আজ - সোমবার
হাই! বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি অনেক অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম হাড় কিপটি নাটকের ১০৫ পর্বের মধ্য থেকে ৪৪ তম পর্ব রিভিউ করে শেয়ার করার জন্য। আশা করি আমার এই রিভিউ পোস্ট আপনাদের অনেক অনেক ভালো লাগবে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে এখনি শুরু করি।
নাম | হাড় কিপটে |
---|---|
রচনা | বৃন্দাবন দাস |
পরিচালক | সালাউদ্দিন লাভলু |
অভিনয়ে | আমিরুল হক চৌধুরী, চঞ্চল চৌধুরী, বৃন্দাবন দাস, মোশাররফ করিম, আ খ ম হাসান, শামীম জামান, শাহনাজ খুশি সহ আরো অনেকে। |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | আঞ্চলিক বাংলা |
ধরণ | কমেডি,ড্রামা |
পর্বের সংখ্যা | ১০৫ |
রিভিউ | ৪৪ তম পর্ব |
দৈর্ঘ্য | ১৮ মিনিট |
প্ল্যাটফর্ম | ইউটিউব @cdchoicedrama চ্যানেল |
চরিত্রেঃ
- মোশাররফ করিম
- আমিরুল হক চৌধুরীর
- চঞ্চল চৌধুরী
- বৃন্দাবন দাস সহ আরো অনেকে
হাড় কিপটে নজর আলীর বড় ছেলের প্রেমিকা চুমকি বহরকে ভাবি ডাকতে বলায় বহর একটি বায়না ধরেছিল। আর সেই বায়না ধরাতে চুমকি বলেছিল সে যদি ভাবি ডাকে তাহলে অবশ্যই ভাইয়ের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া লুঙ্গিটা তার হয়ে যাবে। অর্থাৎ চুমকি তাকে বোঝাইছে তাকে যদি বহর ভাবি বলে মেনে নেয় বা ডাক দেয় তাহলে তার কারণে সে তার কাছ থেকে লুঙ্গি পাবে। বহর দেখল যদি একবার ভাবি ডাক ডাকাতে লুঙ্গি পাওয়া যায় তাহলে দোষ কি? তাই বহর তাকে ভাবি ডাক ডেকেছে এবং বলে দিয়েছে বড় ভাইয়ের কাছ থেকে সন্দেহ মূলক ছিনিয়ে নেওয়া লুঙ্গিটা তার হয়ে গেল সে যেন তার বড় ভাইকে বলে দেয়। এখন সেই বিষয়টা নিয়ে বড় ভাই আর গোল্লা যখন পরামর্শ করছিল, এমন মুহূর্তে বহর এসে সব কিছু বলে দিল এবং বলে দিল লুঙ্গিটা তার হয়ে গেছে।
এদিকে হারকিপটে নজর আলী তার ছোট ছেলেকে বাড়ির এক সাইডে খুব আদর যত্নে ডেকে নিয়ে গেল। এরপর বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি এবং ভালোবেসে বেশ কিছু কথার স্থলে তার মা জাব্বারের বাড়িতে কেন গিয়েছিল কি শলা পরামর্শ এই বিষয়ে জানতে চাইলো। তখন তার ছোট ছেলে খুলে বললো যে তার বিয়ের জন্য তার মা সেখানে গিয়েছিল। এতে নজর আলীর দেশে দেখে যাই। এছাড়াও নজর আলীর ছোট ছেলে তার বাবার কাছে সুন্দর করে বুঝিয়ে বলে তার বাবা তো মরে গেলেই জমি ভাগ করে দিতে হবে, তার আগে যদি ভাগ করে দেয় তাহলে তার ছেলের জন্য ভালো হয়। এই সমস্ত কথা শুনে নজর আলী আরো রেগে যায়। তাই তার ছোট ছেলেকে ত্যাজ্য পুত্র করলাম এই বলে তার সামনে থেকে তাড়িয়ে দেয়।
এদিকে মজনুর বড় ভাই মজনুকে দোকান থেকে সরিয়ে দিয়েছে। কারণ মজনু তার বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে দোকানের মাল বাকিতে দেয় কিন্তু টাকা উঠাতে পারেনা। বন্ধুদের আড্ডা খানায় বাকিতে চা খেতে দেয় কিন্তু টাকা উঠায় না। এভাবে চলতে থাকলে একদিন তার দোকান ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই সে তার ভাইকে দোকান থেকে খেদিয়ে দেয়। নিজের বউকে শখ করে ডেকে এনেছে এক কাপ চা খাওয়াবে বলে। কিন্তু সে দেখল কোন কাস্টমার দোকানে আসে নাই বইয়ের জন্য যদি এক কাপ চা তৈরি করে তাহলে বাকি টা নষ্ট হবে। তাই কিছুটা সময়ের জন্য তার বউকে অপেক্ষা করতে বলে। কিন্তু সে বলে তার তো এখন অনেক কাজ আছে কাস্টমারের আশায় তো বসে থাকা যায় না। সে তার বউকে বলল তাহলে সে না হয় তা অন্য দিন খাবে। কিন্তু বউকে সে চা তৈরি করে দিল না। যেন নতুন কৃপণের আগমন ঘটল এই পর্বে।
এদিকে নজর আলী কৃপণ তার বউকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বকাঝকা শুরু করেছে। স্বামীকে না বলে ছেলের বিয়ে দেওয়ার চিন্তা। ছেলের প্রেমিকার বাড়ি পর্যন্ত সে চলে গেছে স্বামীকে না বলে। এই সমস্ত বিষয় নিয়ে যখন তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি চলছে হঠাৎ গোল্লায় এসে উপস্থিত। গোল্লা বলল মামা ভুল করে যেন মামীর গায়ে হাত উঠানো হয় না। তখনই সে তার ভাগ্নাকে খুলে বললো ছোট ছেলে তার কাছে জমি দাবী করে, তলে তলে মৃত্যু কামনা করে। তখন গোল্লা তার মামাকে আরো বুঝিয়ে বললো কখনোই এ কাজ করা যাবে না কারণ আগে গোল্লার অংশ বুঝিয়ে দিতে হবে তারপর তার ছেলেদের জমি ভাগ করতে হবে। এই কথা শোনার পর নজর আলী কৃপণ আরো ক্ষেপে গেল। গোল্লার কিসের ভাগ। গোল্লা তখন বলল তার মায়ের অংশ সে তো পাই সেটা আগে বুঝাতে হবে তাকে তার আগে ছেলেদের অংশ ভাগ করে দিলে তো গোল্লার ভাগ কম হয়ে যাবে। এমন কথা শুনে গোল্লাকে লাঠি দিয়ে ধাওয়া করলো নজর আলী কৃপণ।
এদিকে হারাধন কৃপণের পুনরায় হাত দেখার জন্য বই-পুস্তক পাঠ করা চলছে। সে মানুষের হাত দেখে টাকা উপায় করা চিন্তা করে সব সময়। যখন তার ছোট কৌতুক দেখলো দুলাভাই হাত দেখার বই পড়ছে সে তার কাছে এগিয়ে আসলো হাত দেখানোর জন্য। কিন্তু হারাধন তাকে বোঝালো তার এত মোটা হাত দেখাই তো মুশকিল। এরপর সুন্দর কৌশলের মাধ্যমে কথা উঠালো তার মেয়ে শিবানীর মুখ দেখায় যে টাকা দিয়েছিল সেই টাকা কার কাছে রয়েছে। সে বলল টাকা তার কাছে রয়েছে। ছোট কুটুম এর কাছ থেকে শিবানীর মুখ দেখার টাকাসহ হাত দেখানোর 5 টাকা নিতে চাইল। কিন্তু সেই মাত্র ছোট কুটুম তার সামনে মিলিয়ে ধরল শিবানী মুখ দেখাতে এক হাজার টাকার বেশি খরচ হয়েছে। সে আরো বোঝাতে চাইলো দুলাভাইয়ের কাছ থেকে ১০০০ এর অধিক টাকা পায়।
হাড় কিপটে নাটকের এই পর্বে লক্ষ্য করা গেছে একদিকে কৃপণ ছেলে বহরের হাসিমাখা মুখ আরেক দিকে লক্ষ্য করা গেছে কৃপণ নজর আলীর মনে কষ্ট। তার বউ ছেলে তার কথা না শোনে তলে তলে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। ছোট ছেলে তার মৃত্যু কামনা করে জমির ভাগ চাই। এদিকে ভাগ্নে গোল্লা ক্লিয়ার ভাবে বলে দেয় তার ভাগের কথা। এতদিন পর নজর আলী কৃপণ সম্পন্ন জানতে পারলো তার ভাগ্নে কেন তার বাড়িতে এসে রয়েছে। এদিকে হারাধন কৃপণের মেয়ে শিবানীর মুখ দেখার টাকা যতদিন না হাতে পাচ্ছে, ততদিন সেই টাকার লোভ ছাড়তে পারছে না। সব মিলে বলতে পারে প্রত্যেকজনের অভিনয়ের কৌশলটা বেশ ধারণ। সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে দারুণ অভিনয় করে থাকেন এবং তাদের কথার বলার ভঙ্গিটাও অসাধারণ। অন্যান্য নাট্যকাররা যদি সুন্দর অভিনয় শিখতে চায় তাহলে তাদের অবশ্যই এমন নাটক দেখা প্রয়োজন রয়েছে এবং এদের অভিনয় দেখার প্রয়োজন রয়েছে। যেখানে সকল প্রকার অঙ্গভঙ্গি এবং কৌশল মানুষের নজরে পাড়ে এবং সার্থক অভিনয়ের আনন্দ খুঁজে পাওয়া যায়।
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন নাটক রিভিউতে, ততক্ষণ ভালো থাকুন। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া আজ আপনি খুব সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।আপনার শেয়ার করা নাটকটি আমার অনেক পছন্দের। আমি হাড় কিপটে নাটকটি অনেকবার দেখেছি।আপনি খুব সুন্দর করে নাটকটি রিভিউ করেছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আশা করব নাটকটা দেখবে এবং আনন্দ নিবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি ভাইয়া নাটকটি দেখার চেষ্টা করব।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দেখতে দেখতে এই নাটকের ৪৪ তম পর্ব শেয়ার করে দিলেন। এই হাড় কিপটে নাটকটি আমার ভীষণ প্রিয়। বাংলাদেশে অনেক গুলো নাটকের মধ্যে এই নাটকটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। নাটকের প্রতিটা চরিত্র খুবই সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। এই পর্বটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকে ধন্যবাদ ভাই, আগামীতে আরো সম্পন্ন করব।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit