রকি ভাইয়াদের উপস্থিতিতে বঙ্গ এগ্রো পার্ক ভ্রমণ

in hive-129948 •  4 days ago 


আসসালামু আলাইকুম




হাই বন্ধুরা!

কেমন আছেন সবাই? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাই-বোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে। ভ্রমণ করতে গেলে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে অবগত হওয়া যায় এবং অনেক কিছু দেখতে পাওয়া যায়। ঠিক তেমনি আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো আমাদের গ্রামের বঙ্গ এগ্রো পার্ক ভ্রমণের অনুভূতি এবং পার্ক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

IMG_20241212_155505_846.jpg

photography device:
Infinix Hot 11s

What3words Location


ফটোগ্রাফি সমূহ:


বঙ্গ এগ্রো পার্ক, এটা গাংনী মেহেরপুরের জুগীরগোফা গ্রামে অবস্থিত। পার্কটা পুকুরকে কেন্দ্র করে নির্মিত। এই গ্রামের জমিদার বিশ্বাস বাড়ির ছেলেরা পার্ক টি নির্মাণ করেছেন। জমিদারের নাম ছিল "নুরু মিয়া" তার জমিদারি ছিল ব্যাপক জাগা বিস্তৃত। আমাদের এই গ্রামে তার ছিল ১০০ বিঘা জমি। চুয়াডাঙ্গা শহরে অনেক জমি জায়গা রয়েছে। যতটা শুনেছি যশোর এয়ারপোর্টে তার ৫০ বিঘার উপরে জমে ছিল, সময়তে সময়তে তার জমিগুলো বিভিন্নভাবে হারিয়েছেন। এছাড়াও কলকাতাতে তার ব্যবসা-বাণিজ্য ও জমি ঘরবাড়ি ছিল। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন নুরু মিয়া মারা গেলেন। তার লাশ আমাদের গ্রামেই দাফন করা হয়েছে। আমাদের গ্রামে তার একটি ছেলে বসবাস করে। নুরু মিয়ার পুরাতন জমিদারি বাড়িতে থাকেন তিনি। তার দুইটা মেয়ে সন্তান রয়েছে। শুনেছি তারা মায়ের সাথে চুয়াডাঙ্গাতেই থাকে। জমিদার নুরু মিয়ার এই ছেলেটার নাম "ইলবার্ট"। তিনি মূলত এই গ্রামের জমিগুলো সব নিজ দায়িত্বে দেখাশোনা করেন। বাড়ির পাশে ব্যাপক জমি জায়গা থাকায়, জমিগুলো পুকুরে পরিণত করেছে। এরপর সেই পুকুর পার্কে কেন্দ্র করে বঙ্গ এগ্রো পার্ক নির্মাণ করেছেন।

IMG_20241212_161518_624.jpg

IMG_20241212_161529_168.jpg

IMG_20241212_161534_348.jpg

IMG_20241212_161446_147.jpg

photography device:
Infinix Hot 11s

What3words Location


প্রত্যেকদিন এই পার্ক দেখার জন্য এবং মনোরম পরিবেশে কিছুটা সময় কাটানোর জন্য এলাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শত শত মানুষ এসে থাকে। শুধু মেহেরপুর ডিস্ট্রিক্ট থেকে নয়। চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা কুষ্টিয়া ঝিনাইদহ বিভিন্ন স্থানের মানুষ এখানে ভ্রমণ করতে আসে এমনকি পিকনিক করতে আসে। এই পার্কটা ঈদের সময় জমজমাট হয়ে ওঠে। তবে শীতের সময়টা সবচেয়ে বেশি ফুটে ওঠে বিভিন্ন ফুলের কারণে। পার্কের পুকুরের চারিপাশ জুড়ে বিভিন্ন রকমের ফুলের গাছ লাগানো হয়। একটি পুকুর রাখা হয়েছে শুধু শাপলা ফুলের জন্য। এভাবেই বাহারি রঙে রাঙিয়ে এসে পার্কের কেন্দ্র।

IMG_20241212_161455_439.jpg

IMG_20241212_161435_501.jpg

IMG_20241212_161358_855.jpg

IMG_20241212_161411_145.jpg

photography device:
Infinix Hot 11s

What3words Location


মানুষের চলতি পথের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে সব জায়গায়। আবার তারই আশেপাশে অনেক সুন্দর ভাবে বিভিন্ন রকমের পাতাবাহার গাছ দিয়ে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। কিছু কাছে রয়েছে টবের মধ্যে আবার কিছু গাছে রয়েছে মাটিতে। পাড়ের এপাশ ওপাশ দিয়ে রঙ্গন ফুল থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকমের জবা ফুল বাগান বিলাস সহ নাম না জানা অনেক ফুলের গাছ। এই পার্কের কেন্দ্রে রয়েছে অনেক সুন্দর ঘর। ঘরটা বাগান বিলাস দ্বারা সাজানো। এই ঘরের মধ্যে মানুষের ফ্রেশ হওয়ার জন্য সুব্যবস্থা রয়েছে। দূর থেকে আগত মানুষেরা কিছুটা সময়ের জন্য রেস্ট নিতে পারে কেন্দ্রস্থ ঘরের চারিপাশে।

IMG_20241212_161328_039.jpg

IMG_20241212_161157_012.jpg

IMG_20241212_161040_727.jpg

IMG_20241212_161105_644.jpg

photography device:
Infinix Hot 11s

What3words Location


রকি ভাই সোনিয়া আপুর আগমনে এ পার্কের মধ্যে প্রবেশ করলাম তৃতীয়বারের মতো। পার্কটা আমাদের গ্রামে হওয়া সত্বেও প্রবেশ করা হয় না। অপ্রয়োজনে চলাচল নেই বললেই চলে। কারণ পার্ক গ্রামের মানুষের কাছে এক প্রকার খারাপ দৃষ্টিতে দেখার স্থান। কারণ যুবক ছেলেমেয়েদের আবির্ভাব বেশি থাকে। তাই মানুষের সেটাকে ভালো দৃষ্টিতে দেখেনা। কারণ যুবক ছেলেমেয়েদের তো ভালো কারণে চলাচল কম পার্কে। তবে এটা সত্য ফ্যামিলি নিয়ে স্বাচ্ছন্দে ঘুরাঘুরি করা যায় কোন প্রকার চক্ষু লজ্জার ভয় ছাড়াই। এখানে খুব সুন্দর ভাবে নিয়ন্ত্রিত। যার জন্য পিতা মাতা ভাই বোন সব নিয়ে উপস্থিত হওয়ার সম্ভাব। তবে আজ থেকে কয়েক বছর আগে বেশ কিছু দুর্নাম শোনা গেছিল। সেগুলো কাটিয়ে উঠেছে। রকি ভাইয়া ও সোনিয়া আপু আসার আনন্দে আমরা সেখানে একদিন অবস্থান করেছিলাম। আর সেই থেকে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি একসাথে খাওয়া দাওয়া ঘোরাফেরা আনন্দ করতে পেরেছি আমরা। কালকে তোর দিনটা আমাদের জন্য বেশ স্মরণীয় হয়ে থাকবে। মনোরম এই পরিবেশের মধ্যে আমার বাংলা ব্লগের বেশ কিছু ইউজার ভ্রমণ করতে পেরেছি তাই অনেক আনন্দিত। বিশেষ করে রকি ভাইয়াদের উপস্থিতিটা আমাদের জন্য ছিল সৌভাগ্যের।

IMG_20241212_151522_392.jpg

IMG_20241212_161002_923.jpg

IMG_20241212_161028_636.jpg

IMG_20241212_155526_625.jpg

photography device:
Infinix Hot 11s

What3words Location


পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

received_434859771523295.gif

পোস্ট বিবরণ


ব্লগারsumon09
ডিভাইসInfinix Hot 11s
লোকেশনWhat3words
ক্যামেরা50mp
দেশবাংলাদেশ


পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন ভ্রমণ বিষয়ক পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকবেন সবাই। সকলের জন্য শুভকামনা রইল,আল্লাহ হাফেজ।

TZjG7hXReeVoAvXt2X6pMxYAb3q65xMju8wryWxKrsghkLbdtHEKTgRBCYd7pi9pJd6nDf4ZPaJpEx3WAqvFVny2ozAtrhFXaDMnAMUAqtLhNESRQveVFZ7XHcED6WEQD48QkCkVTAvNg6.png


Untitled_design.png.jpg

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

14-01-25

Screenshot_20250114-123726.jpg

Screenshot_20250114-124439.jpg

Screenshot_20250114-123527.jpg

রকি ভাইয়া ও সোনিয়া আপুদের সাথে সেদিন দারুন মুহূর্ত আমরা অতিবাহিত করেছিলাম। দিনটির কথা, আজকে ভীষণ মনে পড়ছে। আপনার পোস্টে তাদের সাথে কাটানো কিছু মুহূর্তের ফটোগ্রাফি এবং বঙ্গ এগ্রো পার্কে কিছু ফটোগ্রাফি দেখে খুবই ভালো লাগলো। খুবই সুন্দরভাবে আপনি বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন ধন্যবাদ।

হ্যাঁ স্মৃতি হয়ে রইল।

বঙ্গ এগ্রো পার্ক ভ্রমণ করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। রকি ভাইসহ সবাই মিলে বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। বঙ্গ এগ্রো পার্কের চারপাশের পরিবেশ বেশ সুন্দর। ধন্যবাদ আপনাকে পার্কে কাটানো এতো সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।

একদম, অনেক সুন্দর মুহূর্ত ছিল।

আপনাদের পার্ক ভ্রমণ দেখে অনেক ভালো লাগলো। আমাদের গ্রামের এটা যেন অন্যরকম একটি সম্পদ। ভালো লাগে বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ পার্ক দেখতে আসে। আর সে জায়গায় আমাদের গ্রামে হাওয়ায় আমাদের দূরে কোথাও যাওয়া লাগে না। পার্ক মালিকদের অনেক তথ্য তুলে ধরেছেন তাই অনেক কিছু জানতে পারলাম।

অসংখ্য ধন্যবাদ।

সেদিনের মুহূর্তটি অত্যন্ত আনন্দের এবং উপভোগ্যের ছিল। যাহোক বঙ্গ এগ্রো কমপ্লেক্স পার্ক ভ্রমণের তোমার লেখাগুলো পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। সত্যি বলতে ঐই দিনটি আমাদের সকলের জীবনে একটি মধুর স্মৃতি হয়ে থাকবে-- এতে কোন সন্দেহ নেই।

খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন