হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি রমজান মাসের দ্বিতীয় রোজার ইফতারি এবং ঈদের দিনের বিশেষ ফটোগ্রাফি নিয়ে।
বিস্তারিত বর্ণনা ও ফটোগ্রাফি |
আলহামদুলিল্লাহ এবার রমজানের প্রথম দ্বিতীয় রোজার ইফতারি আমাদের উত্তরপাড়া জামে মসজিদের মহল্লাবাসীর সাথে একত্রে ইফতারি করতে পেরেছিলাম। আর এই ইফতারির আয়োজন করেছিলেন আমাদের বড় চাচা জাহাঙ্গীর মাস্টার। আর এভাবেই রমজানের ত্রিশটা দিন ইফতারের আয়োজন ছিল আমাদের জুগীরগোফা উত্তরপাড়া জামে মসজিদে। সারাদিনের ব্যস্ততা দূর করে মাগরিবের আগ দিয়ে পাড়া প্রতিবেশীদের সাথে উপস্থিত হয়ে গেলাম মসজিদে। সেখানে উপস্থিত হয়ে দেখলাম মহল্লাবাসী আগে থেকে এসে উপস্থিত হয়ে গেছে।
মহল্লার লোকজন যারা রোজায় ছিলেন। তারা ওযু করে একটি বোতলে করে পানি নিয়ে এসে কাতার বদ্ধ হয়ে বসে গেছেন। এদিকে ইমামের পাশে বসে রয়েছেন আমাদের আঙ্কেল। উনি আমাদের সামনের কাতারে এসে বসতে বলেন। কারণ মসজিদের প্রবেশদ্বারে কাতার পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। এরপর আমি তাদের সম্মুখে এসে উপস্থিত হলাম। সামনের কাতারে বসে পড়লাম। ইতোমধ্যে প্রত্যেক রোজাদার ব্যক্তিদের সামনে ইফতারির প্লেট রাখা হয়েছে।
দিনশেষে মাগরিবের আজানের সময় যখন ঘনিয়ে আসলো। ইমাম সাহেব আমাদের মেজ ভাই সকলকে দোয়া পড়তে বলেছিলেন, এরপর মোনাজাত হল। সবাই মিলে একসাথে মোনাজাত করলাম যেন আমাদের রোজাগুলো কবুল হয়। আর এভাবেই অনেক বিষয়ে ছোট্ট দোয়া হল। এরপর আযান হয়ে গেল। আমরা সবাই একই সাথে ইফতারি শুরু করে দিলাম। আর এভাবে সিয়াম সাধনা পুরা একমাস চলতে থাকলো মুসলিম উম্মতের পরিবারে।
প্রতিনিয়ত মহল্লার মানুষ ইফতারি দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে। তবে আমি মনে করি ইফতারি দেওয়ার বিষয়টা বড় নয়। সবাই মিলে একসাথে সম্প্রীতি রেখে ইফতারি করার মজা আলাদা। এতে সবার মাঝে সুসম্পর্ক সৃষ্টি হয়। কারো প্রতি কোন রাগ ক্ষোভ থাকলেও সেগুলো যেন দূর হয়ে যায় সুন্দর এই রোজা আর ইফতারের মধ্য দিয়ে। যাহোক ইফতারির জন্য পাড়ার যুবসমাজ বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিল। আসরের নামাজ শেষে তারা লেগে পড়তো ইফতারি গুলো সুন্দর ভাবে ম্যানেজমেন্ট করার জন্য। দোয়া করি সেই সমস্ত ছেলেদের জন্য যারা নিঃস্বার্থে ইফতারির কাজগুলো সম্পন্ন করত।
দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার পর রমজান শেষে এলো খুশির ঈদের বার্তা। আমরা যে যার মত সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে অজু গোসল করে ঈদের নামাজের জন্য উপস্থিত হলাম ঈদগাহ ময়দানের। আমাদের গ্রামে জামে মসজিদ তিনটা সহ মসজিদ চারটা, এছাড়া মক্তব রয়েছে দুইটা। এবং একটি রয়েছে মাদ্রাসা। তাই বলতে গেলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দিক থেকে আমাদের গ্রাম স্বয়ংসম্পূর্ণ। আর সারা গ্রামের জন্য রয়েছে ইয়া বড় একটি ঈদগাহ ময়দান। সারা গ্রামের মানুষের প্রচেষ্টায় এই ঈদগাহ ময়দান দেশ উন্নত রূপে গড়ে উঠেছে এবং তার কার্যক্রম এখনো অব্যাহত। ইফতারিতে যেমন এক মহল্লার মানুষ ইফতারি করেছি আর ঈদের নামাজে তিন মহল্লা অর্থাৎ সারা গ্রামের মানুষ একসাথে নামাজ আদায় করতে পেরে অনেক সন্তুষ্ট হয়েছিলাম। দিনটা যেমন সুন্দর আবহাওয়া ছিল। তেমনি সারা গ্রামের কম বেশি মানুষের সাথে আলাপ-আলোচনা শুভেচ্ছা বিনিময় এর মধ্য দিয়ে ঈদের মাঠ ত্যাগ করেছিলাম। আর এভাবেই পবিত্র রমজান মাস আমরা অতিবাহিত করেছি।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকুন সবাই। আল্লাহ হাফেজ। |
আসলে মসজিদে বসে সমাজের সকল মানুষের সাথে একত্রে ইফতার করার মাঝে এক অনাবিল আনন্দ অনুভব হতো। যাহোক আজকে তোমার লেখা এই পোস্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। বেঁচে থাকলে এবং সুস্থ শরীর থাকলে হয়তো আগামী বছরেও আমরা এভাবে একত্রিত হয়ে ইফতার করতে পারবো এবং ঈদের সালাত আদায় করতে পারবো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ একসাথে ইফতারি করতে ভালো লাগে
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit