্তব্য দেখে

প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করার জন্য অনেক অনেক অভিনন্দন। খুব চমৎকার কিছু বর্ষাকালের ফটোগ্রাফি নিয়ে অ্যালবামটি সাজিয়েছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

আপনাকেও জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া