হাই বন্ধুরা!
হাই
বন্ধুরা!আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। প্রথমে বলে রাখি,
মানুষ ভুলের উর্ধ্বে নয়, ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
আজকে আমি লজ্জা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করব। কারণ আমি মনে করি মানুষের মধ্যে বেশি থাকা ভালো নয় কম থাকা ভালো নয় তাহলে "লজ্জা"। তবে সবার নিজের মধ্যে লিমিট পরিমাণ লজ্জা থাকা প্রয়োজন রয়েছে, যেটা একজন মানুষকে সভ্য রূপে গড়ে তুলতে পারে।আলোচনার বিষয়: লজ্জা-শরম |
---|
লজ্জা নারীর ভূষণ। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে যেন এ লজ্জা মানুষের বিবেক থেকে উঠে যাচ্ছে। আসলে বিবেক থেকে কেন বললাম। মানুষ বিবেককে জাগ্রত করে চলার কথা, কিন্তু বর্তমানে পথে ঘাটে চলা নারী পুরুষদের মধ্যে অনেকেই যেন বিবেককে জাগ্রত করে চলতে জানে না। যেন অপসংস্কৃতি আর কু সভ্যতার কবলে পড়ে নিজেকে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে নিজের লজ্জা কে ভুলে যাচ্ছে। দিন যত যাচ্ছে মানুষের জামা কাপড়ের ফ্যাশান বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু সেই জামাকাপড় দিয়ে যে সতর ঢাকতে হয়। নিজেকে হেফাজতে রাখতে হয়, আগলিয়ে রাখতে হয় সেটাই ভুলে যাচ্ছে। কিছুদিন আগে ইউটিউবে একটা আপুর কথা শুনেছিলাম। সে কথাই সে বলেছিল মিষ্টি আগলা করে রাখলে মৌমাছি বসবে, ঢেকে রাখলে মৌমাছি বসতে পারবে না। উনার এই কথাটা যুক্তিসম্মত, আমিও তার কথাই সম্মতি প্রকাশ করি।
কারণ ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা দেখি, মেয়েদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ টা বোরখার আড়ালে ঢেকে রাখা প্রয়োজন। পুরুষের বিশেষ কিছু অংশ ঢেকে রাখা প্রয়োজন। কারণ মেয়েদের মহান সৃষ্টিকর্তা এমনভাবে সৃষ্টি করেছেন যে, পুরুষ মানুষের নজরে আসলে তারা সেটা পাওয়ার চেষ্টা করে অথবা খারাপ দৃষ্টিতে দেখার চেষ্টা করে। আর দূর থেকে ফলো করলে তাদের মধ্যে খারাপ অনুভূতি সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে যুবক সম্প্রদায়ের মধ্যে খারাপ প্রভাব টা বেশি আসার সম্ভাবনা থাকে। যে অনুভূতি যুবক সম্প্রদায়কে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। ঠিক তেমনি পুরুষ মানুষের কথাবার্তা অঙ্গভঙ্গি নজর হেফাজতে রাখতে হবে যেগুলো যুবতী বা অন্যান্য বোনদের খারাপ অনুভূতি জাগ্রত করবে না। হয়তো এই বিষয়টা সবাই আমলে নেয় না কিন্তু আমলে নিতে হবে। কারণ এখানে রয়েছে ধর্ম কর্ম সভ্যতার ভালো মূল্যায়নের বিষয়। আজকে আমি যদি আমাকে নিরাপদে না রাখতে পারি তাহলে আমার নিরাপত্তা কে দেবে। আজকে আমি যদি অশ্লীল পোশাক পরে রাস্তায় বের হয় তাহলে তো অনেকে আমার প্রতি খারাপ নজর দিবে এবং আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করবে। পাশাপাশি আমার মধ্য দিয়ে আরও দশজন খারাপ রাস্তা বেছে নিবে। কারণ একজন খারাপ ব্যক্তির প্রভাবে ১০ জন মানুষ খারাপ হতে অগ্রসর হতে পারে। একজন মেয়ের জন্য ১০ জন ছেলে আবার একজন ছেলের জন্য ১০ জন মেয়ে খারাপ পথে নামতে বাধ্য হতে পারে। আর এই বিষয়গুলো আমাদের মত বুদ্ধি বিবেক সম্পন্ন মানুষদের ভাবা চিন্তা প্রয়োজন। কারণ আজকে আমার দেখাদেখি ছোটরা শিখবে। আমি খারাপ কিছু করলে ছোটরা খারাপ কিছু করতে বাধ্য হবে। আমি ভালো কিছু করলে ছোটরা ভালো কিছু করার উৎসব পাবে। এই কারণেই তো অতীতকালে এই সুন্দর বাণীটা উঠে এসেছে "লজ্জা নারীর ভূষণ" তবে এটা নারীদের ক্ষেত্রে নয়,সবার ক্ষেত্রেই প্রয়োজন। আপনি আমি যদি লজ্জা শরমের বিষয় মনের মধ্যে লালন করি, যেখানে লজ্জার প্রয়োজন সেটা মান্য করে চলি; তাহলে আরো ১০ জন বিষয়টা বুঝবে শিখবে জানবে। নারীদের যেমন ভাবে চোললে সুশীল সমাজ খুশি হবে, ঠিক ভাবে চলা প্রয়োজন। মেয়েরা কর্মস্থল বাদ রেখে চার দেয়ালের মধ্যে বন্দী থাকে এটা আমি কখনো চাই না। তবে পথের চলাচলের সময় অবশ্যই লজ্জার বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে এবং সেভাবেই চলতে যেমন চলাচল একটি সুশিল সমাজ প্রত্যাশা করে।ঠিক তেমনিভাবে ১০ জন প্রশংসা করবে এমন ভাবেই চলতে হবে নারী পুরুষ উভয়ের।
পোশাক মানুষের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। তবে পোশাকের মধ্যেও রয়েছে শালীনতা এবং লাজ লজ্জার বিষয়। কিছু কিছু পোশাক রয়েছে যেগুলো পরিধান করার চেয়ে, না পরিধান করাই ভালো। একটু চিন্তা করে দেখুন আমি এমন একটা পোশাক পড়েছি যার মাধ্যমে আমার শরীরের এমন কিছু অঙ্গ অনুভব করতে পারে অন্যজনে তাহলে সেই পোশাক পরার মানে কি? আমারা পোশাক পরি নিজের শরীরটাকে ঢেকে রাখার জন্য,আরো বিশেষ করে যে সমস্ত গোপন অংশ হেফাজত করতে হয় সেগুলো পোশাকের আড়ালে রাখার। কিন্তু আমরা যদি নিজের লজ্জা কে ভুলে যায়, অশ্লীল পোশাক পরি, মুখের ভাষা ভঙ্গি যদি লজ্জা লিমিট ক্রস করে তাহলে আমরা কেমন মানুষ। আমরা একটু বিবেক জাগ্রত করলেই বুঝতে পারব কেন আমাদের লজ্জা থাকা প্রয়োজন। কেন লজ্জা রেখে চলতে হবে। লজ্জা একটা জাতির সভ্যতাকে ধরে রাখে। যে জাতির মধ্যে লজ্জা শরম রয়েছে সে জাতি ততই শালীনতার মধ্যে রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে একটা মান মর্যাদার ভেতরে। লজ্জাহীন মানুষকে কখনো পছন্দ করে না। একটা সভ্য সমাজ সব সময় চাই প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যে জাগ্রত বিবেক থাকুক লজ্জা শরম ধর্মীয় অনুভূতি দ্বারা আবৃত্ত থাকুন। কারণ লজ্জা শরম ভুলে যে জাতি বাইরে চলে আসবে সে যাতে তত অবনতির দিকে যাবে। আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগের ইতিহাস যাচাই করে দেখুন আর বর্তমান স্বচক্ষে মানুষের চলাচল লক্ষ্য করে দেখুন। লজ্জা শরম ভুলে নিজেকে স্বাধীন ভাবে নেওয়ার জন্য কতটা অবনতি হয়েছে জাতির।
একটা সময় চক্ষু লজ্জার ভয় ছিল। এখন যেন সে বিষয়টা সবাই এড়িয়ে চলে। আর এই জন্যই সমাজে যত প্রকার কুরুচিপূর্ণ কার্যকলাপ বেড়ে চলেছে। তাই আমাদের সুন্দর সমাজ গড়তে হলে অবশ্যই নিজেদের জাগ্রত বিবেক কাজে লাগাতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে আজকে আমরা যেভাবে চলব আগামীতে নতুন প্রজন্ম তারও এক ধাপ এগিয়ে চলার চেষ্টা করবে। আমরা যদি সঠিক পথে না চলতে পারি তাহলে আগামী প্রজন্ম সঠিক পথে কিভাবে চলবে। আমরা খারাপ পথে চললে তারা তো খারাপ রাস্তা চিনে যাবে। আর আমরা যদি সঠিক পথে চলার চেষ্টা করি তাহলে তারা সঠিক রাস্তায় চিনবে। তাই আমি মনে করি লজ্জার বিষয়টা নিজেদের মধ্যে বিদ্যমান রাখতে হবে যেটা নিজের চরিত্রের এবং মান-সম্মানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পুরুষের ক্ষেত্রে পুরুষ যতটুকু প্রয়োজন ততটুক লজ্জা মেনে চলবে। নারী জাতির যেমন লজ্জা বানিয়ে নিজেকে চালানো প্রয়োজন সেভাবেই পথে চলতে হবে। অনেকে মনে করে আমি নিজের স্বাধীন মতো চলবো এতে লোকের কি আসে যায়। আমি বলব এখানে লোকের অনেক কিছু আসে যায়। আপনি ভুল করছেন আপনার ভুল বুঝতে পারছেন না কিন্তু আপনার ভুলের মাশুল টা অনেক বড়। আপনার জন্য অথবা আমার ভুলের জন্য একটা জাতি ধ্বংসের দিকে চলে যেতে পারে। তাই আপনি আমি যদি নিয়মের মধ্যে চলার চেষ্টা করি তাহলে অবশ্যই আপনার আমার দেখাদেখি আরও দশজন নিয়মের মধ্যে আসবে আর এভাবে মানুষ লজ্জার বিষয়টা বুঝতে পারবে। তাই আসুন আমরা আমাদের মধ্যে লজ্জা শরমের বিষয়টা ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করি এবং আপনজনদের সেই রুচি সম্পন্ন বিবেক জাগ্রত করি। যেখানে লজ্জা শরম বিবেক সম্পন্ন চিন্তা ধারা সৃষ্টি হয়।
বিষয় | লজ্জা শরম |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix Hot 11s |
Photo editing app | picsart app |
লোকেশন | গাংনী-মেহেরপুর |
ব্লগার | @sumon09 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকুন সবাই। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
লজ্জা নিজ থেকে হতে হয় এটা কেউ জোর করে করিয়ে দিতে পারে না।রুচিশীলতা বজায় রেখে পোশাক পড়া উচিত। অশ্লীল পোশাক পড়া যতোটা খারাপ ততটাই খারাপ অশ্লীল মনভাব। নিজের খারাপ মনমানসিকতা পরিবর্তন করা উচিত। তা না হলে দেশের দু তিন বছরের শিশু নিরাপদ থাকবে না। অশ্লীল পোশাক, অশ্লীল নজর অশ্লীল মন সব গুলোকেই বিসর্জন দেয়া উচিত। বেশ ভালো লিখেছেন। ধন্যবাদ পোস্ট টি ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমি মনে করি উভয়ের থাকা প্রয়োজন রয়েছে এবং তা নিয়মের মধ্যে
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit