বিদ্যালয়ের ফুলবাগান তৈরির প্রথম মুহূর্ত

in hive-129948 •  last year 

আজ - সোমবার

১২ আষাঢ়, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
২৬ জুন, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ


আসসালামু আলাইকুম

IMG_20220823_144839254_BURST0008.jpg





হ্যালো বন্ধুরা,

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি আমাদের বিদ্যালয় ফুলবাগান তৈরির প্রাথমিক পর্যায়ে আমাদের যে উদ্যোগ ছিল এবং তা বাস্তবায়ন করেছিলাম ঠিক তারই দৃশ্য নিয়ে। তাই চলুন আর দেরি না করে আমার আর মুস্তাফিজুরের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসলের কিছুটা বিষয় জেনে নেওয়া যাক।


'আমার বাংলা ব্লগ'
কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট



ফটোগ্রাফি সমূহ:



গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরি স্কুল,২৩ আগস্ট ২০২২ সাল। অক্লান্ত পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে চেষ্টা করেছিলাম একটি ফুলের বাগান তৈরি করার জন্য। এই ফুলের বাগান তৈরি করার পেছনে বড় অবদান সেলফি তো দেখতে পারছেন আমাদের তিনজনার। তবে উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল মুস্তাফিজুর আর বাস্তব আইনের জন্য চরম পর্যায়ের পরিশ্রম করেছিলাম আমি পাশাপাশি বাগানটার খরচ বহনের জন্য রুখসানা আপার সহায়তা। তবে রুখসানা আপার তার পকেটের টাকা দিয়ে খরচ বহন করেনি, সম্পূর্ণটাই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের বেতনের টাকা থেকে। আজ এই ফুলের বাগান তৈরি করার পেছনে অনেকেই ইয়ার্কি করেছিল কারন কি হবে এত কষ্ট করে ফুলের বাগান তৈরি করে। আর আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এই জায়গাটা এতটাই হিট হওয়ায় পরিপূর্ণ ছিল যেগুলা তুলতে অনেক কপালের ঘাম ঝরাতে হয়েছে রোদ গরমের সময়। হয়তো এটা আগস্ট মাসের দৃশ্য তবে এরও দুই মাস আগে কার্যক্রমে উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলাম তবে সেই কার্যক্রমে তেমন কারোর সহায়তা আমরা পেয়েছিলাম না পাশাপাশি নতুন মাটি ফেলা হয়েছিল জায়গাটা উচা করার জন্য আর সেই সমস্ত মাটিগুলা ৬০ করতে পরিশ্রম করতে হয়েছে আমাদের অনেকে হাসাহাসি করত বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দিয়ে এমন কঠোর পরিশ্রম করে নেয়া হচ্ছে কেন। হয়তো বিষয়টা আমারও খারাপ লাগতো এরপরেও একটাই বিষয় মাথার মধ্যে ঘুরতো স্কুলের পরিবেশ যদি সুন্দর করতে পারি হয়তো অনেক ছাত্র-ছাত্রী স্কুলে আসবে এর পেছনে আমাদের বেতনের বিষয়টাও রয়েছে হয়তো বৃদ্ধি পাবে কিছু। সব মিলিয়ে আমার চেষ্টা করেছিলাম সুন্দর একটি বড় বাগান তৈরি করার জন্য স্কুলের আঙিনায়।

IMG_20220823_151705176_BURST0002.jpg

IMG_20220823_151652312_BURST0009.jpg
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স



যখন ফটোর পরিশ্রম করে মাটি সার্ট করে জায়গায় জায়গায় গর্ত করে ফুল গাছ লাগাচ্ছিলাম। ঠিক ওই মুহূর্তে স্মৃতি ধরে রাখার জন্য এই সমস্ত ফটোগ্রাফি গুলো করেছিলাম এবং সেলফি গুলো তুলেছিলাম। সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের সাতটা করে ক্লাস নিয়েছি। স্কুল শুরুর অনেক পূর্বে স্কুলে উপস্থিত হয়ে কিছুটা করে কাজ এগিয়ে নিয়েছি এমনকি টিফিন টাইমেও কাজ করেছি এমনকি স্কুল ছুটি হয়ে যাওয়ার পরেও ফুলবাগান তৈরির জন্য কাজ করেছি। একটাই উদ্দেশ্য ছিল স্কুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা। তবে কাজগুলো পুরা বোকার মতই করেছি রোদ গরমে। যার কোন মূল্যায়ন নাই। দুনিয়ার মানুষ একজনার ঘাড়ে পা রেখে উঁচুতে উঠে এ কথা হয়তো আমরা পূর্বে শুনেছি ঠিক তেমনটা এই বিদ্যালয়ের কার্যক্রম। তবু একটা আশা ছিল বিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করব ফুলে ফুলে ভরিয়ে দেবো এই স্কুলের আঙিনা তাইতো কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে চলে যেতাম আমি আর মুস্তাফিজুর গাংনী-মেহেরপুরে থানার অন্তর্গত ধানখোলার নার্সারিতে। সেখান থেকে আনতাম কিনে বিভিন্ন প্রকার ফুলের গাছ। আরিফুলের গাছগুলো কেনার পিছনে কর্তৃপক্ষ কোন টাকা বহন করতে চাইনি যা নিজেদের সু কৌশলের টাকা ম্যানেজ করেছিলাম স্কুলে পরীক্ষার প্রশ্নগুলো নিজেরাই লিখতাম সে থেকে টাকা বাচিয়ে ফুল গাছ কিনেছি। আর রুখসানা আপা ছোট সহায়তা করতো ছাত্রছাত্রী টাকা কালেকশন এর মধ্যে থেকে।

IMG_20220823_151709144_BURST0001_COVER.jpg

IMG_20220823_151600313_BURST0006.jpg

IMG_20220823_144841687_BURST0001_COVER.jpg

IMG_20220823_151628156_BURST0010.jpg
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স



রোকসানা আপা সক করেছিল নিজে হাতে কয়টা ফুলের চারা লাগাবে। উনি আমাদের সাথে নার্সারিতে গিয়ে, নিজের পছন্দমত দুইটা ফুলের গাছ কিনে এনেছিলেন যা সেলফি তো দেখতে পারছেন উনি লাগাচ্ছেন এই মুহূর্ত। আর বাদবাকি সমস্ত ফুলের চারা গুলো সকলে মিলে লাগানো হয়েছিল। যে সমস্ত ফুলগুলো হয় আমার অথবা মোস্তাফিজুরের পোস্ট থেকে দেখেছেন ইতোপূর্বে।

IMG_20220823_144828_391.jpg

IMG_20220823_144826_877.jpg

IMG_20220823_144823_680.jpg
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স



হয়তো আপনার ফটোগ্রাফিতে দেখতে পারছেন খুবই ঘাস গাছড়ার মধ্যে আমরা সুন্দর করে জায়গা তৈরি করেছিলাম। আমি যখন বিদ্যালয়ে জয়েন করেছিলাম তখন 'গ্রিন রেইন ল্যাবরেটরী স্কুল' ক্লাসিক সিনেমার দৃশ্যের মতো মনে হতো, তবে পরবর্তী পর্যায়ে এত সুন্দর একটি স্থানের রূপদান করেছিলাম তা বলে বোঝানো সম্ভব নয় আর এর পিছনে যে কতটা পরিশ্রম করতে হয়েছিল আমাদের কোন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এভাবে কখনো স্বেচ্ছায় ফুলের বাগান তৈরি করে দেয় না। শুধু ফুলের বাগান নয় সর্বসময়ের ফেসবুকে আপলোড করতাম বিশেষ বিশেষ কিছু নিজেরা থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করে লোককে দেখানোর জন্য ছাত্র কালেকশন করার জন্য স্কুলের সুনাম বয়ে আনার জন্য। তবে আমি আর মোস্তাফিজুর এক সাথে যা করে দিয়েছি এ বিদ্যালয়ের জন্য আমার কখনো মনে হয় না পরবর্তীতে কোন শিক্ষক এতটা বোকার মত পরিশ্রম করবে এ বিদ্যালয়ের জন্য। চেষ্টা করেছি নিজে যতদিন অবস্থান করেছি বিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়ে উন্নতি সাধন করার। আশা করি বিদ্যালয়ে যারা রয়েছে ফুলবাগানটি আরো সুন্দর করে সাজিয়ে তুলবে।

IMG_20220823_151717_779.jpg

IMG_20220822_170044_109.jpg

IMG_20220823_151751_095.jpg
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স

আশা করি,আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনি অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে বুঝতে ও শিখতে পেরেছেন, সেই সাথে নতুন জ্ঞান অর্জন করতে পেরেছেন। পোস্টটি উপস্থাপনা কেমন ছিল এবং এ বিষয়ে আপনার অনুভূতি কেমন, অবশ্যই কমেন্ট বক্সে আমাকে জানাতে ভুলবেন না। আপনার জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইলো।


পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

received_434859771523295.gif

💌আমার পরিচয়💌


আমি মোঃ নাজিদুল ইসলাম (সুমন)। বাংলা মাস্টার্স ফার্স্ট ক্লাস মেহেরপুর গভমেন্ট কলেজ। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুর। মড়কা বাজার, গাংনী,মেহেরপুর এ গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরি স্কুল নামক প্রি-ক্যাডেট স্কুলের সহকারি শিক্ষক । ইলেকট্রনিক্সের যন্ত্রপাতি মেরামত ও সৌর প্যানেল নিয়ে রিসার্চ করতে পছন্দ করি। প্রাকৃতিক দৃশ্য ফটোগ্রাফি করা আমার সবচেয়ে বড় ভালোলাগা। দীর্ঘদিনের আমি পাঙ্গাস মাছ চাষী এবং বিরহের কবিতা লেখতে খুবই ভালোবাসি।

zr7XQBzuvvkjgjjPxunUtP5k84gxgWc4mR8PqdBj5rx8AtXSSugGPwSy7JKyM3rgX4k3arRVPC2wT66DqiAYg2UuYrHpE94NCJsYEnjKP7Erbg.png


পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ।

TZjG7hXReeVoAvXt2X6pMxYAb3q65xMju8wryWxKrsghkLbdtHEKTgRBCYd7pi9pJd6nDf4ZPaJpEx3WAqvFVny2ozAtrhFXaDMnAMUAqtLhNESRQveVFZ7XHcED6WEQD48QkCkVTAvNg6.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

যে কোন কাজ করতে গেলে প্রথমে সবাই তামাশা করে কিন্তু যখন আপনি সফলতা পাবেন তখন ও তারা আপনাকে বলবে এটা হয়নি, ওটা হয়নি আরও কত কি..! তারপর ও তাদের কথার জবাব দিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আশা করি আপনার স্কুলের ফুল বাগানটি এক সময় একটি পরিপূর্ণ বাগানে পরিনত হবে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে এমন সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।