হাই বন্ধুরা!
কেমন আছেন সবাই? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাই-বোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে। তাই সুযোগ পেলে আমারও ভ্রমণ করতে যেতে ইচ্ছে জাগে দেশের যে কোন প্রান্তে। ঠিক তেমনি আমার অসুস্থতার জন্য ঢাকার পথে যাত্রা করেছিলাম এই বিষয়ে আপনারা পূর্ব অবগত রয়েছেন। তারই ষষ্ঠ পর্ব নিয়ে আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি, আশা করব এই পর্বে আপনারা বেশ অনেক কিছু জানতে পারবেন এবং অনেক কিছু দেখার সুযোগ পাবেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে এখনই বিস্তারিত
Infinix Hot 11s
আমি এই প্রথম ফেরির মাধ্যমে নদী পার হলাম। তাও আবার পদ্মা নদী। দৌলোদিয়ার ঘাট থেকে যখন মানিকগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম লক্ষ্য করে দেখলাম প্রায় ৪৫ মিনিট মতো নদীর বুকে ভাসমান আমরা। ওই মুহূর্তে আকাশের অবস্থা একদম ফ্রেশ,প্রচন্ড গরম। নদীতে তেমন কোন ঢেউ ছিল না। যে ঢেউ মানুষকে আতঙ্কিত করে তোলে। তাই বেশ ভালো লাগছিল আকাশের দিকে তাকাতে এবং পানির সৌন্দর্য উপভোগ করতে। এছাড়া স্বাভাবিক পানের ঢেউ সেগুলো তো তেমন কোন কিছু মনে হয় না। নতুন একটা অনুভূতির মাধ্যমে যেন পার হচ্ছিলাম। আর এভাবেই দীর্ঘ সময় পার হয়ে একবার থেকে আরেক পারে চলে আসলাম। ঠিক ওই মুহূর্তে আমার কিছু অনলাইনের ভিডিওর কথা মনে আসলো দেখেছিলাম ফেরি পারের সময়, অনেক সময় বিপদ ঘটে। তবে আল্লার নাম মুখে রেখেই মনে মনে দোয়া করছিলাম আল্লাহ ভালোভাবে ঢাকায় পৌঁছে দাও আমাদের। এদিকে উপর থেকে লক্ষ্য করে দেখলাম ফেরিতে অনেকগুলো বাস, মাল বোঝাই ট্রাক সহ আরো অনেক গাড়ি রয়েছে।
Infinix Hot 11s
যাইহোক লক্ষ্য করে দেখলাম অন্যান্য গাড়ির সাথে আমাদের গাড়িটা ও পেছনে পেছনে পার হয়ে উপরে উঠে গেল। এরপর মানিকগঞ্জের অচেনা জায়গা গুলো দেখতে থাকলাম নয়ন ভরে। তবে ওপারেও যেমন কৃষ্ণচূড়া ফুলের গাছ লক্ষ্য করেছিলাম এপারে এসেও কৃষ্ণচূড়া ফুলের গাছ লক্ষ্য করলাম তাছাড়া হাইরোড পাশাপাশি থাকা গাছ গাছালি এবং দোকানপাট মানুষের আনাগোনা লক্ষ্যণীয় ছিল। আর এভাবে আমাদের গাড়িটা মানিকগঞ্জের বিভিন্ন এরিয়ার মধ্য দিয়ে ঢাকা সাভারের দিকে এগিয়ে যেতে থাকলো। মাঝেমধ্যে হামি মোবাইলে লোকেশনে দেখতে থাকলাম এখান থেকে ঢাকা সাভার কতদূর। কত সময় লাগতে পারে আর। কারণ এর আগে খালাম্মাদের বাসায় গেছি, বাসা চিনি।
Infinix Hot 11s
এরপর আবারো দীর্ঘ পথ মানিকগঞ্জের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান লক্ষ্য করতে থাকলাম। জীবনে প্রথম এই শহরের উপর দিয়ে চলছিলাম যার জন্য খুব ভালোভাবেই দেখার চেষ্টা করছিলাম জানালার পাশ দিয়ে। মানিকগঞ্জ শহরের বেশ কিছু জায়গার নাম আমার কাছে একটু হাস্যকর মনে হচ্ছিল কারণ এগুলো পূর্বে কোনদিন শুনিনি। যেমন ঘিওর তারা সেতু সহ বিভিন্ন স্থানগুলো প্রথম চোখে বাধলো। আর এভাবেই আমাদের গাড়ি চলতে চলতে একটি মুহূর্তে ঢাকার এরিয়ার মধ্যে অর্থাৎ সাভারের এরিয়ার মধ্যে উপস্থিত হলো।
Infinix Hot 11s
ঢাকা নবীনগরে এসে ডান সাইডে জাতীয় স্মৃতিসৌধ, কিছুটা সামনে ফ্লাইওভার পার হয়ে সেনাদের মার্কেট। এই স্থানটা আমার বেশ পরিচিত। কারণ এর আগে আমি এখানে এসেছি বেশ ঘোরাঘুরি করেছি, অবস্থান করেছি অনেকক্ষণ। তাই যখনই ঢাকা সাভারের নবীনগর এরিয়া পৌছালাম তখনই তাদের মধ্যে অন্যরকম স্বস্তি লেগেছিল কারণ দীর্ঘ জার্নির পর পৌঁছে গেলাম সাভারে মাত্র ১০-১৫ মিনিট পরে আমাদের বাসায় পৌঁছে যাব, আর এই ভরসায় ভালোলাগা জেগে উঠলো মনের মধ্যে। ঠিক তার কিছুটা সময়ের পর এসে গেলাম সাভার বিশমাইল। এরপর বাস থেকে নেমে পড়লাম ফ্লাইওভার এর পূর্বেই, সেনানিবাসের গেটের নিকটে। তারপর একটা অটো গাড়ি রিজার্ভ করলাম। আর সেই গাড়িতে চড়ে পৌঁছে গেলাম খালাম্মাদের বাসাতে। অনেকদিন পর আমার নানার হাতে লাগানো বাঁশ বাগান দেখতে পারলাম। নানার স্মৃতি হিসেবে বাঁশ বাগানটা এখনো তাদের বাড়ির পাঁচিলের মধ্যে রয়ে গেছে।
Infinix Hot 11s
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পোস্ট বিবরণ
ব্লগার | sumon09 |
---|---|
ডিভাইস | Infinix Hot 11s |
লোকেশন গাংনী | What3words |
ক্যামেরা | 50mp |
দেশ | বাংলাদেশ |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন ভ্রমণ বিষয়ক পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকবেন সবাই। সকলের জন্য শুভকামনা রইল,আল্লাহ হাফেজ। |
---|
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit