হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি মোবাইল সার্ভিসিং এর বিস্তারিত বিষয়ে আলোচনা করার জন্য। আচ্ছা করবো আমার এই পোস্ট পড়ে আপনারা অনেক কিছু জানতে পারবেন। তাই চলুন আর দেরি না করে বিস্তারিত আলোচনা শুরু করি।
মায়ের অসুস্থতার জন্য ঢাকা সাভারে অবস্থান করার মুহূর্তে আমার মোবাইলটা নষ্ট হয়ে যায়। আমি ঢাকা সাভারে অবস্থানকাররে বেশ অনেক ফটো ও ভিডিও ধারণ করেছিলাম, তবে একটা সমস্যা রয়েছে আমার মোবাইলের অল্পতে অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়। তবে যে মুহূর্তে আমার মোবাইলটা নষ্ট হয়েছিল ওই মুহূর্তে আমি বাসের মধ্যে অবস্থান করেছিলাম ঢাকা পান্থপথে যাওয়ার জন্য। বাসের মধ্য থেকে ভিডিও ধারণ করছি এমন অবস্থায় হঠাৎ মোবাইলটা আপডাউন শুরু হয়। মোবাইলটা একলাই অফ হচ্ছে আবার একলাই অন হচ্ছে,আর এভাবেই কিছুক্ষণ। আর এ ভাবেই দিন দিন আমার মোবাইলের সমস্যা বাড়তে থাকলো। একটি পর্যায়ে দেখা গেল মোবাইলটা আর অন হচ্ছে না। এদিকে মায়ের জন্য ঢাকা সাভার থেকে ঢাকা ধানমন্ডি পান্থপথ এলাকা ছোটাছুটি করতে হয়। পড়ে গেলাম বেশ বিপদে। মোবাইল নষ্ট হওয়ার পরেও ১৫-২০ দিন ছিলাম সেখানে। তাহলে বুঝতে পারছেন কতটা ভোগান্তির শিকার হয়েছি। তবুও মনের মধ্যে ছিল একটা আশা সেটা হচ্ছে গাংনী মোবাইল হসপিটাল থেকে মোবাইলটা ঠিক করে নেব। কারণ এই ঘরে আমি এতটাই বিশ্বাসী যে তারা খুব সুন্দর ভাবে মোবাইল সার্ভিসিং করে। আর সেখানে মোবাইল সার্ভিসিং এর অনেক ঘর থাকার পরেও আমি কোন সার্ভিসিং এর ঘরে যায়নি কারণ ঠিকঠাক ভাবে সারা হবে কি তার নেই ঠিক।
মায়ের অসুস্থতার জন্য আছি একপ্রকার মনে কষ্টে, আবার যদি মোবাইল নিয়ে ঝামেলায় পড়ি তাই আর কোন সার্ভিসিং এর ঘরে নিয়ে যায়নি গাংনীর আশা করে। যাই হোক সে কাঙ্খিত দিন এসে গেছে। তাই গত রবিবারে বাড়িতে ফেরার পরে গাংনী মোবাইল হসপিটালে এসে উপস্থিত হলাম গত মঙ্গলবার। তবে দুর্ভাগ্যের বিষয় প্রথম যেদিন গেলাম সেদিন মোবাইল মেরামত করা লোকজন খুবই কম ছিল সে ঘরে। তাই একজন যিনি ছিলেন উনি বললেন হায় আগামীকালকের জন্য মোবাইলটা রেখে যান, আমরা ঠিক করে মোবাইল রেখে দিব। এদিকে আমাকে প্রশ্ন করলেন কবে কখন কতদিন আগে কি সমস্যা হয়েছে। আমি বিস্তারিত সব বললাম। আরো বললাম ইনফিনিক্স মোবাইলের এই মডেলের সেট আমাদের পরিবারে আরও দুইটা রয়েছে। এর আগে আমার বড় ভাইয়েরটার এই সমস্যা হয়েছিল আপনার কাছে এনে সেরে নিয়ে গেছিলাম ৩০০ টাকা দিয়ে। তাই আপনার উপর সে বিশ্বাস রয়েছে বলে ঢাকাতে কোথাও আমি আমার মোবাইলটা সার্ভিসিং করতে দেয়নি। তখন উনি বেশ একটু হাসি খুশি হলেন এবং বললেন চাইলে রেখে যান অথবা আগামী কালকে নিয়ে আসেন ঠিক করে দেবো আজকেও হাতে অনেক মোবাইল। তাই আমি বললাম আগামীকাল গাংনী বাজারে আমার দরকার আছে তাহলে একবার এই মোবাইলটা হাতে করে আনি। তাই গত মঙ্গলবারে আর মোবাইল ঠিক করা হলো না।
গত বুধবারে আবারও বাড়ির কাজ শেষ করে বা গুছিয়ে আমার ভাবির ও আমার মোবাইলটা নিয়ে চলে গেলাম ঠিক করে আনার জন্য। মোবাইল হসপিটালের সেই ভাইয়া বললেন এক ঘন্টা বসা লাগবে। এদিকে আমি তাদের ওয়াইফাই টা আমার আলাদা মোবাইলে কানেক্ট করে নিলাম এবং সেখান থেকে বসে কিছু কাজ শুরু করলাম চ্যাট কমেন্টের। এভাবে একটা ঘন্টা চলে গেল। ওনারা মোবাইলটা খোলা অবস্থায় আইসি লাগিয়ে আমার হাতে দিলেন,ঠিকঠাক চলছে কিনা দশ বিশ মিনিট ধরে চেক করতে বললেন। আমিও তাদের কথা মতো চেক করতে থাকলাম মোবাইলে সফটওয়্যার আপডেট নিচ্ছে কিনা। ভিডিও প্লে হচ্ছে কিনা, কথা বলা যাচ্ছে কিনা। এরপর সব চেকআপ করে উনাদের বললাম ভাই ঠিক আছে। তারপর তাদের হাতে মোবাইলটা দিয়ে দিলাম যেন মোবাইলটা পিছনের খাপ লাগিয়ে সম্পূর্ণ ফ্রেশ করে আমার হাতে দিতে পারে।
এদিকে আমার মোবাইলের পাশাপাশি আমার বড় ভাবি জান্নাতুল এর মোবাইলটাও নিয়ে গেছিলাম, তার মোবাইলের সমস্যা থাকায়। আমার মোবাইলের পূর্বে সে মোবাইলটা মেরামত করা হয়ে গেছে। তার মোবাইলের সমস্যা ছিল চার্জিং এর। মোবাইলে চার্জ নিত না। যাইহোক একই সাথে দুইটা মোবাইল ঠিক করে নিতে পারলাম খুব সহজে। আর এভাবেই গাংনী মোবাইল হসপিটালে দুইটা মোবাইল ঠিক করে নিলাম ঢাকা থেকে আসার পর। কারণ এই দুইটা মোবাইলেই কমিউনিটির কাজ করতে হয় দুইজনার। আর ঢাকায় যাওয়ার পরেই পরিবারের তিনটা মোবাইলের সমস্যা হয়েছিল এক এক ভাবে। তাই তিনজনার কাজ করা বেশ ব্যাহত হয়ে গেছিল। আমার হাতে এক্সট্রা মোবাইল থাকায় এবং খালাম্মাদের বাসায় অবস্থান করায় তাদের একটি মোবাইলে কাজ করে মোটামুটি চালিয়ে যেতাম। যাইহোক পুনরায় মোবাইলটা ঠিক করে নিয়ে আবারো কাজ করতে পারছি আলহামদুলিল্লাহ। ইনশাল্লাহ কমিউনিটির সাথে ঠিকঠাক ভাবে কাজ চালিয়ে যাব এবং সর্বদা টায়ার ওয়ানে অবস্থান করবো ইনশাল্লাহ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বিষয় | মোবাইল সার্ভিসিং |
লোকেশন | Location |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Huawei P30 Pro-40mp |
ফটোগ্রাফার | @sumon09 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকুন সকলে। আল্লাহ হাফেজ। |
নিজের ব্যবহৃত জিনিস নষ্ট হয়ে গেলে খুবই খারাপ লাগে। আর মোবাইল যখন প্রয়োজনীয় জিনিস তাই এটা নষ্ট হয়ে গেলে তো আরো বেশি সমস্যার বিষয়। যাইহোক মোবাইল আপনি সার্ভিসিং করে এনেছেন এটা জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ গাংনী মোবাইল হসপিটাল থেকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একদিকে মায়ের অসুস্থতা অন্য দিকে ফোনের সমস্যা হয়েছিল বেশ অসুবিধায় পড়েছিলেন ভাইয়া।অবশেষে আপনি নিজের ফোনটি সার্ভিসিং সেন্টার এর মাধ্যমে ঠিক করতে পেরেছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ বেশ সমস্যার মধ্যে পড়েছিলাম আপু
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit